লা লা ল্যান্ড
লা লা ল্যান্ড হল ২০১৬ সালের মার্কিন রোমান্টিক সংগীতধর্মী কৌতুকপূর্ণ নাট্য চলচ্চিত্র। যেটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন ড্যামিয়েন শ্যাজেল এবং এতে একজন জ্যাজ পিয়ানো বাদক এবং উঠতি নায়িকায় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রায়ান গসলিং ও এমা স্টোন। লস অ্যাঞ্জেলেসে তাদের পরস্পরের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমে পড়ে। ছবির নাম দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে এবং বাগধারা বাস্তবতার স্পর্শের বাইরে উভয়ই বুঝানো হয়েছে।
লা লা ল্যান্ড | |
---|---|
পরিচালক | ড্যামিয়েন শ্যাজেল |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | ড্যামিয়েন শ্যাজেল |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | জাস্টিন হার্টিজ |
চিত্রগ্রাহক | লাইনাস স্যান্ডগ্রেন |
সম্পাদক | টম ক্রস |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সামিট এন্টারটেইনমেন্ট |
মুক্তি | ৯ ই ডিসেম্বর ২০১৬ (যুক্তরাষ্ট্র) |
দৈর্ঘ্য | ১২৮ মিনিট [1] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[2] |
আয় | ৪১৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার [3] |
শ্যাজেল ছবিটির চিত্রনাট্য লেখেন ২০১০ সালে কিন্তু তার গল্পভাবনা পরিবর্তন না করে ছবিটিকে অর্থায়ন করবে কোন স্টুডিও খুঁজে পাননি। ২০১৪ সালের তার চলচ্চিত্র হুইপল্যাশ এর সাফল্যের ফলে এই প্রকল্পটি নেয় সামিট এন্টারটেইনমেন্ট। ছবিটির চিত্রধারণ হয় ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে। লা লা ল্যান্ড ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ৭৩তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৬ সালের ৩১শে আগস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে ৯ই ডিসেম্বর। মাত্র ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটে নির্মিত ছবিটি সারা বিশ্বে প্রায় ৪১৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
লা লা ল্যান্ড ছবিটি মুক্তির পরপরই সমালোচক দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলোর একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমালোচকগণ শ্যাজেলের চিত্রনাট্য এবং পরিচালনার, গসলিং এবং স্টোন এর অভিনয়, জাস্টিন হার্টিজের সংগীত পরিচালনা এবং চলচ্চিত্রে গানের প্রশংসা করেন। ছবিটি ৭৪তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে মনোনীত সাতটি বিভাগেই পুরস্কার জিতে সর্বোচ্চ ও সকল বিভাগে পুরস্কার জিতার রেকর্ড ভেঙ্গেছিল, এটি ৭০তম ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১১টি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে এবং পাঁচটিতে পুরস্কার লাভ করে। ৮৯তম একাডেমি পুরস্কারে ছবিটি মোট ১৪টি মনোনয়ন লাভ করে ১৯৫০ সালের অল অ্যাবাউট ইভ এবং ১৯৯৭ সালের টাইটানিকের সাথে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন লাভের রেকর্ড গড়ে এবং সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, সেরা চিত্রগ্রহণ, সেরা মৌলিক সুর, সেরা মৌলিক গান (“সিটি অব স্টারস”), সেরা নির্মাণ পরিকল্পনার পুরস্কার জয় করে।
নকশা
জনাকীর্ণ লস এঞ্জেলস এর মহাসড়কে “এনাদার ডে অব দা সান”, মিয়া (এমা স্টোন) স্টুডিও এর একজন পরিবেশিকা ও উঠতি অভিনেত্রী রাস্তার মধ্যে ক্ষিপ্ত হন সেবাস্টিন (রায়ান গসলিং) একজন সংগ্রামরত জ্যাজ পিয়ানিস্ট এর সাথে। মিয়ার পরিবর্তি গুণপরীক্ষা (অডিশন) তার চেষ্টার চেয়ে খারাপ হয়। সে রাত্রে মিয়ার রুমমেটরা তাকে নিয়ে যায় হলিউড হিলের খরচে পার্টিতে, যাতে তাকে উজ্জিবত করতে পারে (সামওয়ান ইন দা ক্রাউড)। তার গাড়ি টেনে নেওয়ার ফলে তাকে বাসায় ফিরতে অনেক দূর হেঁটে আসতে হয়।
একটি রেস্তোরাঁতে জাজ সংগীতের সময় সেবাস্টিন একটি উৎসাহী জ্যাজ এর তাৎক্ষণিক উদ্ভাবনের ফলে ভুল করে ফেলে, মালিকের (জে.কে. সিম্নস) সতর্কবার্তা স্বত্তেও যে শুধুচিরাচরিত ক্রিসমাস স্বরলিপি বাজাচ্ছিল। মিয়া পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সুরটি শোনে (মিয়া এবং সেবাস্টিন থিম) এবং সে প্রবেশ করে কিন্তু সেবাস্টিনকে অনতিবিলম্বে বহিস্কৃত করা হয় তার অবাধ্যতার জন্য। সে দ্রুতগতিতে বের হয়ে যায়, মিয়া চেষ্টা করে তাকে প্রশংসা করার কিন্তু সে উদাসীনভাবে তাড়াতাড়ি চলে যায়।
কয়েকমাস পর মিয়া সেবাস্টিনের সাথে পুনরায় দেখা হয় একটি পার্টিতে যেখানে সেবাস্টিন ১৯৮০ এর দশকের একটি পপ কভার করে। মিয়া সেবাস্টিনকে জ্বালায়। জাজ অনুষ্ঠানের পর তারা দুজন একসাথে হাঁটে তাদের গাড়ী খোঁজার জন্য, তাদের একে অপরের সঙ্গ স্বত্তেও তাদের মধ্যকার রসয়ান ফুটে ওটে “এ লাভলি নাইট” গানের মাধ্যমে।
মিয়া সেবাস্টিনেকে হাটতে নিয়ে যায় মুভি লটে এবং অভিনয়ের প্রতি তার আবেগের কথা জানায়; সেবাস্টিন মিয়াকে নিয়ে যায় জাজ ক্লাবে যেখানে জাজ সম্পর্কে তার আবেগ এর কথা জানায় এবং তার নিজের ক্লাব খোলার ইচ্ছার কথাও জানায়। তারা একে অপরের আবেগপূর্ণ হয় “সিটি অব স্টার” দ্বারা। সেবাস্টিন মিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় “রেবেল উইথাউট এ স্টারস” ছবি দেখার জন্য, মিয়া সেটি গ্রহণ করে তার বর্তমান প্রেমিকের সাথে পূর্ববর্তি প্রতিশ্রুতি ভুলে। ডেটের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে সে প্রস্থান করে এবং থিয়েটার এর দিকে যায়, সেখানে সেবাস্টিনকে খুঁজে পায় এবং চলচ্চিত্র শুরু হয়। তারা তাদের সন্ধ্যা শেষ করে রোমান্টিক নাচ এর মাধ্যমে “গ্রিফিথ ওবসারভাটরি” এ ।
আরো কয়েকটি অডিশনে অকৃতকার্য হয়ে মিয়া সেবাস্টিনের উপদেশ গ্রহণ করে, একটি নিজস্ব একক অভিনয় লেখার। সেবাস্টিন নিয়মিতভাবে পারফর্ম করতে থাকে জাজ ক্লাবে (“সামার মন্টেজ”) এবং তারা দুজনে এক সাথে উঠে। উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধু কেইথ (জন লেজেন্ড), সেবাস্টিনকে আমন্ত্রণ জানায় তার জাজ ব্যান্ড এ কি-বোর্ডিস্ট হিসাবে যুক্ত হওয়ার জন্য, যেটিস্থির আয়ের একটি উৎস হিসাবেও প্রস্তাব করে। সেবাস্টিন ব্যান্ডটির পপ নির্ভর ধরন দেখে অসন্তুষ্ট হয় কিন্তু যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেয় মিয়াকে তার মায়ের সাথে তর্ক করতে শুনে যে সেবাস্টিন তার কর্মজীবনের জন্য কাজ করছে। মিয়া তাদের একটি কনসার্টে যোগদান করে “স্টার্টস এ ফায়ার” কিন্তু অশান্ত হয় এটা জেনে যে সেবাস্টিন তার ব্যান্ড সংগীত উপভোগ করতে পারছে না। ব্যান্ডটির প্রথম ভ্রমণে মিয়া সেবাস্টিনের মুখোমুখি হয় সেবাস্টিনের ভবিষ্যৎ এবং লক্ষ্য সম্পর্কে। সেবাস্টিন জানায় যে একটা স্থির পেশাই মিয়া চেয়েছিল, তার জন্য এটা দোষারোপ করার আগে যে সে তাকে বেশি পছন্দ করে যখন সে ব্যার্থ ছিল। অপমানিত বোধ করে মিয়া চলে যায়। ওই রাত্রিতে মিয়ার একটি নাট্যানুষ্ঠানে সেবাস্টিন ব্যার্থ হয় উপস্থিত হতে একটি ফটোসুট এর কারণে, যার ফলে সে ভুলে গিয়েছিল। মাত্র কয়েকজন লোক তাতে অংশ নেয় এবং মিয়া তাদের করা আগ্রাহ্য মন্তব্য শুনে ফেলে। হতাশ হয়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় নেভাডার বাউল্ডার সিটিতে বাড়ি ফেরার।
একদিন সেবাস্টিন একটি কল পায় একজন পরিচালকের কাছে থেকে যে মিয়ার নাট্যনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, সে মিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় একটি চলচ্চিত্রে গুনপরীক্ষার (অডিশন) জন্য ওইদিন সন্ধ্যাতে। সেবাস্টিন বাউল্ডার সিটিতে যায় এবং মিয়াকে রাজি করায় অংশগ্রহণের জন্য। সেখানে তাকে একটি সাধারণ গল্প বলতে বলা হয়, সে তার খালার সম্পর্কে গাইতে শুরু করে যে তাকে অনুপ্রাণিত করেছে অভিনয় করার জন্য (“অডিশন/ দা ফুলস হু ড্রিমস”)। সেবাস্টিন আত্নবিশ্বাসী ছিল যে গুণপরীক্ষা সফল হয়েছে, দাবী করে যে মিয়া নিজেকে মনেপ্রাণে নিজেকে উৎসর্গ করা উচিৎ এই সুযোগের জন্য। তারা ব্যাক্ত করে তারা একে অপরকে ভালবাসবে সবসময় কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চিত।
পাঁচ বছর পর, মিয়া একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং অপর একজন মানুষের সাথে বিয়ে করে সুখী, যার সাথে তার একটি মেয়েও রয়েছে। এক রাত্রে এ দম্পতি একটি জাজ বারে যায়। মিয়া “সেব’স” লগো লক্ষ করে বুঝে যে এটি তার নকশা করা এবং বুঝতে পারে অবশেষে সেবাস্টিন তার নিজস্ব ক্লাব খুলেছে। সেবাস্টিন মিয়াকে দেখতে পায় ভিড়ের মধ্যে স্পষ্ট বিচলিত। সে তাদের প্রেমের সুরটি বাজায় এবং যার মধ্যে তারা দুজনে কল্পনা করে যে তাদের সম্পর্ক যদি ঠিকঠাকভাবে যেত। গানটি শেষ হয় এবং মিয়া তার স্বামীর সাথে বের হয়ে যায়। বের হওয়ার পূর্বে সে সেবাস্টিনের দিকে শেষবারের মত তাকায় এবং তারা উভয়ে হাসি দেয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
- সেবাস্টিন উইল্ডার হিসাবে রায়ান গসলিং
- মিয়া ডোলান হিসাবে এমা স্টোন
- কেইথ হিসাবে জন লেজেন্ড
- লরা উইল্ডার হিসাবে রস্মারি ডেউইথ
- গ্রেগ ইয়ারনিস্ট হিসাবে ফিন উইটরক
- আলেক্সিস হিসাবে জেসিকা রথ
- কেইটলিন হিসাবে সনোইয়া মিজুন্নো
- ট্রাসি হিসাবে কালি হারনান্ডজ
- বিল হিসাবে জেকে সিমন্স
- ডেভিড হিসাবে টম ইভারেট সক্ট
- মিয়ার মা হিসাবে মেগান ফে
- হার্লি হিসাবে ডেমন গুপ্তন
- কার্লো হিসাবে জেসন ফুচস
- জশ হিসাবে জশ পেন্স
নির্মাণ
প্রাক-নির্মাণ
নিজে একজন ড্রামার হিসাবে, ডেমিয়েন চেজল সংগীতধর্মী ছবি করার অনুকূল মনোভাব ছিল।[4] সে ২০১০ সালে “লা লা ল্যান্ড” রচনা করে, জীবনের সেই সময় যখন চলচ্চিত্র শিল্প তার নাগালের বাইরে ছিল।[5] ছবিটি সম্পর্কে তার উদ্দেশ্য ছিল “পুরনো সংগীতগুলো বাস্তব জীবনে নেয়া যেখনা সবকিছু সবসময় ঠিকমত যায় না,”[4] এবং সৃষ্টিশীল মানুষদের শ্রদ্ধা এবং অভিবাদন যারা তাদের স্বপ্নের পিছু নিয়ে লস এঞ্জেলস এসেছে।[6] সে ছবিটির ধারণা করতে শুরু করেন যখন সে হার্ভাড ইউনিভার্সিটি এর একজন ছাত্র ছিল, তার সহপাঠী “জাস্টিন হার্টীজ” এর সাথে। তারা তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যান অগ্রজদের নিবন্ধের মাধ্যমে বোস্টন এর একজন জাজ সংগীতকার সম্পর্কিত একটি স্বল্প ব্যায়ের গীতিনাট্য “গাই এন্ড মাদালিন অন এ পার্ক বেঞ্চ”।[7][8] চেজেল চালিত হন ১৯২০ দশকের বর্ণসঙ্গিত চলচ্চিত্রের প্রথার মাধ্যমে যেমন মানহাট্টা (১৯২১) কিংবা ম্যান উইথ এ মুভি ক্যামেরা (১৯২৯), যেই ছবিগুলো অন্যান্য শহরকে শ্রদ্ধা করেছে।[9] স্নাতক শেষে তারা দুজন লস এঞ্জেলস এ যান ২০১০ সালে এবং সেখানে রচনা শুরু করেন, এবং কিছু অদল বদল করেন যেমন বোস্টনের বদলে লস এঞ্জেলেস শহর ব্যবহার করেন।[7]
এল এ, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহর থেকে অন্ধকার মাঝেমধ্যে এর নিজস্ব ইতিহাস দ্বারা ঘৃণিত। কিন্তু এটিই এই শহরের নিজস্ব মোহনীয় জিনিস, কারণ এটি নিজেকে প্রকাশ করে অল্প অল্প করে, পেঁয়াজের মত, তুমি যদি সময় নাও এটাকে অন্বেষণ করতে।[9]
প্যারিস কিংবা সান ফ্রান্সিসকোর আকর্ষণের সাথে তুলনা করার চেয়ে সে দৃষ্টি দিতে লাগল এর গুণ এবং উপাদানকে যেমনঃ ট্রাফিক, আঁকাবাঁকা হওয়া এবং আকাশ যেগুলো লস এঞ্জেলসকে অন্যান্য শহরের বৈশিষ্ট্য।[9] ছবিটির ভঙ্গি এবং স্বর অনুপ্রাণিত হয়েছে জ্যাকুয়াস ডেমি এর দা আম্ব্রেলাস অফ চেয়ারবার্গ এবং দা ইয়াং গার্ল অব রকফোর্ট, বিশেষ করে সাম্প্রতিক যেটি ছিল বেশি নৃত্য এবং জাজ নির্ভর।[10] ছবির মধ্যে বেশ কিছু দৃশ্য ছিল হলিউড ক্লাসিক ছবিসমূহ যেমন- ব্রডওয়ে মেলডি অব ১৯৪০, সিঙ্গিং ইন দা রেইন এবং দা ব্যান্ড ওয়াগন এর।[11] এর মধ্যে তার পূর্ববর্তি কাজ হুইপলাশ(২০১৪) এর কিছু ছায়া পাওয়া যায় চরিত্র এবং বিষয় পরিণতকরণে। চেজল বলেছে “উভয়টিই হচ্ছে শিল্পী হওয়ার সংগ্রাম নিয়ে এবং তোমার স্বপ্ন মিলের জন্য। “লা লা ল্যান্ড” হচ্ছে সামান্য একটু কম ক্রোদ্ধ এই ব্যাপারে।”[12] সে বলেছে উভয় ছবিই তার অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে হলিউডের সোপান ধরে উপরে উঠার জন্য।[6] “লা লা ল্যান্ড” বিশেষ করে অনুপ্রাণিত হয়েছে তার অভিজ্ঞতা থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল থেকে লস এঞ্জেলস এ আসা, যেটা অনেকটা এরকম “এগুলোসবই টুকরো বিপণীবিতান আর মুক্তরাস্তা।”[9]
চেজল অসমর্থ ছিলেন ছবিটি প্রযোজনায় এজন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানই রাজি হচ্ছিল না এটিকে আর্থিকভাবে যোগান দিতে একটি সমকালীন সংগীতধর্মি ছবিকে, যার মধ্যে কোন গান নেই যেটি আগে থেকেই ভক্তকূল তৈরি করবে। এটা একটি জাজ সংগীতধর্মি ছবিও ছিল যার জন্য হলিউড রিপোর্টার একে “লুপ্ত ধরণ” বলেছে। সে বিশ্বাস করত এই প্রকল্পটির পিছনের দল- সে এবং হার্টিজ- সেসময় অচেনা ছিল, যার ফলে প্রকল্পটির আর্থিকভাবে কার্যকারিতার ব্যাপারে অনিশ্চিত ছিলেন।[7][13] চেজল প্রযোজক খোঁজে পান তার বন্ধুদের মাধ্যমে যে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় ফ্রেড বার্গার এবং জর্ডান হরউইটজ এর সাথে। দুইজন প্রযোজক জাহাজের মধ্যে উঠার ফলে ১ মিলিয়ন বাজেটে মূল দৃষ্টি যায় গল্প রচনার প্রতি। স্টুডিওটি চেয়েছিল চাহিদা করছিল অসংখ্য পরিবর্তনের যা চেজল মনে করেন মূল গল্পের সাথে পার্থ্যক্য তৈরি করে এবং তা গুরুত্বহীন, পুরুষ প্রধান চরিত্রকে বলা হয়েছিল জাজ পিয়ানিস্ট থেকে রক মিউজিশিয়ান করে দিতে, শুরুর দিকের জঠিল সংখ্যা পরিবর্তন করতে এবং তিক্ত মিষ্টি সমাপ্তি ছেঁটে ফেলার জন্য। চেজেল অসম্মতি জানান এই বিশাল ত্যাগের জন্য যার ফলে তিনি প্রকল্পটি বর্জন করেন এবং স্থানান্তরিত হন।[7]
চেজেল পরবর্তিতে লেখেন “হুইপলাশ”, যেটি ছিল বিক্রির জন্য একটি সহজ চিন্তা এবং যোগানের জন্য কম ঝুকিপূর্ণ।[14] ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং চেজল চেষ্ঠা করতে থাকলেন লা লা ল্যান্ডকে বড় পর্দায় আনার জন্য।[7] এক বছর পর যখন হুইপলাশ অর্জন করে পাঁচটি অস্কার মনোনয়ন ৮৭তম একাডেমী এওয়ার্ডে যার মধ্যে ছিল শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং সারাবিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট নিয়ে। চেজেল এবং তার প্রকল্পসমূহ স্টুডিওর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে।[13]
তার গল্প লেখার পাঁচ বছর পর,[15] সামিট এন্টারটেইনমেন্ট এবং ব্লাক লেভেল মিডিয়া সম্মতি প্রকাশ করে ছবিটি যোগান দেয়ার জন্য এবং বিতরণ করার জন্য, প্রযোজক মার্ক প্লাট এর সাথে। তাদের উপর ছাপ পড়েছিল হুইপলাশ এর সমালোচক এবং বাণিজ্যিক সাফল্য।[6] লায়নসগেইট এর পেট্রিক ওয়াশবার্গার, যিনি পূর্বে স্টেপ আপ ছবি সিরিজে কাজ করে ছিলেন, তিনি চেজলকে চাপ দিতে থাকেন ছবির বাজেট বৃদ্ধির জন্য কারণ তিনি মনে করেছেন উচ্চমান সম্পন্ন সংগীতধর্মী চলচ্চিত্র সস্তায় নির্মিত হতে পারে না।[16]
প্রাথমিকভাবে মাইলস টেলার এবং এমা ওয়াটসনকে নির্বাচিত করা হয় মূল চরিত্র অভিনয়ের জন্য। কিন্তু ওয়াটসন বাদ পড়েন ২০১৭ এর বিউটি এন্ড দা বিস্ট ছবির সাথে চুক্তির জন্য। যেখানে টেলার চলে যান চুক্তির জন্য দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর।[5] চেজল চেয়ে ছিলেন তার চরিত্রগুলো তৈরি করতে জ্যৈষ্ঠ কাউকে দিয়ে, লস এঞ্জেলস এ আসা নতুন আসা কারও চেয়ে পুরনো যারা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।[7]
চরিত্রায়ন
এমা স্টোন মিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেন, লস এঞ্জেলসের ওয়ার্নার ব্রস অংশের কফির দোকানের একজন পরিচারিকা, যে লাট্টে পরিবেশিন করে গুণপরীক্ষার মধ্যবর্তি সময়ের মধ্যে।[13] স্টোন সংগীতধর্মী চলচ্চিত্র পছন্দ করতেন “লা মিসারেবলস” দেখার পর থেকে যখন তার বয়স ছিল আট বছর, এই বলে যে “গানের মধ্যে বিদির্ণ হওয়ার ইচ্ছা সবসময় আমার বাস্তব স্বপ্ন” এবং তার প্রিয় চলচ্চিত্র হচ্ছে চার্লি চ্যাপলিনের ১৯৩১ সালের রোমান্টিক কৌতুকপূর্ণ ছবি “সিটি লাইটস”।[4][13] সে নৃত্য শিখেছে শিশু থাকতেই, এক বছর নৃত্যনাট্য দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।[13] সে ১৫ বছর বয়সে হলিউডে স্থানান্তরিত হয় এবং প্রথম এক বছর টানা সংগ্রাম করতে থাকে একটি গুণপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। যখন সে হয়, মাঝেমধ্যে এক লাইন গাওয়ার পর বা বলার পর ঘুরে দাঁড়ায়।[17] স্টোন তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে মিয়া চরিত্রটিকে চরিত্রায়ণ করেছে এবং কিছু ছবির মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে।[12] সে চেজলের সাথে পরিচিত হয় তার ব্রডওয়েতে প্রথম আবির্ভাব কাভারেট এ। যে রাতে চেজল এবং হার্টিজ তার সঞ্চালন দেখেন তখন অভিনেত্রীর ঠান্ডা লেগেছিল।[13][18] সে চেজলের সাথে সাক্ষাৎ করে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ডাইনার এ, যখন পরিচালক তাকে চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার পরিকল্পনা দৃষ্টি বর্ণনা করেন।[19] স্টোন আত্নবিশ্বাস লাভ করেন কাভারেট এ অংশগ্রহণের ফলে যে তিনি ছবির চাহিদা মেটাতে পারবেন।[19] তার চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য স্টোন কিছু সংগীতধর্মী চলচ্চিত্র দেখেন যেগুলো চেজলকে উৎসাহিত করেছিল যার মধ্যে দা আম্ব্রেলাস ইব চেরবর্গ এবং ফ্রেড আস্তাইর ও গিনার রজারের সহায়তাও ছিল।[15] স্টোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন কারণ চেজেল এই প্রকল্পটি নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলেন।[19]
রায়ান গসলিং সেবাস্টিনের ভূমিকায় অভিনয় করেন, একজন জাজ পিয়ানিস্ট যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পিয়ানো বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে, এবং তার স্বপ্ন আছে নিজস্ব ক্লাব খোলার।[13] স্টোনের মত একজন উঠতি শিল্পী হিসাবে গসলিং চরিত্রায়ন করেন তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে। একটি ঘটনা যেটি মিয়াকর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। একটি গুনপরীক্ষায় গসলিং এর সঞ্চালন ছিল কাঁদার দৃশ্য ছিল, যেখানে চরিত্র পরিচালক মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং তার দুপুরের খাবার পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলেন।[13][17][20] চেজল গসলিং এর সাথে পরিচিত হন একটি বারে হলিউড হিলস এর পাশে, যখন গসলিং তার ছবি দা বিগ শর্ট শুরু করতে যাচ্ছিল।[7]
চেজল দুইজনকেই চরিত্র নিশ্চিত করেন যখন সামিট ছবিটি কিনে।[6] সে বলে এই দুজনকে এমনভাবে অনুভব করা যায় যে হলিউডের পুরাতন দম্পতিদের মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি যারা এখন আছে যারা স্পেনচার ট্রেসি ও কেতরিন হেপবার্ন কিংবা ফ্রেড আস্তারি ও গিঙ্গার রজারস অথবা ম্রিনা লয় ও উইলিয়াম পাওয়েল সদৃশ্য।[12] ছবিটি হচ্ছে গসলিং এবং স্টোনের সহযোগিতায় তৃতীয় ছবি এর আগের দুটো হচ্ছে ক্রেজি স্টুপিড লাভ(২০১১), গ্যাংস্টার স্কোয়াড(২০১৩)।[21] চেজেল তাদেরকে তাদের গুনপরীক্ষার বিপর্যয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন যখন তারা উভয়েই চেষ্ঠা করছিল সম্পন্ন করার।[17] তারা উভয়েই গান গাওয়া এবং নৃত্য শিখেছে চলচ্চিত্রটির ছয়টি মৌলিক গানের জন্য।[7]
অন্যান্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যে আছেন জেকে সিমনস, সনিয়া মিজুনো, জেসিকা রথ, কালি হার্নান্ডেজ, ফিন উইথরক, রজমারি ডেউইথ, জন লেজেন্ড, জেসন ফাঞ্চ, মেগান ফে ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালের জুলাই এবং আগস্ট এর দিকে।[22][23][24][25][26][27] লেজেন্ড কেইথ চরিত্রে অভিনয় করে, যেখানে সে মূলধারার জাজ পারফর্মার এবং “দা মেসেঞ্জার” ব্যান্ডের দলনেতা যাতে সেবাস্টিন যোগ দেয়।[13]
ছবিটির নৃত্য পরিচালনা করেন ম্যান্ডি মোর। এর মহড়া অনুষ্ঠিত হয় আটওয়াটার ভিলেজের প্রযোজনা কার্যালয়ে তিন থেকে চার মাস ব্যাপি মে ২০১৫ থেকে শুরু করে। গসলিং একটি কক্ষে পিয়ানো অনুশীলন করতেন এবং স্টোন অন্য একটি কক্ষে মোর এর সাথে কাজ করতেন এবং পোশাক নকশাকারী মেরি জোফারস তার নিজস্ব কোণা ছিল কার্যালয়টির মধ্যে।[7][13] মোর কৌশলকে বেশি জোর দিয়েছেন আবেগের চেয়ে, যেটি স্টোন বলেন এটিই ছিল প্রিয়াস দৃশ্য ধারণের চাবি।[13] ছবির সাথে জড়িত সবাইকে উদ্ভাবনী মেজাজ ধরে রাখতে চেজল প্রতি শুক্রবার রাতে পুরনো ছবি দেখানোর আয়োজন করত যেগুলো ছবিটি করতে অনুপ্রাণিত করেছে যার মধ্যে ছিল “দা আম্ব্রেলা অব চেয়ারবার্গ',” “সিঙ্গিং ইন দা রেইন”, “টপ হ্যাট”, এবং “বুগি নাইটস”।[7]
চিত্রগ্রহণ
প্রথমদিকে চেজল চেয়েছিলেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সংগীত চিত্রায়ন করতে এবং যেগুলো এককভাবে মনোনয়ন করে সঞ্চালন করতে, ১৯৩০ এর গিংগার রজারস এবং ফ্রেড আস্টারি এর মত।[19] সে চেয়েছিল ১৯৫০ সালের সংগীতধর্মী ছবি যেমন ইটস অলওয়েজ ফেয়ার ওয়েদার এর ভাব বড়পর্দায় নিয়ে আসতে। কাজেই ছবিটি ফিল্ম এর মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছিল (ডিজিটাল নয়) পেনাভিশন এর যন্ত্র দিয়ে, কিন্তু কোন আসল সিনেমাস্কোপ ওই প্রযুক্তির মত বর্তমানে সহজলভ্য না।[28][29][30][31]
চেজল চেয়ছিল লস এঞ্জলস কে ছবিটির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করতে, এটা মন্তব্য করে যে “এই শহরের কিছু কাব্যিক জিনিস আছে বলে আমি মনে করে, যে শহর নির্মিত হয়েছে মানুষের অবাস্তব স্বপ্ন দ্বারা এবং যার জন্য লোক তাদের সবকিছু বাজি রাখে সেটার জন্য।[4] ছবিটির প্রধান আলোকচিত্র শুরু হয় আগস্ট ১০, ২০১৫ সালে,[32] এবং লস এঞ্জেলস এর ৬০টিরও বেশি স্থানে চিত্রগ্রহণ করা হয় যার মধ্যে ছিল ডাউনটাউন ট্রলি, হলিউড হিলস, এঞ্জেলস ফ্লাইট, কলোরাডো স্ট্রিট, সাউথ সাদেনা, গ্রান্ড সেন্ট্রাল মার্কেট, হেরমোসা বিচ, ওয়টাস টাওয়ার এর বিভিন্ন বাড়িতে। ৪০ দিন সময় লেগেছে ছবিটির চিত্রগ্রহণ শেষ করতে এবং শেষ হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর এর মাঝা-মাঝি।[7][33][34]
এনাদার ডে অফ দা সান বা প্রথম দৃশ্য যেটিই সর্বপ্রথম চিত্রায়ন করা হয়[7] এবং যার চিত্রগ্রহণ করা হয় লস এঞ্জেলস এর মহাসড়কের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ১০৫ ফ্রীওয়ে থেকে ১১০ পর্যন্ত যেটি লস এঞ্জেলস এর ডাউনটাউন পর্যন্ত পৌছিয়েছে। দৃশ্যটি দুই দিনের মধ্যে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি নৃত্যশিল্পী ছিল।[6][35] শুধুমাত্র আলাদা এই দৃশ্যের জন্য চেজল একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন যে শহরটি কত বৃস্তিত।[9] দৃশ্যটি মূলত পরিকল্পনা করা হয়েছিল সমভূমিতে করার কিন্তু চেজল সিন্ধান্ত নেন যে এটি ১০৫-১১০ ফ্রীওয়েতে করার জন্য যেটি ছিল বাতাসে ১০০ ফুট উঁচু। প্রযোজনা নকশাকারী ডেভিড ওয়াসকো বলেন, “আমি ভেবেছি কেউ হয়ত উপর থেকে পড়ে যাবে এবং মৃত্যু ঘটবে”। হাইওয়েটির প্রত্যেক অংশ বন্ধ ছিল না।[7] চেজল এই দৃশ্যটিকে তুলনা করেন হলুদ ইটের রাস্তা যেটি ইমারলেড শহর পর্যন্ত চলেছে ১৯৩৯ সালের উইজার্ড অব ওজ ছবির দৃশ্যের সাথে।[7]
চেজল “পুরোনো এলএ” এর জায়গাগুলো ঘুরে বেড়ায় যেগুলোর ধ্বংসাবশেষ আছে কিংবা ভগ্নাবশেষ আছে। এমনি একটি উদাহরণ হচ্ছে “এঞ্জেলস ফ্লাইট” ট্রলিতে দৃশ্যায়ন যেটি ১৯০১ সালে নির্মাণ করা হয়। এটি ২০১৩ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় লাইনচুত্য হওয়ার পর। অনেকবার চেষ্ঠা করা হয় এটি মেরামত করে পুনরায় রেলওয়েটি চালু করতে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। প্রযোজনা দল সফল হয় এটি একদিনের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নিতে। চেজল এবং তার দল পরে ব্যবস্থা করেন যাতে চিত্রগ্রহণের জন্য এটি চালু হয়।[9] মিয়া একটি কফির দোকানে কাজ করে স্টুডিওর পাশেই, যেটিকে চেজল দেখে হলিউডের “স্মৃতিস্তম্ভ” হিসাবে। প্রযোজনা নকশাকারী ওয়াস্কো অসংখ্য নকল পোস্টার তৈরি করেন। চেজল মাঝামধ্যে সেগুলোর জন্য নাম দেন, সিদ্ধান্ত নেন তার প্রথম ছবির নাম হবে, “গাই এন্ড মেডেলিন অন এ পার্ক বেঞ্চ” (২০০৯) একটি পোস্টারেরর জন্য যেটি ১৯৩০ এর দশকের ছবিগুলোর কথা পুনরায় ভাবিয়ে তুলে।[9]
ছয় মিনিট লম্বা প্রিয়াস দৃশ্যটি সম্পন্ন করতে হয়েছে সূর্যাস্তের “সোনালী ঘণ্টার” সময়। এটি সম্পন্ন করতে দুই দিনে আটবার চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে।[13] যখন গসলিং আর স্টোন এটি সম্পন্ন করে, স্টোন বলেন, “সবাই একসাথে চিৎকার দিয়ে উঠে।” [19] যেহুতু গসলিং এবং স্টোন পেশাদার অভিনয়কারী ছিল না, তারা দুজনেই কিছু ভুল করেছে বিশেষ করে যখন টানা একটি সংগীতের জন্য চিত্রগ্রহণ করা হত। চেজল এব্যাপারে সহানুভূতিশীল ছিলেন তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি বুঝে ভুল গুলো মনে রাখেননি।[15] যখন সেবাস্টিন আর মিয়ার প্রথম একসাথে নৃত্য চিত্রগ্রহণ করা হয়, স্টোন একটি বেঞ্চের পেছনের সাথে হোঁচট খান কিন্তু সেখান থেকে উঠে গিয়ে দৃশ্যটির সাথে মানিয়ে নেন।[15]
চেজল প্রায় এক বছত অতিবাহিত করেন ছবিটি সম্পাদনা করতে ছবিটির সম্পাদনাকারী টম ক্রসের সাথে। তারা দুজনেই দৃশ্যটি দেন যে সংগীতগুলো ঠিক জায়গায় বসাতে, যেটি ছিল ছবিটির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।[7]
সংগীত
লা লা ল্যান্ড ছবিটির গান এবং সংগীত রচনা এবং সমন্বয় করেন “জাস্টিন হার্টিজ”, চেজলের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু এবং যে তার অন্য দুটি ছবিতেও কাজ করেন।[13] গীতিকথাগুলো লিখেন পাসেক এবং পল[19] শুধুমাত্র “স্টার্ট এ ফায়ার” গানটি ছাড়া যেটি লিখেছিলেন জন লেজেন্ড, হার্টিজ, মারিস দে ভ্রাইস এবং এঞ্জেলিক সিনেলু।[36]
ছবির গান নিয়ে একটি এ্যালবাম প্রকাশ করা হয় ডিসেম্বত ৯, ২০১৬ সালে ইন্টারস্কোপ রেকর্ড থেকে, হার্টিজের বাছাই করা এবং যেটি সম্পাদনা করেন ছবির কলাকুশলীরা।[36]
মুক্তি
লা লা ল্যান্ড প্রথম মুক্তি পায় ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব এর উদ্ভোধনী রাতে আগস্ট ৩১, ২০১৬তে।[37][38] এটি টেলুরিড চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়,[39] টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসব যেটি শুরু হয় সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬ সালে,[40] দা বিএফআই লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসব,[41] মিডেলবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৬ এর অক্টোবরের শেষের দিকে, ভার্জেনিয়া চলচ্চিত্র উৎসব যেটি অনুষ্ঠিত হয় ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়াতে নভেম্বর ৬, ২০১৬ সালে এবং দা এএফআই উৎসবে নভেম্বর ১৫, ২০১৬ তে।[42]
ছবিটি মূলত জুলাই ১৫, ২০১৬তে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও [43] মার্চ ২০১৬তে ঘোষণা দেয়া হয় এটি সীমিতভাবে মুক্তি দেয়া হবে ডিসেম্বর ২, ২০১৬ তে এবং পূর্ণ মুক্তি পাবে ডিসেম্বর ১৬ তে।[44] চেজল বর্ণনা করেন যে তিনি মনে করেন যে ছবিটির প্রসঙ্গ মুক্তির দিনের সাথে যায় না এবং তিনি চেয়েছিলেন যেন শরৎকালের চলচ্চিত্র উৎসব দিয়ে ধীরে ধীরে শুরু করতে।[12] ছবিটি পরবর্তিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ডিসেম্বর ৯ এ সামান্য বৃস্তিতে নিয়ে মুক্তি দেয়া হয় ডিসেম্বর ১৬ তে পুরোপুরি মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে।[45] লায়ন্সগেইট ছবিটি পাঁচটি জায়গায় ডিসেম্বর ৯ এ মুক্তি দেয় এবং ডিসেম্বর ১৬ তে প্রায় ২০০টি হলে মুক্তি দেয়া হয়, সারাদেশব্যাপী ডিসেম্বর ২৫ এ মুক্তি দেয়ার পূর্বে। ছবিটি পূর্ণব্যাদিত করা হয় জানুয়ারি ৬, ২০১৭ সালে[34] আইম্যাক্স হলে এক সপ্তাহ পর মুক্তি নির্ধারণ করে।[46]
“লা লা ল্যান্ড” যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায় জানুয়ারি ১২, ২০১৭তে।[47] নেদারল্যান্ড এ ডিসেম্বর ২২, ২০১৬ তে এবং অস্ট্রেলিয়াতে ডিসেম্বর ২৬ এ এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় মুক্তির পরিকল্পনা করা হয় ২০১৭ এর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে।[48]
বক্স অফিস
১২ মার্চ ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, লা লা ল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে ১৪৮.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে এবং অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে ২৬৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সারাবিশ্বে মোট ৪১৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট নিয়ে।[3]
লা লা ল্যান্ড তার সীমিতভাবে মুক্তি দেয়া হয় লস এঞ্জেলস এবং নিউ ইয়র্কের পাঁচটি হলে ডিসেম্বর ৯ এ। এটি ৮৮১,১০৭ মার্কিন ডলার আয় করে প্রথম সপ্তাহে, যেটি প্রত্যেক হলে ছবিটিকে ১৭৬,২২১ মার্কিন ডলার এনে দেয় বছরের সেরা গড় হিসাবে।[49][50][51] এর দ্বিতীয় সপ্তাহে সীমিত মুক্তির মধ্যে ছবিটি ২০০ হলে মুক্তি দেয়া হয় যেটি ৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে সে সপ্তাহে এবং বক্স অফিসে সপ্তম স্থান দখল করে। এটি ছিল গত সপ্তাহের চেয়ে ৩৬৬% বেশি এবং প্রত্যেক হল থেকে গড় ২০,৫১০ মার্কিন ডলার আয় করে।[52] পরবর্তি সপ্তাহে এটি ৭৩৪টি হলে বৃস্তিত করা হয় এবং ৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে (যার মধ্যে বড় দিলে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে এবং ৯.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে বাকি চার দিনে), বক্স অফিসে ৮ম স্থানে সে সপ্তাহ শেষ করে।[53] জানুয়ারি ৬, ২০১৭ তে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের সপ্তাহান্তে ছবিটি ১৫১৫ টি হলে বৃস্তিত করা হয় এবং ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে বক্স অফিসে ৫ম স্থানে শেষ করে।[54] মুক্তি ৬ষ্ট সপ্তাহে এটি ১৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে(চার দিনে মোট ১৬.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে মার্থিন লুথার কিং দিবসে), বক্স অফিসে ২য় স্থান দখল করে “হিডেন ফিগারস” ছবির পেছনে।[55] ১৪টি অস্কার নমিনেশনের পর ৩১৩৬টি হলে ছবিটি বৃস্তিত করা হয় জানুয়ারি ২৭, ২০১৭তে(গত সপ্তাহের চেয়ে ১২৭১টি বেশি) এবং ১২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে সে সপ্তাহে(যেটি পূর্বের সপ্তাহের ৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়ে ৪৩% বেশি)।[56] ফেব্রুয়ারি ২৪-২৬ সপ্তাহান্তে(একাডেমী পুরস্কার সপ্তাহান্ত) ছবিটি ৪.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে গত সপ্তাহের সমান পরিমাণে।[57] পরবর্তি সপ্তাহে ছয়টি অস্কার জেতার পর, ছবিটি ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[58]
সমালোচনা
লা লা ল্যান্ড এর মুক্তির পর পরই সমালোচকদের দৃষ্টি লাভ করে, সমালোচকরা এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এর চিত্রনাট্য, পরিচালনা, অভিনয়, সংগীত এবং সংগীতের পরিমাণের।[59][60][61][62] রোটেন টমেটো ওয়েভসাইটটি ৩৩২ রিভিউয়ের উপর ভিত্তি করে ৯৩% সমর্থন করে এবং গড়ে ৮.৬/১০ রেটিং দেয়। সাইটির সমালোচকদের সর্বসম্মতিতে লিখে, “লা লা ল্যান্ড নতুন জীবনের নিঃশ্বাস নেয় অতিক্রান্ত এক ধরনের উপর রোমাঞ্চকরভাবে নিশ্চিত পরিচালনা, অসাধারণ অভিনয় এবং হৃদয়ের অবাধ্য বাড়তি এর সাথে।”[63] মেটাক্রিটিকে, যেটি সাধারণ রেটিং দেয় পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে, ছবিটি ১০০তে ৯৩ লাভ করে ৫৩জন সমালোচকের উপর ভিত্তি করে, যেটি “বৈশ্বিক জয়ধ্বনি” নির্দেশ করে।[64] এটি ছিল ২০১৬তে মুক্তি পাওয়া ৬ষ্ট সর্বোচ্চ স্কোরিং ছবি।[65]
পিটার ট্রাভার্সের রোলিং স্টোন লা লা ল্যান্ডকে চার তারকার মধ্যে চার তারকাই দেয় এটি বর্ণানা করে যে “একটি গরম চমৎকার ঘটনা” এবং এর সংগীত পরিমাণ, প্রথম দৃশ্য এর প্রশংসা করে। সে ছবিটিকে বছরের প্রিয় ছবি হিসাবে আখ্যায়িত করে।[66] চিকাগো ট্রিভিউনের সমালোচক মাইকেল ফিলিপস একইভাবে প্রথম দৃশ্যের প্রশংসা করেব এবং স্টোনের অভিনয়েরও প্রশংসা করেন এবং বলেন যে “লা লা ল্যান্ড দেখার জন্য সে যথেষ্ট কারণ হতে পারে।” ছবিটিতে গসলিং এর নৃত্য এবং মধ্য দৃশ্যগুলোর ব্যাপারে কম উৎসাহী হয়ে ফিলিপস ছবিকে চার তারকার মধ্যে চার তারকাই শুধু দেননি তিনি ঘোষণা দেন যে “বছরের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক ছবি” হিসাবে।”[67]
নিউ ইয়র্ক টাইমস এর এ.ও. স্কট ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন যে, “উভর দিক দিয়ে সফল একটি ঠান্ডা কল্পনা এবং নির্মম উপকথা, একটি রোমান্টিক কৌতুকপূর্ণ ছবি এবং একটি বিনোদনপূর্ণ গীতিনাটক, একটি উচ্চ নির্মাণকৌশল এবং মর্মস্পর্শী সত্যতা।”[68] দা গার্ডিয়ানের পিটার ব্রাডশো ছবিটিকে পাঁচ তারকার মধ্যে পাঁচ তারকাই দেন এবং বর্ণানা করেন “একটি সূর্য-প্লাবিত গীতিধর্মী সেরা শিল্পকর্ম” হিসাবে।[69] স্লাইট এন্ড সাউন্ডের টম চ্যারিটি বর্ণনা করেন যে, “চেজল নিয়ে এসেছে দূর্লভদর্শন নৈপূন্যতাকে, একটি প্রকৃত রোমান্টিক কৌতুকপূর্ণ ছবি এবং একই সাথে নীল, লাল, হলুদ এবং সবুজের একটি মহাকাব্য।”[70] সিনেমা স্কোপের ডায়ানা ডাব্রোস্কা লিখেন যে, “লা লা ল্যান্ড দেখতে অনেকটা আমরা যে দুনিয়ার কথা কল্পনা করি, কিন্তু সে কল্পনা থেকে নিষ্ঠুরতাও বের হয়ে আসে তাও বুঝি, এটাকে যদি চলচ্চিত্রের জগতে দেখানো হয় এবং এটা এখানে এখনও একটা সুপরিচিত সেরা শিল্পকর্ম।”[71] বোস্টন গ্লোবে ডিসেম্বর ২০১৬ এর জন্য লিখার সময় টাই বুরর ছবিটির কার্যকারিতার সারাংশ দর্শকদের মতামতের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করেনঃ “...ছবিটি ব্যবসা করেছে জমা হওয়া তিক্ত মিষ্টি সুখ যেগুলো লুপ্ত হচ্ছে, অনাদায়ী ভবিষ্যৎ চিন্তা ছবির চরম পরিণতিমূলক নৃত্যসংখ্যায়, কিংবা ওই কালি-ছিটানো, তারকা ভরা নৃত্য যেগুলো পুরাতন ছবিতে দেখা যায় সেগুলো চলছে, বা হলিউড সংগীত নিজেই। অথবা জাজঃ সেবাস্টিন প্রথম দিকে নাইট ক্লাবের একটি দৃশ্য আছে সে গম্ভীরভাবে সুরের সাথে লেগে থাকে যেটি সে ভালবাসে। “এটি তার ধমনীতে মারা যাচ্ছে” সে বলে। “আর বিশ্ব বলে ‘মারা যেতে দাও, এটাকে তার সময় ছিল।’ ঠিকাছে কিন্তু আমি থাকতে না।” এমনকি এই দৃশ্যটি সে পরিচালকের হয়ে বলে। লা লা ল্যান্ড ছবির শেষে সে আমাদের সবার হয়ে কথা বলে।”[72]
ছবিটির তীব্র সমালোচনা করা হয় রেইস এবং জাজ এর প্রতি এর বর্ণনার জন্য। ইউএসএ টুডে এর কেলি লওলার বলেন যে “গসলিং এর চরিত্র অনেক সমালোচনাকারীর মতে “রক্ষাকারী” হিসাবে তার অনুসন্ধান(এমনকি সফল হওয়ার জন্য) ঐতিহ্যবাহী সংগীত ধরন রক্ষার জন্য এর ধ্বংস থেকে, আপাতদৃষ্টিতে একমাত্র ব্যক্তি যে এধরনের লক্ষ অর্জন করতে পারবে।”[73] একই ভাব প্রকাশ করেন “উইয়ার্ড” ম্যাগাজিনের রুবি লট-লাবিঙ্গা,[74] নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের আন্না সিলামান,[75] এবং এমটিভি নিউজ এর ইরা ম্যাডিসন তৃতীয়।[76] নিউ ইয়র্ক অবজারভারের রেক্স রিড একই লক্ষ্য নিয়ে বলেন যে কিছুই নয় শুধুমাত্র পুরাতনধর্মী চিত্রনাট্য, বিলাসধর্মী লেখক-পরিচালক ডেমিয়েন চেজল এর দ্বারা, মথের ধোয়া ছড়ানো, এবং ছবিটি মধ্য অংশে একদম বাজেভাবে পড়ে গেছে, একটা জীর্ণ গদির মত যেটির নতুনভাবে ঝেড়ে তুলা প্রয়োজন।[77]
প্রশংসা
৮৯তম একাডেমি পুরস্কারে লা লা ল্যান্ড ছয়টি পুরস্কার জিতে এগিয়ে থাকে যার মধ্যে ছিল সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, শ্রেষ্ট সিনামাটোগ্রাফী, সেরা মৌলিক সুর, সেরা মৌলিক গান (“সিটি অব স্টারস”), সেরা প্রযোজনা নকশা শ্রেণীতে।[78] ছবিটি মোট ১৪টি মনোনয়ন লাভ করে সবচেয়ে বেশি মনোনীত একটি ছবি এর রেকর্ড গড়ে ১৯৫০ সালের অল আউট ইভ এবং ১৯৯৭ সালের টাইটানিকের সাথে মিলিত হয়ে। অন্যান্য মনোনয়ন এর মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা, সেরা পোশাক পরিকল্পনা, দ্বিতীয় মনোনয়ন সেরা মৌলিক গান(“অডিশন”), সেরা শব্দ সম্পাদনা, এবং সেরা শব্দ মিশ্রণ।[79] অনুষ্ঠান চলাকালে “লা লা ল্যান্ড”কে ঘোষণা দেয়া হয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসাবে, যেটি ভুল কাগজ থেকে পড়েন ওয়ারেন বেটি, যেটি মূলত ছিল সেরা অভিনেত্রীর জন্য যেটি মাত্র স্টোন জিতেছিলেন। অনুষ্ঠানের কলাকুশলীদের দুই মিনিটের বেশি সময় লেগেছিল প্রায় তিনটি পুরো বক্তৃতা ভুলটি সংশোধন করতে, আসল জয়ী ছিল “মুনলাইট”।[80][81]
৭৪ তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এ লা লা ল্যান্ড সাতটি মনোনয়ন লাভ করে।[82] ছবিটি মনোনীত সাতটি বিভাগেই জিতে নেয় যথাক্রমে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা চিত্রনাট্য, সেরা মৌলিক সুর এবং সেরা গান (‘সিটি অব স্টার’)।[83]
লা লা ল্যান্ড ৭০তম ব্রিটিশ একাডেমী চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১১টি মনোনয়ন লাভ করে যেটি ২০১৬ এর অন্য যেকোন চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশি।[84] ছবিটি যেসকল শ্রেণীতে জিতে তা হচ্ছে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি এবং সেরা চলচ্চিত্র সুর।[85]
হোম মিডিয়া
মার্চ ১২, ২০১৭তে লায়নসগেইট ঘোষণা দেয় যে লা লা ল্যান্ড এর ডিজিটাল এইচডি মুক্তি পাবে এপ্রিল ১১, ২০১৭ এবং ব্লুরে ও ডিভিডিতে মুক্তি পাবে এপ্রিল ২৫, ২০১৭তে।[86]
তথ্যসূত্র
- "La La Land (12A)"। ব্রিটিশ বোর্ড অব ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৪, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৬।
- Bart, Peter। "Peter Bart: 'La La Land' Adds Musical Backbeat To Wide-Open Awards Race" (ইংরেজি ভাষায়)। ডেডলাইন। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২, ২০১৬।
- "La La Land (2016)" (ইংরেজি ভাষায়)। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৯, ২০১৭।
- Ariston Anderson (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "'La La Land': Emma Stone, Director Damien Chazelle Talk Bringing Back Hope in Films"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৬।
- Hipes, Patrick; Patten, Dominic (এপ্রিল ১৪, ২০১৫)। "Ryan Gosling & Emma Stone Circling Damien Chazelle's 'La LaLand'" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- Nigel M Smith (সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬)। "Damien Chazelle on La La Land: 'Los Angeles is full of people chasing dreams'"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৬।
- Rebecca Ford (নভেম্বর ৩, ২০১৬)। "How 'La La Land' Went From First-Screening Stumbles to Hollywood Ending"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৩, ২০১৬।
- Goldstein, Meredith। "'La La Land' could have been set in Boston"। Boston Globe (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬।
- MekadoMurphy (নভেম্বর ৪, ২০১৬)। "L.A. Transcendental: How 'La La Land' Chases the Sublime"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৫, ২০১৬।
- Pete Hammond (আগস্ট ৩০, ২০১৬)। "Damien Chazelle's 'La La Land', An Ode To Musicals, Romance & L.A., Ready To Launch Venice And Oscar Season" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৬।
- Michael Phillips (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬)। "Ryan Gosling sings, dances, reads in margins of Gene Kelly's annotated script"। Chicago Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Joe McGovern (আগস্ট ৩০, ২০১৬)। "La La Land director on the 'timeless glamour' of Ryan Gosling & Emma Stone"। Entertainment Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Rebecca Reegan (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬)। "With 'La La Land,' Emma Stone and director Damien Chazelle aim to show that original musicals aren't all tapped out"। Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Pete Hammond (সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৬)। "Tom Hanks Interrupts His Own 'Sully' Q&A To Lavishly Praise 'La La Land' – Telluride" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৬।
- Ethan Alter (সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬)। "Emma Stone on Reteaming With Ryan Gosling in 'La La Land' and Her New Appreciation of Los Angeles"। Yahoo! Movies (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Scott Roxborough (সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬)। "Zurich: Lionsgate's Patrick Wachsberger on His Journey From Jerry Lewis to 'Twilight,' 'La LaLand'"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Emma Jones (অক্টোবর ৬, ২০১৬)। "La La Land: Gosling and Stone serenade Hollywood"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Matthew Grobar (নভেম্বর ৫, ২০১৬)। "Emma Stone Reveals Unorthodox 'La La Land' Audition; Mel Gibson On 'Hacksaw Ridge' Inspiration – The Contenders" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৬, ২০১৬।
- Jason Gay (অক্টোবর ১৪, ২০১৬)। "Emma Stone Takes the Biggest Leap of Her Career With La LaLand"। Vogue (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৬, ২০১৬।
- "This painful audition scene in 'La La Land' was based on Ryan Gosling's real-life experience"। Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Kate Thomas And Jennifer Pearson (অক্টোবর ৮, ২০১৬)। "Lights, camera, action! Emma Stone looks every inch the girl next door in a blue shirt and A-line skirt as she joins Ryan Gosling on the set of La LaLand"। Daily Mail (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Hipes, Patrick (জুলাই ৮, ২০১৫)। "Sonoya Mizuno, Jessica Rothe& Callie Hernandez Move Into 'La La Land'" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- Ford, Rebecca (জুলাই ১০, ২০১৫)। "'La La Land' Adding 'American Horror Story' Actor Finn Wittrock (Exclusive)"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- Hipes, Patrick (আগস্ট ৪, ২০১৫)। "Rosemarie DeWitt Chimes In For 'La La Land'" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- Kroll, Justin (আগস্ট ৪, ২০১৫)। "John Legend in Talks to Join Emma Stone and Ryan Gosling in Musical 'La La Land'"। Variety (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৫।
- A. Lincoln, Ross (আগস্ট ১১, ২০১৫)। "John Magaro Joins 'War Machine'; Jason Fuchs Moves To 'La La Land'" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৬, ২০১৫।
- Pederson, Erik (আগস্ট ১০, ২০১৫)। "Tony Sirico Joins Woody Allen's Latest; Meagen Fay Tunes Up For 'La La Land'"। Deadline.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১২, ২০১৭।
- "Shot in CinemaScope, La La Land vibrantly romances the olden days of Hollywood" (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ১০, ২০১৭। জানুয়ারি ৩১, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৭।
- Gray, Richard (ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬)। "Review: La LaLand" (ইংরেজি ভাষায়)।
- Desowitz, Bill। "Oscars 2017: Shooting on Film Will Impact Cinematography Race - IndieWire" (ইংরেজি ভাষায়)।
- "La La Land (Damien Chazelle, US) — Special Presentations - Cinema Scope" (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬।
- "On the Set for 8/14/15: Marlon Wayans Starts Fifty Shades of Black, Bill Condon Wraps Up Beauty and The Beast"। SSN Insider (ইংরেজি ভাষায়)। আগস্ট ১৪, ২০১৫। ২১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- "Ryan Gosling sees 'La La Land' as an opportunity to show off Los Angeles"। Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। নভেম্বর ৬, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৬, ২০১৬।
- Anthony D'Alessandro (ডিসেম্বর ১০, ২০১৬)। "How 'La La Land' Director Damien Chazelle, His Team &Lionsgate Faced The Music & Resurrected The Original Hollywood Musical" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৬।
- Anthony D'Alessandro (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬)। "How Damien Chazelle Pulled Off That L.A. Freeway Musical Number In 'La La Land' – Toronto Studio" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৬।
- "'La La Land' Soundtrack Details" (ইংরেজি ভাষায়)। Film Music Reporter। নভেম্বর ১৭, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৫, ২০১৭।
- Vivarelli, Nick (জুন ২০, ২০১৬)। "Damien Chazelle's 'La La Land' to Open Venice Film Festival in Competition"। Variety (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০১৬।
- "La La Land" (ইংরেজি ভাষায়)। Venice Film Festival। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৬।
- Hammond, Pete (সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬)। "Telluride Film Festival Lineup: 'Sully', 'La La Land', 'Arrival', 'Bleed For This' & More" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬।
- Nolfi, Joey (জুলাই ২৭, ২০১৬)। "Toronto Film Festival 2016: Magnificent Seven, La La Land to screen"। Entertainment Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৬।
- "La La Land" (ইংরেজি ভাষায়)। BFI London Film Festival। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬।
- Hipes, Patrick (অক্টোবর ২০, ২০১৬)। "'La La Land' Added As AFI Fest Centerpiece Gala" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২০, ২০১৬।
- Sneider, Jeff (এপ্রিল ৩০, ২০১৫)। "'Power Rangers,' Kristen Stewart's 'American Ultra' Land Release Dates"। TheWrap (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২০, ২০১৫।
- Lang, Brent (মার্চ ৭, ২০১৬)। "Ryan Gosling, Emma Stone Musical 'La La Land' Grabs Oscar Season Debut"। Variety (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৬।
- D'Alessandro, Anthony (সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬)। "'La La Land' Shuffles Back One Weekend in December Rollout" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬।
- "La La Land Dances into Select IMAX® Theatres"। IMAX (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ৫, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৭।
- "'La La Land' UK Release Date" (ইংরেজি ভাষায়)।
- Nancy Tartaglione (ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)। "'Fantastic Beasts' Conjures $680M WW; 'Christmas Party' & 'Sing' Swing; 'Hacksaw' Wows in China Bow – Intl Box Office" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১২, ২০১৬।
- Pamela McClintock (ডিসেম্বর ৯, ২০১৬)। "Weekend Box Office: 'Office Christmas Party' Wins Friday; 'La La Land' Soars"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৬।
- Scott Mendelson (ডিসেম্বর ১০, ২০১৬)। "Box Office: 'Office Christmas Party' Topped Friday, But 'La La Land' Nabbed Festive $300K"। Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৬।
- Brian Brooks (ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)। "'La La Land' Dances To Year's Best Box Office Theater Average" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১২, ২০১৬।
- "'Rogue One' Flying To $152M+ Weekend; 'Collateral Beauty' A Career B.O. Low For Will Smith: PM Update" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com।
- "With 'Fences,' 'La La Land' Enter Top 10 As 'Rogue One' & 'Sing' Rule Holiday – Monday AM Update" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com।
- "'Rogue One' Doesn't Want To Fall To 'Hidden Figures' As Winter Storm Helena Closes Theaters" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com।
- "'Hidden Figures' Stays Smart, But Why Are So Many Movies Bombing Over MLK Weekend?" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com।
- "Is Controversy Impacting 'A Dog's Purpose' At The Box Office?" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com।
- "Universal/Blumhouse's 'Get Out' Now Grabbing A $30M+ Opening" (ইংরেজি ভাষায়)। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭।
- "'Logan's $85.3M Debut Breaks Records For Wolverine Series & Rated R Fare; Beats 'Fifty Shades' & 'Passion Of The Christ'", Deadline.com (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৭
- Ciras, Heather (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "Emma Stone and Ryan Gosling's 'La La Land' gets rave reviews in Venice"। Boston Globe (ইংরেজি ভাষায়)।
- Phillips, Michael (সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬)। "Venice audiences enchanted by 'La La Land'"। Chicago Tribune (ইংরেজি ভাষায়)।
- Hopewell, John (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "Ryan Gosling, Emma Stone, Damien Chazelle's 'La La Land' Wow Venice"। Variety (ইংরেজি ভাষায়)।
- Desta, Yohana (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "La La Land Stuns at the Venice Film Festival"। Vanity Fair (ইংরেজি ভাষায়)।
- "La La Land (2016)" (ইংরেজি ভাষায়)। Rotten Tomatoes। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৮, ২০১৭।
- "La La Land reviews" (ইংরেজি ভাষায়)। Metacritic। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২১, ২০১৬।
- "The Best Movies of 2016" (ইংরেজি ভাষায়)। Metacritic। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- Travers, Peter (ডিসেম্বর ৬, ২০১৬)। "'La La Land' Review: Magical Modern-Day Musical Will Sweep You Off Your Feet"। Rolling Stone (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ২৮, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৭।
- Phillips, Michael (ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬)। "'La La Land' review: Stone, Gosling light up Damien Chazelle's romantic reverie"। Chicago Tribune (ইংরেজি ভাষায়)।
- Scott, A. O.। "Review: Ryan Gosling and Emma Stone Aswirl in Tra La La Land"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৮, ২০১৬।
- Bradshaw, Peter (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "La La Land review: Ryan Gosling and Emma Stone shine in a sun-drenched musical masterpiece"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৬।
- Charity, Tom (নভেম্বর ৪, ২০১৬)। "First-look review: Damien Chazelle's La La Land (2016) | Sight & Sound" (ইংরেজি ভাষায়)। BFI। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৮, ২০১৬।
- Dabrowska, Diana। "La La Land (Damien Chazelle, US) – Special Presentations" (ইংরেজি ভাষায়)। Cinema Scope। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৮, ২০১৬।
- Ty Burr. "‘La La Land’ resurrects the classic movie musical." The Boston Globe. December 14, 2016. .
- Lawler, Kelly (জানুয়ারি ১১, ২০১৭)। "The Oscar race: The case against 'La La Land'"। USA Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- Lott-Lavigna, Ruby (জানুয়ারি ১০, ২০১৭)। "La La Land review: an ambitious musical soured by racist undertones"। Wired (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- Silman, Anna (ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬)। "La La Land: A Musical Ode to Men Who Love Loving Jazz"। New York (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- Madison III, Ira (ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬)। "La La Land's White Jazz Narrative" (ইংরেজি ভাষায়)। MTV News। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৭।
- Reed, Rex (ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬)। "Good-Intentioned But Overrated, 'La La Land' Reeks of Mothballs"। New York Observer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭।
- "The 89th Academy Awards (2017) Nominees and Winners" (ইংরেজি ভাষায়)। Academy of Motion Picture Arts and Sciences (AMPAS)। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭।
- "Oscars Nominations 2017: The Complete List of Nominees"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ২৪, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৪, ২০১৭।
- Donnelly, Jim (ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)। "Moonlight Wins Best Picture After 2017 Oscars Envelope Mishap" (ইংরেজি ভাষায়)। Academy of Motion Picture Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭।
- Rothman, Michael (ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)। "'Moonlight' wins best picture after 'La La Land' mistakenly announced" (ইংরেজি ভাষায়)। ABC News। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭।
- "Golden Globes 2017: The Complete List of Nominations"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ১২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১২, ২০১৬।
- Lee, Ashley (জানুয়ারি ৮, ২০১৭)। "Golden Globes: 'La La Land' Breaks Record for Most Wins by a Film"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১২, ২০১৭।
- Ritman, Alex (জানুয়ারি ৯, ২০১৭)। "BAFTA Awards: 'La La Land' Leads Nominations"। The Hollywood Reporter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০১৭।
- Mitchell, Robert (ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭)। "'La La Land' Wins Top Prizes at BAFTA Awards in London"। Variety (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭।
- "'La La Land' Lionsgateathome.com"। Lionsgate (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ১২, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লা লা ল্যান্ড (ইংরেজি)