সোমালিয়া
সোমালিয়া (সোমালি: Soomaaliya, আরবি: الصومال আস্ব্স্বূমাল্) বা সোমালী যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র (সোমালি: Jamhuuriyadda Soomaaliya জামহূরিয়াদ্দা সোমালিয়া, আরবি: جمهورية الصومال الفيدراليةজুম্হূরিয়্য়ৎ আস্ব্স্বূমাল্ আল-ফীদিরালিয়হ) উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার শৃঙ্গ অবস্থিত একটি দেশ। সোমালিয়ার পশ্চিমে আছে ইথিওপিয়া, উত্তরপশ্চিম দিকে জিবূতী, উত্তরে আদন উপসাগর, পূবদিকে ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণপশ্চিমে কেনিয়া। আফ্রিকা মহাদেশের তামাম দেশের মাঝে সোমালিয়ারই সবচেয়ে দরাজ তটরেখা।[4] বেশীরভাগ সোমালিয়ার জমীন হচ্ছে মালভূমি, সমভূমি ও পাহাড়। সারা বছর জুড়ে গরম পরিবেশ, মৌসুমী বাতাশ ও মাঝে মাঝে বৃষ্টি।[5] সোমালিয়ার রাজধানীর নাম মোগাদিশু।
সোমালী যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র | |
---|---|
পতাকা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
| |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | মোগাদিশু |
সরকারি ভাষা | সোমালী আরবী[1][2] |
নৃগোষ্ঠী | সোমালী (৮৫%) বেনাদিরী বানতু এবং অন্য বেসোমালী জাতি (১৫%)[2] |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | সোমালী;[2] সোমালীয়[3] |
সরকার | পরিবর্তনকালীন সরকার |
• রাষ্ট্রপতি | শরিফ শেখ আহমেদ |
• উজিরে আজম | আব্দিওয়েলী মোহাম্মদ আলী |
আইন-সভা | পরিবর্তনকালীন ফেডারেল পার্লামেন্ট |
প্রশিক্ষণ | |
• বিলাতী সোমালিস্তান | ১৮৮৪ |
• ইতালীয় সোমালিস্তান | ১৮৮৯ |
• ইত্তেহাদ ও আজাদী | ১লা জুলাই ১৯৬০[2] |
• দস্তুর | ২৫ আগস্ট ১৯৭৯[2] |
আয়তন | |
• মোট | ৬,৩৭,৬৫৭ কিমি২ (২,৪৬,২০১ মা২) (44th) |
জনসংখ্যা | |
• ২০১২ আনুমানিক | 10,085,638[2] (৮৬তম) |
• ঘনত্ব | (১৯৯তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১০ আনুমানিক |
• মোট | $৫.৯ বিলিয়ন[2] (১৫৮তম) |
• মাথাপিছু | $৬০০[2] (২২২nd) |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১১) | N/A ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · Not ranked |
মুদ্রা | সোমালী শিলিং (SOS) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+৩ (ইএটি) |
ইউটিসি+৩ (not observed) | |
গাড়ী চালনার দিক | right |
কলিং কোড | ২৫২ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .so |
|
প্রাচীনকালে সোমালিয়া ছিল একটি জরূরী বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এই দেশই পুরাতন পুন্ত রাজ্যের সম্ভাব্য স্থান। মধ্যযুগে কয়েক শক্তিশালী সোমালী সাম্রাজ্যগুলো আঞ্চলিক সওদা আয়ত্ত করেছিল। তাঁর মাঝে ছিল আজূরান সলতনৎ, আদল সলতনৎ এবং গেলেদি সলতনৎ। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইতালীয় সাম্রাজ্য এসব সোমালী সলতনৎগুলোকে পরাজিত করে, এই অঞ্চলকে দখল করে ফেলে। ইউরোপীয় হানাদারবৃন্দ উপজাতীয় স্থানগুলোকে একত্র করে দুটি উপনিবেশ বানিয়েছিলেন। সেই দুই উপনিবেশ হচ্ছে ইতালীয় সোমালিস্তান ও বিলাতী সোমালিস্তান। তার সাথে সাথে, সোমালিয়ার ভেতর থেকে একদল দরবেশ আন্দোলন।দরবেশরা কয়েক কেল্লাগুলো নির্মাণ করেছিলে। তাদের নির্মাণ কাজের নিয়ৎ ছিল যে তারা তাদের বাদশাহ দীরিয়ে গূরে ও আমীর মোহম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের জন্য শাসন করবার ব্যবস্থা করে দিত। দরবেশরা বিশ বছর লড়াই করেছিল ইতালীয়, বিলাতী ও হাবশীদের বিরুদ্ধে কিন্তু ১৯২০ সালে তারা পরাজিত হলেন। তারপর ইতালী সোমালিয়ার উত্তরপূর্ব, মধ্যম ও দক্ষিণ অঞ্চলগুলোর পরিপূর্ণ ক্ষমতা পেলো।
সোমালিয়ায় জলদস্যুতা
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।[6] ২০০৫ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, জলদস্যুতা ঘটনা বৃদ্ধির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।[7][8] ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জরীপ অনুসারে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় $৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।[9] জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জরীপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে।[10]
গবল (বিভাগ)
সোমালিয়া ১৮ গবল (বিভাগ) নিয়ে বিভক্ত
- বানাদির
- গালগুদূদ
- হিরান
- কেন্দ্রীয় শাবেল্লে
- দক্ষিণ শাবেল্লে
- বারি
- মুদুগ
- নুগাল
- ঔদাল
- সানাগ
- সোল
- তগধের
- ওক্বয়ি গালবেদ
- বাকোল
- বায়
- গেদ
- কেন্দ্রীয় জুবা
- দক্ষিণ জুবা
তথ্যসূত্র
- Central Intelligence Agency (২০১১)। "Somalia"। The World Factbook। Langley, Virginia: Central Intelligence Agency। ২০১৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০৫।
- Paul Dickson, Labels for locals: what to call people from Abilene to Zimbabwe, (Merriam-Webster: 1997), p. 175.
- "Coastline"। The World Factbook। Central Intelligence Agency। ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৩।
- "Somalia – Climate"। countrystudies.us। ১৪ মে ২০০৯।
- "Piracy in Somali Waters: Rising attacks impede delivery of humanitarian assistance"। UN Chronicle। United Nations Department of Public Information, Outreach, Division। Authors list-এ
|প্রথমাংশ1=
এর|শেষাংশ1=
নেই (সাহায্য) - "Piracy: orchestrating the response"। International Maritime Organization। ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৪।
- "Hijackings cut aid access to south Somalia, lives at risk"। World Food Programme। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৪।
- Venetia Archer, Robert Young Pelton। "Can We Ever Assess the True Cost of Piracy?"। Somalia Report। ২ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১২।
- "The Advantage of Piracy"। German-foreign-policy.com। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১১।
বহিঃসংযোগ
- সরকারি
- Official Website of the Transitional Federal Government of Somalia
- রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদসবৃন্দ
- সাধারণ তথ্য
- সিআইএ প্রণীত দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এ Somalia-এর ভুক্তি
- Somalia from UCB Libraries GovPubs
- কার্লিতে সোমালিয়া (ইংরেজি)
- উইকিমিডিয়া অ্যাটলাসে Somalia
- মিডিয়া
- Somalia news headlines from allAfrica.com
- IRIN Somalia humanitarian news and analysis
- অন্যান্য