সোনিয়া নিশাত আমিন
সোনিয়া নিশাত আমিন (সোনিয়া আমিন নামেও পরিচিত) একজন বাংলাদেশি ইতিহাসবিদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক।[1] উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর সামাজিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত সোনিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১১ সালে তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানিত ফেলোশিপ প্রদান করে এবং ২০১৫ সালে গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৪২২) লাভ করেন।[2]
সোনিয়া নিশাত আমিন | |
---|---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পরিচিতির কারণ | গবেষক ও প্রাবন্ধিক |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি ফেলো (২০১১) অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৪২২) |
কর্মজীবন
সোনিয়া ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[3] তিনি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে যুক্তরাষ্ট থেকে সমাজ বিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব মুসলিম উইমেন ইন কলোনিয়াল বেঙ্গলঃ ১৮৭৬-১৯৩৯’ বিষয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডি অর্জন করেন।[3] এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।[4]
সোনিয়া ঊনিশ এবং বিশশতকের বাংলার সামাজিক ইতিহাস নিয়ে কয়েক দশক থেকে গবেষণা করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৩০টির বেশি প্রবন্ধ রচনা করেন।[2] তিনি অক্সফোর্ড ডিকশোনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি এবং ওয়ার্ল্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব উইমেনস হিস্টোরিতে বেগম রোকেয়ার জীবনী লিখেছেন। বাঙালি নারীদের বিশেষ অবদান বিষয়েও তিনি গবেষণা করেন।[3]
তথ্যসূত্র
- "অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোনিয়া নিশাত আমিন"। দৈনিক জনকণ্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "'অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোনিয়া নিশাত আমিন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৮ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "বোর্ড অব ট্রাস্টিজ"। জাতীয় জাদুঘর। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।