শিলাপাথার
শিলাপাথার হচ্ছে ভারতের অসম রাজ্যের ধেমাজী জেলার একটি শহর। শহরটি ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর তীরবর্তী গুয়াহাটি শহর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শিলাপাথার চিলাপথাৰ | |
---|---|
City | |
শিলাপাথার | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°৩৫′৪৩″ উত্তর ৯৪°৪৩′১২″ পূর্ব | |
দেশ | India |
রাজ্য | আসাম |
জেলা | ধেমাজী |
শিলাপাথার টাউন কমিটি | ১৯৯১ |
সরকার | |
• শাসক | শিলাপাথার টাউন কমিটি |
• উপায়ুক্ত | শ্রী অজিত কুমার বরদলৈ, এ.সি.এস. |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২২,৩০৭ |
ভাষা | |
• সরকারী | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
পিন | 787059 |
টেলিফোন কোড | +৯১, ০৩৭৫৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | এস-২২ |
এটা ধেমাজী জেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল যা অসমীয়া, নেপালি, হিন্দি মিশ্রিত এবং বাংলা ভাষী মানুষদের একটি সমন্বিত মিশ্রণ।
জনপরিসংখ্যান
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে শিলাপাথার শহরের মোট জনসংখ্যা হল ২২,৩০৭ জন;[1] এরমধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। শিলাপাথারে সাক্ষরতার হার ৬৯%, যা সারা ভারতের সাক্ষরতার হারের ৫৯.৫% চাইতে বেশি। এখানে পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৩%। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
লীলবাড়ী বিমানবন্দর যা লখিমপুর জেলার সদরশহর লখিমপুরে পড়ে শিলাপাথারের নিকটতম বিমানবন্দর। খুব কম সংখ্যক উড়ানগুলি লীলবাড়ী বিমানবন্দর থেকে উড়ান দেয় তাই বাণিজ্যিকভাবে সক্রিয় নয় । বগীবিল সেতু নামে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর শিলাপাথার এবং ডিব্রুগড় সংযোগকারী একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলিতেছে। যাতে যোগাযোগের ব্যবস্থা অনেক ভালো হতে যাচ্ছে, ডিব্রুগড়ের মোহনবারী বিমানবন্দর প্রবেশ বেশ সহজ হয়ে যাবে এবং ইহা একটি বাণিজ্যিকভাবে সক্রিয় বিমানবন্দর।
রঙিয়া-মোককসেলেং ব্রড গেজ রূপান্তর বর্তমানে সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং শিলাপাথার এখন ব্রডগেজ যাত্রাপথে। দৈনন্দিন আন্তঃনগর ট্রেন ১৫৬১৩/ জীএচওয়াই এমজেডএস আইসি দ্রুতগামী (গুয়াহাটি থেকে মোককসেলেং) {15613/GHY MZS IC EXP (Guwahati to Murkongsleek)} বিকেল ০৬:১০ ঘটিকাতে গুয়াহাটি থেকে যাত্রা শুরু করে এবং প্রাত ০৩:০০ ঘটিকায় শিলাপাথার পৌঁছায়।
বগীবিল সেতু সম্ভবত ২০১৮ ইংরেজিতে সম্পন্ন হবে।
বর্তমানে এনএচ-৫২ শিলাপাথারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
প্রতি বছর বর্ষাকালে অন্তত দুমাসের জন্য শহরটি দেশের অন্যান্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে, তথাপি সেখানকার বাসিন্দারা সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেয়। সেখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাস নিতে হয়। শহরটির বাসিন্দারা কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এবং কিছু নৌকো দিয়ে পারি দিয়ে বাস ধরে।
ব্যাংক পরিষেবা
এখানে রয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাংক-এর শাখা। এরা এখানে এটিএম পরিষেবাও দেয়।
শিক্ষাব্যবস্থা
শিলাপাথারের প্রধান বিদ্যালয়গুলো হলোঃ শিলাপাথার আবাসিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), ডন বস্কো হাই স্কুল, শিলাপাথার (১৯৭১), রেসিডেন্সিয়াল ইংলিশ হাই স্কুল, ভৈরবপুর নেতাজী এম ই স্কুল ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে পাঁচটি কলেজ রয়েছে।
রাজনীতি
শিলাপাথার লখিমপুর (লোকসভা কেন্দ্র)[2] এবং ১১৪ জোনাই (উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অংশ। বর্তমানে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শ্রীযুক্ত প্রধান বড়ুয়া ১১৪ জোনাই (উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
সংসদ সদস্যবৃন্দ
লোক সভা | সময়কাল | সদস্যদের নাম | অন্তর্ভুক্ত দল |
---|---|---|---|
প্রথম | ১৯৬৭ | বিশ্বনারায়ণ শাস্ত্রী | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দ্বিতীয় | ১৯৭১ | বিশ্বনারায়ণ শাস্ত্রী | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
তৃতীয় | ১৯৭৭ | লালিত কুমার | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
চতুর্থ | ১৯৮৪ | গকুল শইকীয়া | অসম গণ পরিষদ |
পঞ্চম | ১৯৯১ | বলীন কুলি | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
ষষ্ঠ | ১৯৯৬ | অরুন কুমার শর্মা | অসম গণ পরিষদ |
সপ্তম | ১৯৯৮ | রাণী নরহ | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
অষ্টম | ১৯৯৯ | রাণী নরহ | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
নবম | ২০০৪ | অরুন কুমার শর্মা | অসম গণ পরিষদ |
দশম | ২০০৯ | রাণী নরহ | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
একাদশ | ২০১৪ | সর্বানন্দ সোনোয়াল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
যোগাযোগ ব্যবস্থা
শিলাপাথারে শালীন ল্যান্ডলাইন, মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সংযোগ রয়েছে। বেতার ডেটাকার্ড এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবার মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। প্রধান সেলুলার পরিষেবা প্রদানকারীর মধ্যে রয়েছে এয়ারটেল, বিএসএনএল, এয়ারসেল, ভোডাফোন, রিলায়েন্স ইত্যাদি। এছাড়া 3G পরিষেবা শহরে একটি নবতম সংযোজন।
হাসপাতাল
- অসামরিক হাসপাতাল
শহুরে অঞ্চলগুলি
এলাকাগুলো হলোঃ লিকাবালি রোড, পাল পট্টি, স্টেশন রোড, হাই সেকন্ডারী রোড, লাচিত নগর, গান্ধী নগর, বামগাঁও, জোনাই রোড, মাধুরী পাথার, সুভাষ পল্লী, জোনাকী নগর, পি.ডব্লু.ডি. কোলোনী, নুতুন মিসিং গাঁও, মেডিকেল রোড, অমৃতপুর, জুনাকী নগর, মেইন রোড, নতুন মিসিং গাঁও, মাঝগাঁও, সোসাইটি, কল্য়াণপুর, রুয়াত লগর, কল্য়াণনগর, ১ নং মিসিং গাঁও, ২ নং মিসিং গাঁও, কঙ্কন নগর, কর্পুনপুলি, লিসাং নগর, জারসাং নগর, জ্য়োতি নগর।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
- কাইলি মাতা মন্দির ( শিলাপাথার রেলওয়ে স্টেশন গ্রাউন্ড )
- হনুমান মন্দির
- রাধা কৃষ্ণ মন্দির
- কালীবাড়ি মন্দির
- উচ্চমাধ্যমিক গ্রাউন্ড
- মঙ্গল বাজার
- মালিনি থান
- রুক্মিণী থান
তথ্যসূত্র
- "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
- "List of Parliamentary & Assembly Constituencies" (পিডিএফ)। Assam। Election Commission of India। ২০০৬-০৫-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৬।