সাত পাকে বাঁধা (২০০৯-এর চলচ্চিত্র)

সাত পাকে বাঁধা হল ২০০৯ এর একটি প্রকাশিতব্য বাংলা মিষ্টি প্রেমের চলচ্চিত্র যার পরিচালক সুজিত মন্ডল ছিলেন। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎকোয়েল মল্লিক আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত মল্লিক, শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি ১৯৯৬ সালের তেলুগু ছবি পবিত্রা বাঁধম এর পুনঃনির্মাণ।

সাত পাকে বাঁধা
সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রের পোস্টার
Saat Pake Badha
পরিচালকসুজিত মন্ডল
প্রযোজকশ্রীকান্ত মোহতা
চিত্রনাট্যকারএন.কে.সলিল
শ্রেষ্ঠাংশেজিৎ
কোয়েল মল্লিক
রঞ্জিত মল্লিক
শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়
লাবণী সরকার
লকেট চট্টোপাধ্যায়
সুরকারজিৎ গাঙ্গুলী
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
মুক্তি
  • ২৯ মে ২০০৯ (2009-05-29)
দৈর্ঘ্য১৪৯ মিনিট
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়৩০ মিলিয়ন
আয়৫৫ মিলিয়ন

পটভূমি

ধনী শিল্পপতির ছেলে রাহুল (জিৎ) বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছিলেন। পিতা যখন তাকে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তখন তিনি একটি শর্ত রেখেছিলেন - যে সে তার বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবে এবং কেবল এক বছরের জন্য বিয়ের চুক্তি থাকবে, তারপরে যদি দুজনের মধ্যে কেউ যদি মনে করে বিয়ের বন্ধন থাকতে চায় না তাহলে চুক্তি সে ভাঙতে পারে। আশ্চর্য পুত্ররের প্রস্তাবে পিতা সম্মত হন এবং তাঁর পিএ (সহকারী) পল্লবীকে কোয়েল মল্লিক সবচেয়ে উপযুক্ত কনে হিসাবে বেছে নেন।

এদিকে পল্লবীর পরিবারে, তাঁর বিধবা মা, এক বড় বোন তার স্বামী তাকে পরিত্যাগ করেছে, একটি ছোট ভাই কোনও কাজ নেই এবং কনিষ্ঠ বোন যে আজ গর্ভবতী, প্রেমিকের তার দায়িত্ব এড়াতে চেষ্টা করছে। তাই পল্লবী তার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুক্তিটি গ্রহণ করে বিয়ে করেন রাহুলকে।

যদিও উভয়ই একই বিছানা ভাগ করে নিত, কিন্তু রাহুল মনে হচ্ছিল পল্লবীর আবেগের প্রতি অদ্ভুত সংবেদনশীল। সুতরাং এটি আশ্চর্যের বিষয় নয় যে তিনি পল্লবীর জন্মদিন মনে রাখার প্রয়োজন মনে করেন না এমনকি পল্লবীর রান্নার প্রশংসা করার সময় তাঁর প্রতি তার কোন ভালবাসা ও অনুভূতি প্রকাশ পায় না, সে মনে করে এটা পল্লবীর কর্তব্য। রাহুল আরও তার ব্যবহার স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যখন পল্লবীর আন্তরিক নার্সিংয়ের কারণে সে দ্রুত খারাপ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে ঘোষণা করতে দ্বিধা করেন না যে পরের দিন তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এবং তিনি স্বেচ্ছায় পল্লবীকে তালাক দিচ্ছেন। ঠিক এই মুহুর্তে যদি শ্রোতারা ভাবেন যে গল্পটি একটি মর্মান্তিক সমাপ্তির কাছাকাছি আসছে, তবে এটি কেবলমাত্র বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, গল্প এখনও শেষ হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে আমরা দেখতে পেলাম যে রাহুল হঠাৎ পল্লবীর প্রতি সহানুভূতি বোধ করছেন এবং তাঁর সমস্ত আবেগ তাকে এতটাই অভিভূত করেছে যে সে তার শ্বশুরবাড়ির দিকে ছুটে যায় এবং পল্লবীকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করে। তবে পল্লবী রাহুলের সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, পল্লবীর কাছে থাকার জন্য সে তার অফিসের সমস্ত শেয়ার কিনে তার বস হয়ে যান। তারপর রাহুল যখন জানতে পারে সে বাবা হতে চলেছেন সে পল্লবীর জন্য একটি এসি বাসের ব্যবস্থা করেন এবং তার অফিসের বসার জায়গা স্থানান্তরিত করে দেন। এরপর পল্লবী রাহুলকে তার সাধে আমন্ত্রণ জানায় এবং অপমান করেন।

তার বন্ধু কেষ্টোর সাথে রাহুল পল্লবীকে ফিরিয়ে আনার শেষ চেষ্টা করেন। রাহুল পরিকল্পনা করেন যে সে গুন্ডাদের দ্বারা মারধর খাবেন এবং সেটাই হল, খবর পেয়ে রাহুলকে দেখতে পল্লবী ছুটে যান। তবে, পথে সে ঘটনাক্রমে সবকিছু জেনে যান। সুতরাং, তিনি আবার রাহুলকে অপমান করতে এবং এই অধ্যা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে রাহুলের বাড়িতে যান। তবে বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে, যখন তিনি জানতে পারেন রাহুল সত্যিই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং তিনি অভিনয় করছেন না। রাহুলকে সাহায্য করার চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি আহতও হন। এরপরে, রাহুল কোনওভাবে পল্লবীকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

অবশেষে এত কিছুর পরে দুজন আবার হাসপাতালের বিছানায় মিলিত হয়। পল্লবী তাদের সন্তানের জন্ম দেন এবং রাহুলও সুস্থ হয়ে ওঠে। সুতরাং পারিবারিক বন্ধন আবার পুনরুদ্ধার হয় এবং গল্প এবার শেষ হয়।

অভিনয়

মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎকোয়েল মল্লিক আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঞ্জিত মল্লিক, শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.