স্থান (পদার্থ বিজ্ঞান)

স্থান, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায়, হলো অসীম ও ত্রিমাত্রিক বিস্তৃতি যেখানে বস্তু ও ঘটনা অবস্থান করে এবং যার আপেক্ষিক অবস্থান ও দিক আছে।[1] গাঠনিক দিক থেকে স্থানকে ত্রিমাত্রিক বিবেচনা করা হয়, যদিও আধুনিক পদার্থবিদগণ একে চতুর্মাত্রিক বলে বিবেচনা করেন যেখানে সময়ও এর একটি মাত্রা এবং একত্রে স্থান-কাল বলা হয়ে থাকে। মহাবিশ্বের গঠনের আলোচনায় স্থানের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটি কি জগতের একটি অংশ নাকি শুধুমাত্র জগতের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

স্থানকে বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। নিউটন, ইমানুয়েল কান্ট, কার্ল ফ্রিড‌রিশ গাউস, আইনস্টাইনসহ বহু দার্শনিক ও বিজ্ঞানী একে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। ধ্রপদী বলবিদ্যায় স্থানকে একটি মৌলিক রাশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ একে অন্য কোনো রাশির মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না।

এছাড়া কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাহায্যে এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. Space, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, অনলাইন সংস্করণ।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.