সুনম্য কলা

সুনম্য কলা বলতে এমন কিছু শিল্পকলাকে বোঝায় যেখানে কোনও (সাধারণত সহজে নমনীয়) উপাদান পদার্থকে ত্রিমাত্রিক গড়ন প্রদান করা হয়।[1] সবচেয়ে পরিচিত সুনম্য কলাটি হল ভাস্কর্যকলা। ভাস্কর্যশিল্পীরা মর্মর, গ্রানাইট, বেলেপাথর, অস্থি, হস্তিদন্ত, কাঠ, পোড়ামাটি, মোম ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলি কেটে, কুঁদে, চেঁছে বা অন্য কোনও উপায়ে আকৃতি পরিবর্তন করে ভাষ্কর্য নির্মাণ করেন। এছাড়া তারা সমসাময়িককালে কংক্রিট, অ্যালুমিনিয়াম, রবার, পলিয়েস্টার, ইত্যাদি উপাদানও ব্যবহার করে থাকেন। কুমোরের মাটি, চীনামাটি, পাথর, ইত্যাদি ব্যবহার করে সাধিত মৃৎশিল্পও সুনম্য কলা হিসেবে পরিগণিত হয়। এছাড়া কোলাজ, কাগজের শিল্পকলা, ওরিগামি, ধাতুর কাজ, কাচশিল্প, পচ্চিকারি (মোজাইক), কাঠের কাজ, এমনকি সাম্প্রতিককালের বরফ ভাস্কর্য ও বালুশিল্পও সুনম্য কলার মধ্যে পড়ে। তবে গড়ন বা আকৃতি দেওয়া হয়নি, এমন যেকোনও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্মকে সুনম্য কলা বলা যাবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

কানাডার কেবেক প্রদেশের মোঁরেয়াল (মন্ট্রিয়ল) নগরীর গ্রেভাঁ জাদুঘরে মোমের মূর্তিগুলি সুনম্য কলার উদাহরণ

অনেক সময় ব্যাপকতর অর্থে দৃশ্যকলার সমার্থক পরিভাষা হিসেবে সুনম্য কলা কথাটি ব্যবহার করা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে রং চিত্রাংকন, ছাপচিত্র, চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, ইত্যাদি দৃশ্যকলাকে সুনম্য কলা হিসেবে বিবেচনা করা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ কেউ স্থাপত্যকলার মতো ব্যবহারিক কলাকেও সুনম্য কলা হিসেবে গণ্য করতে পারেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Plastic arts"Collinsdictionary.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.