শিরীন শারমিন চৌধুরী

শিরীন শারমিন চৌধুরী (জন্ম: ৬ অক্টোবর ১৯৬৬) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন।[1] ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকাররূপে সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন।[2] এরপূর্বে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[3] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ এ তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারী পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

স্পীকার

শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় সংসদের স্পিকার
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ এপ্রিল ২০১৩
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
ডেপুটিফজলে রাব্বি মিয়া, শামসুল হক টুকু
পূর্বসূরীআবদুল হামিদ
শওকত আলী (ভারপ্রাপ্ত)
রংপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
জানুয়ারি ২০১৪
পূর্বসূরীআবুল কালাম আজাদ
প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৬ জানুয়ারি ২০০৯  ৩০ এপ্রিল ২০১৩
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
৩১ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৫ জানুয়ারি ২০০৯  ২৪ জানুয়ারি ২০১৪
উত্তরসূরীওয়াসিকা আয়শা খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1966-10-06) ৬ অক্টোবর ১৯৬৬
নোয়াখালী, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীসৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন
সন্তানএক ছেলে ও এক মেয়ে
বাসস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
প্রাক্তন শিক্ষার্থী

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।[4] নোয়াখালী জেলার চাটখিলের সিএসপি অফিসার ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব রফিকুল্লাহ চৌধুরীর কন্যা তিনি। আর মা ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষবাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য প্রফেসর নাইয়ার সুলতানা। তার নানা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি সিকান্দার আলী। তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮৫ সালে এইচএসসি-তে একই বোর্ডে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। শিরীন শারমিন চৌধুরী একজন কমনওয়েলথ স্কলার। ২০০০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো সংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার।[5]

কর্মজীবন

এলএলএম পাশ করার পর তিনি ১৯৯২ সালেই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর এডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।[5] নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সেইসাথে সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. রুখসানা, শায়লা (৩০ এপ্রিল ২০১৩)। "প্রথম নারী স্পিকার পেলো বাংলাদেশ"www.bbc.co.uk। বিবিসি বাংলা।
  2. "শোক আর সংঘাতের মধ্যেও একদিনে দুটি সুসংবাদ"। www.dw.de। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩
  3. "State Minister's Biography"। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২৫ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-২৩
  4. "শিরীন শারমিন দেশের প্রথম নারী স্পিকার.দৈনিক প্রথম আলো"। ২০১৩-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩
  5. STATE MINISTER’S BIOGRAPHY « Ministry of Women and Children Affairs
  6. "আইপিইউ সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল: শিরীন শারমিন চৌধুরী"প্রিয়.কম। ২০২০-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী:
কর্নেল শওকত আলী (ভারপ্রাপ্ত)
জাতীয় সংসদের স্পিকার
৩০ এপ্রিল, ২০১৩-বর্তমান
উত্তরসূরী:
নেই
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.