সিমলা চুক্তি ১৯৭২

চুক্তিকৃত পক্ষসমুহ ও সময়- ভারত ও পাকিস্তান, ১৯৭২

সিমলা চুক্তি
সিমলা চুক্তি ১৯৭২
খসড়া২৮ জুন ১৯৭২ (1972-06-28)
স্বাক্ষর জুলাই ১৯৭২ (1972-07-02)
স্বাক্ষরকারী
অংশগ্রহণকারী

সিমলা চুক্তি সালে ভারতপাকিস্তানের মধ্যে সঙ্ঘটিত যুদ্ধের শেষে সম্পাদিত একটি শান্তিচুক্তি। ১৯৭১ সালের এ যুদ্ধে ছিল তিনটি পক্ষ: ভারত, পাকিস্তানমুক্তিবাহিনী। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির মুখে ডিসেম্বর মাসে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে এবং যুদ্ধবন্দী হিসেবে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে এদের বিচার করতে চেয়েছিল। ভারতের হেফাজত থেকে এদের মুক্তি এবং যুদ্ধবন্দি হিসেবে তাদের বিচার রহিতকরণ ছিল পাকিস্তান সরকারের জন্য একটি জরুরি বিষয়। অপরদিকে একটি শান্তিকামী জাতি হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল ভারতের জন্য খুবই জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সিমলায় এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়ে (২৮ জুন হতে ২ জুলাই ১৯৭২) দীর্ঘ আলোচনার পর একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে ভারত ও পাকিস্তান তাদের সকল বৈরিতার অবসান ঘটানো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে বিরাজমান স্থিতাবস্থা পুনঃস্থাপনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এই চুক্তির অধীনে ভারত সকল যুদ্ধবন্দিকে বিনাবিচারে পাকিস্তানে ফেরত পাঠায়। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আরও একটি ‘সার্বিক সমঝোতা’ করে, যা সন্ধির দলিলে উল্লিখিত হয় নি। এতে ছিল পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান গমণেচ্ছু নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সংলাপ শুরুর ব্যবস্থা।

চুক্তির মধ্যে ছিল, ৭১-এর যুদ্ধের পর কাশ্মীরে দু'দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা উভয়পক্ষ মেনে নেবে৷ বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে দু'দেশের সেনাবাহিনী৷ শেষে এই নিয়ন্ত্রণ রেখাকেই মেনে নেয়া হয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে৷[1]

চুক্তির বিষয়

  1. কাশ্মীর সীমান্তে যাদের সৈনিক যে অবস্থান গ্রহণ করেছে সেই সেই দেশের সীমানা মানা হবে । এই সীমানাকে ভারত পাকিস্তান এল.ও.সি বা লাইন আব কন্ট্রোল মেনে নিল ।
  2. শিমলা চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানি ৯৩ হাজার বন্দী সেনাদের ভারত ছেড়ে দিল , এই শর্তে যে তাদের বিচার পাকিস্তান নিজেই করবে যারা পূর্বপাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে যুদ্ধকালীন অপরাধে জড়িত ছিল ।
  3. পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভারতীয় সৈনিক দ্বারা কজ্বাকৃত সীমানা ভারত ছেড়ে দিল বিনা শর্তে ।
  4. ভবিষ্যতে ভারত পাকিস্তান কোন সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা থেকে দুই দেশই বিরত থাকবে ।
  5. দুই দেশের সেনারা কোন ভাবেই এল.ও.সি সীমানা অতিক্রম করবেনা ।
  6. সাধারণ জনগণের আসা যাওয়ার জন্য বর্ডার থাকবে যাতে করে দুই দেশের জনগণের আত্মীয় পরিজনের সাথে মিলিত হতে পারে।[1]

তথ্যসূত্র

2. https://www.dw.com/bn/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0/a-16067489

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.