শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল
শিযুওকা (বা, শিজুওকা) প্রশাসনিক অঞ্চল (静岡県? শিজুওকা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[1] এর রাজধানী শিযুওকা নগর, এবং সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ নগর হামামাৎসু।[2]
শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল 静岡県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 静岡県 |
• রোমাজি | Shizuoka-ken |
পতাকা | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°৫৫′ উত্তর ১৩৮°১৯′ পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউবু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | Shizuoka (city) |
আয়তন | |
• মোট | ৭,৭৭৯.৬৩ বর্গকিমি (৩,০০৩.৭৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৩শ |
জনসংখ্যা (১লা জুলাই, ২০১০) | |
• মোট | ৩৭,৭৪,৪৭১ |
• ক্রম | ১০ম |
• জনঘনত্ব | ৪৮৫.১৭/বর্গকিমি (১,২৫৬.৬/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-22 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ৩৫ |
ফুল | অ্যাজালিয়া (রোডোডেন্ড্রন) |
গাছ | মিষ্টি অস্ম্যান্থাস (অস্ম্যান্থাস ফ্র্যাগ্রান্স বি. অরাটিয়াকাস) |
পাখি | জাপানি প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার (টার্প্সিফোন অ্যাট্রোকর্ডাটা) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
শিযুওকায় আজ থেকে প্রায় ১৪,০০০ বছর আগেকার জনবসতির নিদর্শন ও দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। ১৯৬০ এর দশকে এই আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাগৈতিহাসিক নমুনা উদ্ধার করা হয়েছে সমগ্র প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রায় ২০০ টি স্থান থেকে। প্রধানত ইওয়াতাহারা মালভূমির পশ্চিমাংশ, আশিতাকায়ামা পর্বতের দক্ষিণ এবং হাকোনে পার্বত্যাঞ্চলে এই নমুনাগুলির অধিকাংশ কেন্দ্রীভূত।
প্রাচীন তোতোমি, সুরুগা ও ইযু প্রদেশের সংযুক্তির মাধ্যমে বর্তমান শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলের সৃষ্টি হয়।[3]
শিযুওকা ছিল প্রথম তোকুগাওয়া শোগুন, তোকুগাওয়া ইয়েআসুর জন্মস্থান। তিনি কান্তোও অঞ্চলের হোওজোও পরিবারকে পরাস্ত করার পর সেখানে রাজধানী স্থানান্তর করেন এবং শিযুওকার শাসনভার ওদা নোবুনাগার হাতে ন্যস্ত করে যান। শোগুন পদে আসীন হওয়ার পর পুনরায় অধুনা শিযুওকা নগর-সন্নিহিত অঞ্চল শোগুনের প্রত্যক্ষ একচ্ছত্র ক্ষমতায় আসে।
১৮৬৮ খ্রিঃ মেইজি সম্রাটের অভিষেকের সময় শিযুওকা নগর ও তৎসন্নিহিত অঞ্চল নিয়ে পূর্বতন হান্ ব্যবস্থা অনুসারে গঠিত হয় সুন্পু সামন্তক্ষেত্র বা শিযুওকা হান, যার অধিকার থাকে তোকুগাওয়া পরিবারেরই হাতে। ১৮৭১ খ্রিঃ ২৯শে আগস্ট হান ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে শিযুওকা ও হোরিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়। বার বার মানচিত্র বদলের পর ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল তার বর্তমান আকৃতি লাভ করে।
ভূগোল
শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলের আয়তন ৭,৭৭৭ বর্গ কিমি। এর পশ্চিমে ও উত্তরে রয়েছে যথাক্রমে আইচি এবং নাগানো, য়ামানাশি ও কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পূর্বে ও দক্ষিণে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলভাগ। পশ্চিম সীমায় জাপানি আল্পস পর্বতমালা বিদ্যমান, এবং পূর্বের অধিকাংশ জুড়ে আছে একাধিক মনোরম পর্যটনকেন্দ্র সমৃদ্ধ ইযু উপদ্বীপ।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলের ১১ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে ফুজি-হাকোনে-ইযু এবং মিনামি আল্পস জাতীয় উদ্যান; তেন্রিউ-ওকুমিকাওয়া উপ-জাতীয় উদ্যান এবং চারটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]
তোওকাই ভূমিকম্প
ঐতিহাসিকভাবে প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছর অন্তর শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলে ভূমিকম্পের তাণ্ডব দেখা গেছে। ২০১১ এর ১৫ই মার্চ, মঙ্গলবার একটি ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প অঞ্চলটিকে আঘাত করে। এটির উপকেন্দ্র ছিল শিযুওকা নগরের প্রায় ৪২ কিমি উত্তর-উত্তর-পূর্বে।
অর্থনীতি
শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলে চা, স্ট্রবেরি, কমলালেবু, পীচ ও গোলাপ ফুলের চাষ উল্লেখযোগ্য। উন্নত জিন প্রযুক্তিতে নির্মিত বীজবিহীন সাৎসুমা কমলালেবু অত্যন্ত জনপ্রিয়।
কাঠের জিনিস নির্মাণ ও কারুকাজে শিযুওকার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। অবশ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কারিগরী শিল্পের অধিকাংশে কাঠের জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের খেলনা ও মডেল নির্মাণে বর্তমানে এই অঞ্চল অগ্রগণ্য।
তথ্যসূত্র
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Shizuoka-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 876, পৃ. 876,; "Chūbu" in গুগল বইয়ে p. 126, পৃ. 126,
- Nussbaum, "Shizuoka" at গুগল বইয়ে p. 876, পৃ. 876,.
- Nussbaum, "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।