সুব্রত বড়ুয়া
সুব্রত বড়ুয়া (জন্ম: ১লা জানুয়ারি, ১৯৪৬) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক। তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন।[1] ছোটগল্পে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।[2]
সুব্রত বড়ুয়া | |
---|---|
জন্ম | ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১ জানুয়ারি ১৯৪৬
পেশা | লেখক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর (পদার্থবিজ্ঞান) |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ধরন | ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার একুশে পদক |
সক্রিয় বছর | ১৯৬৯-বর্তমান |
জীবনী
বড়ুয়া ১৯৪৬ সালের ১লা জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ছিলোনীয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়।[3] তিনি ১৯৬১ সালে চট্টগ্রামের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন এবং ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক সম্মান অর্জন করেন এবং ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[1]
গ্রন্থ তালিকা
- কবিতা
- হলুদ বিকেলের গান (১৯৮৫)
- উপন্যাস
- গ্রহণের দিন (১৯৮৫)
- ধলপহর (২০০০)
- কিশোর উপন্যাস
- দিনগুলি হায় সোনার খাঁচায় (১৯৮৮)
- ছোটগল্প
- জোনাকি শহর (১৯৭০)
- কাচপোকা (১৯৭৫)
- অনধিকার (১৯৭৭)
- আত্মচরিত ও অন্যান্য গল্প (১৯৮৯)
- ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৯)
- তৃণা (১৯৯৩)
- প্রবন্ধ-গবেষণা
- দস্তয়েভস্কি (১৯৮৫)
- মোহাম্মদ আবদুল জব্বার: জীবন ও কর্ম (১৯৯৫)
- বিজ্ঞানচর্চা: প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গ (১৯৮৭)
- আমাদের এই বাংলাদেশ (১৯৯০)
- বাংলাদেশের ইতিহাস: প্রাচীন থেকে পলাশী (১৯৯৪)
- ইতিহাসের পলাশী (২০০৪); ইতিহাসে ; ইতিহাস বাংলাদেশ (২০০৫)
- জীবনী
- অশোক বড়ুয়া (১৯৯০)
- শহীদুল্লা কায়সার (১৯৮৮)
- বিজ্ঞান
- চাঁদে প্রথম মানুষ (১৯৬৯)
- বিদ্যুতের কাহিনী (১৯৮৪)
- বিজ্ঞানের ইতিকথা: সন্ধানী মানুষ (১৯৮৮)
- সৌরজগৎ (১৯৮৫)
- বিজ্ঞান ও মহাশূন্য (১৯৮৯)
- পরমাণু শক্তি (১৯৮৯)
- শিশু-কিশোর বিজ্ঞান সমগ্র (২০০১)
- গ্রিনিচ মানমন্দির (২০০২)
- অনুবাদ
- দি রাইট স্টাফ; কণা, কোয়ান্টাম ও তরঙ্গ (১৯৮৪)
- আমেরিকার ভৌগোলিক রূপরেখা (১৯৮৬)
- শঙ্খচিল (১৯৯৪)
- এমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৭২)
- নিশ্চয়তার সমীরণ (২০০৪)
- সরল পথে চলা (২০০৫)
- গণিতের রাজ্যে এলিস (২০০৫)
- সম্পাদনা
- অমর একুশে বক্তৃতা (যৌথ, ১৯৮৪)
- বাংলা একাডেমী ৪০ বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ (যৌথ, ১৯৯৬)
- ছোটদের অভিধান ( যৌথ, ১৯৮৩)
- ভাষা সম্পাদক: বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ (৩য় খ- ২০০১ ও ৪র্থ খ- ২০০২)
পুরস্কার ও সম্মাননা
- অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৩৮৮, ১৩৯১, ১৩৯৪)
- ছোটগল্পে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩)
- চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ স্বর্ণ পদক (১৯৯৭)
- ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক (২০১৮)[4]
তথ্যসূত্র
- "সুব্রত বড়ুয়া"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "একুশে পদক পাচ্ছেন একুশ গুণী"। দৈনিক প্রথম আলো। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "সুব্রত বড়ুয়া"। কথা প্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।