লা ভিতা এ বেল্লা
লা ভিতা এ বেল্লা (ইতালীয়: La vita è bella; ইতালীয় উচ্চারণ: [la ˈviːta ˈɛ bˈbɛlla]; অর্থ জীবন অনেক সুন্দর) ১৯৯৭ সালে নির্মিত কৌতুক-নাট্য ঘরানার একটি ইতালীয় চলচ্চিত্র, যা রবার্তো বেনিনি কর্তৃক পরিচালিত এবং অভিনীত। ভিনচেঞ্জো চেরামি'র সাথে যৌথভাবে বেনিনি ছবিটির কাহিনী রচনা করেন। এই ছায়াছবিতে বেনিনিকে দেখা যায় একজন ইহুদি-ইতালীয় বইয়ের দোকানের মালিকের চরিত্রে, যিনি নিজের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনার আশ্রয় নিয়ে, তার ছেলেকে নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করেন। চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে, রুবিনো রোমিও রচিত গ্রন্থ ইন দ্য এন্ড, আই বিট হিটলার এবং বেনিনি'র পিতা, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালীয় সেনা হিসেবে দুই বছর একটি জার্মান শ্রম শিবির -এ নিয়োজিত ছিলেন, তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
লা ভিতা এ বেল্লা | |
---|---|
পরিচালক | রবার্তো বেনিনি |
প্রযোজক | জিয়ানলুইজি ব্রাস্কি এল্দা ফের্রি |
রচয়িতা | রবার্তো বেনিনি ভিনচেঞ্জো চেরামি |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | নিকোলা পিওভানি |
চিত্রগ্রাহক | তোনিনো দেল্লি কল্লি |
সম্পাদক | সিমোনা পাজ্জি |
প্রযোজনা কোম্পানি | মেলাম্পো চিনেমাতোগ্রাফিকা (মেলাম্পো সিনেমাটোগ্রাফি) |
পরিবেশক | চেক্কি গরি গ্রুপ (ইতালি) মিরাম্যাক্স ফিল্মস (যুক্তরাষ্ট্র/ আন্তর্জাতিক) |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১১৬ মিনিট[1] |
দেশ | ইতালি |
ভাষা | ইতালীয় জার্মান ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২০ মিলিয়ন[2] |
আয় | $২৩০.১ মিলিয়ন[3] |
সমালোচক এবং বাণিজ্যিক- উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এটি একটি সফল চলচ্চিত্র। ছবিটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে, যার বদৌলতে এটি ইংরেজি ব্যতিরেকে অন্য কোন ভাষায় মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ আয়কারী হিসেবে স্থান করে নেয়[4]। চলচ্চিত্রটির মূল বিষয়বস্তুকে কৌতুকার্থে ব্যবহার করার কারণে কিছুটা সমালোচনার শিকার হলেও সার্বিকভাবে তা ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৯৯৮ এর গ্রাঁ প্রিঁ (শ্রেষ্ঠ পুরস্কার), নয়টি দাভিদ দি দোনাতেল্লো পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ), পাঁচটি নাস্ত্রো দারজেন্তো পুরস্কার, দুটি ইউরোপীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এবং তিনটি অ্যাকাডেমি পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বেনিনি-সহ)
পটভূমি
১৯৩৯ সালে, ইতালি রাজ্যে (Kingdom of Italy), গুইদো অরেফিচে (Guido Orefice) নামক এক ইহুদি তরুণ কাজের সন্ধানে শহরে (আরেৎজো, তোস্কানা) আসে, যেখানে তার চাচা এলিসেও (Eliseo) একটি রেস্তোরাঁ চালায়। গুইদো কৌতুকপ্রবণ ও তীক্ষ্ম-বুদ্ধিসম্পন্ন এক তরুণ, যে ডোরা (Dora) নামের বিধর্মী এক মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। পরবর্তীকালে, সে মেয়েটিকে শহরে আবারও দেখতে পায় যেখানে মেয়েটি একজন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিল। স্থানীয় এক ধনাঢ্য কিন্তু উন্নাসিক সরকারি কর্মকর্তার সাথে বাগদান হবার কথা ছিল ডোরার, যার সাথে আবার গুইদো'র নিয়মিত হাঙ্গামা লেগেই থাকত। গুইদো পরিকল্পিতভাবে অনেকগুলো "কাকতালীয়" ঘটনা সাজিয়ে ডোরা'র প্রতি তার আগ্রহ প্রদর্শন করে। অবশেষে, ডোরা তার প্রতি গুইদো'র অনুরাগ আর প্রতিশ্রুতি দেখতে পায়, আর নিজের বিচার-বিবেচনার অনেকটা বিরুদ্ধে গিয়েই, তার মন গলে যায়। গুইদো মেয়েটির বাগদান অনুষ্ঠান থেকে তাকে নিয়ে, ঘোড়সওয়ার হয়ে পালিয়ে যায়; অপমানিত হয় ডোরা'র মা আর তার হবু বাগদত্ত। পরে গুইদো আর ডোরা'র বিয়ে হয়, তাদের ঘরে জোসুয়ে (Giosuè) নামক এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তারা একটা বইয়ের দোকান চালাত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর, ১৯৪৪ সালে যখন উত্তর ইতালি নাৎসি জার্মানি কর্তৃক অধিকৃত হয়, তখন গুইদো, তার চাচা এলিসেও এবং জোসুয়ে তাদের হাতে ধরা পড়ে; সেটাও জোসুয়ে'র জন্মদিনের দিনে। তারা সহ আরও অনেক ইহুদিদের জোরপূর্বক একটা রেলগাড়িতে তুলে নিয়ে একটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ডোরা যখন তার স্বামী ও পুত্রের খোঁজে এক প্রহরীর মুখোমুখি হয়, এবং তাকে বলা হয় যে, প্রহরীদের কোন ভুল হয়নি; ডোরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই রেলগাড়িতে চড়ে বসে যেন সে তার পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পারে। তা স্বত্বেও, বন্দিদশায় ডোরা আর গুইদো'র মধ্যে আর কখনো দেখা হয় না, কেননা ক্যাম্পে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা রাখা হত। গুইদো নানা রকম কেরামতি দেখিয়ে, যেমন- ক্যাম্পের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে, ডোরাকে সাংকেতিক কিংবা আক্ষরিক বার্তা পাঠিয়ে, তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করত যে, সে এবং তাদের ছেলে নিরাপদেই আছে। ক্যাম্পে পৌঁছানোর কিছু পরই এলিসেও কে গ্যাস প্রকোষ্ঠে নিয়ে হত্যা করা হয়। জোসুয়ে অল্পের জন্য গ্যাস প্রকোষ্ঠে মৃত্যু থেকে বেঁচে যায় কেননা সে গোসল করতে একেবারেই পছন্দ করত না, এবং যখন ক্যাম্পের বাচ্চাদের গোসলের কথা বলে গ্যাস প্রকোষ্ঠে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছিল, সে অন্য বাচ্চাদের পিছু পিছু সেখানে যায়নি।
ক্যাম্পে তাদের প্রকৃত অবস্থা, গুইদো তার ছেলের কাছ থেকে গোপন করে যায়। গুইদো জোসুয়েকে বোঝায় যে, ক্যাম্পটি হচ্ছে একটি জটিল খেলা, যেখানে গুইদো তাকে যে যে কাজ করতে বলবে, সেগুলো অবশ্যই করতে হবে। প্রত্যেকটা কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে সে পয়েন্ট পাবে, আর যে কি-না সবার আগে এক হাজার পয়েন্ট পাবে, সে পুরস্কার হিসেবে একটা ট্যাংক পাবে। সে তার ছেলেকে বলে যে, যদি সে কাঁদে, মায়ের কাছে যেতে চায় বলে বায়না ধরে, কিংবা বলে যে সে ক্ষুধার্ত, তাহলে তার পয়েন্ট কাটা যাবে। আর যেসব ছেলেরা ক্যাম্পের প্রহরীদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে পারবে- তারা অতিরিক্ত পয়েন্ট পাবে। মাঝেমধ্যে জোসুয়ে এসব খেলা খেলতে একটু গড়িমসি করত, কিন্তু গুইদো প্রতিবারই তাকে খেলা চালিয়ে যেতে রাজি করাত। একটা সময়, জার্মান কর্মকর্তাগণ সপরিবারে ক্যাম্প পরিদর্শন করতে আসে; সেই সুযোগে গুইদো তার ছেলেকে দেখায় যে, অন্য বাচ্চারাও খেলারই অংশ হিসেবে লুকিয়ে আছে। আর গুইদো যখন জার্মান কর্মকর্তাদের খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিল, তখন সে এক জার্মান আয়াকে বোকা বানায়, যার কারণে সে জোসুয়েকেও জার্মান বাচ্চা মনে করে তাদের সাথে একত্রে খেতে দেয়। গুইদো আর জোসুয়েকে, আরেক খানসামা কয়েদি হিসেবে প্রায় ধরেই ফেলেছিল, কিন্তু তখন গুইদোকে দেখা যায় যে, সে সব জার্মান বাচ্চাদের ইতালীয় ভাষায় "ধন্যবাদ" বলতে শেখাচ্ছে।
গুইদো একদম শেষ অব্দি ছেলের কাছে তার গল্প চালিয়ে যায়। মিত্র বাহিনীর আগমনের কারণে ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে, সে তার ছেলেকে একটা বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে বলে, যতক্ষণ না সবাই ঐ জায়গা ছেড়ে চলে যায়। সেটাই প্রতিযোগিতার শেষ কাজ আর সেটা পারলেই প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কটি তার হয়ে যাবে বলে গুইদো তাকে জানায়। গুইদো ডোরাকে খুঁজতে যায়, কিন্তু এক জার্মান সৈনিকের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। ঐ সৈনিক তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়, এবং তাকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। গুইদোকে যখন মেরে ফেলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন শেষবারের মত জোসুয়ে'র সাথে তার দেখা হয়; সে তখনো পর্যন্ত তার কাল্পনিক চরিত্রের মধ্যে থেকেই ছেলের দিকে চোখের ইশারা করে। গুইদোকে গুলি করে একটা গলির মধ্যে মরার জন্য ফেলে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে, জোসুয়ে বাক্স থেকে বেরিয়ে আসে, ঠিক তখনই শারম্যান ট্যাঙ্ক-সজ্জিত মার্কিন সেনাদলের আগমন ঘটে এবং ক্যাম্প মুক্ত হয়। ট্যাঙ্ক জিতেছে- এই খুশিতে আত্মহারা হয় জোসুয়ে (তখনও সে জানে না যে, তার বাবা মৃত)। এক আমেরিকান সৈনিক তাকে ট্যাঙ্কে উঠতে দেয়। নিরাপদ স্থানে যাবার পথে, ক্যাম্প ত্যাগকারী লোকজনের ভিড়ে, জোসুয়ে শীঘ্রই তার মা-কে দেখতে পেয়ে যায় এবং তার সাথে পুনর্মিলিত হয়। শিশু জোসুয়ে যখন উত্তেজিতভাবে তার মাকে বলতে থাকে যে, কীভাবে সে একটা আস্ত ট্যাঙ্ক জিতেছে, ঠিক যেমনটা তার বাবা তাকে কথা দিয়েছিল; তখন নেপথ্যে প্রাপ্তবয়স্ক জোসুয়ে'র স্বগতোক্তি হিসেবে, তার ও তার গল্পের জন্য নিজ পিতার চূড়ান্ত আত্মত্যাগের রোমন্থিত স্মৃতির কথা শোনা যায়।
কুশীলব
- গুইদো অরেফিচে - রবার্তো বেনিনি
- ডোরা অরেফিচে - নিকোলেত্তা ব্রাস্কি
- জোসুয়ে অরেফিচে - জর্জো কান্তারিনি
- এলিসেও চাচা - জুস্তিনো দুরানো
- ডাক্তার লেসিং - হর্স্ট বুখল্য
- ডোরা'র মা - মারিসা পারেদেস
- ফের্রুচো - সার্জো বুস্ত্রিক
- রোদোল্ফো - আমেরিগো ফন্তানি
- গুইচারদিনি - লিডিয়া আলফোন্সি
- প্রধান শিক্ষিকা - জিউলিয়ানা লোইওদিচে
- বার্তোলোমেও - পিয়েত্রো দে সিলভা
- ভিত্তোরিনো - ফ্রান্চেস্কো গুজ্জো
- এলেনা - রাফ্ফায়েল্লা লেব্বোরোনি
- আমিকো রোদোল্ফো - ক্লাউদিও আলফন্সি
- অধ্যক্ষ - জিল বারোনি
- জেনারেল গ্রাৎসিওজি - এনিও কনসাল্ভি
- ট্যাঙ্ক চালক - আরন ক্রেইগ
- ইতালির রাজা - আলফিয়েরো ফালোমি
নির্মাণ
পরিচালক রবার্তো বেনিনি, যিনি ভেনচেঞ্জো চেরামি’র সাথে যৌথভাবে ছবির চিত্রনাট্য রচনা করেন, তিনি রুবিনো রোমিও সালমোনি ও তার বই ইন দ্য এন্ড, আই বিট হিটলার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বইটিতে বিদ্রুপ আর ব্ল্যাক কমেডি’র সংমিশ্রণ রয়েছে।[5] সালমোনি ছিলেন একজন ইতালীয় ইহুদি, যাকে আউশ্উইৎজ এ নির্বাসিত করা হয়েছিল, সেখান থেকে বেঁচে ফিরে তিনি নিজের বাবা–মা’র সাথে পুনর্মিলিত হন, কিন্তু জানতে পারেন যে তার ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। বেনিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি সালমোনি-কে এমন একজন মানুষ হিসেবে স্মরণ করতে চেয়েছিলেন, যে সঠিকভাবে বাঁচতে চেয়েছিল।[6] ছবির কাহিনীর জন্য তিনি নিজ পিতা লুইজি বেনিনি’র জীবনের ওপরও খানিকটা নির্ভর করেছেন, যিনি ইতালীয় সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৪৩ সালে ইতালি যখন শত্রুপক্ষের সাথে যোগদান করে, তখন দুই বছর তিনি একটি জার্মান শ্রম শিবিরে দায়িত্ব পালন করেন।[7] নিজের অভিজ্ঞতার কথা সন্তানদের কাছে বলার সময়, তিনি হাস্যরসের আশ্রয় নিতেন যেন তার ছেলেমেয়েদের মনে বিরূপ প্রভাব না পড়ে; আর সেটা তাকে খাপ খাইয়ে নিতেও সাহায্য করত।[8] রবার্তো বেনিনি তার নিজস্ব দর্শন ব্যাখ্যা করেন এভাবে:[9]
“হাসি আর কান্না তো আত্মার একই জায়গা থেকে আসে, তাই না? আমি একজন কথক: সৌন্দর্য, কাব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারাটাই সবচেয়ে দুরূহ ব্যাপার, সেটা কি কমেডি নাকি ট্র্যাজেডি সেটা কোন ব্যাপার নয়। আপনি শ্রী–টা ধরতে পারলে দুটোই এক।”
বেনিনি নিজে যেহেতু কৌতুকাভিনেতা এবং ইহুদি নন, এজন্য তার বন্ধু–বান্ধবেরা তাকে এই ছবি বানাতে নিষেধ করেছিলেন। তাছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত দর্শক–শ্রোতাদের কাছে হলোকস্ট তেমন আগ্রহ সঞ্চারক কোন বিষয় ছিল না।[10] যেহেতু তিনি ইহুদি নন, তাই ছবির নির্মাণকাজ চলাকালে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে মিলানে অবস্থিত সেন্টার ফর ডকুমেনটেশন অফ কনটেম্পোরারি জুডেইজম এর থেকে পরামর্শ নিতেন।[11] বেনিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই তার কাহিনীতে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ঘটনায় ত্রুটি রেখেছিলেন, যেন সত্যিকারের হলোকস্ট থেকে তার গল্পকে সহজে আলাদা করা যায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, কেবলমাত্র উত্তরজীবীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র থেকেই “সত্য” জানা সম্ভব।[9]
আরেৎজো, তোস্কানা’র সেন্ত্রো স্তোরিকো (ঐতিহাসিক কেন্দ্র)– তে চলচ্চিত্রায়ণের কাজ করা হয়। ছবির যে দৃশ্যে গুইদো (বেনিনি) সাইকেল থেকে ডোরা’র (নিকোলেত্তা ব্রাস্কি) ওপর গিয়ে পড়ে, সেই দৃশ্যটি আরেৎজো’র বাদিয়া দেল্লে সান্তা ফ্লোরা এ লুচিল্লা গির্জার সামনে ধারণ করা হয়।[12]
মুক্তি
১৯৯৭ সালে, চেক্কি গরি দিস্ত্রিবুৎজিওনে কর্তৃক চলচ্চিত্রটি ইতালিতে মুক্তিলাভ করে।[13] মে ১৯৯৮ সালে ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসব এ প্রদর্শিত হয়, যেখানে নির্বাচিত ছবির তালিকায় এটি ছিল একটি বিলম্বিত সংযোজন।[14] ২৩ অক্টোবর ১৯৯৮ তারিখে[10] এটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিলাভ করে, মিরাম্যাক্স ফিল্মস এর মাধ্যমে।[15] যুক্তরাজ্যে ছবিটি মুক্তি পায় ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে।[9] ইতালীয় ভাষার পরই, ইংরেজিভাষী অঞ্চলগুলোতে ইংরেজিতে মুদ্রিত সংলাপ-বিশিষ্ট (সাবটাইটেল) সংস্করণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মিরাম্যাক্স পরে লাইফ ইজ বিউটিফুল শিরোনামে ইংরেজিতে ভাষান্তরিত একটি সংস্করণ মুক্তি দেয়, তবে সেটা ইংরেজি সাবটাইটেলযুক্ত ইতালীয় সংস্করণের মত অতটা জনপ্রিয়তা পায়নি।[16]
২২ অক্টোবর ২০০১ তারিখে, ইতালীয় টেলিভিশন স্টেশন রাই-এ এই ছবিটি সম্প্রচার করা হয়, যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ দর্শক দেখেন। ইতালীয় টেলিভিশনে সর্বাধিক দেখা ইতালীয় চলচ্চিত্র এটি।[17]
অভ্যর্থনা
বক্স অফিস
লা ভিতা এ বেল্লা একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র, যা ইতালিতেই ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করে।[18] ২০১১ সাল পর্যন্ত এটাই ছিল ইতালিতে সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র, যা পরে কেক্কো যালোনে পরিচালিত ছবি কে বেল্লা জোর্নাতা (আক্ষরিক বাংলায়, কী চমৎকার দিন) ছাড়িয়ে যায়।[19]
বহির্বিশ্বেও ছবিটি ব্যবসাসফল হয়; যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ৫ কোটি ৭৬ লক্ষ মার্কিন ডলার, এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রায় ১২ কোটি ৩৮ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করে; যার ফলে বিশ্বব্যাপী এর মোট আয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি মার্কিন ডলারের-ও বেশি।[3] ২০০০ সালে ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন (২০০০) এর আগ পর্যন্ত, এটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ আয়কারী বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র।[20]
সমালোচক প্রতিক্রিয়া
ইতালীয় গণমাধ্যম চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করে, আর বেনিনিকে "জাতীয় বীর" হিসেবে গণ্য করা হয়।[11] চলচ্চিত্র সমালোচনা ওয়েবসাইট রটেন টমাটোজ এ, ৮৭টি পর্যালোচনা এবং গড়ে ১০ এ ৭.৫৮ রেটিং এর পরিপ্রেক্ষিতে, ছবিটি ৮০% অনুমোদন সহকারে "ফ্রেশ" রেটিং লাভ করে। এই ওয়েবসাইটের পর্যালোচনায় বলা হয়: "বেনিনি'র আন্তরিক মাধুর্য, যখন তা সীমা ছাড়ানো রকমের অনর্থক ভাঁড়ামো নয়, অকল্পনীয় ভয়াবহতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আশার সম্ভাবনা দেখায়।"[21] পোপ দ্বিতীয় জন পল, যিনি বেনিনি'র সাথে একটি ব্যক্তিগত প্রদর্শনীতে ছবিটি দেখেছিলেন, তিনি নিজের সবচেয়ে প্রিয় পাঁচটি চলচ্চিত্রের মধ্যে একে স্থান দিয়েছেন।[11]
সমালোচক রজার ইবার্ট তার সমালোচনায় ছবিটিকে ৩.৫/৪.০ তারকা রেটিং দিয়ে বলেছেন: "কানে, হলোকস্ট প্রসঙ্গে কৌতুকরসের ব্যবহার, কোন কোন বামপন্থী সমালোচককে ক্ষুব্ধ করেছে। যে ব্যাপারটা উভয় পক্ষের (বাম ও ডানপন্থী) কাছেই অসন্তোষজনক হতে পারে সেটা হচ্ছে, রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে শুধুমাত্র মানুষের সরল অকপটতাকে তুলে ধরা। ছবিটি এর সংবেদনশীল বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করার জন্য সঠিক সুরটা ধরতে পেরেছে...ছবিটি হলোকস্টকে সামান্য কিছুটা কমনীয় করেছে, হাস্যরসের অন্তর্ভুক্তিকে সম্ভবপর করার জন্য। আসল কোন মৃত্যু শিবিরে গুইদো'র মত চরিত্রের কোন জায়গা থাকত না। কিন্তু লাইফ ইজ বিউটিফুল তো নাৎসি আর ফ্যাসিবাদীদের নিয়ে নয়, মানুষের কর্মশক্তি নিয়ে। যা কিছু ভালো ও আশাব্যঞ্জক, তাকে স্বপ্নের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা নিয়ে নির্মিত এটা। ভবিষ্যতের জন্য আশা নিয়ে। মানুষের অত্যাবশ্যক প্রত্যয়, কিংবা এই বিভ্রম নিয়ে যে, অবস্থা এখন যেমনই হোক না কেন, আমাদের সন্তানদের জন্য তা শ্রেয়তর অবস্থায় থাকবে।"[22]
শিকাগো ট্রিবিউনের সমালোচক মাইকেল উইলমিংটন ছবিটিকে ১০০ তে ১০০ দিয়ে বলেছেন, এটি "শীতল আতঙ্ক আর পরমানন্দময় স্ফূর্তির গভীরভাবে মর্মস্পর্শী এক সংমিশ্রণ। ইতালির শীর্ষ কৌতুকাভিনেতা এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কর্তৃক সাদরে নির্মিত, এটা এমন বিরল এক কমেডি যা দুঃসাহসী ও উচ্চাভিলাষী একটি বিষয়বস্তু হাতে নিয়ে, তার প্রতি যোগ্য সুবিচার করেছে।"[23]
ওয়াশিংটন পোস্ট-এ লেখা নিবন্ধে মাইকেল ও' সালিভান একে "করুণ, মজার এবং মর্মভেদী" বলে আখ্যা দিয়েছেন।[24]
কমন সেন্স মিডিয়া'র নেল মিনাও একে তার ৫-তারকা পর্যালোচনায় বলেছেন: "এই চমৎকার চলচ্চিত্রটি হলোকস্টের এক ঝলক আমাদেরকে দেখায় বটে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটা আসলে ভালোবাসা নিয়ে, চরম অমানবিকতার মাঝেও মানবতার অদ্যম শক্তি নিয়ে।"[25]
জ্যানেট মাসলিন দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লিখেছেন, এই ছবিটি নির্মাণ করতে "বিরাট বুকের পাটা" দরকার ছিল, কিন্তু "যেহেতু জনাব বেনিনি অশ্রুপ্রবণ না হয়েও হৃদয়গ্রাহী হতে সক্ষম, তাই এটা কাজ করেছে।"[15]
দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এর কেনেথ টের্যান উল্লেখ করেন যে, এই ছবিটি কানে "প্রচণ্ড বিরোধিতা"-র সম্মুখীন হয়, তবে তিনি বলেন, "ভিন্নধারার এই ছবিটির আশ্চর্যজনক দিকটা হচ্ছে, এটা যে ধরনের সফলতা পেয়েছে, তার মাত্রাটা। এর ভাবাবেগ অনিবার্য, কিন্তু এতে অকৃত্রিম দুঃখবোধ ও করুণ-রসও উপস্থিত, এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় আন্তরিকতাও এখানে লক্ষ্যণীয়।"[26]
ভ্যারাইটি'র ডেভিড রুনি বলেছেন, এই ছবিটি "মিশ্র প্রতিক্রিয়া" পেয়েছে, যেখানে বেনিনি'র অভিনয় ছিল "আশ্চর্যজনকভাবে গভীর এবং দুঃখবোধ সম্পন্ন", কিন্তু তোনিনো দেল্লি কল্লি'র ক্যামেরার কাজ "চাক্ষুষভাবে একেবারে একঘেয়ে"।[13]
এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি'র ওয়েন গ্লিবারম্যান চলচ্চিত্রটি "বি মাইনাস" দিয়ে বলেছেন, "অনস্বীকার্যভাবেই এটা একটা কীর্তি - হলোকস্ট নিয়ে সর্বপ্রথম আনন্দদায়ক কান্নার ছবি। এটা অনেক দিন ধরেই আসন্ন ছিল।" তবে, ত্রুটি হিসেবে গ্লিবারম্যান বলেন, "যেভাবে ধারণ করা হয়েছে, তাতে এটা কোন খেলা বলে মনে হয়েছে।"[27]
২০০২ সালে, বিবিসি'র সমালোচক টম ডসন লেখেন, "ছবিটি সম্ভবত চরম যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতেও কল্পনাশক্তি, সরলতা ও ভালোবাসার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে নির্মিত", কিন্তু "বেনিনি'র ভাবাবেগপূর্ণ কল্পনা, হলোকস্টের ভুক্তভোগীদের যন্ত্রণাকে খর্ব করেছে।"[28]
২০০৬ সালে, ইহুদি-আমেরিকান কৌতুকধর্মী চলচ্চিত্র-নির্মাতা মেল ব্রুক্স ছবিটি সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য পোষণ করে জার্মান সাময়িকী ডার স্পিগেল -কে বলেন যে, এটা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের যন্ত্রণাকে তুচ্ছ করে দেখিয়েছে।[29] বিপরীতক্রমে, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক ইমরে কার্তেজ এর মতে, যারা এই ছবিটিকে ট্র্যাজেডি হিসেবে না দেখে কমেডি হিসেবে দেখে, তারা আসলে এই ছবির মূল সুরটা ধরতে পারেনি। লাইফ ইজ বিউটিফুল এর নিন্দুকদের তিরস্কার করার উদ্দেশ্যে তিনি চলচ্চিত্রে "হলোকস্ট কনফর্মিজম" (হলোকস্ট অনুসারী) এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।[30]
সম্মাননা
লা ভিতা এ বেল্লা চলচ্চিত্রটি ১৯৯৮ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়, এবং তা গ্রাঁ প্রিঁ (শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) জিতে নেয়।[31] পুরস্কার গ্রহণকালে, বেনিনি বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি মার্টিন স্করসেজি'র পায়ে চুমু খান।[26]
৭১তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে বেনিনি তার চরিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন। এছাড়াও ছবিটি শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর এবং শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগেও পুরস্কৃত হয়।[32] বেনিনি তার প্রথম পুরস্কারটি নেওয়ার আগে নিজ আসনের ওপর লাফিয়ে ওঠেন; দ্বিতীয় পুরস্কারটি নেওয়ার পর তিনি বলেন, "একটা বিরাট ভুল হয়ে গেছে, কারণ আমি যা ইংরেজি জানতাম সবই ব্যবহার করে ফেলেছি!"[33]
পুরস্কার | অনুষ্ঠানের তারিখ | মনোনয়নের বিভাগ | গ্রহীতা(বৃন্দ) | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
অ্যাকাডেমি পুরস্কার | ২১ মার্চ ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | এল্দা ফের্রি এবং জিয়ানলুইজি ব্রাস্কি | মনোনীত | [32] |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | রবার্তো বেনিনি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য | রবার্তো বেনিনি এবং ভিনচেঞ্জো চেরামি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | লাইফ ইজ বিউটিফুল | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনা | সিমোনা পাজ্জি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর | নিকোলা পিওভানি | বিজয়ী | |||
অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট পুরস্কার | ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র | রবার্তো বেনিনি, এল্দা ফের্রি এবং জিয়ানলুইজি ব্রাস্কি | বিজয়ী | [34] |
বাফটা পুরস্কার | ১১ এপ্রিল ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মনোনীত | [35] | |
শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য | রবার্তো বেনিনি এবং ভিনচেঞ্জো চেরামি | মনোনীত | |||
প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
কান চলচ্চিত্র উৎসব | ১৩-২৪ মে ১৯৯৮ | গ্রাঁ প্রিঁ (শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) | বিজয়ী | [31] | |
সেজার পুরস্কার | ৬ মার্চ ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র | বিজয়ী | [36] | |
ক্রিটিকস চয়েস পুরস্কার | ১৯ জানুয়ারি ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মনোনীত | [37] | |
শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
দাভিদ দি দোনাতেল্লো পুরস্কার | ১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | বিজয়ী | [38] | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | ||||
শ্রেষ্ঠ প্রযোজক | এল্দা ফের্রি এবং জিয়ানলুইজি ব্রাস্কি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | রবার্তো বেনিনি এবং ভিনচেঞ্জো চেরামি | বিজয়ী | |||
প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | সার্জিও বুস্ত্রিক | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগ্রহণ | তোনিনো দেল্লি কল্লি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা | সিমোনা পাজ্জি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা | তুল্লিও মর্গ্যান্তি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত আয়োজন | নিকোলা পিওভানি | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা | দানিলো দোনাতি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ পোশাক | বিজয়ী | ||||
স্কলার্স দি দাভিদ | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
ইউরোপীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | এল্দা ফের্রি এবং জিয়ানলুইজি ব্রাস্কি | বিজয়ী | [39] |
শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেতা | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
জেরুজালেম চলচ্চিত্র উৎসব | ১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ ইহুদি অভিজ্ঞতা | বিজয়ী | [9] | |
স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার | ৭ মার্চ ১৯৯৯ | চলচ্চিত্রের কুশীলববৃন্দ কর্তৃক অসাধারণ অভিনয় | কুশীলব | মনোনীত | [40] |
চলচ্চিত্রের প্রধান পুরুষ অভিনেতার ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় | রবার্তো বেনিনি | বিজয়ী | |||
টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ১০-১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ | পিপল'স চয়েস পুরস্কার | বিজয়ী | [14] |
সঙ্গীত
এই চলচ্চিত্রের মূল সঙ্গীতায়োজন করেছেন নিকোলা পিওভানি[13], ব্যতিক্রম হচ্ছে ছবিতে ব্যবহৃত একটি ধ্রুপদী সঙ্গীত, যা হচ্ছে জাক অফেনবাখ এর রচিত "বার্কারোল"। এর সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার জয় করে[32], এবং "চলচ্চিত্র, টেলিভিশন কিংবা অন্যান্য দর্শন-মাধ্যমের জন্য রচিত শ্রেষ্ঠ যান্ত্রিক সঙ্গীতকর্ম" - বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কার এর জন্যও মনোনীত হয়, তবে এ বাগ'স লাইফ চলচ্চিত্রের কাছে পরাজিত হয়।
আরও দেখুন
- ৭১তম একাডেমি পুরস্কারে বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে জমা দেওয়া চলচ্চিত্রের তালিকা
- একাডেমি পুরস্কারে বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে জমা দেওয়া ইতালীয় ভাষার চলচ্চিত্রের তালিকা
তথ্যসূত্র
- "La Vita E Bella (Life Is Beautiful) (12A)"। Buena Vista International। British Board of Film Classification। ২৬ নভেম্বর ১৯৯৮। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৩।
- "Box Office Information for Life is Beautiful"। The Wrap। ১৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৩।
- "Life is Beautiful"। Box Office Mojo। ৬ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- John, Adriana। "Top 10 Highest Grossing Non-English Movies of All Time"। Wonderslist। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- Squires, Nick (১১ জুলাই ২০১১)। "Life Is Beautiful Nazi death camp survivor dies aged 91"। The Daily Telegraph। ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Paradiso, Stefania (১০ জুলাই ২০১১)। "E' morto Romeo Salmonì: l'uomo che ispirò Benigni per La vita è bella"। Un Mondo di Italiani। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Norden 2007, পৃ. 146।
- Piper 2003, পৃ. 12।
- Logan, Brian (২৯ জানুয়ারি ১৯৯৯)। "Does this man really think the Holocaust was a big joke?"। The Guardian। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Okwu, Michael (২৩ অক্টোবর ১৯৯৮)। "'Life Is Beautiful' through Roberto Benigni's eyes"। CNN। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Stone, Alan A. (১ এপ্রিল ১৯৯৯)। "Escape from Auschwitz"। Boston Review। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Warkentin, Elizabeth (৩০ মে ২০১৬)। "Life truly is beautiful in Tuscany's underappreciated Arezzo"। The Globe and Mail। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Rooney, David (৩ জানুয়ারি ১৯৯৮)। "Review: 'Life Is Beautiful'"। Variety। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Piper 2003, পৃ. 11।
- Maslin, Janet (২৩ অক্টোবর ১৯৯৮)। "Giving a Human (and Humorous) Face to Rearing a Boy Under Fascism"। The New York Times। ২৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Benigni's 'Pinocchio' Out With Subtitles"। ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৮।
- "Benigni, audience da record oltre 16 milioni di spettatori"। La Repubblica। ২৩ অক্টোবর ২০০১। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Perren 2012, পৃ. 274।
- "Checco Zalone supera Benigni"। tgcom24.mediaset.it। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Foreign Language"। Box Office Mojo। ২৪ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Life is Beautiful"। Rotten Tomatoes। ১৩ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১০।
- Ebert, Roger (৩০ অক্টোবর ১৯৯৮)। "Life Is Beautiful"। Rogerebert.com। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Life is Beautiful"। Moviemonitor।
- O'Sullivan, Michael (৩০ অক্টোবর ১৯৯৮)। "'Life's' Surprisingly Graceful Turn'"। The Washington Post। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Life is Beautiful"। Common Sense Media।
- Turan, Kenneth (২৩ অক্টোবর ১৯৯৮)। "The Improbable Success of 'Life Is Beautiful'"। The Los Angeles Times। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Glieberman, Owen (৬ নভেম্বর ১৯৯৮)। "Life Is Beautiful"। Entertainment Weekly। ১৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Dawson, Tom (৬ জুন ২০০২)। "La Vita è Bella (Life is Beautiful) (1998)"। BBC। ২৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Brooks, Mel (১৬ মার্চ ২০০৬)। "SPIEGEL Interview with Mel Brooks: With Comedy, We Can Rob Hitler of his Posthumous Power"। Spiegel Online। ১০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৭।
- MacKay, John; Kertész, Imre (১ এপ্রিল ২০০১)। "Who Owns Auschwitz?"। The Yale Journal of Criticism (ইংরেজি ভাষায়)। 14 (1): 267–272। আইএসএসএন 1080-6636। ডিওআই:10.1353/yale.2001.0010।
- "Festival de Cannes: Life is Beautiful"। festival-cannes.com। ১৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০০৯।
- "The 71st Academy Awards (1999) Nominees and Winners"। oscars.org। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৫।
- Higgins, Bill (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "How 'Life Is Beautiful's' Roberto Benigni Stole the Oscars Show in 1999"। The Hollywood Reporter। ১২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "1999 Winners & Nominees"। AACTA.org। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Lister, David (১১ এপ্রিল ১৯৯৯)। "Good night at Baftas for anyone called Elizabeth"। The Independent। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "César du Meilleur film étranger – César"। AlloCiné। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Clinton, Paul (২৬ জানুয়ারি ১৯৯৯)। "Broadcast Film critics name 'Saving Private Ryan' best film"। CNN। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "La vita è bella – Premi vinti: 9"। David di Donatello। ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "European Film Awards Winners 1998"। European Film Academy। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- Madigan, Nick (৭ মার্চ ১৯৯৯)। "SAG tells Benigni 'Life' is beautiful"। Variety। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
গ্রন্থপঞ্জি
- Bullaro, Grace Russo (২০০৫)। Beyond "Life is Beautiful": Comedy and Tragedy in the Cinema of Roberto Benigni। Troubador Publishing Ltd। আইএসবিএন 1-904744-83-4।
- Norden, Martin F., সম্পাদক (২০০৭)। The Changing Face of Evil in Film and Television। Amsterdam and New York: Rodopi। আইএসবিএন 9042023244।
- Perren, Alisa (২০১২)। Indie, Inc.: Miramax and the Transformation of Hollywood in the 1990s। University of Texas Press।
- Piper, Kerrie (২০০৩)। Life is Beautiful। Pascal Press। আইএসবিএন 1741250307।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লা ভিতা এ বেল্লা (ইংরেজি)
- টিসিএম চলচ্চিত্র ডেটাবেজে লা ভিতা এ বেল্লা
- অলমুভিতে লা ভিতা এ বেল্লা (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে লা ভিতা এ বেল্লা (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে লা ভিতা এ বেল্লা (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে লা ভিতা এ বেল্লা (ইংরেজি)
- Life Is Beautiful at the Arts & Faith Top 100 Spiritually Significant Films list