সাফির-সিম্পসন স্কেল

সাফির-সিম্পসন হারিকেন উইন্ড স্কেল (SSHWS) (ইংরেজি: Saffir-Simpson Hurricane Wind Scale) হলো ঘূর্ণিঝড়ের বায়ুপ্রবাহ মাপক একটি স্কেল। এটি আগে সাফির-সিম্পসন হারিকেন স্কেল (SSHS) নামে প্রচলিত ছিল। এই স্কেল বায়ুপ্রবাহের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ঘূর্ণিঝড় ও ক্রান্তীয় ঘূর্ণনকে পাঁচটি শ্রেণিবিভাগে বিভক্ত করে।

সাফির-সিম্পসন স্কেল
শ্রেণিবায়ুপ্রবাহ
৫ম ≥৭০ m/s, ≥১৩৭ knots
≥১৫৭ mph, ≥২৫২ km/h
৪র্থ ৫৮–৭০ m/s, ১১৩–১৩৬ knots
১৩০–১৫৬ mph, ২০৯–২৫১ km/h
৩য় ৫০–৫৮ m/s, ৯৬–১১২ knots
১১১–১২৯ mph, ১৭৮–২০৮ km/h
২য় ৪৩–৪৯ m/s, ৮৩–৯৫ knots
৯৬–১১০ mph, ১৫৪–১৭৭ km/h
১ম ৩৩–৪২ m/s, ৬৪–৮২ knots
৭৪–৯৫ mph, ১১৯–১৫৩ km/h
সম্পর্কিত শ্রেণিবিভাগ
ক্রান্তীয়
ঝড়
১৮–৩২ m/s, ৩৪–৬৩ knots
৩৯–৭৩ mph, ৬৩–১১৮ km/h
ক্রান্তীয়
নিম্নচাপ
≤১৭ m/s, ≤৩৩ knots
≤৩৮ mph, ≤৬২ km/h
সাফির-সিম্পসন হারিকেন স্কেলে ২য় শ্রেণির একটি ঘূর্ণিঝড়।

স্কেলটি ১৯৭১ সালে মার্কিন পুরকৌশলবিদ হার্বার্ট সাফির ও আমেরিকার জাতীয় হারিকেন সেন্টারের (NHC) পরিচালক আবহাওয়াবিদ রবার্ট সিম্পসন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। স্কেলটি ১৯৭৩ সালে সাধারণ জনগণের কাছে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং ১৯৭৪ সালে নিল ফ্রাঙ্ক NHC-এর নেতৃত্বস্থলে রবার্ট সিম্পসনকে প্রতিস্থাপন করার পর এই স্কেলটির ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।

হারিকেন হলো পশ্চিম গোলার্ধের ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত যা ক্রান্তীয় নিম্নচাপের তীব্রতাকে অতিক্রম করে যায়। একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের সর্বাধিক স্থায়ী বায়ুপ্রবাহ কম করে প্রতি ঘণ্টায় ৭৪ মাইল (৩৩ মি/সে; ৬৪ নট; ১১৯ কিলোমিটার/ঘণ্টা) হলে তবে তাকে ১ম শ্রেণির হারিকেন হিসেবে গণ্য করা হয়। ঝড়ের বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৫৬ মাইল (৭০মি/সে; ১৩৬ নট; ২৫১ কিমি/ঘণ্টা) ছাড়িয়ে গেলে তাকে এই স্কেলের সর্বোচ্চ বিভাগ, ৫ম শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

হারিকেনের তটভূমিতে প্রবেশের পর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্লাবণের কিছুটা পূর্বাভাস এই স্কেলের শ্রেণীবিভাগ থেকে পাওয়া যায়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.