লুইজ ফেলিপে স্কলারি

লুইজ ফিলিপি স্কলারি, কমআইএইচ (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [luˈis fɪˈɫipɪ sko̞ˈlaɾi], ইউরোপীয় পর্তুগিজ: [ˈɫwiʃ fɨˈɫip(ɨ) ʃkuˈɫaɾi]), ইংরেজি: Luiz Felipe Scolari) (জন্ম: ৯ নভেম্বর, ১৯৪৮) ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী ব্রাজিল দলের ম্যানেজার ছিলেন। পরবর্তীতে ১২ জুলাই, ২০০৩ থেকে ৩০ জুন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন।

লুইজ ফিলিপি স্কলারি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম লুইজ ফিলিপি স্কলারি
উচ্চতা ১.৮২ মিটার (৫ ফুট ১১  ইঞ্চি)[1]
মাঠে অবস্থান রক্ষণভাগ
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
পালমেরিয়াস (কোচ)
যুব পর্যায়
১৯৬৬-১৯৭৩ ক্লাব এস্পোর্টিভো এইমোরে - আরএস
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৩-১৯৭৯ ক্যাক্সিয়াস
১৯৮০ জুভেন্তুদ
১৯৮০-১৯৮১ নোভো হ্যামবুর্গো
১৯৮১ সিএসএ
পরিচালিত দল
১৯৮২ CSA
১৯৮২-১৯৮৩ Juventude
১৯৮৩ Brasil de Pelotas
১৯৮৪-১৯৮৫ Al-Shabab
১৯৮৬ Brasil de Pelotas
১৯৮৬-১৯৮৭ Juventude
১৯৮৭ Grêmio
১৯৮৮ Goiás
১৯৮৮-১৯৯০ Al Qadisiya
১৯৯০ Kuwait
১৯৯১ Criciúma
১৯৯১ Al-Ahli
১৯৯২ Al Qadisiya
১৯৯৩-১৯৯৬ গ্রেমিয়ো
১৯৯৬-১৯৯৭ Júbilo Iwata
১৯৯৭-২০০০ Palmeiras
২০০০-২০০১ Cruzeiro
২০০১-২০০২ ব্রাজিল
২০০৩-২০০৮ পর্তুগাল
২০০৮-২০০৯ চেলসি
২০০৯-২০১০ Bunyodkor
২০১০-২০১২ Palmeiras
২০১২–২০১৪ ব্রাজিল
২০১৪–২০১৫ Grêmio
২০১৫–২০১৭ Guangzhou Evergrande
২০১৮–২০১৯ Palmeiras
২০২০–২০২১ ক্রুজয়েইরো
* শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

তিনি পুনরায় ২০১২ সাল থেকে সাবেক কোচ মানো মেনেজেসের পরিবর্তে ব্রাজিল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রাজিলে তাকে ফেলিপাও এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিগ ফিল নামে ডাকা হয়।[2][3][4]

কোচিং কর্মজীবন

কুয়েত

১৯৯০ সালে স্কলারি কুয়েত জাতীয় ফুটবল দলকে কোচিং করাতে শুরু করেন। সে বছর গালফ নেশনস কাপ এর ফাইনালে কাতারকে পরাজিত করে কুয়েত চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ইরাক কুয়েত দখল করে নেয়ায় তাকে কুয়েত ছেড়ে যেতে হয়।

ব্রাজিল

২০০১ সালের জুন মাসে স্কলারি তার স্বদেশ ব্রাজিলের দায়িত্ব পান। বাছাই পর্বের মাত্র পাঁচটি ম্যাচ হাতে রেখে সেসময় বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন নিয়ে ব্রাজিল বিরাট সংশয়ে ছিল। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল উরুগুয়ের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রাজিলকে মূলপর্বে উত্তীর্ণ করতে সমর্থ হন।

বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করার আগে প্রবল জনমত উপেক্ষা করে তিনি বর্ষীয়ান স্ট্রাইকার রোমারিওকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি রোমারিও নিজেও কান্নাজড়ানো কণ্ঠে আবেদন জানালে স্কলারি তা নাকচ করে দেন।[5] বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রাজিলকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল দল হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু একে-একে তুরস্ক, চীন, কোস্টারিকা, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড এবং সেমিফাইনালে আবার তুরস্কের বিরুদ্ধে জয় ব্রাজিলকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়। ফাইনালে রোনালদোর জোড়া গোলে ব্রাজিল জার্মানিকে পরাজিত করে পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপো নিজেদের করে নেয়।[6] ২০০২ সালের শেষে ব্রাজিলের ম্যানেজার হিসেবে স্কলারি পদত্যাগ করেন।[7]

তথ্যসূত্র

  1. "Biography forLuiz Felipe Scolari"
  2. Hamilton, Fiona। The Times। London http://www.timesonline.co.uk/tol/sport/football/premier_league/chelsea/article5683439.ece |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  3. McGarry, Ian। The Sun। London http://www.thesun.co.uk/sol/homepage/sport/football/1280239/Phil-Scolari-named-as-new-Chelsea-boss-in-deal-worth-15m-The-Portugal-coach-to-sign-Deco-for-10m-from-Barcelona.html |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  4. "Defiant Big Phil leaves out Romario"। rediff.com। ৭ মে ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  5. Murray, Scott (৩০ জুন ২০০২)। "Brazil 2 - 0 Germany"। London: The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  6. "Scolari Resigns As Brazil's Coach"The New York Times। ১০ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.