স্টুয়ার্ট ল
স্টুয়ার্ট গ্র্যান্ট ল, ওএএম (ইংরেজি: Stuart Grant Law; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৮) কুইন্সল্যান্ডের হারস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর জুলাই মাসে জেমি সিডন্সের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত হন স্টুয়ার্ট ল।[1] কয়েক মৌসুম অস্ট্রেলিয়ার যুব ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের পরপরই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালনের জন্যে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্টুয়ার্ট গ্র্যান্ট ল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৬৫) | ৮ ডিসেম্বর ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৮ ডিসেম্বর ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২১) | ২ ডিসেম্বর ১৯৯৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮/৯–২০০৩/৪ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬–২০০১ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২–২০০৮ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। সেখানে দ্বিতীয় খেলাতেই তিনি ১৭৯ রান করেছিলেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে তার সেরা সময় কাটে। ৭৫-এরও বেশি ব্যাটিং গড় এবং ১,২০০ রানেরও বেশি করেছিলেন সে সময়। দলের পক্ষে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে পাঁচ বার শেফিল্ড শিল্ড শিরোপা লাভ এবং দুইবার একদিনের ট্রফি লাভ করেন। এরফলে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক হন। এছাড়াও তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের অধিকারী হন।[2]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। পরবর্তী গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে আঘাতপ্রাপ্তিজনিত কারণে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ ওয়াহ'র পরিবর্তে টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রথম ও একমাত্র খেলাটি খেললেন। ঐ খেলায় তিনি অপরাজিত থেকে ৫৪* রান করেছিলেন। এরফলে তার ব্যাটিং গড়বিহীন অবস্থায় থাকে।[3] কিন্তু ওয়াহ'র উন্নতিতে তিনি নিয়মিতভাবে দল থেকে বাদ পড়েন। একদিনের আন্তর্জাতিকে তিনি পঞ্চাশেরও অধিক খেলায় অংশ নেন। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে তার অবস্থান ছিল এবং মাঝে-মধ্যে দলের প্রয়োজনে কিছু ডানহাতি লেগ স্পিন বোলিং করেছেন।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ
১৯৯৬ সালে স্টুয়ার্ট ল ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে এসেক্সের পক্ষ হয়ে খেলেন। ক্লাবের পক্ষ হয়ে ৬ মৌসুমের একটি বাদে সব মৌসুমেই তার রানের গড় ছিল পঞ্চান্নর বেশি। ১৯৯৯ সালে ক্যারিয়ার সেরা ২৬৩ রান করেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি বাতিল করলে তিনি ২০০২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেন।
প্রথম মৌসুমেই ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষ হয়ে কাউন্টি ক্যাপ পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে আঘাতজনিত কারণে অধিকাংশ খেলায় অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু ২০০৩ সালে ১,৮২০ রান করেছিলেন ৯১ রান গড়ে। ২০০৭ সালে ১,২৭৭ রান করেন ও নুতন করে আরো একবছরের জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হন।
১৯৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার ঘোষণা করে।
তথ্যসূত্র
- Stuart Law Named Bangladesh Cricket Head Coach
- Cricinfo staff (২০০৭-১১-১৪)। "Law takes on Lancashire captaincy"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-১৪।
- Cricinfo - Players and Officials - Stuart Law
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে স্টুয়ার্ট ল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে স্টুয়ার্ট ল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জেমি সিডন্স |
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ২০১১-২০১২ |
উত্তরসূরী রিচার্ড পাইবাস |
পূর্বসূরী ইয়ান হিলি |
কুইন্সল্যান্ড আইএনজি কাপ অধিনায়ক ১৯৯৯/০০-২০০২/০৩ |
উত্তরসূরী জিমি মাহের |
পূর্বসূরী ইয়ান হিলি |
কুইন্সল্যান্ড শেফিল্ড শিল্ড অধিনায়ক ১৯৯৯/০০-২০০২/০৩ |
উত্তরসূরী জিমি মাহের |
পূর্বসূরী মার্ক চিল্টন |
ল্যাঙ্কাশায়ার অধিনায়ক ২০০৮ |
উত্তরসূরী গ্লেন চ্যাপেল |