শেফিল্ড
শেফিল্ড (ইংরেজি: Sheffield; /ˈʃɛfiːld/ (শুনুন)) পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড দেশটির উত্তর-মধ্য অংশে দক্ষিণ ইয়র্কশায়ার অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, নগর এবং মহানগর এলাকার নাম। শহরটি পেনাইন উচ্চভূমির পাদদেশে এবং শিফ, পোর্টার, রিভলিন ও লক্সলি নামক চারটি পাহাড়ী উপনদীর মিলনে উদ্ভূত ডন নদীর উৎসস্থলের কাছে অবস্থিত। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শহরটির অবস্থান। শেফিল্ড নগরীর জনসংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ[2] এবং এর মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ।[1]
শেফিল্ড | |
---|---|
শহর এবং মেট্রোপলিটন ব্যুরো | |
প্রতীক কাউন্সিল লোগো | |
ডাকনাম: "ইস্পাতের শহর" | |
নীতিবাক্য: "Deo Adjuvante Labor Proficit" "With God's help our labour is successful" | |
শেফিল্ড দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারর মধ্যে দেখানো হয়েছে | |
শেফিল্ড শেফিল্ড শেফিল্ড | |
স্থানাঙ্ক: ৫৩°২৩′ উত্তর ১°২৮′ পশ্চিম | |
সার্বভৌম রাষ্ট্র | যুক্তরাজ্য |
গণপরিষদ দেশ | ইংল্যান্ড |
অঞ্চল | ইয়র্কশায়ার এবং হাম্বার |
আনুষ্ঠানিক কাউন্টি | South Yorkshire |
ঐতিহাসিক কাউন্টি | Yorkshire Urban core and outlying areas Derbyshire কিছু দক্ষিণ শহরতলি |
প্রতিষ্ঠাকাল | আনু. অষ্টম শতাব্দী |
টাউন চার্টার | ১০ই আগস্ট ১২৯৭ |
শহরের অবস্থা | ১৮৯৩ |
প্রশাসনিক সদর দফতর | শেফিল্ড টাউন হল |
সরকার | |
• ধরন | Metropolitan borough and শহর |
• পরিচালনা কমিটি | শেফিল্ড সিটি কাউন্সিল |
• লর্ড মেয়র | টনি ডাউনিং (লেবার পার্টি) |
• কাউন্সিল নেতা | জুলি ডোর (লেবার পার্টি) |
• এমপি: | Clive Betts (লেবার পার্টি) Paul Blomfield (লেবার পার্টি) Jared O'Mara (Ind) Louise Haigh (লেবার পার্টি) Gill Furniss (লেবার সমবায় সমিতি) অ্যাঞ্জেলা স্মিথ (Ind) |
আয়তন | |
• শহর | ১৪২.০৬ বর্গমাইল (৩৬৭.৯৪ বর্গকিমি) |
জনসংখ্যা (mid-2019 est.) | |
• শহর | ৫,৫১,৮০০ (Ranked ৩rd) |
• পৌর এলাকা | ৬,৮৫,৩৬৮ (Sheffield urban area) |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ১০,৬০০/বর্গমাইল (৪,০৯২/বর্গকিমি) |
• মহানগর | ১৫,৬৯,০০০ [1] |
• জাতিতত্ত্ব | জাতিগত গোষ্ঠী |
বিশেষণ | শেফিল্ডের |
সময় অঞ্চল | গ্রীনিচ মান সময় (ইউটিসি+০) |
পোষ্ট কোড | এস |
এলাকা কোড | ০১১৪ |
ওয়েবসাইট | www.sheffield.gov.uk |
শেফিল্ড একটি সবুজ নগরী। নগরের ৬১% জায়গাই গাছপালায় আচ্ছাদিত।[3] এখানে ২৫০টি উদ্যান, বাগান ও বনানী আছে, যেগুলিতে সব মিলিয়ে গাছের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ।[4] এটিকে কেউ কেউ "ইংল্যান্ডের বৃহত্তম গ্রাম" হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।[5][6][7]
১৯শ শতকে শেফিল্ড ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল। ফলে শহরের জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় এবং এটি একটি বৃহৎ নগরে পরিণত হয়। শহরটি ১৮৪৩ সালে পৌর শহর এবং ১৮৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ নগরের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৭০-এর দশকে এসে এই শিল্প দুইটির অবনতি ঘটে। তা সত্ত্বেও বর্তমানে শেফিল্ড ইস্পাত ঢালাইয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রগুলির একটি। তবে বর্তমানে শেফিল্ডের সিংহভাগ কর্মজীবী সেবা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট।
শেফিল্ড শহরে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ফুটবল ক্লাব শেফিল্ড ফুটবল ক্লাবের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এছাড়া এখানে বিশ্ব স্নুকার শিরোপা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র
- "British Urban Pattern: Population Data (Epson)" (পিডিএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- The mid-2019 est. population for the whole City of Sheffield was 551,800 according to the Office for National Statistics (টেমপ্লেট:English district population citation), though some population figures, like those given at List of English cities by population, use just the urban core of the city and are therefore lower.
- "City Profile Introduction"। Sheffield City Council। ৩১ জানুয়ারি ২০১৩। ১৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৩।
- Sofos, Dino (২৩ মার্চ ২০১৮)। "Sheffield tree-felling: Gove will 'do anything' to end row"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৮।
- Baldwin, John; Bottoms, A.E; Walker, Monica A. (১৯৭৬)। The urban criminal: a study in Sheffield। Social science paperbacks। 159। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-0-422-74870-4।
- Binfield, Clyde, সম্পাদক (১৯৯৩)। The History of the City of Sheffield, 1843–1993: Society। 2। Sheffield Academic Press। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 978-1-85075-431-2।
- Burgoyne, Jacqueline Lesley; Clark, David (১৯৮৪)। Making a go of it: a study of stepfamilies in Sheffield। Routledge। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-0-7102-0318-2।
বহিঃসংযোগ
- উইকিউক্তিতে শেফিল্ড সম্পর্কিত উক্তি পড়ুন।
- উইকিভ্রমণ থেকে শেফিল্ড ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
- Sheffield City Council Website
- South Yorkshire Historic Environment Characterisation