সানফয়েল সিরিজ

সানফয়েল সিরিজ (ইংরেজি: Sunfoil Series) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ১৮৮৯-৯০ মৌসুম থেকে কারি কাপ নামে প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘটে। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে প্রতিযোগিতাটি ক্যাসল কাপ নামে পরিচিতি পায়। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে সুপারস্পোর্ট সিরিজ এবং ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে বর্তমান নামে পরিচিতি পেয়ে আসছে। হাইভেল্ড লায়ন্স (সাবেক - ট্রান্সভাল) সর্বাধিক ২৫বারসহ আরও চারবার যৌথভাবে শিরোপা লাভ করে।

সানফয়েল সিরিজ
দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যবস্থাপকক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা
খেলার ধরনপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
প্রথম টুর্নামেন্ট১৮৮৯-৯০
প্রতিযোগিতার ধরনরাউন্ড-রবিন
দলের সংখ্যা
বর্তমান চ্যাম্পিয়নলায়ন্স
সর্বাধিক সফলহাইভেল্ড লায়ন্স (২৫ শিরোপা)
সর্বাধিক রানগ্রেইম পোলক (১২,৪০৯)
সর্বাধিক উইকেটভিন্টসেন্ট ফন দার বিল (৫৭২)
২০১৮-১৯ সানফয়েল সিরিজ

বর্তমান দল

২০১০-১১ মৌসুমের পূর্বে নাইটস, ঈগলস নামে পরিচিত ছিল।

পয়েন্ট পদ্ধতি

খেলার ফলাফলের উপর নির্ভর করে দলগুলোর পয়েন্ট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।

  • বিজয়ের ক্ষেত্রে: ১০ পয়েন্ট
  • টাই হলে: ৬ পয়েন্ট
  • অন্য যে-কোন ফলাফলের ক্ষেত্রে: ০ পয়েন্ট

এছাড়াও, প্রত্যেক দলের প্রথম ইনিংসের প্রথম ১০০ ওভারে দলীয় প্রদর্শনের উপরও দলগুলোর বোনাস পয়েন্ট নির্ধারিত হয়।

  • ব্যাটিং বোনাস পয়েন্ট: ১৫০ রান সংগ্রহ করলে ১ পয়েন্ট। এরপর প্রত্যেক রানের জন্য ০.০২ পয়েন্ট যুক্ত হতে থাকে।
  • বোলিং বোনাস পয়েন্ট: তিন উইকেট লাভে ১ পয়েন্ট। এরপরের দুই উইকেট লাভের ক্ষেত্রে ১ পয়েন্ট যুক্ত হতে থাকে।

১৯৭১-৭২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট তালিকা ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটানো হয়। এরপর থেকে প্রত্যেক মৌসুমেই এ ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রকৃত পয়েন্ট তালিকার প্রথম প্রচলন ঘটে ও অদ্যাবধি ব্যবহৃত হচ্ছে।[1]

ইতিহাস

শুরুরদিকের বছর

ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড থেকে একটি দল প্রথমবারের মতো সফর করে। পরের গ্রীষ্মে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা হিসেবে কারি কাপের প্রচলন ঘটে। স্যার ডোনাল্ড কারি’র নাম অনুসরণে ট্রফির নামকরণ হয়। এর পূর্বেকার প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন ব্যাট প্রতিযোগিতা ১৮৭৬ সালে শুরু হয় ও পাঁচবার অনুষ্ঠিত হয়। মূলতঃ কেপের শহরগুলোর বৃহৎ বসতিস্থাপনকারী এলাকা থেকে গঠিত দলগুলো এতে অংশ নিতো। কেবলমাত্র চ্যাম্পিয়ন ব্যাটের সর্বশেষ আসরটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা পায়। ১৮৯০-৯১ মৌসুমে ইস্টার্ন প্রভিন্স, গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

১৮৮৯-৯০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিম্বার্লী ও ট্রান্সভালের মধ্যে একটিমাত্র খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ঐ খেলায় ট্রান্সভালের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে কিম্বার্লীর পক্ষে বার্নার্ড ট্যানক্রেড (১০৬) ও ট্রান্সভালের পক্ষে মন্টি বাউডেন (১২৬*) সেঞ্চুরি করেন যা কারি কাপ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির ঘটনা ছিল। একই খেলায় প্রথম ইনিংসে কিম্বার্লীর পক্ষে জর্জ গ্লোভার ৬/৫০ লাভ করেছিলেন। পরের মৌসুমেও উভয় দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিম্বার্লীর পক্ষে চার্লি ফিনল্যাসন ১৫৪* ও ট্রান্সভালের পক্ষে জন পিটন ১৩/২০৪ পেয়েছিলেন। প্রত্যেক দলই শুরুর দিকের খেলায় জয় পায়।

এরপর থেকে ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে প্রতিযোগিতার বিস্তৃতি ঘটানো হয়। ১৮৯২-৯৩ মৌসুম থেকে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে পরিচিত কিম্বার্লী, ১৮৯২-৯৩ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স থেকে ট্রান্সভাল, ১৮৯৩-৯৪ মৌসুমে নাটাল ও ইস্টার্ন প্রভিন্স, ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে বর্ডার এবং ১৯০৩-০৪ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট যোগ দেয়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবগুলো দল কোন মৌসুমেই একযোগে খেলেনি। ১৯০৪-০৫ মৌসুমে একবার করে রোডেশিয়া ও সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল।

প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রচলিত হবার পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে সর্বমোট চৌদ্দ মৌসুম খেলা হয়নি। এছাড়াও, বোর যুদ্ধসহ সফরকারী ইংরেজ দলের আগমনের কারণও এর সাথে জড়িত। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে নক-আউট প্রতিযোগিতা ও পূর্ববর্তী বছরের বিজয়ী দলের বিপক্ষে আহুত দলের অংশগ্রহণে রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতা অন্যতম। কিন্তু, ১৯০৬-০৭ মৌসুমে রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতির প্রচলন হলে তা ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত চলমান ছিল।

যুদ্ধের মধ্যবর্তী বছর

যুদ্ধের পর ১৯২০-২১ মৌসুমে পুনরায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। গড়পড়তা প্রতি তিন বছরের মধ্যে দুইবার সিরিজটি চলতে থাকে। টেস্ট সফরের ফলে প্রতিযোগিতা বাতিল করতে হয়েছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুমের পর থেকে প্রত্যেক আসরেই সাতটি প্রাদেশিক দলের সবগুলো অংশ নিতে থাকে। সাময়িকভাবে রোডেশিয়া দল এদের সাথে যোগ দেয়। দলটি ১৯২৯-৩০ ও ১৯৩১-৩২ মৌসুমে খেলেছিল।

১৯৩৭-৩৮ মৌসুম থেকে নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল স্থায়ীভাবে প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়। দলটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত সর্বশেষবারের মতো খেলেছিল। সর্বমোট এগারো মৌসুম যুদ্ধগুলোর মধ্যবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে স্থবিরতা

আট বছর বিরতির পর ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে পুনরায় কারি কাপ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আটটি প্রাদেশিক দলের সবগুলো এবং বর্তমানে স্থায়ীভাবে অংশগ্রহণকারী দল রোডেশিয়া এতে অংশ নেয়।

১৯৫১-৫২ মৌসুমে প্রতিযোগিতায় দুই স্তরের কাঠামোতে নিয়ে আসা হয়। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত কিছু নিয়ম-কানুন বলবৎ থাকে। কেবলমাত্র ১৯৬০-৬১ মৌসুমে একবার একক পদ্ধতিতে খেলা হয়েছিল। এ ধাঁচের ব্যবস্থা ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। দুই স্তরের ব্যবস্থায় উত্তরণ/বিতাড়নের ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। সাধারণভাবে নিচের বিভাগের বিজয়ী দল শীর্ষ বিভাগের সর্বনিম্নস্থান অধিকারী দলের স্থলাভিষিক্ত করা হতো। তবে, এ প্রক্রিয়া সকল মৌসুমে প্রয়োগ করা হয়নি। শীর্ষ বিভাগে সাধারণতঃ চার কিংবা পাঁচটি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতো।

এ সময়ে শক্তিশালী প্রদেশের দল নিচের বিভাগে বি দলকে অংশগ্রহণ করাতো। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ট্রান্সভাল বি দল প্রথমবারের মতো অংশ নেয়। এরপর ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে নাটাল বি দলের অংশগ্রহণ ঘটে। তবে, বি দলগুলো নিচের স্তরের প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করলেও শীর্ষ বিভাগে খেলার সুযোগ পেতো না। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারি কাপ প্রত্যেক বছরেই অনুষ্ঠিত হতে থাকে। আন্তর্জাতিক সফরে ব্যস্ত থাকালেও স্থগিত করা হতো না।

স্থবিরতা থেকে ১৯৭০-এর দশক

১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘরোয়া ক্রিকেট এর সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করে। খেলার মান অত্যন্ত উঁচু পর্যায়ের হওয়ায় হাজারো দর্শক কারি কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দেখতে আসতো।

১৯৭০-এর দশকে দ্বিতীয় বিভাগকে কারি কাপ থেকে দূরে রেখে পৃথক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শুরুতে ক্যাসল বোল ও পরবর্তীতে ইউসিবি বোলের ন্যায় বিভিন্ন বাণিজ্যিকধর্মী নামে পরিচিতি ঘটানো হয়। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল নর্দার্ন ট্রান্সভাল নামে পরিচিতি পায়।

স্থবিরতা ও পুনরুত্থান

১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে দূর্বলমানের প্রাদেশিক দলগুলো বোল প্রতিযোগিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কারি কাপের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একই সময়ে ঐ সকল প্রাদেশিক বি দলগুলো বোল কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে বোল প্রতিযোগিতা পুরোপুরি কারি কাপের দ্বিতীয় প্রতিযোগিতারূপে চিহ্নিত হয়। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে বোল প্রতিযোগিতা দুই-স্তরের প্রতিযোগিতায় বিভক্ত হয়। শীর্ষ বিভাগের দলগুলোকে প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা দান করা হয়। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে কেবলমাত্র প্রাদেশিক দলগুলোকে কারি কাপে নিয়ে আসা হয় ও বোল প্রতিযোগিতা পুরোপুরি প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদার বাইরে চলে যায়।

১৯৭৯-৮০ মৌসুমে প্রথম দল হিসেবে নর্দার্ন ট্রান্সভাল কারি কাপে ফিরে আসে। একই বছর রোডেশিয়া দল শেষবারের মতো অংশ নেয়। যুক্তরাজ্য থেকে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা লাভের প্রেক্ষিতে রোডেশিয়াকে আর অংশ নিতে হয়নি। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট কারি কাপে প্রত্যাবর্তন করে। ১৯৮৫-৮৬ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দুই মৌসুম ব্যর্থ হবার পর ১৯৯১-৯২ মৌসুমে স্থায়ীভাবে বর্ডার দল প্রতিযোগিতায় ফিরে আসে। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ফিরে আসে। পাশাপাশি, তিনটি নতুন প্রাদেশিক দল এ সময়ে যোগ দেয়। বোল প্রতিযোগিতায় ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বোল্যান্ড ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে কারি কাপে যোগ দেয়। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে বোল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ইস্টার্ন ট্রান্সভাল ও ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে শীর্ষ প্রতিযোগিতায় উত্তরণ ঘটায়।

একই সময়ে বোল প্রতিযোগিতায় ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নর্দার্ন ট্রান্সভাল বি, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট বি, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বর্ডার বি ও বোল্যান্ড বি, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট বি-সহ ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে জিম্বাবুইয়ান বোর্ড একাদশ ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নামিবিয়া ক্রিকেট দল যোগ দেয়।

১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন দল নাম পরিবর্তন করতে শুরু করে। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট শুধুমাত্র ফ্রি স্টেট; ইস্টার্ন ট্রান্সভাল শুধুই ইস্টার্নস; ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল নর্থ ওয়েস্ট; ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ট্রান্সভাল গটেং, নর্দার্ন ট্রান্সভাল নর্দার্নস নামে এবং ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে নাটাল কোয়াজুলু-নাটাল নামে পরিচিতি পায়। প্রতিযোগিতার নামও বাণিজ্যিকধর্মীরূপ ধারণ করেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে ক্যাসল কাপ ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে সুপারস্পোর্ট সিরিজ নামে পরিচিত হয়।

এ সময়ে প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকবার নিয়ম-কানুন পরিবর্তিত হয়। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমের চূড়ান্ত খেলাটি শীর্ষ দুই দলের মধ্যে সম্পন্ন হয়। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে চারদলের মধ্যকার নক-আউট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে তিন দলের মধ্যকার নক-আউট খেলা হয়। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে লীগভিত্তিক খেলা দুইভাগে বিভক্ত হয় ও প্রত্যেক ভাগের শীর্ষদলকে নিয়ে চূড়ান্ত খেলার আয়োজন করা হয়। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে একটিমাত্র বিভাগে নিয়ে আসা হয় ও কোন চূড়ান্ত খেলা হয়নি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে চূড়ান্ত খেলাকে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে এগারো দলের অংশগ্রহণ ঘটতে থাকে। লীগভিত্তিক এ খেলাটি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এতে সুপার এইট বা সুপার সিক্স পর্ব শেষে একটি চূড়ান্ত খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

ঐ যুগে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল - ট্রান্সভাল, নাটাল ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের একচ্ছত্র আধিপত্যবাদের রোধ। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমের পূর্বে ঐ তিন দল ৬০টি কারি কাপ প্রতিযোগিতার ৫৯টি শিরোপা লাভ করেছিল। কেবলমাত্র কিম্বার্লী ১৮৯০-৯১ মৌসুমে তাদের দ্বিতীয় শিরোপা জয় করেছিল। ট্রান্সভালের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে তারা শিরোপা লাভ করে। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ট্রান্সভালের বিপক্ষে জয় লাভ করে ইস্টার্ন প্রভিন্স এ ধারা ভেঙ্গে ফেলে। ১৯৯০-এর দশকে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট প্রথমবার ও ২০০০-এর দশকে ইস্টার্নস চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করে।

বর্তমান যুগ

২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেট আসরের ধরন পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়। এগারোটি প্রাদেশিক দলকে যৌক্তিকভাবে ছয়টি নতুন দলে রূপান্তর করা হয়। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও বোল্যান্ড একীভূত হয়ে কেপ কোবরাজ; গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ও ফ্রি স্টেট ঈগলসে (২০১০-১১ মৌসুম থেকে দলটি নাইটস নামে পরিচিত পায়); ইস্টার্ন প্রভিন্স ও বর্ডার ওয়ারিয়র্সে; নর্থ ওয়েস্ট ও গটেং লায়ন্সে; নর্দার্নস ও ইস্টার্নস টাইটান্সে এবং কোয়াজুলু-নাটাল ডলফিন্স নামে গঠিত হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এ পরিবর্তন প্রভাব পড়ে।

নতুন প্রতিযোগিতার ধরনে দ্বৈত-রাউন্ড-রবিন পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো হয়। প্রথম দুই মৌসুমে শীর্ষ দুই দলের চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। যদি চূড়ান্ত খেলাটি ড্র হয়; তাহলে শিরোপা বণ্টন করা হবে। বিপরীতক্রমে, অধিকাংশ ঘরোয়া ক্রিকেট লীগসহ শুরুরদিকের কারি কাপের খেলার ধরনে দেখা যায় যে, চূড়ান্ত খেলায় ড্র হলে শিরোপাটি উন্নততর ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ২০০৬-০৭ মৌসুমে চূড়ান্ত খেলার বিলোপন দেখা যায়। নিয়মিত মৌসুমের রেকর্ড পর্যালোচনাপূর্বক একটিমাত্র দলকে শিরোপা দেয়া হতো।

এগারোটি প্রাদেশিক দল কারি কাপে অংশ নেয়। পাশাপাশি, সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টস, কোয়াজুলু-নাটাল ইনল্যান্ড ও নামিবিয়া পৃথকভাবে সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজ প্রভিন্সিয়াল থ্রি-ডে চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এ প্রতিযোগিতাটি অদ্যাবধি প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতারূপে বিবেচিত। দক্ষিণ আফ্রিকায় শীর্ষ পর্যায়ের অসীম ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এটি।

বিজয়ী

মৌসুমকাপ চ্যাম্পিয়নরানার-আপবোল চ্যাম্পিয়নবোর রানার-আপমন্তব্য
১৮৮৯–৯০ট্রান্সভাল (১)কিম্বার্লী (১)উদ্বোধনী মৌসুম
একটি খেলায় শিরোপা নির্ধারণ
১৮৯০-৯১কিম্বার্লী (১)ট্রান্সভাল (১)
১৮৯১-৯২ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৮৯২-৯৩ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১)ট্রান্সভাল (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রথম অংশগ্রহণ
কিম্বার্লী বর্তমানে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে পরিচিত
১৮৯৩-৯৪ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (২)নাটাল (১)নাটাল ও ইস্টার্ন প্রভিন্সের প্রথম অংশগ্রহণ
১৮৯৪-৯৫ট্রান্সভাল (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (২)
১৮৯৫-৯৬ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৮৯৬-৯৭ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৩)ট্রান্সভাল (৩)
১৮৯৭-৯৮ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৪)ট্রান্সভাল (৪)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের প্রথম অংশগ্রহণ
১৮৯৮-৯৯
১৮৯৯-০০
১৯০০-০১
১৯০১-০২
বোর যুদ্ধের কারণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯০২-০৩ট্রান্সভাল (৩)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (২)
১৯০৩-০৪ট্রান্সভাল (৪)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৩)বর্ডারের প্রথম অংশগ্রহণ
১৯০৪-০৫ট্রান্সভাল (৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৪)রোডেশিয়া ও সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টসের একটিমাত্র খেলায় অংশগ্রহণ
১৯০৫-০৬ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯০৬-০৭ট্রান্সভাল (৬)নাটাল (২)
১৯০৭-০৮ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯০৮-০৯ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৫)ট্রান্সভাল (২)
১৯০৯-১০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯১০-১১নাটাল (১)ট্রান্সভাল (৬)
১৯১১-১২ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯১২-১৩নাটাল (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৫)
১৯১৩-১৪ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯১৪-১৫
১৯১৫-১৬
১৯১৬-১৭
১৯১৭-১৮
১৯১৮-১৯
১৯১৯-২০
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯২০-২১ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৬)ট্রান্সভাল (৭)
১৯২১-২২ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
নাটাল
ট্রান্সভাল
১৯২২-২৩ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯২৩-২৪ট্রান্সভাল (৭)নাটাল (৩)
১৯২৪-২৫ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯২৫-২৬ট্রান্সভাল (৮)গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট (২)
১৯২৬-২৭ট্রান্সভাল (৯)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (১)
১৯২৭-২৮ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯২৮-২৯ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯২৯-৩০ট্রান্সভাল (১০)নাটাল (৪)রোডেশিয়া একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিল
১৯৩০-৩১ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৩১-৩২ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৭)ট্রান্সভাল
রোডেশিয়া
রোডেশিয়া একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিল
১৯৩২-৩৩ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৩৩-৩৪নাটাল (৩)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৬)
১৯৩৪-৩৫ট্রান্সভাল (১১)নাটাল (৫)
১৯৩৫-৩৬ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৩৬-৩৭নাটাল (৪) ট্রান্সভাল (৮)
১৯৩৭-৩৮ট্রান্সভাল
নাটাল
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভালের প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৩৮-৩৯ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৩৯-৪০
১৯৪০-৪১
১৯৪১-৪২
১৯৪২-৪৩
১৯৪৩-৪৪
১৯৪৪-৪৫
১৯৪৫-৪৬
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৪৬-৪৭নাটাল (৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৭)রোডেশিয়ার প্রথম নিয়মিত অংশগ্রহণ
১৯৪৭-৪৮নাটাল (৬)ট্রান্সভাল (৯)
১৯৪৮-৪৯ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৪৯-৫০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৫০-৫১ট্রান্সভাল (১২)নাটাল (৬)
১৯৫১-৫২নাটাল (৭)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৮)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (১)রোডেশিয়া (১)লীগে দুইটি বিভাগের প্রবর্তন করা হয়
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট উত্তরণ
ট্রান্সভাল অবনমন
১৯৫২-৫৩ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৮)নাটাল
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট
ট্রান্সভাল (১)রোডেশিয়া (২)ট্রান্সভাল উত্তরণ
ইস্টার্ন প্রভিন্স অবনমন
১৯৫৩-৫৪ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৫৪-৫৫নাটাল (৮)ট্রান্সভাল (১০)ইস্টার্ন প্রভিন্স (১)রোডেশিয়া (৩)ইস্টার্ন প্রভিন্স উত্তরণ
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট অবনমন
১৯৫৫-৫৬ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৯)নাটাল (৭)রোডেশিয়া (১)বর্ডার (১)রোডেশিয়া উত্তরণ
ইস্টার্ন প্রভিন্স অবনমন
১৯৫৬-৫৭ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৫৭-৫৮ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৫৮-৫৯ট্রান্সভাল (১৩)নাটাল
রোডেশিয়া
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
বর্ডার (১)ইস্টার্ন প্রভিন্স (১)বর্ডার উত্তরণ
১৯৫৯-৬০নাটাল (৯)ট্রান্সভাল (১১)ইস্টার্ন প্রভিন্স
ট্রান্সভাল B
ট্রান্সভাল বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৬২-৬৩ মৌসুমের জন্য ইস্টার্ন প্রভিন্স উত্তরণ
১৯৬২-৬৩ মৌসুমের জন্য বর্ডার ও রোডেশিয়ার অবনমন
১৯৬০-৬১নাটাল (১০) ইস্টার্ন প্রভিন্স (১)একবার একক-বিভাগের প্রবর্তন
১৯৬১-৬২ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৬২-৬৩নাটাল (১১)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (৯)ট্রান্সভাল বি (১)রোডেশিয়া (৪)
১৯৬৩-৬৪নাটাল (১২)ট্রান্সভাল (১২)রোডেশিয়া (২)নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল (১)রোডেশিয়া উত্তরণ
১৯৬৪-৬৫ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি
১৯৬৫-৬৬ট্রান্সভাল
নাটাল
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল (১)বর্ডার (২)নাটাল বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের অবনমন
১৯৬৬-৬৭নাটাল (১৩)ইস্টার্ন প্রভিন্স
ট্রান্সভাল
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল (২)ট্রান্সভাল বি
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভালের উত্তরণ
রোডেশিয়ার অবনমন
১৯৬৭-৬৮নাটাল (১৪)ট্রান্সভাল (১৩)রোডেশিয়া (৩)নাটাল বি (১)রোডেশিয়ার উত্তরণ
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভালের অবনমন
১৯৬৮-৬৯ট্রান্সভাল (১৪)নাটাল
ইস্টার্ন প্রভিন্স
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১)বর্ডার (৩)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের উত্তরণ
১৯৬৯-৭০ট্রান্সভাল
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
ট্রান্সভাল বি (২)নাটাল বি (২)রোডেশিয়ার অবনমন
১৯৭০-৭১ট্রান্সভাল (১৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১০)রোডেশিয়া (৪)ট্রান্সভাল বি (১)রোডেশিয়ার উত্তরণ
১৯৭১-৭২ট্রান্সভাল (১৬)রোডেশিয়া (১)নর্দার্ন ট্রান্সভাল (৩)ট্রান্সভাল বি (২)নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল বর্তমানে নর্দার্ন ট্রান্সভাল নামে পরিচিত
১৯৭২-৭৩ট্রান্সভাল (১৭)ইস্টার্ন প্রভিন্স (২)ট্রান্সভাল বি (৩)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (১)
১৯৭৩-৭৪নাটাল (১৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১১)নাটাল বি (১)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (২)
১৯৭৪-৭৫ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১০)নাটাল (৮)ট্রান্সভাল বি (৪)গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট (১)
১৯৭৫-৭৬নাটাল (১৬)ইস্টার্ন প্রভিন্স (৩)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (২)ট্রান্সভাল বি
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৭৬-৭৭নাটাল (১৭)ট্রান্সভাল (১৪)ট্রান্সভাল বি (৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (২)
১৯৭৭-৭৮ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১১)ট্রান্সভাল (১৫)নর্দার্ন ট্রান্সভাল (৪)বর্ডার (৪)রোডেশিয়া বি ও ইস্টার্ন প্রভিন্স বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৭৮-৭৯ট্রান্সভাল (১৮)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১২)নর্দার্ন ট্রান্সভাল (৫)বর্ডার (৫)একবার এক মৌসুমে কোন বি দল বোল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি
নর্দার্ন ট্রান্সভালের উত্তরণ
১৯৭৯-৮০ট্রান্সভাল (১৯)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৩)নাটাল বি (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (২)রোডেশিয়া ও রোডেশিয়া বি দল সর্বশেষবার অংশগ্রহণ করে
১৯৮০-৮১নাটাল (১৮)ট্রান্সভাল (১৬)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (১)ট্রান্সভাল বি (৩)বোল প্রতিযোগিতায় বোল্যান্ডের প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৮১-৮২ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১২)ট্রান্সভাল (১৭)বোল্যান্ড (১)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (৩)বোল প্রতিযোগিতায় নর্দার্ন ট্রান্সভাল বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৮২-৮৩ট্রান্সভাল (২০)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৪)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (২)ট্রান্সভাল বি (৪)
১৯৮৩-৮৪ট্রান্সভাল (২১)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৫)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (৩)বর্ডার (৬)
১৯৮৪-৮৫ট্রান্সভাল (২২)নর্দার্ন ট্রান্সভাল (১)ট্রান্সভাল বি (৬)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (৩)বর্ডার ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের উত্তরণ
১৯৮৫-৮৬ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৩)ট্রান্সভাল (১৮)বোল্যান্ড (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (৪)
১৯৮৬-৮৭ট্রান্সভাল (২৩)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৬)ট্রান্সভাল বি (৭)নাটাল বি (৩)বর্ডারের অবনমন
১৯৮৭-৮৮ট্রান্সভাল (২৪)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (২)বোল্যান্ড (৩)ট্রান্সভাল বি (৫)
১৯৮৮-৮৯ইস্টার্ন প্রভিন্স (১)ট্রান্সভাল (১৯)বোল্যান্ড (৪)ট্রান্সভাল বি (৬)
১৯৮৯-৯০ইস্টার্ন প্রভিন্স
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
বর্ডার
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি
বোল প্রতিযোগিতায় অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৯০-৯১ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৪)ট্রান্সভাল (২০)বর্ডার
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি
বর্ডারের উত্তরণ
১৯৯১-৯২ইস্টার্ন প্রভিন্স (২)অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (৩)ইস্টার্ন ট্রান্সভাল (১)বোল্যান্ড (১)ইস্টার্ন ট্রান্সভাল ও ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভালের প্রথম অংশগ্রহণ
বোল প্রতিযোগিতায় কোন বি দল অংশগ্রহণ করেনি
১৯৯২-৯৩অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (১)ইস্টার্ন প্রভিন্স
নাটাল
ট্রান্সভাল
বোল্যান্ড (৫)গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট (২)বোল প্রতিযোগিতায় কোন বি দল অংশগ্রহণ করেনি
১৯৯৩-৯৪অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৭)ট্রান্সভাল বি (৮)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (৫)বি দল পুনরায় বোল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে
বর্ডার বি, বোল্যান্ড বি ও জিম্বাবুয়ে বোর্ড একাদশের প্রথম অংশগ্রহণ
১৯৯৪-৯৫নাটাল (১৯)নর্দার্ন ট্রান্সভাল (২)নাটাল বি (৩)ইস্টার্ন ট্রান্সভাল (১)
১৯৯৫-৯৬ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৫)ট্রান্সভাল (২১)নাটাল B
গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট বর্তমানে ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত
ইস্টার্ন ট্রান্সভাল বর্তমানে ইস্টার্নস নামে পরিচিত
গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের উত্তরণ
১৯৯৬-৯৭নাটাল (২০)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৮)ইস্টার্ন প্রভিন্স বি (১)ইস্টার্নস (২)ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল বর্তমানে নর্থ ওয়েস্ট নামে পরিচিত
১৯৯৭-৯৮অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট (৩)ইস্টার্ন প্রভিন্স (৪)নর্থ ওয়েস্ট (১)নর্দার্নস বি (১)নর্দার্ন ট্রান্সভাল বর্তমানে নর্দার্নস
ট্রান্সভাল বর্তমানে গটেং নামে পরিচিত
১৯৯৮-৯৯ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৬)বর্ডার (১)নর্থ ওয়েস্ট (২)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি (৬)গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট বি’র প্রথম অংশগ্রহণ
নাটাল বর্তমানে কোয়াজুল-নাটাল নামে পরিচিত
ইস্টার্নস ও নর্থ ওয়েস্টের উত্তরণ
বোল প্রতিযোগিতার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর মৌসুমের সমাপ্তি
১৯৯৯-০০গটেং (২৫)বর্ডার (২)
২০০০-০১ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৭)বর্ডার (৩)
২০০১-০২কোয়াজুল-নাটাল (২১)নর্দার্নস (৩)
২০০২-০৩ইস্টার্নস (১)ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৯)
২০০৩-০৪ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স (১৮)কোয়াজুল-নাটাল (৯)
২০০৪-০৫ঈগলস
ডলফিন্স
এগারোটি প্রাদেশিক দলকে কমিয়ে ছয়টি সম্মিলিত দলে আনা হয়
২০০৫-০৬টাইটান্স
ডলফিন্স
২০০৬-০৭টাইটান্স (১)লায়ন্স (১)
২০০৭-০৮ঈগলস (১)ওয়ারিয়র্স (১)
২০০৮-০৯টাইটান্স (২)ঈগলস (১)
২০০৯-১০কেপ কোবরাস (১)টাইটান্স (১)
২০১০-১১কেপ কোবরাস (২)টাইটান্স (২)ঈগলস বর্তমানে নাইটস নামে পরিচিত
২০১১-১২টাইটান্স (৩)কেপ কোবরাস (১)
২০১২-১৩কেপ কোবরাস (৩)লায়ন্স (২)
২০১৩-১৪কেপ কোবরাস (৪)নাইটস (২)
২০১৪-১৫লায়ন্স (১)টাইটান্স (৩)
২০১৫-১৬টাইটান্স (৪)লায়ন্স (২)
২০১৬-১৭নাইটস (৩)টাইটান্স (৪)
২০১৭-১৮টাইটান্স (৫)ওয়ারিয়র্স (২)
২০১৮-১৯লায়ন্স (২)কেপ কোবরাস (২)

*বন্ধনীতে কেবলমাত্র চ্যাম্পিয়নশীপের সরাসরি শিরোপা লাভকে নম্বর আকারে দেখানো হয়েছে।

চ্যাম্পিয়নশীপ

যৌথ দলের সময়কাল

ক্লাব মৌসুম সরাসরি জয় যৌথভাবে জয় সর্বমোট জয় দ্বিতীয় স্থান
টাইটান্স১৫
কেপ কোবরাস১৫-
ঈগলস/নাইটস১৫
লায়ন্স১৫-
ডলফিন্স১৫
ওয়ারিয়র্স১৫-

কারি কাপ - প্রাদেশিক যুগ

ক্লাব মৌসুম সরাসরি জয় যৌথভাবে জয় সর্বমোট জয় দ্বিতীয় স্থান
ট্রান্সভাল/গটেং৭৫২৫২৯২১
নাটাল/কোয়াজুল-নাটাল৭১২১২৪
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স৭১১৮২১১৯
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট৪০-
ইস্টার্ন প্রভিন্স৬৬
কিম্বার্লী/গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট৩৪-
ইস্টার্ন ট্রান্সভাল/ইস্টার্নস-
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল/
নর্দার্ন ট্রান্সভাল/নর্দার্নস
৩১-
বর্ডার৩৫-
রোডেশিয়া/জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া২২-
ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল/নর্থ ওয়েস্ট-
বোল্যান্ড১১-

কারি কাপ দ্বিতীয় বিভাগ ও বোল প্রতিযোগিতা

ক্লাব মৌসুম সরাসরি জয় যৌথভাবে জয় সর্বমোট জয় দ্বিতীয় স্থান
ট্রান্সভাল বি/গটেং বি৩২
বোল্যান্ড১৩-
নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল/
নর্দার্ন ট্রান্সভাল/নর্দার্নস
২১-
রোডেশিয়া/জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া-
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি২১
নাটাল বি/কোয়াজুল-নাটাল বি৩১
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট/ফ্রি স্টেট২৬-
ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল/নর্থ ওয়েস্ট-
বর্ডার৩১
ইস্টার্ন ট্রান্সভাল/ইস্টার্নস-
ইস্টার্ন প্রভিন্স
ট্রান্সভাল/গটেং-
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স-
ইস্টার্ন প্রভিন্স বি১৯-
কিম্বার্লী/গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট৩৯
নর্দার্ন ট্রান্সভাল বি/নর্দার্নস বি১৫-

উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন

নাটাল দলের সদস্য থাকা অবস্থায় কারি কাপের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে দুইটি দ্বি-শতকের ইনিংস খেলেন ডাডলি নোর্স। মৌসুমে দুইটি দ্বি-শতক লাভ

রোডেশিয়া দলের সদস্য থাকা অবস্থায় কারি কাপের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে উপর্যুপরী পাঁচ ইনিংসে শতরান করার গৌরব অর্জন করেছিলেন মাইক প্রোক্টর। উপর্যুপরী পাঁচ ইনিংসে শতরান

ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্য থাকা অবস্থায় ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে কারি কাপে ছয় ইনিংসে পাঁচ শতরান করেছিলেন পিটার কার্স্টেন। ছয় ইনিংসে পাঁচ শতরান

ছয় বলে পাঁচ উইকেট

  • উইলিয়াম হেন্ডারসন ১৯৩৭-৩৮

উপর্যুপরী বলে চার উইকেট

ইনিংসে দশ উইকেট

  • বার্ট ভগলার ১০/২৬ ১৯০৬-০৭
  • স্টিফেন জেফেরিস ১০/৫৯ ১৯৮৭-৮৮
  • মারিও অলিভিয়ের ১০/৬৫ ২০০৭-০৮

খেলায় পনেরো উইকেট

খেলায় ১০০ রান ও ১০ উইকেট

খেলায় উইকেটরক্ষণে দশ ডিসমিসাল

ব্যক্তিগত রেকর্ড

তথ্যসূত্র

  1. "CSA announces new points system for first-class cricket"cricket.co.za। ২০১৮-০৩-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৫
  2. "SuperSport Series, 2009-10 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  3. "SuperSport Series, 2010-11 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  4. "SuperSport Series, 2011-12 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  5. "Sunfoil Series, 2013-14 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  6. "Sunfoil Series, 2014-15 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  7. "Sunfoil Series, 2015-16 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  8. "Sunfoil Series, 2016-17 Records: Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭
  9. "Sunfoil Series, 2016-17 Records: Most wickets"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.