সাইফুদ্দিন শাহ্

সাইফুদ্দিন শাহ্ (জন্ম: ১৯৫১) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিনি ফেনীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[1]

অধ্যাপক ড.

সাইফুদ্দিন শাহ্
উপাচার্য
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
কাজের মেয়াদ
২০০৮  ২০১২
পূর্বসূরীমাহবুবুর রহমান
উত্তরসূরীমোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান
উপাচার্য
ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়
কাজের মেয়াদ
২০১৮  ২০২২
পূর্বসূরীফসিউল আলম
উত্তরসূরীজামালউদ্দীন আহমদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৫১ (বয়স ৭১৭২)
দিনাজপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য
পেশাঅধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক

জন্ম

তিনি ১৯৫১ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[2]

শিক্ষাজীবন

সাইফুদ্দিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে ফিশারিজে স্নাতক (সম্মান) এবং ফিশারিজ বায়োলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশ জেনেটিক্স এবং বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[2]

কর্মজীবন

সাইফুদ্দিন শাহ্ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে সহকারী অধ্যাপক হন। এরপর কয়েক বছর তিনি ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন মুখ্য বিজ্ঞানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পুনরায় শিক্ষকতায় ফিরে আসেন এবং ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিসারিজের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর লাভ করেন।

অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, লাইফ সায়েন্স স্কুলের ডিন, আবাসিক হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

সাইফুদ্দিন শাহ্ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এবং ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ফেনীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[2]

প্রকাশনা

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জেনেকিক্স অব অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক গ্রন্থের রচয়িতা। এছাড়া তিনি বিম্বিত প্রতীতি নামে একটি কবিতার বইও লিখেছেন।[2]

সম্মাননা

মৎস্য, শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ফোরাম কর্তৃক আজীবন সম্মাননা লাভ করেছেন।[1]

তথ্যসূত্র

  1. "ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্যকে সংবর্ধনা"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  2. "Profile of the Vice-chancellor" [উপাচার্যের জীবন বৃত্তান্ত]ফেনী বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.