শৈশবকালীন অতিস্থূলতা
শৈশবকালীন অতিস্থূলতা হচ্ছে একটি শৈশবকালীন স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেখানে শরীরের অতিরিক্ত মেদ শিশু-কিশোরের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেহেতু সরাসরি মেদের পরিমাণ নির্ণয় করা কষ্টসাধ্য, তাই অতিস্থুলতা নির্ণয়ে প্রায় সময়ই বিএমআই ব্যবহৃত হয়। শিশুদের অতিস্থুলতার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও এর প্রচুর নেতিবাচক স্বাস্থ্যগত প্রভাবের কারণে শৈশবকালীন অতিস্থুলতা জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম উদ্বেগের বিষয়। এ সংক্রান্ত আলোচনায় সচারচর ‘অতিস্থুলতা’ পরিভাষার বদলে ‘ওজন বেশি’ শব্দগুচ্ছের চল বেশি। বিশেষ করে প্রকাশ্য আলোচনায় অপমানসূচক অবস্থা এড়াতে এর ভূমিকা আছে। শিশুর লৈঙ্গিক বৈশিষ্টের সাথে অতিস্থুলতার ব্যাপকতার তারতম্য দেখা যায়।
শৈশবকালীন অতিস্থূলতা | |
---|---|
বিভিন্ন মাত্রার মেদ বিশিষ্ট শিশু | |
বিশেষত্ব | অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিবিজ্ঞান, শিশুচিকিৎসাবিজ্ঞান, bariatric medicine |
স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
মানসিক
অতিস্থুল শিশুদের মধ্যে প্রথম যে সমস্যাটি দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আবেগঘটিত ও মানসিক। অতিস্থুল শিশুরা প্রায় সময়ই তাদের সহপাঠীসহ আশেপাশের মানুষের দ্বারা উৎপীড়ন বা বুলিংয়ের স্বীকার হয়। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের শিশুরা তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারাও নিগৃহীত ও বঞ্চিত হয়ে থাকে। বাঁধাধরা বৃদ্ধির কারণে এ ধরনের শিশুরা অনেক সময় কম আত্মশ্রদ্ধা এবং বিষণ্ণতা নিয়ে বড় হতে থাকে।
শারীরিক
শৈশবকালী অতিস্থুলতা জীবনের হুমকিস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারণ হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ঘুমের সমস্যা, ক্যান্সার, এবং অন্যান্য রোগ-ব্যাধি। অতিস্থুলতার কারণে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এমন আরও কিছু রোগের মধ্যে বৃক্কের বিভিন্ন রোগ, অকাল বয়ঃসন্ধি বা রজঃচক্রের শুরু, খাবার গ্রহণে অনীহা, ত্বকের সংক্রমণ, হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বসীয় সমস্যা।