স্থিতিস্থাপকতা (অর্থনীতি)

স্থিতিস্থাপকতা বলতে অনপেক্ষ চলরাশির পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষ চলরাশির পরিবর্তনের হার বোঝায়। যদি একটি পণ্যের চাহিদা ঐ পণ্যের মূল্যের ওপর নির্ভর করে, তবে মূল্যের পরিবর্তনের কারণে চাহিদার সংবেদনশীলতাই চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা। একটি পণ্যের চাহিদার মূল্য-স্থিতিস্থাপকতা (-) ২ বলতে বোঝায় যে, (ক) মূল্যের সাপেক্ষে চাহিদা স্থিতিস্থাপক; (খ) মূল্যের ঊর্দ্ধগামী পরিবর্তনের জন্য চাহিদা হ্রাস পাবে এবং (গ) মূল্যের ১ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য চাহিদা ২ শতাংশ হ্রাস পাবে। একই ভাবে ভোক্তার আয়ের পরিবর্তনের কারণেও তার চাহিদার পরিবর্তন হতে পারে। একটি পণ্যের চাহিদার আয়-স্থিতিস্থাপকতা (+) ৩ বলতে বোঝায় যে, (ক) ভোক্তার আয় সাপেক্ষে চাহিদা স্থিতিস্থাপক; (খ) আয়ের ঊর্দ্ধগামী পরিবর্তনের জন্য চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং (গ) আয় ১ শতাংশ বৃদ্ধির পেলে জন্য চাহিদা ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।[1]

স্থিতিস্থাপকতার মান তিন রূপ হতে পারে।
(ক) স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান = ১ : এর অর্থ একক স্থিতিস্থাপকতা। মূল্য ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে চাহিদা সমহারে হ্রাস লাভ করবে।
(খ) স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান > ১ : এর অর্থ সম্পর্কটি স্থিতিস্থাপক। অর্থাৎ অনপেক্ষ রাশির মান যে হারে পরিবর্তিত হবে তার চেয়ে বেশি হারে অপেক্ষ রাশির মান পরিবর্তিত হবে।
(গ) স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান < ১ : এর অর্থ চলরাশিদ্বয়ের সম্পর্ক অস্থিতিস্থাপক। অর্থাৎ অনপেক্ষ রাশির মান যে হারে পরিবর্তিত হবে তার চেয়ে কম হারে অপেক্ষ রাশির মান পরিবর্তিত হবে।

পরিমাপের সূত্র

স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপ করা হয় একটি অনুপাত হিসাবে। নিচে মূল্যের পরিপ্রেক্ষিপেতে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপের সূত্র দেখানো হয়েছে:

        (ক) চাহিদার মূল্য স্থিতিস্থাপকতা = (পণ্যের চাহিদায় পরিবর্তনের শতাংশ) / (পণ্যের মূল্যের পরিবর্তনের শতাংশ)
(খ) চাহিদার মূল্য স্থিতিস্থাপকতা = {(চাহিদার পরিবর্তন/চাহিদা)×১০০} ÷ {(পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন/পণ্যের মূল্য)×১০০}
(গ) চাহিদার মূল্য স্থিতিস্থাপকতা = (পণ্যের মূল্য p / পণ্যের চাহিদা q) × (পণ্যের চাহিদার পরিবর্তন Δq / পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন Δp)
(ঘ) ε = (p / q ) × (Δq / Δp)

তথ্যসূত্র

  1. Elasticity of Demand and supply

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.