শহীদ সাবের

শহীদ সাবের (জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩০ - মৃত্যু: ৩১ মার্চ, ১৯৭১) একজন কথাশিল্পী, সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবী।

শহীদ সাবের
জন্ম১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩০
পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়া, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁহ, কক্সবাজার
মৃত্যু৩১ মার্চ, ১৯৭১
দৈনিক সংবাদ কার্যালয়, বংশাল, ঢাকা
জাতীয়তাভারতীয় (১৯৩০-১৯৪৭), পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১) এবং বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ,
পেশাশিক্ষকতা, সাংবাদিকতা
পরিচিতির কারণকবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক
রাজনৈতিক দলপূর্ব বাংলা ছাত্র ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান প্রগতি লেখক সংঘ, সংস্কৃতি বৈঠক, পূর্ব পাকিস্তান সংস্কৃতি সম্মেলন, পাকিস্তান লেখক সংঘ

জন্ম ও শৈশব

১৯৩০ সালের ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও (বর্তমান ইসলামাবাদ ইউনিয়ন)’র পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়াস্থ নানার বাড়িতে জন্ম নেন শহীদ সাবের। পিতা-মাতা উভয়ের দিক দিয়ে তিনি অভিজাত বংশীয়। পিতা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং নিবাসী সরকারি উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছালামত উল্লাহ ও শফিকা খাতুনের সন্তান। মায়ের আশ্রয়েই শহীদ সাবেরের নিজস্ব জগত গড়ে উঠতে লাগলো। বড় হতে লাগল নানা বাড়িতেই মায়ের স্নেহছায়ায়। ছোটবেলা থেকেই শান্ত-স্বভাবের ছিলেন তিনি। দামাল ছেলের দুরন্তপনা তাঁর মধ্যে ছিলো না। ঈদগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র থাকার সময় মাকে ছেড়ে পিতার কাছে সৎমায়ের সংসারে কলকাতায় চলে যান। কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হয়ে বরাবরই ক্লাসের সেকেন্ড বয় হিসেবে পরিচিত পান। ১৯৪৭ সালের দেশভাগে সপরিবারে তারা পূর্ব বাংলায় চলে আসেন।

শিক্ষা, কর্ম ও রাজনৈতিক তৎপরতা

মায়ের ছত্রছায়ায় ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরু। নানা বাড়ির পাশেই ছিলো মায়ের নিজস্ব একটি বাড়ি। সেই বাড়িতেই শৈশবের মনোরম দিনগুলো কাটিয়েছেন সাবের। ঈদগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার পূর্বেই শহীদ সাবেরের কিশোর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের ঘটনা ঘটে। জীবনের এ পালাবাদলের প্রভাব আমৃত্যু তাকে বয়ে বেড়াতে হয়েছে। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে শহীদ সাবেরের জীবনের মোড় বদলিয়ে দিলো। পরিবারের দিক থেকে যে জীবনটা গড়ে উঠার কথা কিন্তু সেটা না হয়ে জীবন গড়ে উঠে আঁকাবাকা। ৭ বছর বয়সে সাবেরের জীবনের বাস্তবতা দীর্ঘসূত্রী অন্য মানসিকতার জন্ম দেয়। ফলে মাতৃস্নেহের অভাব সর্বক্ষণ অনুভব করতেন সাবের। ঈদগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে কুদ্দুস মামার সঙ্গে সাবের কলকাতা চলে যান। কুদ্দুস মামা সাবেরকে বাবার কলকাতার ২৬ ব্রাইট স্ট্রিট পার্ক সার্কাসের বাসায় নামিয়ে দিলেন। কলকাতা গেলে বাবা ছালামত সাবের হেয়ার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। এ স্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি ছিলেন স্কুলের সেকেন্ড বয়। স্কুলে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের বেদনা নিয়ে তিনি জেলা চট্টগ্রামে চলে আসেন। নিজ জেলায় ফিরে এসে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন এবং ওই স্কুল থেকেই ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক (এস.এস.সি) পাশ করেন।

বহু ভাষাভাষীর দেশ পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করে। এই সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী পাকিস্তানের তৎসময়ের শাসকগোষ্ঠী। এ সময় শহীদ সাবের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায় তথা ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর এবং ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে মাহবুব উল আলম চৌধুরীসহ অন্য অনেকের সাথে শরিক হন। পাকিস্তান গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮৬-১৯৭১) যখন গণপরিষদের ভাষা এবং দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করার প্রস্তাব তুলেছিলেন তখন মুসলিম লীগ সরকার মেজরিটির জোরে বাতিল বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু এটা ছিলো একটা সূচনা। যেকোনো স্থানে আগুন লাগাতে হলে একটা সূচনার দরকার হয়। এটা ছিলো তেমনই। একে ভিত্তি করেই বাংলায় ১১ মার্চকে রাষ্ট্রভাষা দাবি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রামেও ভাষার দাবিতে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোষণের প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের চিঠির মাধ্যমে সংস্কৃতি বৈঠক নেতা-সীমান্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম চৌধুরী, তমদ্দুন মজলিসের নেতা ফরমান উল্লাহ খান, শামসুদ্দিন মুহম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ এজাহারুল হক, মাহফুজুল হক, তারেকুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেলের একটি কক্ষে মিলিত হয়ে ১১ মার্চের হরতালকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য প্রচার এবং জেমসেন হলে জনসভা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই বৈঠকে ছাত্র ফেডারেশন নেতা শহীদ সাবের ও গোপাল বিশ্বাসও ছিলেন। মাহবুব উল আলম চৌধুরী ও শহীদ সাবের মাইক নিয়ে প্রচার কার্যে নেমে গেলে মুসলিম লীগের গুন্ডারা তাদের আক্রমণ করে। এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম চৌধুরী বলেন-

আমরা এককভাবে স্কুল কলেজে পিকেটিং করা, জেএম সেন হলে জনসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসা হলো। ঠিক হলো পরের দিন জে.এম সেন হলে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আমি আর শহীদ সাবের মাইক নিয়ে প্রচারকার্যে নেমে গেলাম। নন্দনকাননস্থ মুসাফিরখানার সামনে ঘোড়ার গাড়ি করে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা আমাদের আক্রমণ করে। পার্শ্ববর্তী পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আমরা আত্মরক্ষা করি। পরের দিন আমাদের প্রচারের ফলে বেশ কিছু লোক জমা হলো। কিন্তু  এই গুণ্ডারা জেএম সেন হলে মিটিং পণ্ড করে দেয়। স্কুল-কলেজে শিথিলভাবে ধর্মঘট হয়।[1]

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের আই.এ প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকাকালে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি প্রভাবিত অসম্প্রদায়িক ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। ও ই সময় পাকিস্তান গণপরিষদের শাসনতান্ত্রিক মূলনীতি নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক পেশকৃত রিপোর্টে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ এবং পূর্ববাংলাকে পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় অতিরিক্ত মর্যাদা দানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয়। মুসলিম লীগ সরকারের দমন নীতির শিকার হয়ে অন্য অনেকের সাথে শহীদ সাবেরকেও ১৯৫০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট বাতিলের দাবিতে ছাত্র ফেড়ারেশনের কর্মীসভায় বক্তৃতারত অবস্থায় আলী আকসাদ (১৯৩২-২০১১) ও সুভাষ চৌধুরীর সাথে নিরাপত্তা (রাজবন্দী) বন্দী হিসেবে আটক হন এবং সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছাড়ায় চট্টগ্রাম জেলে পাঠানো হয়। কয়েক মাস চট্টগ্রাম জেলে আটক রাখার পর ঢাকা, রাজশাহী জেলেও পাঠানো হয় তাকে। রাজশাহী সেন্ট্রাল জেল থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিনি ১৯৫১ সালে আই.এ (এইচ.এস.সি) পাশ করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের পর বন্দীচুক্তির আওতায় জেল থেকে বেরিয়ে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে নৈশ বিভাগে বিএ ক্লাসে ভর্তি হন এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পাশ করেন। । [2] বিএ পাশের পর ঢাকার ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। এখানে কিছুকাল সহকারি শিক্ষক পদে চাকরির পর তিনি দৈনিক সংবাদ-এর সহকারি সম্পাদক পদে যোগ দেন। এসময় তিনি ফেডারেল ইনফরমেশন সার্ভিস পরীক্ষায় পুরো পাকিস্তানে প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু জেল ফেরত রাজবন্দী থাকার কারণে তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। পরে ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের সাথে দেখা চাকরির নিশ্চয়তা আদায় করে আসেন কিন্তু পরদিন ইস্কান্দার মির্জা মার্শাল ল জারি করায় আর চাকুরি করা হয়নি।

মানসিক বিপর্যয়

১৯৫৮ সালের শেষের দিকে তার মানসিক বিপর্যয় শুরু হয়। তার সেই মানসিক বিপর্যয়কালে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষে রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই উদ্যোগ নিয়ে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসার ধারাবাহিকতার অভাবে সেই সুস্থতা বজায় থাকেনি। ক্রমশ আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বংশালের সংবাদ অফিসই হয়ে উঠেছিল সাবেরের একমাত্র আশ্রয়স্থল। সংবাদ অফিসে তিনি রাতে ঘুমাতেন। [3]

মৃত্যু

১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ দখলদার পাকিস্তানি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত হানাদার বাহিনী পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার কার্যালয়ে, আর সেই আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সংবাদ অফিসে ঘুমন্ত এককালের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদ সাবের।

রচনা

শহীদ সাবেরের সর্বাধিক পরিচিত, ছোট কিন্তু চাঞ্চল্যকর 'আরেক দুনিয়া থেকে' নামের রচনাটি। এটি তিনি চট্টগ্রাম জেলে বন্দি অবস্থায়ই লিখেছেন এবং কারামুক্ত হওয়ার আগেই তা তখনকার দিনে কলকাতার সবচেয়ে প্রগতিশীল বলে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাসিক পত্রিকা নতুন সাহিত্যের চৈত্র ১৩৫৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। কারারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে এটি বাইরে পাঠানো হয়েছিল, বাংলা ১৩৫৭ অর্থাৎ ইংরেজি ১৯৫১ সালে। লেখক হিসেবে নাম ছাপা হয়েছিল জামিল হোসেন ছদ্মনামে। রচনাটি রাজবন্দির রোজনামচা জাতীয় লেখা। উভয় বাংলার পাঠক লেখকের পরিচয় জানতে কৌতূহলী হয়েছিলেন। সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখাটির প্রশংসা করে এবং ওই নতুন লেখককে স্বাগত জানিয়ে পত্রিকার সম্পাদককে চিঠি লিখেছিলেন।

শহীদ সাবেরের রচনাসমূহের মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ রোজনামচা আরেক দুনিয়া থেকে (১৯৫৭), ছোটগল্পগ্রন্থ এক টুকরো মেঘ (১৯৫৫), ক্ষুদে গোয়েন্দার অভিযান (১৯৫৮), অনুবাদগ্রন্থ রুশ সাহিত্যিক আলেকজান্দার পুশকিনের The Quin of Spades  এর বাংলা অনুবাদ ‘ইসকাপনের বিবি’ (১৯৫৮), লিকোলাই ভাসিলিয়েভিচ গোগল-র Diary of a Madman গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘পাগলের ডাইরী (১৯৫৮) ও আমেরিকান লেখিকা ক্যাথরিন ওয়েন্স পিয়ার’ এর Mary McLeod Bethune -এর বঙ্গানুবাদ ‘কালো মেয়ের স্বপ্ন’ (১৯৫৮)। এ ছাড়া অসংখ্য কবিতা লিখেছেন কিন্তু বই আকারে প্রকাশিত হয়নি। অগ্রন্থিত কবিতাগুলো বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত শহীদ সাবের রচনাবলী (১৯৮১) এবং অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মযহারুল ইসলাম বাবলার সম্পাদনায় শহীদ সাবের রচনাসমগ্র (২০১২) এবং কালাম আজাদ সম্পাদিত শহীদ সাবেরের কবিতা’নামক সংকলনে প্রকাশিত হয়।

সম্মাননা ও স্বীকৃতি

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার (মরণোত্তর, ১৯৭২, ছোটগল্প), চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার সমিতির কক্সবাজার পদক (১৯৮৯), কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার (মরণোত্তর-২০০৩), কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কক্সবাজার পদক (মরণোত্তর-২০০৪) এবং সবুজ বাংলা সংসদ পুরস্কার (মরণোত্তর-২০১১) পান শহীদ সাবের। তাছাড়া স্বাধীনতার পর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে ২ টাকার দামের ডাকটিকেট প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং পিআইবিতে যে তের জন শহীদ সাংবাদিকের স্মৃতিফলক লাগানো আছে সেখানে শহীদ সাবেরের নামও রয়েছে। তাছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় শহীদ সাবেরের বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে।.[4]

তথ্যসূত্র

  1. চৌধুরী, মাহবুব উল আলম (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। স্মৃতির সন্ধানে। ঢাকা: পালক পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ১৭৮। আইএসবিএন 984 445 232 05 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: length (সাহায্য)
  2. দৈনিক কালের কণ্ঠ, "শহীদ সাবেরকে যেন ভুলে না যাই", সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  3. ""শহীদ সাবেরের জীবন ও জগৎ", মযহারুল ইসলাম | তারিখ: ৩১-০৩-২০১১"। ২০২০-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩
  4. আজাদ, কালাম (২০১৫)। ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার। চট্টগ্রাম: তৃতীয় চোখ। পৃষ্ঠা ৭১–৭৩। আইএসবিএন 978 984 91506 4 0।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.