সাহিত্যের ইতিহাস

সাহিত্যের ইতিহাস হল পদ্যগদ্য ছন্দে লিখনের ঐতিহাসিক বিবর্তন। ইহা পাঠক, শ্রোতা বা পর্যবেক্ষককে বিনোদন, শিক্ষা ও নির্দেশনা প্রদানের প্রচেষ্টা এবং এই কর্মগুলোর সাহিত্যিক রীতির বিকাশ বিষয়ে আলোকপাত করে। সকল লেখনীই সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে না। কিছু রেকর্ডকৃত নথি, যেমন তথ্যের সংকলন (চেক রেজিস্টার) সাহিত্য নয়। আলোচ্য নিবন্ধে সাহিত্যিক মানসম্পন্ন লেখনীর বিবর্তন তুলে ধরা হবে।

সাহিত্যের সূত্রপাত

সাহিত্য ও লেখনী সম্পর্কিত হলেও একটি অপরটির প্রতিশব্দ নয়। সুমের সভ্যতা সময়কালের প্রাপ্ত প্রথমদিকের লেখনীকে কোনভাবেই সাহিত্য বলে বিবেচনা করা যায় না এবং প্রারম্ভিক মিশরীয় হায়রোগ্লিফিকস বা প্রাচীন চীন সময়কালের সহস্র লগের ক্ষেত্রেও তা সত্য। লিখিত নথি সংকলন অন্যান্য বিশয়সমূহের চেয়ে অধিক সাহিত্য মান সম্পন্ন এ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতোবিরোধ রয়েছে এবং এই সংজ্ঞাটি সম্পূর্ণই বিষয়ভিত্তিক।

প্রারম্ভিক সময়ের কিছু লেখনীকে পৃথক করা হয়েছে, যা সাহিত্যিক মান সম্পন্ন। যেমন, খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে সুমের ভাষায় প্রাপ্ত গিলগামেশের মহাকাব্য এবং আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ অব্দে প্রাপ্ত প্যাপিরাস অব অনিতে লিখিত বুক অব দ্য ডেড, কিন্তু সম্ভবত তা খ্রিস্টপূর্ব ১৮শ শতকে লিখিত। প্রাচীন মিশরীয় সাহিত্য সাহিত্যের ইতিহাসের প্রারম্ভিক অধ্যয়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি, কারণ ১৯শ শতাব্দীর পূর্বে প্রাচীন মিশরীয় লেখনীগুলো ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয় নি।

প্রাচীন যুগ

চীনা

শিজিং হল সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যমান চীনা পদ্য সংকলন। এতে খ্রিস্টপূর্ব ১১শ শতক থেকে ৭ম শতক পর্যন্ত লিখিত বিভিন্ন বেনামী লেখকের ৩০৫টি কাজ পাওয়া গেছে।

হিব্রু সাহিত্য

হিব্রু সাহিত্য বিষয়ক বইগুলো হিব্রু ভাষার বাইবেলের সাথে এক সহস্রাব্দ ধরে বিকশিত হয়েছে। সবচেয়ে প্রাচীন হিব্রু ভাষার লেখনী খ্রিস্টপূর্ব ১১শ বা ১০ম শতাব্দীর বলে ধারণা করা হয় এবং বাকি লেখাগুলো আরও পরবর্তী সময়ের।

গ্রিক সাহিত্য

প্রাচীন গ্রিক সমাজ সাহিত্যে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করে। অনেক লেখক হোমার রচিত ইলিয়াডওডিসি দিয়েই পশ্চিমা সাহিত্যের রীতির সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করেন। এই দুটি মহাকাব্য তাদের যুদ্ধ ও শান্তি, সম্মান ও মর্যাদা, এবং ভালোবাসা ও ঘৃণার দক্ষ ও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। পরবর্তী গ্রিক কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্যাফো, যিনি গীতিকবিতাকে সাহিত্যিক ধরন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

লাতিন সাহিত্য

অনেক ক্ষেত্রে রোমান প্রজাতন্ত্ররোমান সাম্রাজ্যের লেখকগণ নতুন কিছু সৃষ্টির পরিবর্তে মহান গ্রিক লেখকদের অনুকরণ করেছেন। যেমন, ভের্গিল রচিত ইনিদ অনেক দিক থেকে হোমারের ইলিয়াড-এর অনুকরণে রচিত এবং হাস্যরসধর্মী নাট্যকার প্লতাস অ্যারিস্টোফানিসের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন।

ভারত

ভারতে সাহিত্যিক রীতির সূত্রপাত হয়েছে দার্শনিক ও ধর্মীয় তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে এবং দুটি অন্যতম প্রধান রীতি হল শ্রুতিস্মৃতি

আরও দেখুন

    তথ্যসূত্র

      This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.