শাহ আব্দুল কাদির রায়পুরী রহ. (বই)

শাহ আব্দুল কাদির রায়পুরী রহ. (উর্দু: سوانح حضرت مولانا عبد القادر رائےپوری, প্রতিবর্ণী. সাওয়ানেহে হজরত মাওলানা আব্দুল কাদির রায়পুরী) ভারতীয় বংশদ্ভূত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল কাদের রায়পুরীকে নিয়ে লিখিত ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর একটি উর্দু জীবনী সাহিত্য। এটি ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। ১৫টি অধ্যায়ে সমাপ্ত এই গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন মনজুর নোমানীমুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভির মৃত্যুর পর নদভী আব্দুল কাদের রায়পুরীর সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেন এবং তাকে তার পরামর্শদাতা হিসেবে বিবেচনা করেন। রায়পুরীর মৃত্যুর পর পরই তিনি তার একটি বিশদ জীবনী রচনা করেন। এই বইটিতে নদভী তার পরামর্শদাতার আধ্যাত্মিক জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং তার দৈনন্দিন সময়সূচী এবং সুফিবাদী অনুশীলনগুলি ব্যাপকভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। এর সাথে নদভী তাসাউফ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন। এটি সুফিবাদ নিয়ে নদভীর সর্বজন স্বীকৃত এবং সর্বাধিক উল্লেখিত বই।[1][2]

শাহ আব্দুল কাদির রায়পুরী রহ.
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ
লেখকআবুল হাসান আলী হাসানী নদভী
মূল শিরোনামউর্দু: سوانح حضرت مولانا عبد القادر رائےپوری
দেশভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়আব্দুল কাদের রায়পুরী
ধরনজীবনী
প্রকাশিত১৯৬৫
প্রকাশকমাকতাবায়ে ইসলাম
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩৫২
ওসিএলসি১০৬১৭৩২৫৪৭
২৯৭.০৯
এলসি শ্রেণীবিপি৮০.এ২২১৪ এন৩ ১৯৬৫
ওয়েবসাইটabulhasanalinadwi.org

বিষয়বস্তু

লেখক রায়পুরীর পরিবার, শৈশব, শিক্ষা গ্রহণের বর্ণনা দিয়ে গ্রন্থটির সূচনা করেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করেন রায়পুরীর আধ্যাত্মিক সাধনা নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়ে রায়পুরীর খানকাহ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ আছে৷ চতুর্থ অধ্যায়ে রায়পুরীর মৃত্যুর আলোচনা এসেছে। পঞ্চম অধ্যায়ে রায়পুরীর আন্তরিকতা, ভালবাসা এবং নৈতিকতার বিবরণ আছে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে রায়পুরের হালচাল বর্ণিত হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে ইসলাহ'র জন্য রায়পুরীর প্রচেষ্টা সমূহের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। অষ্টম অধ্যায়ে রায়পুরীর সময় দেশ ভাগ, দাঙ্গা, জনসংখ্যা বিনিময়ের উল্লেখ আছে৷ নবম অধ্যায়ে তার উত্তর প্রদেশ, দিল্লি ও পূর্ব পাকিস্তান সফরের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দশম ও এগারো অধ্যায়ে তার পাকিস্তান ভ্রমণ ও অসুস্থতার বিবরণ প্রদান করা হয়েছে। বারো অধ্যায় রায়পুরীর প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। রায়পুরী নীরব নিভৃতে ইসলামের জন্য যে কাজ করেছেন, তার বর্ণনা রয়েছে তেরো অধ্যায়। শেষ দুই অধ্যায়ে তার গুণ, সুলুক ও মারিফতের বর্ণনা দিয়ে গ্রন্থটির ইতি টানা হয়েছে।[3]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. খান, জুবায়ের জাফর (২০১০)। এ ক্রিটিকাল স্টাডি অব মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী’স ইসলামিক টথ (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৪৭।
  2. আবদুল গফফার, প্রফেসর (২০০৪)। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে আবুল হাসান আলী নদভীর অবদান (গবেষণাপত্র) (উর্দু ভাষায়)। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ। ভারত: উর্দু বিভাগ, শ্রী সংকরাচার্য সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৯২। ওসিএলসি 1015275663
  3. নদভী, মুহসিন উসমান (২০০২)। মুতালায়ে তাসানিফাত মুফাক্কিরে ইসলাম আবুল হাসান আলী নদভী [আবুল হাসান আলী নদভীর রচনাবলির গবেষণা] (উর্দু ভাষায়)। ভারত: আরশি পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ২৬৩–২৭৩।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.