সামুদ্রিক পাখি

সামুদ্রিক পাখি হল এমন প্রজাতির পাখি যারা প্রধানত সামুদ্রিক পরিবেশেই নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছে। সামুদ্রিক পাখিরা জীবনধারা, আচরণ এবং দেহত্ব এই ক্ষেত্রে মারাত্মক রকমের পরিবর্তন, তারা প্রায়ই আকর্ষণীয় অভিসারী বিবর্তন প্রদর্শন করে।

সুটি টার্ন অত্যন্ত বায়বীয় এবং সামুদ্রিক এবং সমুদ্র উড়ন্ত অবস্থায় মাস ব্যয় করে, স্থলভূমিতে ফেরে শুধুমাত্র প্রজননের জন্য[1]

সাধারণত সামুদ্রিক পাখিদের আয়ু অনেক বেশি হয়, এরা প্রজনন করে অনেক পরে, এবং অন্যান্য পাখিদের থেকে কম বাচ্চাদের ধারণ করে। কিন্তু তারা তাদের বাচ্চাদের পিছনে অনেক সময় ব্যয় করে তাদের সেবা-যত্নে। বেশিরভাগ পাখিরাই পাখি কলোনির মধ্যে বাসা বাঁধে। কলোনিতে পাখিদের সংখ্যা কয়েক ডজন থেকে কয়েক মিলিয়ন ডজনও হতে পারে। বেশিরভাগ পাখিই তাদের লম্বা পরিযানের জন্য বিখ্যাত কিছু পথ বিষুবরেখা অতিক্রম করে অথবা কিছু পথ সারা পৃথিবীর জলপথে প্রদক্ষিণ করে এরা পরিযান করে। সামুদ্রিক পাখি খুবই ভাসমান হয়, অথবা তারা সমুদ্রের থেকে অনেক দূরে বছরের অনেক সময় এরা কাটায়।

সামুদ্রিক পাখি এবং মানব জাতি এদের একইসাথে অনেক ইতিহাস আছে। তারা শিকারিদের খাদ্য সরবরাহ করেছে, জেলেদের তাদের মাছ ধরার ভান্ডারে যাবার পথ দেখিয়েছে, এবং নাবিকদেরকে স্থলভূমিতে পৌঁছানোর পথও দেখিয়েছে। এদের অনেক প্রজাতিই মানুষের দ্বারা বিপন্ন এবং সংরক্ষণের প্রচেস্টার অধীনে আছে এটি।

সামুদ্রিক পাখির শ্রেণীবিভাগ

কোন নির্দিষ্ট প্রজাতি বা পরিবার বা গণের অধীনে এই সামুদ্রিক পাখিরা পরে তা এখন স্পষ্ট নয়। দুজন সামুদ্রিক পাখি বিজ্ঞানীর কথায়: "সব সামুদ্রিক পাখিদের একটা সাধারণ চরিত্র হল তারা নোনা জলের খাদ্য গ্রহণ করে, কিন্তু জীববিদ্যার যেকোনো বিবৃতি দিয়েই এটা সত্য; আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নয়।"[2] লুন এবং ডুবুরি পাখিরা, যারা লেকে বাসা বাঁধে এবং শীতকালে সমুদ্রে আসে তাদেরকে সাধারণত জলের পাখি হিসেবে ধরা হয়, সামুদ্রিক পাখি হিসেবে নয়। এছাড়াও নানা ধরনের সামুদ্রিক হাঁস যারা অ্যানাটিডি পরিবারের অন্তর্গত তারা প্রচলিত ভাবে তারা সামুদ্রিক পাখির গ্রুপ বা পরিবার থেকে আলাদা। অনেক বক পুরোপুরি সামুদ্রিক হলেও তাদেরকে সামুদ্রিক পাখির পরিবারে ধরা হয় না।

বিবর্তন এবং জীবাষ্মের নথি

সামুদ্রিক পাখিরা পুরোপুরি একটি সঞ্চয়জাত পরিবেশে বসবাস করে তারাই প্রধান জীবাশ্ম নথিভুক্ত করতে একটা বড় অংশ গ্রহণ করে।[2] তারা ক্রিটেসিয়াস যুগে প্রথম এসেছিল বলে মনে করা হয়, যা হেস্পারোনিথিস যুগের আগে। এই যুগে তারা লুন ও ডুবুরি পাখিদের মতোন সমুদ্রে ডাইভ দিয়ে শিকার ধরত (তাদের পায়ের মাধ্যমে জলের তলায় গিয়ে)[3] কিন্তু ঠোঁটে ভর্তি ধারালো দাঁত ছিল।[4]

ক্রিটেসিয়াস সামুদ্রিক পাখি হেস্পারোরনিস

তথ্যসূত্র

  1. BirdLife International (BLI) (2008). Sterna fuscata. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 7 August 2009.
  2. Schreiber, Elizabeth A. and Burger, Joanne (2001) Biology of Marine Birds, Boca Raton: CRC Press, আইএসবিএন ০-৮৪৯৩-৯৮৮২-৭
  3. Johansson LC, Lindhe Norberg UM (২০০১)। "Lift-based paddling in diving grebe"J Exp Biol.204 (10): 1687–96। পিএমআইডি 11316488
  4. Gregory, J. (১৯৫২)। "The Jaws of the Cretaceous Toothed Birds, Ichthyornis and Hesperornis" (পিডিএফ)Condor54 (2): 73–88। ডিওআই:10.2307/1364594
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.