সুপ্রভা দেবী
সুপ্রভা দেবী (অসমীয়া: সুপ্ৰভা দেৱী; ইংরেজি: Suprabha Devi) অসমীয়া চলচ্চিত্র প্রযোজিকা এবং অসমের প্রথম মহিলা পরিচালিকা[1]। ১৯৮৪ সালে তিনি নয়নমণি ও ১৯৮৬ সালে সরবজান পরিচালনা করেছেন[1]। ১৯৮৫ তিনি শিল্পী পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
সুপ্রভা দেবী | |
---|---|
জন্ম | ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৩৮ সন |
মৃত্যু | ১৪ জুন, ২০১১ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | চলচ্চিত্ৰ পরিচালিকা, প্ৰযোজিকা, গীতিকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ |
জন্ম
১৯৩৮ সালের ২৪শে ডিসেম্বর তারিখে অসমের তৈলক্ষেত্র ডিগবয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম যোগেন্দ্র কুমার রাজখোয়া ও মাতার নাম স্বর্ণপ্রভা রাজখোয়া[2]। অধ্যয়ণকাল থেকেই তিনি সঙ্গীত ও ক্রিড়ায় পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছিলেন।
কর্মজীবন
দ্বিজেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই তিনি অসমীয়া চলচ্চিত্র জগতে জড়িত হন। তিনি অসমের প্রথম মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালিকা। ১৯৭০ সালে যোগ-বিয়োগ, ১৯৭২ সালে তরামাই, ১৯৭৬ সালে মরমী, ১৯৭৯ সালে রাংঢালী চলচ্চিত্র নিজ স্বামীর সাথে পরিচালনা করেছিলেন কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর ১৯৮৪ সালে তিনি স্বয়ং নয়নমণি পরিচালনা করেছিলেন[3]।এই চলচ্চিত্রে নিপন গোস্বামী ও বিদ্যা রাও অভিনয় করেছিল এবং জিতু-তপন সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে অসম সরকার তাঁকে শিল্পী পুরস্কার দ্বারা সম্মানীত করেছিল[2] । ১৯৮৬ সালে তিনি রসরাজ লক্ষ্মীরাজ বেজবরুয়ার রচিত সরবজান কাহিনী অবলম্বনে সরবজান নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে তেজপুরের হীরেন চৌধুরী তাঁর সাথে পরিচালক রূপে কাজ করেছিলেন[1]। অন্যদিকে তিনি একজন গীতিকার রূপে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি বহুসংখ্যক তথ্যচিত্র ও ধারাবাহিক পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন যা গুয়াহাটি দূরদর্শন কেন্দ্রে সম্প্রচারিত হয়েছে। ২০০৩ সালে তিনি জিলিকাব লুইতর পার নামক ধারাবাহিক পরিচালনা করেছিলেন[4] ।
মৃত্যু
সুদীর্ঘ ৫ বৎসর বৃক্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সনের ১৪ই জুন গুয়াহাটির ইন্টারন্যাশন্যাল হস্পিতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৭৩ বৎসর।
তথ্যসূত্র
- "Suprabha Devi passes away at 73"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিচেম্বৰ, ২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "দ্য চানডে ইণ্ডিয়ান"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিচেম্বৰ, ২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Eminent film director Suprabha Devi passes away"। The Sentinel। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিচেম্বৰ, ২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "আমাৰ অসম"। জি এল পাব্লিকেশ্যন। ১৫ জুন, ২০১১। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিচেম্বৰ, ২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)