স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড

স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড বা স্ট্রাটেজিক নিউক্লিয়ার কম্যান্ড ভারতের নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটির (এনসিএ) একটি অংশ। ভারতের নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটি ( এনসিএ ) হল ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সংক্রান্ত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ এবং অপারেশনাল সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী কর্তৃপক্ষ ।  এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক পরিষদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি নির্বাহী পরিষদ নিয়ে গঠিত । ভবিষ্যতের জন্য রক্ষিত দেশের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের সুপরিকল্পিত কৌশলগত ব্যবহারের দায়িত্ব এই সংস্থার উপর অর্পিত। ২০০৩ সালের ৪ জানুয়ারি এই সংস্থা স্থাপিত হয়। এটি পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্স-এর প্রতিদ্বন্দ্বী।

Strategic Forces Command
প্রতিষ্ঠা জানুয়ারি ২০০৩ (2003-01-04)
দেশ India
শাখা Indian Armed Forces
ভূমিকাকৌশলগত ব্যবস্থাপনা
কমান্ডার
বর্তমান
কমান্ডার
ভাইস অ্যাডমিরাল আর বি পন্ডিত, এভিএসএম
উল্লেখযোগ্য
কমান্ডার
এয়ার মার্শাল তেজ মোহন আস্থানা ,

স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের কাজ হল এয়ার মার্শাল র‌্যাঙ্কের কোনো কম্যান্ডার ইন চিফ বা সমতুল পদাধীকারীর অধীনে এনসিএ-র নির্দেশাবলি কার্যকর করা। এনসিএ-র প্রত্যক্ষ আদেশ পাওয়ার পর পরমাণু অস্ত্র ও ওয়ারহেড সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু করা এই সংস্থার একক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। নিশানা এলাকার সঠিক নির্বাচন করার জন্য এই সংস্থা একটি বিভক্ত, সমন্বয়মূলক প্রক্রিয়া গ্রহণ করে যার সিদ্ধান্তগ্রহণের স্তর ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং যা এনসিএ-এর নিয়মতান্ত্রিক আদেশাধীনে থাকে।

স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও অধিকারের মাধ্যমে সমস্ত রণকৌশলগত শক্তিসমূহকে ব্যবস্থাপিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। এই কাজের জন্য সমস্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তারাই করে থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের “কম্যান্ড, কন্ট্রোল অ্যান্ড কমিউনিকেশন” ব্যবস্থা সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং কম্যান্ডের কার্যকরী দ্রুত সাধনযোগ্যতার মাত্রা অত্যন্ত বেশি।

স্থল-ভিত্তিক নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র

নাম ধরন পাল্লা (কিমি) বর্তমান অবস্থা মন্তব্য
পৃথ্বী-১  স্বল্প-পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র১৫০মোতায়েনকৃত
পৃথ্বী-২  স্বল্প-পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র২৫০-৩৫০
পৃথ্বী-৩  স্বল্প-পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৩৫০-৬০০
অগ্নি-১শব্দাপেক্ষা দ্রুতগামী মাঝারি পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৭০০-১,২০০
নির্ভয় উপশাব্দিক ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে ১,৫০০ রাশিয়ান Kh-55 অনুকরণে নির্মিত ও চৈনিক চ্যাং জিয়ান 10 ক্ষেপণাস্ত্রের সমগোত্রীয় ।
শৌর্য শব্দাপেক্ষা দ্রুতগামী ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে ৭০০-১,৯০০ দংফেং 21 গোত্রীয়
অগ্নি-পি মাঝারি পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ১,০০০-২,০০০ সমগোত্রীয় দংফেং 21 ক্ষেপণাস্রের থেকে হালকা ও বেশি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম।  
অগ্নি-২মাঝারি পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র২ হাজার-৩ হাজার দংফেং 21 গোত্রীয়
অগ্নি-৩মাঝারি পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৩ হাজার ৫ শত-৫ হাজার দংফেং 26 গোত্রীয়
অগ্নি-৪মাঝারি পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৪ হাজার দংফেং 26 গোত্রীয়
অগ্নি-৫আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৫ হাজার–৮ হাজার দংফেং 31 গোত্রীয়
অগ্নি-৬আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ও সম্ভাব্য বহুসংখ্যক স্বাধীনভাবে লক্ষ্যকৃত পুনঃপ্রবেশ যান (MIRV, Multiple Independently targeted Reentry Vehicle)৮ হাজার-১২ হাজারউন্নয়নাধীন
সূর্যআন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ও বহুসংখ্যক স্বাধীনভাবে লক্ষ্যকৃত পুনঃপ্রবেশ যান১২ হাজার-১৬ হাজারঅনিশ্চিতকৃত

সমুদ্র-ভিত্তিক নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র

নাম ধরন পাল্লা (কিলোমিটার) বর্তমান অবস্থা
Dhanushরণতরী-প্রতিরোধী নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৩৫০সক্রিয়[1]
Sagarika (K-15)  ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষিপ্ত নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৭ শতসক্রিয়
K-4ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষিপ্ত নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৩ হাজার ৫ শতপরীক্ষিত[2]
K-5ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষিপ্ত নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৫ হাজারউন্নয়নাধীন[3]
K-6ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষিপ্ত নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র৬ হাজারউন্নয়নাধীন[4]

তথ্যসূত্র

  1. "India s Dhanush Undergoes 1st Night Test – SP's Naval Forces"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫
  2. Press Trust of India (২৫ মার্চ ২০১৪)। "India test fires long range N-missile launched from under sea"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫
  3. Keck, Zachary (৩০ জুলাই ২০১৩)। "India's First Ballistic Missile Sub to Begin Sea Trials"The Diplomat
  4. "DRDO on long range Pralay, K5 to stalemate China soon"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.