সুজন সখী

সুজন সখী ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার রোমান্টিক চলচ্চিত্রপ্রমোদ কর ছদ্মনামে ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান[1] জনতা চিত্র প্রকল্প প্রযোজিত এই ছায়াছবিটির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন আমজাদ হোসেন এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক খান আতা নিজেই। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে দুই ভাইয়ের আলাদা হয়ে যাওয়া ও তাদের মিলনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। এতে নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক[2]কবরী সারোয়ার[3] এছাড়াও অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন খান আতাউর রহমান, ইনাম আহমেদ, রওশন জামিল, সুমিতা দেবী। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রথম আয়োজনে তিনটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[4] ১০ অক্টোবর, ১৯৭৫ তারিখে ৩৫ মিমি ফরম্যাটের এই সাদাকালো চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[5] ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রকার শাহ আলম কিরণ অকাল প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহশাবনূর জুটিকে নিয়ে সুজন সখি নামে চলচ্চিত্রটির পুনঃনির্মাণ করেন।[6] এই চলচ্চিত্রের একটিমাত্র কপি বর্তমানে বাংলাদেশ ফিল্ম আরকাইভের সংগ্রহে রয়েছে।[5]

সুজন সখী
পরিচালকখান আতাউর রহমান
প্রযোজকইফতেখার উদ্দিন নওশাদ
চিত্রনাট্যকারখান আতাউর রহমান
কাহিনিকারআমজাদ হোসেন
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারখান আতাউর রহমান
সম্পাদকবশীর হোসেন
মুক্তি৬ অক্টোবর, ১৯৭৫
দৈর্ঘ্য১১১ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

কাহিনী সংক্ষেপ

পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আলাদা হয়ে যায় দুই ভাই সুলেমান ও লোকমান। সুলেমান যাওয়ার সময় তার সব সম্পত্তি তার ভাতিজা সুজনকে দিয়ে যায়। সুলেমানের স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা যায়। সুলেমানের মেয়ে সখী তার দাদীর আদরে-যত্নে বড় হতে থাকে। একদিন সুজনের সাথে তার পরিচয় হয়। কিন্তু তারা দুজনের কেউ কারো আসল পরিচয় জানে না। সখী একদিন তার দাদীর সাথে সুজনের পরিচয় করিয়ে দিলে তারা তাদের আসল সম্পর্ক জানতে পারে। এখন তারা কি পারবে দুই ভাইয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে!

শ্রেষ্ঠাংশে

সঙ্গীত

ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন খান আতাউর রহমান। গীত রচনা করেছেন খান আতাউর রহমান ও মমতাজ আলী খান। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আব্দুল আলীম, সাবিনা ইয়াসমিন, নীলুফার ইয়াসমিন, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রথীন্দ্রনাথ রায়, গোলাম আম্বিয়া, ইয়ামিন চৌধুরী, ও মুস্তাফিজুর রহমান।

গানের তালিকা

  1. সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা - আব্দুল আলীমসাবিনা ইয়াসমিন

পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বাচসাস পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "'সুজন সখী' ছবির সেই দু'জন"দৈনিক প্রথম আলো। ৩০ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬
  2. দিদার আশরাফী (১৪ জুন ২০১২)। "সুজন সখী ছবির রঙিলা মাঝির এখন দুঃসময়"দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬
  3. "আবারও সুজন সখী জুটি"দৈনিক সমকাল। ২৮ মার্চ ২০১২। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬
  4. রাশেদ শাওন (অক্টোবর ২৪, ২০১২)। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬
  5. "৩০ বছর পর কবরী-ফারুকের 'সুজন সখি' ছবির প্রিন্ট উদ্ধার"The Daily Star Bangla। ২০১৭-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-৩০
  6. মনিরুল হক ফিরোজ (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "সালমান শাহ এর ক্যারিয়ার প্রোফাইল"। রাইজিংবিডি। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬
  7. শোভন জামালী (৫ মার্চ ২০১৫)। "হাসিমুখের সেই কবরী"দৈনিক যায় যায় দিন। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.