সোনালু
সোনালু (বৈজ্ঞানিক নামshower[2], purging cassia[3][4],[5] ।
সোনালু | |
---|---|
Golden shower tree in bloom | |
মূল্যায়িত নয় (আইইউসিএন ৩.১) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গণ: | Cassia |
প্রজাতি: | C. fistula |
দ্বিপদী নাম | |
Cassia fistula L. | |
প্রতিশব্দ[1] | |
|
বর্ণনা
সোনালু বা বাঁদরলাঠি গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০মিটার উঁচু হয়ে থাকে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি সোনালু গাছ উৎপাদনের জন্য উপযোগী স্থান। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে গিয়ে গাছ থাকে পত্র শুন্য এবং বসন্তের শেষে ফুল কলি ধরার পূর্বে গাছে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মে গাছের শাখা-প্রশাখা জুড়ে ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে সোনালী হলুদ রঙের ফুল ফুটে এবং এর ব্যাপ্তি থাকে গ্রীষ্ম কাল পুরো সময় জুড়ে। ফুলের পাঁপড়ি পাঁচটি, মাঝে পরাগ দ- অবস্থিত। পাতা হাল্কা সবুজাভ, মধ্য শিরা স্পষ্ট। গাছের শাখা-প্রশাখা কম,কা- সোজা ভাবে উপরের দিকে বাড়তে থাকে, বাকল সবুজাব থেকে ধূসর রঙের, কাঠ মাঝারি শক্ত মানের হয়। ফুল থেকে গাছে ফল হয়, ফলের আকার দেখতে সজিনা সবজির আকৃতির, তবে সজিনার গায়ের চামড়াতে ঢেওতোলা সোনালু ফলে তা নেই চামড়া মসৃণ। ফল লম্বায় প্রায় এক ফুট, রঙ প্রথমে সবুজ ও ফল পরিপক্ব হলে কালচে খয়েরি রঙ ধারণ করে। ফলে বীজ হয়,ফলের বীজ হতে বংশ বিস্তার ঘটে। কোন কোন অঞ্চলে সোনালু এর ফলকে বানর লাঠি হিসেবে চিনে বলে সোনালু গাছকেও তারা বানর লাঠি গাছ বলে ডাকতে শুনা যায়।[6]
উৎপত্তি
এ ফুলের আদিনিবাস হিমালয় অঞ্চল ধরা হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মায়ানমার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে এর বিস্তৃতি। অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুন্সল্যান্ডের উষ্ণ অঞ্চলে এদের প্রচুর দেখা মেলে।
ব্যবহার
প্রকৃতিকে নয়নাভিরাম রূপে সাজাতে এবং প্রকৃতি পরিবেশের শোভা বর্ধনে সোনালু গাছ সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয়। অস্ট্রেলিয়ায় অনেক সড়কের দুই পাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সারিবদ্ধ ভাবে একই ধরনের গাছ লাগানো হয়। [7] সোনালু বা বাঁদরলাঠি গাছ এদের অন্যতম। [8]। গ্রীষ্মকালে যখন সব গাছে একসাথে সোনালী ফুল ফোটে, তখন মনে হয় সোনালী আলোকচ্ছটায় চারপাশ আলোকিত হয়ে গেছে। ভারতের এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এবং সড়ক-মহাসড়ক বিভিন্ন প্রতিষ্টনে বন জঙ্গলে গ্রামীণ রাস্তার ধারে ছোট বড় সোনালু গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
ঔষধি গুণাগুণ
সোনালু গাছের বাকল এবং পাতায় ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। এ গাছের বাকল এবং পাতার antibacterial, antioxidant, hepatoprotective, hypoglycemic, hepatoprotective গুণাগুণ রয়েছে।[9] এটি ডায়রিয়ায় ও বহুমূত্র ব্যবহৃত হয়। [10][11]
চিত্রশালা
তথ্যসূত্র
- "The Plant List: A Working List of All Plant Species"। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৯, ২০১৪।
- "Cassia fistula" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনসারভেশন সার্ভিস প্ল্যান্টস ডেটাবেস। ইউএসডিএ।
- "BSBI List 2007"। Botanical Society of Britain and Ireland। ২০১৫-০১-২৫ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-১৭।
- "Cassia fistula"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২, ২০১৯।
- U. S. Department of Agriculture, William Saunders; Catalogue of Economic Plants in the Collection of the U. S. Department of Agriculture; Washington D. C.; June 5, 1891
- Uddin NS. Traditional Uses of Ethnomedicinal Plants of the Chittagong Hill Tracts. Bangladesh National Herbarium, Dhaka; 2006.
- https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE
- Pollock M. Vegetable and fruit gardening in Australia. 2012. Royal Horticulture Society of Australia. Dorling Kindersley Australia Pty Ltd.
- Rizv et al. Bioefficacies of Cassia fistula: An Indian labrum. African Journal of Pharmacy and Pharmacology, 2009. Vol.3(6), pp. 287-292.
- Ghani A. Medicinal plants of Bangladesh with chemical constituents and uses. 2003. Asiatic Society of Bangladesh
- Alam, M. M.; Siddiqui, M. B.; Husain, W. Treatment of diabetes through herbal drugs in rural India. Fitoterapia. 1990 Vol.61 No.3 pp.240-242
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে সোনালু সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন। Database on state of environment, Kerala (2008): Kerala Symbols