সাঈদ বিন তৈমুর

সুলতান সাইদ বিন তৈমুর (১৩ আগস্ট ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৭২) (আরবি: سعيد بن تيمور) ছিলেন মেশকাত ও ওমানের সুলতান। ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দের তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দের ২৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুৎ হন। তার পিতা তৈমুর বিন ফয়সালের মৃত্যুর পরে ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দে মাত্র ২১ বছর বয়সে ক্ষমতা লাভ করেন এবং রাজবংশের ১৩তম সুলতান হিসেবে রাজমুকুট পরিধান করেন। ১৯৩৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেজুন আল-মাশানি (তার প্রথম স্ত্রী ফাতিমা) কে বিয়ে করেন।[1] ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের সাইদের একমাত্র পুত্র কাবুস বিন সাঈদ জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ এসএএসের সাহায্যে অভ্যন্তরীণ শক্তি ও উপজাতীয় নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করেন এবং মেশকাত ও ওমানকে একত্রিত করেন। ওমান ও মেশকাত সুলতান তৈমুরের অধীনে ১৯৫১ সালে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে হিসেবে গঠিত করেন। ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে ওমানের সালতানাত নামে রূপান্তরিত করেন। দেশ একত্রিত হওয়ার পরে, তিনি মেশকাতের রাজধানী ত্যাগ করে ধফারের একটি উপকূলবর্তী শহরে বসবাস করেন। সাইদ তার সম্প্রদায়ের লোকজন এবং দেশের জন্য খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। ১৯৬৫ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ইরাক, ইরান ও ব্রিটেনের সাথে তেল রপ্তানির মাধ্যমে তিনি তার জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতিকল্পে সামান্য অবদান রাখতে পেরেছিলেন। এই চুক্তি ততক্ষন পর্যন্ত কোন উপকারে আসবে না যতক্ষন না এর ব্যবহার হবে। ওমানের শিশু মৃত্যুর জন্য তার রক্ষণশীল নীতিগুলি ৭৫ ভাগ দায়ী ছিল। চোখের ব্যাধি, যৌনরোগ এবং অপুষ্টি ব্যাপক পরিমানে ছিল। অভ্যুত্থানের পূর্বে ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে সেখানে ৬ মাইল প্রশস্ত রাস্তা এবং ৩ টি স্কুল ও সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৫ ভাগ।[2]

সাঈদ বিন তৈমুর
ওমানের সুলতান
রাজত্ব১০ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ - ২৩ জুলাই ১৯৭০
পূর্বসূরিতিমুর বিন ফয়সাল
উত্তরসূরিQaboos bin Said
জন্ম১৩ আগস্ট ১৯১০
ওমান
মৃত্যু১৯ অক্টোবর ১৯৭২(1972-10-19) (বয়স ৬২)
লন্ডন, ইংল্যান্ড
সমাধি
ব্রুকউড কবরস্থান, উইকিং, ইংল্যান্ড
রয়্যাল কবরস্থান, মেসক্যাট
বংশধরQaboos Bin Said
Dynastyআল-সাইদ
পিতাতৈমুর বিন ফয়সাল
মাতাশেখ ফাতেমা বিনতে 'আলী আল-সাইদ
ধর্মIbadi ইসলাম

শিক্ষা

সাঈদ বিন তৈমুর ১৯২২ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাজপুতানা রাজ্যে আজমীরের কলেজে পড়াশুনা করেন, যেখানে তিনি ইংরেজি এবং উর্দু ভাষা আয়ত্ত করেন। ১৯২৭ সালের মে মাসে মস্কোতে ফিরে আসার পর, তিনি সিদ্ধান্ত নেনে যে বৈরুতে যোগ দিয়ে তার শিক্ষাকে আরো সুদুরপ্রসারী করে নেবেন। তার পিতা সুলতান তায়াম্মুর বিন ফিয়াসাল ভয় পেয়েছিলেন যে, তাকে বৈরুতে পাঠিয়ে তিনি কোনভাবে খ্রিস্টধর্ম কর্তৃক প্রভাবিত না হয়ে যান।

সাইদ এর পিতা পশ্চিমা বিশ্বের দেখানো পথ শেখার বিরুদ্ধে এবং ইংরেজিতে কথা বলার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সোচ্চার ছিলেন। যখন সাঈদ ছোট ছিলেন তখন তার বাবাকে সাঈদ ও তার ভাই নাদিরকে একটি ইংরেজি প্রাইমার নামে ডাকা হত এবং তিনি তাদের সব বই পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন। বৈরুতের কাছে সাইদকে পাঠানোর পরিবর্তে, তার বাবা তাকে বাগদাদে পাঠিয়ে দেন এবং তিনি এক বছরের জন্য আরবি সাহিত্য ও ইতিহাস অধ্যয়ন শুরু করেন।

উৎস

  • Harris M. Lentz III, Heads of States and Governments: A Worldwide Encyclopedia of Over 2,300 Leaders, 1945 through 1992. McFarland & Company, Inc., 1994, p. 604. আইএসবিএন ০-৮৯৯৫০-৯২৬-৬.

তথ্যসূত্র

  1. Royal Ark
  2. Cleveland, Bunton, William L, Martin (২০১৩)। A History of the Modern Middle East। Boulder, CO: Westview Press। পৃষ্ঠা 409–410।

বহিঃসংযোগ

রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
তৈমুর বিন ফয়সাল
ওমান সুলতান
১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ – ২৩ জুলাই ১৯৭০
উত্তরসূরী
কাবুস বিন সাইদ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.