সুইজারল্যান্ড
সুইস বা সুইজারল্যান্ড (জার্মান: die Schweiz ডি শ্বাইৎস, ফরাসি: la Suisse লা স্যুইস্, ইতালীয়: Svizzera স্বিৎস্স্রা, রোমানশ: Svizra স্বিৎস্রা) ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম।
সুইজারল্যান্ড Schweizerische Eidgenossenschaft Confédération suisse Confederazione Svizzera Confederaziun svizra Confoederatio Helvetica | |
---|---|
পতাকা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
| |
জাতীয় সঙ্গীত: Swiss Psalm | |
রাজধানী | বের্ন (যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজধানী) |
বৃহত্তম নগরী | জুরিখ |
সরকারি ভাষা | জার্মান, ফরাসি, ইতালীয়, রোমানশ[2] |
সরকার | গণতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র |
• যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিষদ | M. Leuenberger P. Couchepin S. Schmid M. Calmy-Rey C. Blocher H.-R. Merz D. Leuthard |
স্বাধীনতা | |
• স্থাপন | ১ আগস্ট ১২৯১ |
• বাসেল সন্ধির (১৪৯৯) | ২২ সেপ্টেম্বর ১৪৯৯ |
• স্বীকৃতি | ২৪ অক্টোবর ১৬৪৮ |
• পুনঃস্থাপিত | ৭ আগস্ট ১৮১৫ |
• যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র | ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৪৮ |
• পানি/জল (%) | ৪.২ |
জনসংখ্যা | |
• ২০০৬ আনুমানিক | ৭,৫০৭,০০০ (৯৪) |
• ২০০০ আদমশুমারি | ৭,২৮৮,০১০ |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০০৫ আনুমানিক |
• মোট | $২৬৪.১ বিলিয়ন (৩৯) |
• মাথাপিছু | $৩২,৩০০ (১০) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০০৫ আনুমানিক |
• মোট | $৩৬৭.৫ বিলিয়ন (১৮) |
• মাথাপিছু | $৫০,৫৩২ (৬) |
জিনি (২০০০) | ৩৩.৭ মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০০৬) | ০.৯৪৭ ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ৯ |
মুদ্রা | সুইস ফ্রাংক (CHF) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+1 (CET) |
ইউটিসি+2 (CEST) | |
কলিং কোড | +৪১ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ch |
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জনসংখ্যা ছিল প্রায় পৌণে এক কোটি। এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। আইনত সুইজারল্যান্ডের কোনও রাজধানী না থাকলেও দেশটির কার্যত রাজধানী হচ্ছে বের্ন। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা। জুরিখের দিকের লোকেরা জার্মান এবং জেনিভার দিকের লোকেরা ফরাসি ভাষায় কথা বলে। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে ভূষিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ।Tax Justice Network সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।[3]
সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেট খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অবশ্য সুইস ব্যাংকসমূহ কালো টাকা নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। দেশটির কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি তারিখে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একেক জন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।[4]
ইতিহাস
রাজনীতি
দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি তারিখে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একে জন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
সুইজারল্যান্ডে মোট ২৬টি ক্যান্টন রয়েছে। ঐতিহাসিক কনফেডারেশনের সময় এর প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল যাদের পৃথক সীমানা ও রাষ্ট্রব্যবস্থাও ছিল। বর্তমানে এর সবগুলো সুইজারল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বের্ন। এটি মূলত সরকারি এবং প্রশাসনিক শহর। শহরটি আরে নদীর বাঁক দ্বারা তিন দিকে বেষ্টিত একটি উঁচু শৈলান্তরীপের ওপর অবস্থিত। সুইজারল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী "বার্ন" হলেও সবচেয়ে পরিচিত শহরগুলো হল "জুরিক" এবং "জেনেভা"। [5]
ভূগোল
সুইজারল্যান্ডের আয়তন ৪১ হাজার ২৮৫ বর্গকিলোমিটার। সুইজারল্যান্ডকে জুরা, সুইজারল্যান্ডীয় মালভূমি এবং আল্পস পর্বতমালা এই তিনটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়।[5]
অর্থনীতি
বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক এ এই দেশ শীর্ষ স্থানে রয়েছে।এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। বার্ন শহরটি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা।
জনসংখ্যা
২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ৮৩ লাখ ৭২ হাজারের অধিক মানষ বসবাস করে। সুইজারল্যান্ডের অধিকাংশ অধিবাসী রোমান ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা করেন। এরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। এছাড়া মুসলমান, সনাতন, ইহুদীসহ অন্যরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। [5]
সংস্কৃতি
সুইজারল্যান্ড বহুভাষী রাষ্ট্র এবং এখানে চারটি রাষ্ট্র ভাষা রয়েছে- জার্মান, ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমানীয়। বাকিরা স্পেনীয়, পর্তুগিজ আর তুর্কী ভাষায় কথা বলে।[5]
তথ্যসূত্র
- The motto is traditional; it is not officially defined by the Swiss constitution or Swiss law. See Unus pro omnibus, omnes pro uno for more information.
- Switzerland Constitution ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০০৭ তারিখে, article 70, "Languages": (1) The official languages of the Federation are German, French, Italian and Romansh. (2) The Cantons designate their own official languages. In order to preserve harmony between linguistic communities, they respect the traditional territorial distribution of languages, and take into account the indigenous linguistic minorities.
- "Financial Secrecy Index 2020 reports progress on global transparency – but backsliding from US, Cayman and UK prompts call for sanctions"। Tax Justice Network (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০১।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ আগস্ট ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৭।
- "স্বপ্নের দেশঃ সুইজারল্যান্ড"।
বহিঃসংযোগ
- swissworld.org
- MySwitzerland.com
- সুইজারল্যান্ডের জাতীয় পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট
- সুইজারল্যান্ডের পরিবেশ দপ্তর
- সুইজারল্যান্ডের কৃষি দপ্তর
- সুইজারল্যান্ডের ভৌগোলিক তথ্যকেন্দ্র
- আল্পস পর্বতমালার তলদেশের রেলপথ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে