লূকের সুসমাচার

সাধু লূক লিখিত সুসমাচার (গ্রিক: Εὐαγγέλιον κατὰ Λουκᾶν )[1], যা লূক লিখিত সুসমাচার বা শুধু লূক নামেও পরিচিত, হল বাইবেলের নূতন নিয়মের একটি ধর্মসম্মত সুসমাচার যা নাসরতীয় যীশুর বংশোদ্ভব, জন্ম, পরিচর্যা, দুঃখভোগ, ক্রুশারোপণ, পুনরুত্থানস্বর্গারোহণ বর্ণনা করে।[2] প্রেরিতদের কার্যবিবরণের সাথে মিলে এটি একটি দুই খণ্ডবিশিষ্ট রচনাকর্ম গঠন করে যেটিকে পণ্ডিতরা লূক-কার্যবিবরণ নামে ডাকেন।[3] উভয় মিলে তারা নূতন নিয়মের ২৭.৫% গঠন করে।[4]

সম্মিলিত কাজটি প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসকে তিনটি ধাপে বিভক্ত করে, এর মধ্যে সুসমাচারটি প্রথম দুটি ধাপ তৈরি করে – যীশুর জন্ম থেকে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের সাথে সাক্ষাতে তাঁর পার্থিব প্রচারাভিযানের শুরু পর্যন্ত মানুষের মাঝে মশীহ হিসাবে তাঁর আবির্ভাব, তারপর পার্থিব পরিচর্যা, যেমন সমভূমিতে দত্ত উপদেশ ও এর স্বর্গসুখ, এবং তাঁর দুঃখভোগ, মৃত্যুপুনরুত্থান (যা সুসমাচারের গল্প শেষ করে)। বেশিরভাগ আধুনিক পণ্ডিতরা একমত যে লূকের জন্য ব্যবহৃত প্রধান উৎসগুলো ছিল (ক) সাধু মার্ক লিখিত সুসমাচার, (খ) Q সূত্র নামে একটি অনুমানমূলক বাণী সংগ্রহ এবং (c) অন্য কোন সুসমাচারে পাওয়া যায় না এমন উপাদান, যা প্রায়শই L উৎস নামে পরিচিত।[5]

লেখক বেনামি;[6] ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি হল এই যে, এটি ছিল পৌলের সঙ্গী সুসমাচার প্রচারক লূক, এখনও মাঝে মাঝে সামনে রাখা হয়, কিন্তু পাণ্ডিতিক ঐক্যমত্য কার্যবিবরণ ও খাঁটি পৌলীয় পত্রসমূহের মধ্যে অনেক বৈপরীত্যের উপর জোর দেয়।[7][8] এটির রচনার সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখটি ৮০–১১০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি এবং প্রমাণ রয়েছে যে, এটি তারপরও দ্বিতীয় শতাব্দীতে ভালোভাবে সংশোধন করা হয়েছিল।[9]

তথ্যসূত্র

  1. Gathercole 2013, পৃ. 66–71।
  2. Allen 2009, পৃ. 325।
  3. Burkett 2002, পৃ. 195।
  4. Boring 2012, পৃ. 556।
  5. Duling 2010, পৃ. 312।
  6. Burkett 2002, পৃ. 196।
  7. Theissen ও Merz 1998, পৃ. 32।
  8. Ehrman 2005, পৃ. 172, 235।
  9. Perkins 2009, পৃ. 250–53।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.