সুন্দরগঞ্জ উপজেলা

সুন্দরগঞ্জ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

সুন্দরগঞ্জ
উপজেলা
সুন্দরগঞ্জ
সুন্দরগঞ্জ
বাংলাদেশে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৩′৪০″ উত্তর ৮৯°৩১′৫″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাগাইবান্ধা জেলা
সরকার
আয়তন
  মোট৪২৬.৫২ বর্গকিমি (১৬৪.৬৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (১৯৯১)
  মোট৪,৬১,৯২০
  জনঘনত্ব১,১০০/বর্গকিমি (২,৮০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৭২০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৩২ ৯১
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ৪.২৬.৫২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই উপজেলার উত্তরে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা সদর উপজেলাসাদুল্লাপুর উপজেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলাচর রাজিবপুর উপজেলা, পশ্চিমে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা, মিঠাপুকুর উপজেলাসাদুল্লাপুর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

সুন্দরগঞ্জ থানা ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এটি ১টি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১০টি মৌজা এবং ১৮৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ শহর এলাকা দুটি মৌজা নিয়ে গঠিত। শহরটি ২০০৩ সালে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। শহরের আয়তন ৫ বর্গকি.মি.।

ইউনিয়নসমূহ : বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন, সোনারায় ইউনিয়ন, তারাপুর ইউনিয়ন, বেলকা ইউনিয়ন, দহবন্দ ইউনিয়ন, সর্বানন্দ ইউনিয়ন, রামজীবন ইউনিয়ন, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন, ছাপরহাটী ইউনিয়ন, শান্তিরাম ইউনিয়ন, কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়ন, শ্রীপুর ইউনিয়ন, চন্ডিপুর ইউনিয়ন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন, হরিপুর ইউনিয়ন

ইতিহাস

সুন্দরগঞ্জ'র নাম করণের সঠিক কোন তথ্য না থাকলেও বিভিন্ন জনশ্রুতি বা কিংবদিন্তর মাধ্যমে "সুন্দরগঞ্জ" নামটা পাওয়া যায়। এই জনপদের উপর দিয়ে তিস্তা, ব্রক্ষপুত্র নদ ও ঘাঘট নদী প্রবাহিত। কথিত আছে, নদীর পার্শ্বে একটি গঞ্জ বা বাজার অবস্থান করতো। এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এই গঞ্জর নাম ডাক ছিল। গঞ্জের লোকজনের আচার-আচারণ, স্বভাব-চরিত্র এবং চেহারা সুন্দর থাকায় এ জনপদের নাম হয় সুন্দরগঞ্জ। আরেকটি কিংবদিন্ততে বলা হয়েছে, তাজ হাটের রাজা গোপাল রায় বাহাদুরের পুত্র ছিল সুন্দর লাল বাহাদুর। তিনি খাজনা আদায়ের জন্য অত্র এলাকায় আসতেন ও মেলার প্রচলন করেন। রাজার পুত্রের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয় সুন্দরগঞ্জ। আবার, অনেকের মতে, ষাটের দশকের প্রথম দিকে এ এলাকায় ১৩টি ইন্দিরা ছিল এবং এখানকার পাড়ায় সুন্দর সুন্দর মহিলা থাকত। তারা এই ইন্দিরাগুলোতে গোসল করত। এছাড়া প্রতি বছর মহররম মাস উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনের সমারোহ ঘটত। উক্ত লোক সমাগম বা লোকের সমারোহকে গঞ্জ এবং সুন্দরী মহিলাদের বাস এর সমন্বয়ে এ উপজেলার নাম করন হয়েছে সুন্দরগঞ্জ।

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা ৪,৬১,৯২০; পুরুষ ২,২৬,১১৮ (৪৮.৯৫%), মহিলা ২,৩৫,৮০২ (৫১.০৪%), মুসলিম ৮৯.৯৯%, হিন্দু ৯.৩০% এবং অন্যদের ০.৭১%।

শিক্ষা

সাক্ষরতার হার ৭৮.১৩% (২০১১ সালের শুমারী)। পুরুষ ৮২.৬৩% এবং মহিলা ৭৩.৬৩%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • কলেজ : ১৭টি,

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজ

  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়:২৫৯টি।

অর্থনীতি

প্রধান পেশাসমূহঃ কৃষি ৪৮.৫৭%, কৃষি শ্রমিক ২৯.৬৪%, দিনমজুরি শ্রমিক ২.০৬%, বাণিজ্য ৬.৬৩.%, সেবা ২.৫৯%, মৎস্য ১.২৫%, অন্যান্য ৯.২৬%।

দর্শনীয় স্থান

  1. বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
  2. বেক্সিমকো সোলার পাওয়ার প্লান্ট, তারাপুর
  3. আলীবাবা থিমপার্ক,তারাপুর
  4. সরোবর পার্ক এন্ড রিসোর্ট,সোনারায়

স্বাস্থ্য কাঠামো

  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১,
  • ইউনিয়ন সাব সেন্টার ৩, ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার ৪, কমুউনিটি ক্লিনিক ৫৫

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

  1. হাফিজুর রহমান প্রামাণিক
  2. ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী,মাননীয় সংসদ সদস্য সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধা১।
  3. মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সাবেক সংসদ সদস্য।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

    http://sundarganj.gaibandha.gov.bd/

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.