সমসত্বতা ও অসমসত্বতা
সমসত্ব হচ্ছে ধারণা যা প্রায়ই বিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত হয় কোনো বস্তু বা জীবের সামঞ্জস্যতা বুঝাতে। কোনো বস্তু বা দৃশ্য তার উপাদান বা চরিত্রে (যেমন রঙ, আকৃতি, আকার, ওজন, উচ্চতা, বিতরন, গড়ন, ভাষা, আয়, রোগ, তাপমাত্রা, তেজস্ক্রিয়তা, স্থাপত্যনকশা ইত্যাদি) সমসত্ব যদি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যেটা অসমসত্ব, সেটা নির্দিষ্টটভাবে অসমাঞ্জস্যপূর্ণ কোনো না কোনো গুনে।
ব্যুৎপত্তি ও বানান
ইংরেজিতে homogeneous ও heterogeneous এসেছে মধ্যযুগীয় ল্যাটিন homogeneus ও heterogeneus, যা এসেছে প্রাচীন গৃক ὁμογενής (homogenēs) ও ἑτερογενής (heterogenēs), ὁμός (homos, “same”) এবং ἕτερος (heteros, “other, another, different”) যথাক্রমে, তারপরে γένος (genos, “kind”); -ous একটি বিশেষনীয় অনুসর্গ।
মাপমাত্রা
ধারনাগুলো সকল পর্যায়ের জটিলতাতে একই, পরমাণু থেকে পশু ও মানুষের জনসংখ্যা এবং নক্ষত্রপুঞ্জ। ফলে, কোনো বস্তু হয়তো বড় মাপে সমসত্ব, তার ছোট মাপে অসমসত্বতার সাথে তুলনা করলে। এটাকে বলা হয় একটি কার্যকরী মধ্যম হিসাবকরন।
উদাহরণ
বিভিন্ন শিক্ষনখাত অসমসত্বতা বা অসমসত্ব হওয়াকে বিভিন্নভাবে বুঝে। উদাহরণস্বরুপ:
সমসত্ব
রসায়নে একটি অসমসত্ব মিশ্রণে থাকে হয় অথবা উভযই ক) একাধিক অবস্থার পদার্থ খ)পানিযোজী ও পানিরোধি উপাদান একই মিশ্রণে; পরবর্তীটার উদাহরণ হচ্ছে পানি, অক্টেন ও সিলিকোন গ্রিজের মিশ্রণ। অসমসত্ব কঠিন, তরল এবং গ্যাসগুলোকে সমসত্ব হয়তো বানানো হবে গলিয়ে, নাড়িয়ে অথবা সময় অতিক্রান্ত হতে দিয়ে বিক্ষিপ্তকরনের মাধ্যমে অনুগুলোকে সমানভাবে ছড়াতে দিয়ে। উদাহরণ: পানিতে রঙ মিশালে প্রথমে অসমসত্ব মিশ্রণ তৈরি হবে কিন্তু সময় পার হলে তা সমসত্ব হবে। এন্ট্রপির ফলে অসমসত্ব বস্তুরা সমসত্ব বস্তুতে পরিনত হয়।
একটি অসমসত্ব মিশ্রণ হচ্ছে দুই বা ততোধিক যৌগের মিশ্রণ। উদাহরণ হচ্ছে: বালু ও পানির মিশ্রণ বা বালু ও লোহার ভরাটকারীর মিশ্রণ, একটি বহুমিশ্র পাথর, পানি ও তেল, একটা সালাদ, পথনির্দেশক মিশ্রণ, এবং কংক্রিট। একটি মিশ্রণকে সমসত্ব ধরে নেওয়া হয় যখন সবকিছু স্থির ও সমান, এবং তরল, গ্যাস, বস্তুটি একই রঙ বা একই রুপের। একাধিক মডেল প্রস্তাবনা করা হয়েছে বিভিন্ন দশাতে মিশ্রণ উপাদানের মডেল তৈরিতে। যেসব ঘটনাকে হিসাবে নেওয়া হয় তা হচ্ছে ভরের হার ও বিক্রিয়া।