সন্ধ্যা রায়

সন্ধ্যা রায় (ইংরেজি: Sandhya Roy) একজন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অভিনেত্রী। তিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। অভিনেত্রীদের পথিকৃৎ হিসেবে, তিনি সফলভাবে বিভিন্ন চরিত্র এবং সহ-অভিনেত্রী যেমন ভাবী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি সহ-অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম সিনেমায় কাজ করেন তাপস পালের সাথে দাদার কীর্তি অথবা শ্রীমান পৃথ্বীরাজ সিনেমায়।

সন্ধ্যা রায়
সূর্য স্নান চলচ্চিত্রে সন্ধ্যা
মেদিনীপুরের জন্য ভারতীয় সংসদের সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০১৪
পূর্বসূরীপ্রবোধ পান্ডা
উত্তরসূরীদিলীপ ঘোষ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৪৬
নবদ্বীপ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
রাজনৈতিক দলসর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীতরুণ মজুমদার (চলচ্চিত্র পরিচালক)
পেশাঅভিনেত্রী (১৯৫৮–১৯৮৫), রাজনীতিবিদ

তিনি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশে চলে যান। সন্ধ্যা রায়ের পৈতৃক নিবাস যশোরের বেজপাড়াতে।[1] তার দাদা বাংলাদেশের একজন জমিদার ছিলেন। তিনি ৭ বছর বয়সে তার বাবাকে এবং ৯ বছর বয়সে তার মাকে হারান। তার একজন ভাই আছে। তার মা-বাবা মৃত্যুর পর তিনি তার মামার কাছে চলে যান এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে, তিনি আবার ভারতে ফিরেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হল “মামলার ফল” যেখানে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন। তার অসামান্য অভিনয় কৌশলের তিনি অনায়াসে যে কোন সিনেমার চরিত্রের সাথে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারতেন, তার সমালোচক কর্তৃক প্রসংশিত সিনেমাগুলোর মধ্যে “সত্যজিত রায়ের” “অশনী সংকেত” এবং তরুণ মজুমদারের “ঠগিনী” এবং পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র যেমন “বাবা তারকনাথ”। তিনি বিশ্বজিৎ এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে রোমান্টিক সিনেমা “মণিহার” এবং বিশ্বজিতের বিপরীতে থ্রিলার সিনেমা কুহেলি'তে তে অভিনয় করেন। এই সিনেমায় তারকা ভরপুর একটি দল অভিনয় করে, এর মধ্যে ছায়া দেবী, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুমিতা স্যানাল এবং সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা

  • অন্তরীক্ষ (১৯৫৮)
  • গঙ্গা (১৯৬০)
  • মায়ামৃগ (১৯৬০)
  • কঠিন মায়া (১৯৬১)
  • আরোগ্য (১৯৬১)
  • শুভদৃষ্টি (১৯৬২)
  • রক্তপলাশ (১৯৬২)
  • নব দিগন্ত (১৯৬২)
  • ধূপ ছায়া (১৯৬২)
  • বন্ধন (১৯৬৩)
  • আসলি-নকলি (১৯৬২)
  • পলাতক (১৯৬৩)
  • ভ্রান্তিবিলাস (১৯৬৩)
  • পূজা কি ফুল (১৯৬৪)
  • সূর্যতপা (১৯৬৫)
  • একটুকু বাসা (১৯৬৫)
  • অন্তরাল (১৯৬৫)
  • আলোর পিপাসা (১৯৬৫)
  • মণিহার (১৯৬৬)
  • প্রস্তর স্বাক্ষর (১৯৬৭)
  • তিন অধ্যায় (১৯৬৮)
  • বাঘিনী (১৯৬৮)
  • রাহগির (১৯৬৯)
  • অপরিচিত (১৯৬৯)
  • আরোগ্য নিকেতন (১৯৬৯)
  • নিমন্ত্রণ (১৯৭১)
  • জানে-আনজানে (১৯৭১)
  • শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩)
  • অশনি সংকেত (১৯৭৩)
  • ঠগিনী (১৯৭৪)
  • ফুলেশ্বরী (১৯৭৪)
  • সংসার সীমান্তে (১৯৭৫)
  • পালঙ্ক (১৯৭৫)
  • বাবা তারকনাথ (১৯৭৫)
  • গণদেবতা (১৯৭৯)
  • দাদার কীর্তি (১৯৮০)
  • সংসার থেকে দূরে (১৯৮১)
  • মেঘমুক্তি (১৯৮১)
  • খেলার পুতুল (১৯৮১)
  • অমর গীতি (১৯৮৩)
  • পথভোলা (১৯৮৬)
  • আগমন (১৯৮৮)
  • পথ ও প্রাসাদ (১৯৯১)
  • নবাব (১৯৯১)
  • সত্য মিথ্যা (১৯৯২)
  • দেবীপক্ষ (২০০৪)
  • মা আমার মা (২০০৯)

তথ্যসূত্র

  1. সন্ধ্যা রায়, যোশোর.ইনফো। সংগ্রহীত তারিখ ১৬ই জানুয়ারি, ২০১৬।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.