সিংহলি লিপি

সিংহলি বর্ণমালা (সিংহলি: සිංහල අක්ෂර මාලාව) শ্রীলঙ্কা ও অন্যান্য স্থানের সিংহলি ভাষায় কথা বলে এমন জনগণ সিংহলি ভাষা লিখতে ব্যবহার করে। এছাড়াও পালিসংস্কৃত ভাষা লিখতেও এই বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়।[2] সিংহলি বর্ণমালা হল ব্রাহ্মী লিপির অন্যতম একটি লিপি। এই বর্ণমালা সনাতন ভারতের ব্রাহ্মী লিপি থেকে এসেছে এবং এটি দক্ষিণ ভারতের গ্রন্থ লিপি এবং কদম্ব লিপির সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত।[2][3]

সিংহলি বর্ণমালা
සිංහල අක්ෂර මාලාව
Siṁhala Akṣara Mālāva
লিপির ধরন
সময়কালআনু. ৩০০ – বর্তমান[1]
লেখার দিকবাম-থেকে-ডান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ভাষাসমূহসিংহল, পালি, সংস্কৃত
সম্পর্কিত লিপি
উদ্ভবের পদ্ধতি
Proto-Sinaitic alphabet
ভগিনী পদ্ধতি
তামিল-ব্রাহ্মী
আইএসও ১৫৯২৪
আইএসও ১৫৯২৪Sinh, 348 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন, সিংহলি
ইউনিকোড
ইউনিকোড উপনাম
সিংহলি
ইউনিকোড পরিসীমা

সিংহলি ভাষা দুটি বর্ণমালা দিয়ে লেখা যায় অথবা একটি বর্ণমালার মধ্যে অন্য একটি বর্ণমালা দিয়েও লেখা যায়। কারণ এই ভাষায় দুই সেট বর্ণমালা রয়েছে। প্রধান সেটের নাম শুদ্ধ সিংহল (pure Sinhalese, ශුද්ධ සිංහල)img) অথবা এলু হোদিয়া (එළු හෝඩිය)। img) এই বর্ণমালা দিয়ে স্থানীয় সমস্ত ধ্বনি উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু সংস্কৃত ও পালি ভাষার অনেক শব্দ লেখা যায় না। এই কারণে নতুন একটি বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে যার নাম মিশ্র সিংহল (mixed Sinhalese, මිශ්‍ර සිංහලimg)। [4]

বৈশিষ্ট্য

k বর্ণের সাধারণ অবস্থা হলো ක "ka"। "ki" এর জন্য ইসপিলা নামক ছোট খিলানাকৃতির বাঁক যুক্ত করা হয় ක: කි। ফলে সহজাত /a/ by /i/ বর্ণটি প্রতিস্থাপিত হয়। তবে কোন স্বরনর্ণ ছাড়াও ব্যাঞ্জণ প্রকাশ করা যায়। এইরকম মুক্ত ব্যাঞ্জণ লিখতে একটি বিশেষ চিহ্ন hal kirīma যুক্ত করা হয়: ක්। এই চিহ্ন সহজাত স্বরবর্ণকে প্রতিস্থাপিত করে

সিংহলী ভাষা বাম থেকে ডান দিকে লেখা হয়। সিংহলী লিপি হলো একটি আবুগিডা লিপি। এর প্রতিটি ব্যাঞ্জণবর্ণের সাথে একটি সহজাত স্বরবর্ণ যুক্ত হিসেবে থাকে। এই স্বরবর্ণটি অন্য স্বরবর্ণ বা চিহ্নের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়। (পাশের চিত্রে উদাহরণ দ্রষ্টব্য)

সিংহলী ভাষার অধিকাংশ বর্ণে বাঁক থাকে, সোজা রেখা প্রায় অনুপস্থিত। এর কারণ হলো এই ভূখন্ডের মানুষেরা শুকনো পাম পাতায় লিখতো। এই পাতায় সোজা রেখা টানার চেয়ে বাঁকা রেখা অঙ্কন করা অধিক সহজসাধ্য ছিলো তাদের জন্য। সোজা রেখা টানার সময় পাতার শিরার সাথে লেগে বেঁকে যেতো। এই অনাকাঙ্খিত সমস্যার কারণে বাঁকানো আকৃতির লিপি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো।

এই ভাষার প্রধান বর্ণগুলো নিয়ে শুদ্ধ সিমহালা বর্ণমালা গঠিত। এটি মিশ্র বর্ণমালার একটি উপসেট বর্ণমালা। ‘বিশুদ্ধ’ বর্ণমালা এলু (সনাতন সিংহলী) লেখা ও সনাতন ব্যাকরণ সিদাতসাঙ্গারার মাধ্যমে বর্ণনা করার সমস্ত বর্ণ ধারণ করে। [5] এই কারণে একে এলু হোদিয়া বলা হয়ে থাকে।

এভাবে দুইটি পৃথক বর্ণমালা ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্পষ্ট ব্যতিক্রম ব্যতীত , আজকের সিংহলী ভাষার কথাসাহিত্য লিখতে ও ধ্বনীর লিখিত রূপ প্রকাশ করতে শুদ্ধ সিমহালা বর্ণমালা যথেষ্ট। [5] স্থানীয় লোকদের মুখের ভাষাকে লিখে প্রকাশ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। তবে সংস্কৃত ও পালি ভাষা লেখার জন্য তাদের মিশ্র বর্ণমালার কাছে ফিরে যেতে হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো মিডল-ইন্ডিক ভাষা পরিবারের কিছু নকশাকে লিখিত ভাবে উপস্থাপন করা, যা ঐতিহাসিক ভাবেই সিংহলী ভাষা ত্যাগ করেছে, যেমনঃ উষ্মা ধ্বনী। [5]

উনিশ শতাব্দী শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সিংহলী ভাষায় সংখ্যাবাচক শব্দ প্রকাশ করার জন্য আলাদা বর্ণ ব্যবস্থা ছিলো। বর্তমানে এটি আরবি সংখ্যা ব্যবস্থার প্রতিস্থাপিত হয়েছে। [6][7]

সিংহলী সংখ্যা এবং ইউ +0 ডিএফ 4 ෴ এর কোনটিই নয়, বরং সিংহলীজ কুন্দদালিয়া যতিচিহ্নে ব্যবহার করা হয়। কুন্দদালিয়া পূর্বে পূর্ণ চ্ছেদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। [8]

ইতিহাস ও ব্যবহার

সিংহলী লিপি ব্রাহ্মী লিপি থেকে এসেছে, যা উত্তর ভারত থেকে আমদানী করা হয়েছিলো প্রায় তৃতীয় শতাব্দীর (বিসিই) দিকে। [9] কিন্তু উক্ত লিপি দক্ষিণ ভারতীয় লিপি দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে, বিশেষতঃ গ্রন্থ লিপি দ্বারা। [10]

৬ষ্ঠ শতাব্দী (বিসিই) হতে প্রাপ্ত অনুরাধাপুরের মৃৎপাত্রের খোদাই করা লিপি প্রাকৃত ভাষায় লেখা। [10]

৯ম শতাব্দীর (সিই) মধ্যে সিংহলীজ ভাষায় লিখিত সাহিত্যে সিংহলী লিপি বিকশিত হয়েছিলো এবং তা বিভিন্ন প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হচ্ছিলো। যেমনঃ থেরাভেদা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় সাহিত্য এই বর্ণমালা দিয়ে পালি ভাষায় লেখা হয়েছিলো।

আজকের যুগে প্রায় ১৬,০০০,০০০ জন মানুষ সিংহলি ভাষায় বিভিন্ন কিছু লিখতে, যেমনঃ পত্রিকা, টিভি বিজ্ঞাপন, সরকারি আদেশনামা, বই ইত্যাদিতে সিংহলী বর্ণমালা ব্যবহার করে থাকে। সিংহলী ভাষাই মূলত এই বর্ণমালা দিয়ে লেখা প্রধান ভাষা। তবে সীমিত আকারে শ্রীলঙ্কার মালয় ভাষা এই লিপিতে লেখা হয়।

পরিভাষা এবং শব্দবিদ্যার মধ্যে সম্পর্ক

সিংহলী ভাষার প্রায় সকল ধ্বনি শুদ্ধ বা মিশ্র সিমহালা লিপি দিয়ে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এদের যেকোন একটিকে সঠিক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।[11]

যখন কোন একটি উচ্চারণকে একাধিক উপায়ে লিখে প্রকাশ করার বিকল্প থাকবে, তখন প্রত্যেক লিখিত রূপকে শুধুমাত্র একটি উপাইয়েই উচ্চারণ করতে হবে। অর্থাৎ কোন শব্দের প্রকৃত উচ্চারণ পরিভাষাগত অবস্থা থেকে সুস্পষ্ট হবে।

শুদ্ধ সিমহালার প্রতীক

শুদ্ধ সিমহালা প্রতীক হলো সিংহলী বর্ণমালার প্রধান প্রতীক, যা সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই সকল প্রতীক দ্বারা উক্ত ভাষার শব্দের যেকোন বিন্যাস সঠিকভাবে উপস্থাপন করা যায়। এই বর্ণমালা মূর্ধন্য ব্যাঞ্জনধ্বনী ⟨ḷ⟩ ও ⟨ṇ⟩ এর জন্য প্রতীক গঠন করেছে, তবে আধুনিক ভাষায় এদের অস্তিত্ব নেই। এই দুই বর্ণ এলু উপস্থাপন করার জন্য দরকারি ছিলো। বর্তমানে এটি ধ্বনিতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপ্রচলিত। কিন্তু যেই সমস্ত শব্দ ঐতিহাসিকভাবেই এই অক্ষর ধারণ করেছে, তাদের লেখার জন্য এখনো উক্ত প্রতীক ব্যবহার করা হয়।

ব্যাঞ্জনবর্ণ

শুদ্ধ বর্ণমালা ৮টি প্লোসিভ, ২টি ফ্রিক্টেটিভ, ২টি এফ্রিকেট, ২টি নাসিক্য, ২টি লিকুইড এবং ২টি গ্লাইড নিয়ে গঠিত। এছাড়া মূর্ধন্য ব্যাঞ্জন /ɭ/ ও /ɳ/ এর জন্য দুইটি প্রতীক ব্যবহার করা হয়। যদিও এদের আধুনিক ভাষায় অস্তিত্ব নাই, শুধুমাত্র ঐতিহাসিক ভাবে গৃহীত শব্দে এদের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। ছকে এদের দেখানো হয়েছে।

অঘোষ এফ্রিকেট (ච [t͡ʃa] শুদ্ধ বর্ণমালায় যুক্ত নেই, কারণ এটি সিদাতসাঙ্গারা ব্যাকরণের প্রধান লেখার মধ্যে পড়ে না। তবে এটি ব্যাকরণের উদাহরণে ব্যবহৃত হয়, তাই একে এলু তে স্থান দেওয়া হয়েছে। আধুনিক সিংহলী ভাষা উপস্থাপন করতে এর প্রয়োজন রয়েছে। [5]

এই সমস্ত ব্যাঞ্জনবর্ণ একটি সহজাত স্বরবর্ণ বহন করে, যদি না একে অন্য কোন স্বরবর্ণ দ্বারা প্রতিস্থাপন অথবা হাল কিরিমা দ্বারা মুক্ত করা না হয়।

(Click on [show] on the right if you see only boxes below)

প্লোসিভ
অঘোষ ঘোষ
ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ
ভেলার 0D9Aka[ka] 0D9Cga[ɡa] ভেলার
মূর্ধন্য ব্যাঞ্জন 0DA7ṭa[ʈa] 0DA9ḍa[ɖa] মূর্ধন্য ব্যাঞ্জন
দন্ত্য 0DADta[t̪a] 0DAFda[d̪a] দন্ত্য
ত্তষ্ঠ্য 0DB4pa[pa] 0DB6ba[ba] ত্তষ্ঠ্য
অন্যান্য বর্ণ
ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ
ফ্রিকেটিভ 0DC3sa[sa] 0DC4ha[ha] ফ্রিকেটিভ
এফ্রিকেট (ච)(0DA0)(ca)([t͡ʃa]) 0DA2ja[d͡ʒa] এফ্রিকেট
নাসিক্য 0DB8ma[ma] 0DB1na[na] নাসিক্য
লিকুইড 0DBDla[la] 0DBBra[ra] লিকুইড
গ্লাইড 0DC0va[ʋa] 0DBAya[ja] গ্লাইড
মূর্ধন্য ব্যাঞ্জন 0DABṇa[ɳa] 0DC5ḷa[ɭa] মূর্ধন্য ব্যাঞ্জন
Display this table as an image

স্বরবর্ণ

uū এর যুক্ত হওয়া, এদের আকৃতি সংশ্লিষ্ট ব্যাঞ্জনের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়

স্বরবর্ণ দুইটি আকৃতিতে এসেছে, একটি স্বাধীন আকৃতি এবং অন্যটি যুক্তকালীন আকৃতি। যখন কোন স্বরবর্ণ অন্য কোন ব্যাঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত অবস্থায় না থাকে, তখন এর স্বাধীন আকৃতি ব্যবহার করা হয়, যেমনঃ কোন বর্ণের শুরুতে এরকম আকৃতি দেখা যায়। স্বরবর্ণের ওপর ভিত্তি করে যুক্তাবস্থায় এর আকৃতি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। ⟨i⟩ এর জন্য ব্যাঞ্জনবর্ণের উপরে, ⟨u⟩ এর জন্য বর্ণের নিচে, ⟨ā⟩ এর জন্য বর্ণের সাথে, ⟨e⟩ এর জন্য বর্ণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট আকৃতি যুক্ত হয়। ⟨e⟩ এর পূর্বে ও ⟨ā⟩ এর পরে, এই দুয়ের বিন্যাসের সাথে ⟨o⟩ এর জন্য আকৃতি চিহ্নিত হয়।

যখন <a,e,i,o> নিয়মিত হয়, তখন ⟨u⟩ এর জন্য যুক্ত ব্যাঞ্জনবর্ণ অনুসারে ভিন্ন আকৃতি ব্যবহার করতে হয়। ব্যাঞ্জনবর্ণ ප (p এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রতীক পাশের চিত্রে দেখানো হয়েছে। কখনো k এর মত আকৃতি ব্যবহার করা হয় বর্ণের নিচে ডান দিকের একদম শেষ প্রান্তে, যেমনঃ (ක (k),ග (g), ත(t), তবে න(n) or හ(h)) এর জন্য না।⟨u⟩ এর সাথে ර(r) অথবা ළ(ḷ) বিন্যাসের ফলে স্বকীয় আকৃতি ব্যবহার করা হয়।[12]

(Click on [show] on the right if you only see boxes below)

Vowels
short long
মুক্ত যুক্ত মুক্ত যুক্ত
0D85a[a] inherenta[a, ə] 0D86ā[aː] 0DCFā[aː]
0D87æ/ä[æ] 0DD0æ[æ] 0D88ǣ[æː] 0DD1ǣ[æː]
0D89i[i] 0DD2i[i] 0D8Aī[iː] 0DD3ī[iː]
0D8Bu[u] 0DD4u[u] 0D8Cū[uː] 0DD6ū[uː]
0D91e[e] 0DD9e[e] 0D92ē[eː] 0DDAē[eː]
0D94o[o] 0DDCo[o] 0D95ō[oː] 0DDDō[oː]
Display this table as an image

সিংহলী ভাষায় স্বরবর্ণের যুক্ত হওয়াকে পিলি বা පිලි বলে। দিগা ( දිග) অর্থ দীর্ঘ, কারণ এতে স্বরবর্ণের উচ্চারণ দীর্ঘ হয়। ডেকা (දෙක) অর্থ দুই, কারণ লেখার সময় এতে দ্বিত্বতা তৈরী হয়।

ব্যাঞ্জন 'k' + 'স্বরবর্ণ'
පිල්ල পিল্লানামলিপ্যন্তর গঠন জটিল আইএসও ১৫৯১৯ আইপিএ
හල් කිරිමhal kirīma ක් ක් k [k]
সহজাত /a/ (পিল্লা ছাড়া) ක් + අ ka [kʌ]
ඇලපිල්ලælapilla ක් + ආ කා [kɑː]
ඇදයædaya ක් + ඇ කැ [kæ]
දිග ඇදයdiga ædaya ක් + ඈ කෑ [kæː]
ඉස්පිල්ලispilla ක් + ඉ කි ki [ki]
දිග ඉස්පිල්ලdiga ispilla ක් + ඊ කී [kiː]
පාපිල්ලpāpilla ක් + උ කු ku [ku], [kɯ]
දිග පාපිල්ලdiga pāpilla ක් + ඌ කූ [kuː]
ගැටය සහිත ඇලපිල්ලgæṭa sahita ælapilla ක් + ර් + උ කෘ kru [kru]
ගැටය සහිත ඇලපිලි දෙකgæṭa sahita ælapili deka ක් + ර් + ඌ කෲ krū [kruː]
ගයනුකිත්තgayanukitta Used in conjunction with kombuva for consonants.
දිග ගයනුකිත්තdiga gayanukitta Not in contemporary use
කොම්බුවkombuva ක් + එ කෙ ke [ke]
කොම්බුව සහ හල්කිරීමkombuva saha halkirīma ක් + ඒ කේ [keː]
කොම්බු දෙකkombu deka ක් + ඓ කෛ kai [kʌj]
කොම්බුව සහ ඇලපිල්ලkombuva saha ælapilla ක් + ඔ කො ko [ko]
කොම්බුව සහ හල්ඇලපිල්ලkombuva saha halælapilla ක් + ඕ කෝ [koː]
කොම්බුව සහ ගයනුකිත්තkombuva saha gayanukitta ක් + ඖ කෞ kau [kʌʋ]

অনুন্নত ব্যঞ্জনবর্ণ

অনুন্নত ব্যঞ্জনবর্ণ তাদের সাধারণত প্রতিরূপের অনুরূপ। ⟨m⟩ এর বাম অর্ধেক ও ⟨b⟩ এর ডান অর্ধেক দিয়ে ⟨m̆b⟩ গঠন করা হয়। তিনটির ক্ষেত্রেও একই ভাবে আকার নিরূপিত হয়। [13] স্বরবর্ণও একইভাবে যুক্ত করা হয়।

(Click on [show] on the right if you see only boxes below)

অনুন্নত ব্যঞ্জনবর্ণ
নাসিক্যobstruentpreনাসিক্য ized
consonant
ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ
ভেলার 0D9F n̆ga [ⁿɡa] ভেলার
মূর্ধন্য 0DACn̆ḍa[ⁿɖa] মূর্ধন্য
দন্ত্য 0DB3n̆da[ⁿd̪a] দন্ত্য
ত্তষ্ঠ্য 0DB9m̆ba[ᵐba] ত্তষ্ঠ্য
Display this table as an image

অ স্বরধ্বনি-সম্পর্কীয় প্রতীক

হাল কিরিমার দুইটি আকৃতি। বামেরটি p এর জন্য ও ডানেরটি b এর জন্য

আনুসভারাকে ( একে বিন্দুভা ‘জিরো’ বলা হয়) একটি ছোট বৃত্ত ං ( ইউনিকোড 0D82) [14] দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং বিসর্গকে (যা মিশ্র বর্ণমালার অংশও) দুইটি ছোট বৃত্ত ඃ ( ইউনিকোড 0D83) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সহজাত স্বরবর্ণকে হাল কিরিমা যুক্ত করে অপসারণ করা যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঞ্জনবর্ণের উপর ভিত্তি করে এর আকৃতি দুই রকমের হতে পারে। পাশের চিত্রে দুইটিকেই দেখানো হয়েছে। এর প্রথমটি বেশি ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়টি বর্ণের শেষে উপরের বাম কোণায় যুক্ত হয়।

মিশ্র সেট

মিশ্র বর্ণমালা শুদ্ধ বর্ণমালার একটি সুপারসেট। এখানে উষ্ম ধ্বনী, মূর্ধন্য ও শিষ ধ্বনীর জন্য বর্ণ রয়েছে, যদিও আধুনিক সিংহলী ভাষায় উচ্চারিত হয় না। তবে এই সমস্ত বর্ণ দিয়ে অন্য ভাষার শব্দ লেখার জন্য দরকার, যেমনঃ সংস্কৃত থেকে ধার করা নেওয়া শব্দ এবং পালি বা ইংরেজি থেকেও। অতিরিক্ত বর্ণের ব্যবহার আসলে সম্মানের প্রশ্নের সাথে জড়িত। ধ্বনিতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে এসব ব্যবহারে কোন উপকারিতা নেই। এদের পরিবর্তে শুদ্ধ বর্ণমালার বর্ণ ব্যবহার করা যায়। মিশ্র উষ্ম ধ্বনীর জন্য শুদ্ধ প্রতিরূপ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যায়। মিশ্র মূর্ধন্য ও লিকুইড ধ্বনীর জন্য শুদ্ধ করোনাল ধ্বনি ব্যবহার করা যায়। শিষ ধ্বনীর[15] পরিবর্তে শুদ্ধ কোন বর্ণ ব্যবহার করা যায় না।

(Click on [show] on the right if you see only boxes below)

অতিরিক্ত মিশ্র
voiceless voiced
ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ
ভেলার 0D9Bkha[ka] 0D9Dgha[ɡa] ভেলার
মূর্ধন্য 0DA8ṭha[ʈa] 0DAAḍha[ɖa] মূর্ধন্য
দন্ত্য 0DAEtha[t̪a] 0DB0dha[d̪a] দন্ত্য
ত্তষ্ঠ্য 0DB5pha[pa] 0DB7bha[ba] ত্তষ্ঠ্য
অন্যান্য মিশ্র
ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ ইউনিকোডলিপ্যন্তরআইপিএ
শীষ 0DC1śa[sa] 0DC2ṣa[sa] শীষ
ঊষ্মা এফ্রিকেট 0DA1cha[t͡ʃa] 0DA3jha[d͡ʒa] ঊষ্মা এফ্রিকেট
নাসিক্য 0DA4ña[ɲa] 0DA5gna[ɡna] নাসিক্য
অন্যান্য 0D9Eṅa[ŋa] 0DC6fa[fa, ɸa, pa] অন্যান্য
অন্যান্য 0DA6n̆ja[16][nd͡ʒa] fපn/afa[fa, ɸa, pa] অন্যান্য
Display this table as an image

মিশ্র বর্ণমালায় অতিরিক্ত ৬টি যুক্তবর্ন আছে। এর মধ্যে দুইটি সন্ধিস্বরধ্বনি বেশি প্রচলিত। সংস্কৃত থেকে আসা শব্দে এই বর্ণগুলো পাওয়া যায় না বললেই চলে।[17]

মিশ্র ⟨ṛ⟩ কে শুদ্ধ ⟨r⟩+⟨u⟩ বা ⟨u⟩+⟨r⟩ দিয়েও লেখা যায়, যা প্রকৃত উচ্চারণের উপর নির্ভর করে। মিশ্র মাত্রিক ⟨ḷ⟩ অপ্রচলিত। একে শুদ্ধ ⟨l⟩+⟨i⟩ দিয়ে লেখা যায়।[18] মিশ্র ⟨au⟩ ও ⟨ai⟩ কে শুদ্ধ ⟨awu⟩ ও ⟨ayi⟩ দিয়ে লেখা যায়।

(Click on [show] on the right if you see only boxes below)

স্বরবর্ণসম্পর্কিত যুক্ত
মুক্ত যুক্ত মুক্ত যুক্ত
ডিপথং 0D93ai[ai] 0DDBai[ai] 0D96au[au] 0DDEau[au] ডিপথং
সিলেবিক r 0D8D[ur] 0DD8[ru, ur] 0D8E[ruː] 0DF2[ruː, uːr] সিলেবিক r
সিলেবিক l 0D8F[li] 0DDF[li] 0D90[liː] 0DF3[liː] সিলেবিক l
Display this table as an image

বি.দ্র. ළ් ও ෟ এর লিপ্যন্তর ⟨ḷ⟩ । এটা সমস্যাযুক্ত নয়, তবে দ্বিতীয়টি অত্যন্ত অপ্রতুল।

নামকরণ

ইংরেজি বর্ণমালার বর্ণের ক্ষেত্রে তাদের কম-বেশি মুক্ত নাম থাকে। যেমনঃ ⟨m⟩ বর্ণের নাম এম ও ⟨b⟩ বর্ণের নাম বি। সিংহলী ভাষার ক্ষেত্রে বর্ণের নামকরণের সময় তাদের উচ্চারণের সাথে ইয়ান্না (yanna) যুক্ত হয়। এমনকি স্বরবর্ণসম্পর্কিত যুক্ত হলেও। [14][19] අ বর্ণের নাম হবে আয়ান্না, ක এর নাম কায়ান্না, කෙ এর নাম কেয়ান্না ইত্যাদি। হাল কিরিমা যুক্ত বর্ণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আ (a) যুক্ত হয়। যেমনঃ ක් এর নাম আকায়ান্না। নামকরণের আরেকটা নিয়ম হলো দমিত স্বরবর্ণযুক্ত বর্ণের পূর্বে আল (al) যুক্ত করে পড়া। যেমনঃ আলকায়ান্না।

অতিরিক্ত মিশ্র বর্ণকে শুদ্ধ থেকে পৃথক করা যায় না বলে উপর্যুক্ত পদ্ধতিতে নামকরণে অগ্রসর হলে দ্বিধা সৃষ্টি হয়। সাধারণত মিশ্র বর্ণের নামের ক্ষেত্রে দুইটি শুদ্ধ বর্ণের মিলিত উচ্চারণ করতে হয়। প্রথমটি শব্দ নির্দেশ করে ও দ্বিতীয়টি আকৃতি। যেমনঃ উষ্ম বর্ণ ඛ (kh) এর নাম বায়ানু কায়ান্না। কায়ান্না দ্বারা শব্দ বুঝায় ও কায়ানু দ্বারা এর আকৃতি। ඛ (kh) এর আকৃতি බ (b) (bayunu) এর মত। মিশ্র বর্ণে আসার অন্য একটি পদ্ধতি হলো উষ্ম ধ্বনীর ক্ষেত্রে মহাপ্রাণ (ඛ: মহাপ্রাণ কায়ান্না) ও মূর্ধন্য এর ক্ষেত্রে মূর্ধযা (ළ: মূর্ধযা লায়ান্না) ব্যবহার করা।

যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ

[[Image:sinhala-shri.png|thumb|left|Śrī]]

প্রতীকের নির্দিষ্ট সং হতি বিশেষ বন্ধনী তৈরী করে।

তথ্যসূত্র

  1. Daniels (1996), p. 408.
  2. Jayarajan, Paul M. (১৯৭৬-০১-০১)। History of the Evolution of the Sinhala Alphabet (ইংরেজি ভাষায়)। Colombo Apothecaries' Company, Limited।
  3. Gair and Paolillo 1997: 15f.
  4. Gair and Paolillo 1997.
  5. "Online edition of Sunday Observer – Business"Sunday Observer। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  6. "Unicode Mail List Archive: Re: Sinhala numerals"Unicode Consortium। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  7. Roland Russwurm। "Old Sinhala Numbers and Digits"Sinhala Online। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  8. Daniels (1996), p. 379.
  9. Ray, Himanshu Prabha (২০০৩-০৮-১৪)। The Archaeology of Seafaring in Ancient South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 9780521011099।
  10. Matzel (1983) p. 15, 17, 18
  11. Jayawardena-Moser (2004) p. 11
  12. Fairbanks et al. (1968), p. 126
  13. Karunatillake (2004), p. xxxii
  14. Daniels (1996), p. 410.
  15. This letter is not used anywhere, neither in modern nor ancient Sinhala. Its usefulness is unclear, but it forms part of the standard alphabet <http://unicode.org/reports/tr2.html>.
  16. Matzel (1983), p. 8
  17. Matzel (1983), p. 14
  18. Fairbanks et al. (1968), p. 366
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.