লুম্বিনী

লুম্বিনী (নেপালি ও সংস্কৃত: लुम्बिनी এই শব্দ সম্পর্কেশুনুন ) একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় তীর্থস্থান যা নেপালের রূপান্দি জেলায় অবস্থিত[1] এই স্থানেই রানী মায়াদেবী সিদ্ধার্থ গৌতমকে জন্ম দান করেন[2]। সিদ্ধার্থ গৌতম খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন[3][4][5] এবং তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। গৌতম বুদ্ধের জীবনের সাথে জড়িতে প্রধান চারটি স্থানের এটি একটি; অপর তিনটি হলো কুশীনগর, বুদ্ধ গয়া এবং সারনাথ

লুম্বিনী, নেপাল
লুম্বিনী, গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: iii, vi
সূত্রলুম্বিনী (৬৬৬)
তালিকাভুক্তকরণ১৯৮৮ (২১তম সভা)

লুম্বিনীতে গৌতম বুদ্ধ ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন। এখানে মায়া দেবী মন্দিরসহ আরও অসংখ্য বৌদ্ধ মন্দির রেয়েছে। এখানে লুম্বিনী ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে একটি পবিত্র পুষ্করিণী আছে যেখানে বুদ্ধদেবের মাতা তার জন্মের আগে প্রথাগত স্নান করেছিলেন। বুদ্ধদেবের জন্মের পর তাকে এই পুষ্করিণীতেই প্রথম স্নান করান হয়। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো লুম্বিনীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত করে[6][7]

যোগাযোগ

লুম্বিনী কাঠমান্ডু থেকে ১০ ঘণ্টার এবং সিদ্ধার্থনগর থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে। সন্নিকটবর্তী বিমানবন্দরের নাম গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দর, যা সিদ্ধার্থনগর-এ অবস্থিত এবং এখান থেকে কাঠমান্ডুতে বিমানে যাওয়া-আসা করা যায়[8]

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. "Lumbini, the Birthplace of the Lord Buddha - UNESCO World Heritage Centre"। Whc.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৯
  2. ""Gautama Buddha (B.C. 623-543)" by T.W. Rhys-Davids, The World's Great Events, B.C. 4004-A.D. 70 (1908) by Esther Singleton, pp. 124-135"। Unz.org। ২০১২-১১-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৯
  3. "The Buddha (BC 623-BC 543) - Religion and spirituality Article - Buddha, Bc, 623"। Booksie। ২০১২-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৯
  4. "Lumbini"। Welcome Nepal। ২০১৩-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৯

বহি:সংযোগ

  • উইকিভ্রমণ থেকে লুম্বিনী ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.