শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ

শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার একটি বেসরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়। যা ইউরোপীয় নকশার আদলে তৈরিকৃত ভবনে প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[2] চাঁদপুর জেলার সৌন্দর্য্যময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জেলার দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও এ বিদ্যালয়ের পরিচিতি রয়েছে। [1][3]

শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে অবস্থিত নান্দনিক সৌন্দর্য্যে শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ (২০১৯)
অবস্থান
Map

চাঁদপুর
, ,
চাঁদপুর
,
৩৬০০

স্থানাঙ্ক২৩.১৭৪৩৩৩° উত্তর ৯০.৬৫২১৯৪° পূর্ব / 23.174333; 90.652194
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনব্যক্তিগত উদ্যোগ, গ্রামীণ বিদ্যালয়
ধর্মীয় অন্তর্ভুক্তিইসলামী চেতনা
প্রতিষ্ঠাকাল১১ অক্টোবর ২০১৫ (2015-10-11)
প্রতিষ্ঠাতামো. শাহাবুদ্দিন খান
স্থান১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন
বিদ্যালয় বোর্ডশাহাবুদ্দিন খান ফাউন্ডেশন
বিদ্যালয় জেলাচাঁদপুর জেলা
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকপ্রাথমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
অনুমোদনকারীকুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
প্রধান শিক্ষকশংকর চন্দ্র সাহা[1]
কর্মকর্তা৩ জন
শিক্ষকমণ্ডলী১৫ জন
শ্রেণীকক্ষ১০টি
ক্যাম্পাস১টি
শিক্ষায়তন১১৬ শতাংশ
আয়তনচারদিক
ক্যাম্পাসের ধরনইট, পাথর, কাঠ ও টিন
হাউস৪টি একাডেমিক ভবন ও ১টি জামে মসজিদ
রংসবুজ ঘাসের সাথে সবুজ দেয়াল
তথ্যবিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ

বিবরণ

বিদ্যালয়টি দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন। ছাদের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে কারুকাজে সজ্জিত সিমেন্ট শীটের ছাউনি। ভবনের মাঝখানে এবং একেবারে পূর্বপাশে রয়েছে দুটি প্রশস্ত সিঁড়ি। পূর্বপাশের সিঁড়ির নিচে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ রয়েছে। উভয় তলাতে প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে শুধু শ্রেণিকক্ষগুলোর অর্ধেক উঁচু পর্যন্ত রঙিন টিনশেডে আবৃত। শ্রেণিকক্ষ গুলোর আশপাশে বাঁশের তৈরি থলিতে মোড়ানো এনার্জি বাল্ব লাগানো রয়েছে। নিচতলার পশ্চিম কোণে রয়েছে দুটি আলাদা ওয়াশরুম। রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকমের ক্রীড়া সামগ্রী। এর প্রবেশমুখের ডান দিকে কারুকার্য খচিত বাহারি নকশার একটি জামে মসজিদ[4] মসজিদ আর স্কুল আঙিনা মিলে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। আঙিনার একপাশে রয়েছে শহীদ মিনার। মূল ভবন ইট ও কনক্রিটের তৈরি, তবে ছাদের নকশায় কাঠ এবং নানা রঙের ঢেউটিন ব্যবহারে করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০ জন । নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা চলছে। (২০১৯ পর্যন্ত) প্রতিবছর একটি শ্রেণি করে বিদ্যায়লটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে রুপান্তিরত হচ্ছে। [3][5]

ইতিহাস

শাহাবুদ্দিন স্কুল ১১ অক্টোবর ২০১৫ সালে চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশের শিল্পউদ্যোক্ত মো. শাহাবুদ্দিন অনু তার নিজের প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন। তিনি ১১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নান্দনিক এই স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শাহাবুদ্দিন ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায় ‘শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ’। প্রথম দিকে এতে প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শুরু করা হয়। ১৬৮জন ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান করা হয়। ১৫ জন শিক্ষক পাঠদানের কাজে জড়িত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর একটি শ্রেণি উন্নিত করা হয়। [6][7]

অবস্থান

বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রায় দেড় একর খোলা ভূমির ওপর নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। চাঁদপুর জেলা শহর থেকে হরিণা ফেরিঘাটে যাওয়ার পিচঢালা সড়কের পাশে পড়ে লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এ গ্রামেই বিদ্যালয়ের অবস্থান। খেলাধুলা ও আনন্দের সঙ্গে শিশুদের মানবিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে এর কারুকার্যগুলো দর্শনীয়। এটি চাঁদপুর জেলার একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। [4][6][8]

তথ্যসূত্র

  1. "চাঁদপুরে নজর কেড়েছে নান্দনিক স্থাপনার স্কুল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৯ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  2. "লক্ষ্মীপুর যেন এক ইউরোপ..."দৈনিক জনকণ্ঠ। ১২ জুলাই ২০১৯। ১২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  3. "বিশ্বাসই হয় না এটা বাংলাদেশের স্কুল"দ্য বাংলাদেশ টুডে। ৬ জুলাই ২০১৯। ২০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  4. "স্কুল তো নয় যেন অভিজাত রিসোর্ট"জাগো নিউজ। ৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  5. "স্কুলটির কারুকাজ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি বাংলাদেশে!"। দৈনিক অধিকার নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  6. "যেখানে শিশুদের কলকাকলীতে প্রকৃতি জেগে উঠে"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৮ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯
  7. "চাঁদপুরে দৃষ্টিনন্দন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান || Shahbuddin School and college"ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
  8. "চাঁদপুরে স্কুলটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়"। দৈনিক দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.