সংযোজক পদ
সংযোজক পদ বা যোজক পদ হলো সে সকল শব্দ, যা পদ, বর্গ বা বাক্যকে সংযুক্ত করে।[1] বৃহৎ অর্থে এটি বাংলা অব্যয় পদের অংশ, তাই একে সংযোজক অব্যয়ও বলে।
বাংলা ব্যাকরণ |
---|
ইতিহাস |
ধ্বনিতত্ত্ব |
|
রূপতত্ত্ব/শব্দতত্ত্ব |
|
বাক্যতত্ত্ব |
|
অর্থতত্ত্ব |
|
ছন্দ ও অলংকার |
|
বিভিন্ন প্রকার সংযোজক
সাধারণ সংযোজক
সংযোজক পদের মধ্যে এটিই হলো প্রধান ও প্রাথমিক পদ। এই ধরনের সংযোজক পদ দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন- ও, এবং।[1]
উদাহরণ:
রহিম ও করিম এই কাজটি করেছে।
জলদি দোকানে যাও এবং পাউরুটি কিনে আনো।
বিকল্প সংযোজক
এই ধরনের সংযোজক পদ একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে। এ ধরনের পদ সাধারণত না-বাচক হয়। যেমন- বা, অথবা, না-কি (নাকি), না-হয় (না হয়), আর।[1]
উদাহরণ:
লাল বা নীল কলমটা আনো।
চা না-হয় কফি খান।
বিরোধ সংযোজক
এই ধরনের সংযোজক পদ বাক্যের দুটি অংশের সংযোগ ঘটায় এবং প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করে। যেমন- কিন্তু, তবে, তবু, তবুও, যদি, যত, তত, সুতরাং, অতএব।[1]
উদাহরণ:
এত পড়লাম, কিন্তু পরীক্ষায় ভালো করতে পারলাম না।
তাকে আসতে বললাম, তবু এল না।
কারণ সংযোজক
এই ধরনের সংযোজক পদ বাক্যের এমন দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ হয়। যেমন- কারণ, তাই, এভাবে, ফলে।[1]
উদাহরণ:
জিনিসের দাম বেড়েছে, কারণ চাহিদা বেশি।
বসার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে।
সাপেক্ষ সংযোজক
এ ধরনের সংযোজক পদ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দুটি বিরোধ সংযোজক পদ বাক্যের দুই স্থানে ব্যবহৃত হয়েও একই আচরণ করলে তা সাপেক্ষ সংযোজক হয়। যেমন- যদি...তবে, যত...তত।[1]
উদাহরণ:
যদি রোদ ওঠে, তবে রওনা দেবো।
যত পড়ছি, ততই নতুন করে জানছি।
তথ্যসূত্র
- বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ। ২০২১ সংস্করণ।