সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজ

সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত ক্যাথলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি পবিত্র ক্রুশ সংঘের অযাজকীয় সন্ন্যাসী কর্তৃক পরিচালিত। এটি চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়। একাডেমিক শিক্ষার বাইরে খেলাধুলা ও অন্যান্য সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের জন্য বিদ্যালয়টির পরিচিতি রয়েছে।

সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজ
সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজের লোগো
বিদ্যালয় ভবন
ঠিকানা
Map
বান্ডেল রোড,



স্থানাঙ্ক২২.৩৩৩৩° উত্তর ৯১.৮৩৯০° পূর্ব / 22.3333; 91.8390
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনবেসরকারি বিদ্যালয় মাধ্যমিক
নীতিবাক্য'Come to learn, leave to serve'
ধর্মীয় অন্তর্ভুক্তিখ্রিস্ট ধর্ম
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৫৩ (1853)
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম
বিদ্যালয় জেলাচট্টগ্রাম জেলা
সেশনজানুয়ারি - ডিসেম্বর
বিদ্যালয় কোড৩০৭৯
প্রধান শিক্ষকব্রাদার স্যামুয়েল সবুজ বালা, সিএসসসি
অনুষদ
শ্রেণী১ম-১০ম
শিক্ষার্থী সংখ্যাআনু.৩০০০+
শিক্ষা ব্যবস্থাজাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
ভাষাবাংলা, ইংরেজি
ক্যাম্পাসের ধরনশহুরে
ওয়েবসাইটstplacid.edu.bd

অবস্থান

বিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম জেলার পাথরঘাটা এলাকার মহিম দাস রোডে অবস্থিত।[1]

ইতিহাস

১৮৫৩ সালের অক্টোবর মাসে এঙ্গলো-বেলজিয়ান বেনেডিক্টাইনসরা ষোড়শ শতাব্দীর বেনেডিক্টাইন সন্ত প্ল্যাসিডের নামানুসারে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে খ্রীষ্টান ধর্মপ্রচারক পবিত্র ক্রুশ সংঘ এই স্কুলের পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার কারণে ১৮৭৫ সালে পবিত্র ক্রুশ সংঘ পুনরায় এঙ্গলো-বেলজিয়ান বেনেডিক্টাইনসদের স্কুলের পরিচালনার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়, এবং পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালে পুনরায় স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
১৯২২ সালের ১০ জানুয়ারি বোউলেই স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব পবিত্র ক্রুশ ব্রাদার সংঘের উপর ন্যস্ত করেন। এরপর থেকে আজ অবধি স্কুল পরিচালনার কাজ পবিত্র ক্রুশ ব্রাদাররাই করে আসছেন।
১৯২৮ সালে স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। ১৯৩৬ সালে স্কুলের ৩ তলা মূলভবনের কাজ সমাপ্ত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪২ সালে মিলিটারিরা স্কুল দখল করে নিলে স্কুলটি বরিশালের পাদ্রী শিবপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বরিশালে মাত্র ৮০ জন গরিব ছাত্র নিয়ে স্কুলটি পুনরায় চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে স্কুলটি পুনরায় চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়।
শুরুতে স্কুলটি ইংরেজি মাধ্যমে থাকলেও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্কুলটিতে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাদান শুরু করা হয়।

সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম

বার্ষিক প্রকাশনা

  1. ফরোয়ার্ড
  2. স্কুল গ্রেজুয়েশন

ক্লাবসমূহ

ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য এবং সামাজিক দক্ষতা অর্জনের জন্য স্কুলে অনেকগুলো ক্লাব রয়েছে। মর্ডারেটরদের সক্রিয় তত্ত্বাবধানে এবং ছাত্রদের নিয়মিত অংশগ্রহণের দ্বারা সারাবছর ব্যাপী ক্লাবগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা এবং প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে।

  1. বয়স্কাঊট
  2. বিএনসিসি
  3. রেড ক্রিসেন্ট
  4. স্বেচ্ছাসেবক দল(প্রিফেক্ট অব ডিসিপ্লিনের অন্তর্ভুক্ত)
  5. ইয়াং ক্রিস্টিয়ান স্টূডেন্টস(YCS)
  6. ব্যান্ড দল
  7. বিতর্ক ক্লাব
  8. বাস্তুসংস্থান ক্লাব
  9. গণিত ক্লাব
  10. দাবা ক্লাব
  11. সাংস্কৃতিক ক্লাব
  12. সোনার তরী(আবৃত্তি ক্লাব)
  13. ইকোলোজি ক্লাব
  14. কমার্স ক্লাব

আউটডোর গেমস

  1. বাস্কেটবল
  2. ভলিবল
  3. ফুটবল
  4. ক্রিকেট
  5. ব্যাডমিন্টন

ইনডোর গেমস

  1. টেবিল টেনিস
  2. ক্যারাম বোর্ড
  3. দাবা

বার্ষিক অনুষ্ঠানসমূহ

  1. বিজ্ঞান, ভূগোল ও কৃষিমেলা
  2. বার্ষিক ঈদে-মিলাদুন্নবী
  3. ক্রীড়া দিবস
  4. মিনাবাজার
  5. এসপিএস দিবস
  6. বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী

  • আসিফ ইকবাল - বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "St. Placid's School, Chittagong"www.ctgdiocese.com/। ctgdiocese.com। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৮, ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.