লায়লা (অভিনেত্রী)

লায়লা (জন্ম ২৪ অক্টোবর ১৯৮০) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় ও হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বালা পরিচালিত নন্দা (২০০১) ও পিতমগন (২০০৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত এবং এই দুটি কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অন্যান্য ব্যবসা সফল তামিল চলচ্চিত্র হল পার্থিন রাসিথেন (২০০০), দিনা (২০০১), দিল (২০০১), আল্লি তান্দা বানম (২০০১), উন্নাই নিনাইতু (২০০২), উল্লাম কেটকুমে (২০০৫) ও কান্ডা নাল মুদল (২০০৫)।[1]

লায়লা
জন্ম (1980-10-24) ২৪ অক্টোবর ১৯৮০
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৯৬–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীমোহাম্মদ মেহদিন (বি. ২০০৬)
সন্তান

কর্মজীবন

লায়লা মুম্বইয়ে মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এই সময়ে কৌতুকাভিনেতা মেহমুদ তাকে বলিউডে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি দুশমন দুনিয়া কা (১৯৯৬) চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে আগমন করেন। কিন্তু সালমান খানশাহরুখ খান অভিনয় করার পরও চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।[2] এরপর তিনি এস. ভি. কৃষ্ণ রেড্ডি পরিচালিত ইগির পাবুরমা (১৯৯৭)-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রখ্যাত পরিচালকদের নিকট থেকে প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। এই সময়ে তিনি কে. এস. রবিকুমারের ধর্ম চক্করম ও পবিত্রনের কাদল পল্লী চলচ্চিত্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ১৯৯৭ সালে পূজা কুমার ভিআইপি চলচ্চিত্রের প্রধান নারী চরিত্রে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। যাই হোক, লায়লাকে যখন চলচ্চিত্রের প্রযোজক বলেন তার নাম পরিবর্তন করে পূজা রাখতে, কারণ চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনায় পূজা নাম ছাপা হয়ে গেছে, এছাড়া তিনি জানতে পারেন যে এই চলচ্চিত্রে রম্ভা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন যা তাকে জানানো হয়নি। ফলে লায়লা এই চলচ্চিত্রটি ত্যাগ করেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার তামিল চলচ্চিত্রে অভিষেক হবে একক নায়িকা হিসেবে।[2]

২০০০ সালে তিনি প্রশান্তের বিপরীতে পার্থেন রাসিথেন এবং ২০০১ সালে অজিত কুমারের বিপরীতে দিনা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বালা পরিচালিত নন্দা (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন।[3] একই বছর তিনি বিক্রমের বিপরীতে দিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৩ সালে তিনি পিতমগন চলচ্চিত্রে পুনরায় বিক্রমের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[4]

লায়লা এই সময়ে সাময়িক বিরতি নেন এবং মুম্বই ফিরে যান। তিনি ২০০৫ সালে তামিল চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং উল্লাম কেটকুমা চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের সাড়া পায় এবং বক্স অফিসেও সফলতা লাভ করে।[5] বিবাহের পরে তার অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ছিল অজিত কুমারের বিপরীতে 'পরমশিবন (২০০৬)।[6]

দীর্ঘ বিরতির পর তিনি পুনরায় তামিল বিনোদন শিল্পে ফিরে আসেন। প্রথমে তিনি ২০১৮ সালে আচি বাদাম দুধের বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেন। তিনি জি তামিল চ্যানেলের ডিজেডি জুনিয়র নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সুধা চন্দ্রন ও স্নেহার সাথে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।[7] এছাড়া তিনি অ্যালিস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পুনরায় তামিল চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন।[8]

ব্যক্তিগত জীবন

লায়লা ২০০৬ সালের ৬ই জানুয়ারি ইরানি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মেহদিনকে বিয়ে করেন। এর পূর্বে তাদের আট বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।[7] লায়লার ভাষ্যমতে বিয়ের চার বছর পূর্বে তাদের বাগদান হয়েছিল। এই দম্পতির দুই পুত্র রয়েছে। লায়লা গোয়ার অধিবাসী, তিনি তামিল, ইংরেজি, হিন্দি, তেলুগু, মালয়ালম ও ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী।

পুরস্কার ও মনোনয়ন

তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার
  • ২০০৩: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - পিতামগন
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ
  • ২০০১: শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী - নন্দা
  • ২০০৩: শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী - পিতামগন
আন্তর্জাতিক তামিল চলচ্চিত্র পুরস্কার
  • ২০০৩: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - পিতামগন

তথ্যসূত্র

  1. "Laila Mehdin birthday: Lesser-known facts about the Indian actress you should know" (ইংরেজি ভাষায়)। টাইমস নাও। ২৪ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০
  2. "The tantrum queen"chandrag.tripod.com। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০
  3. "Nuvvu Nenu wins 4 Filmfare awards"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ এপ্রিল ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. কমত, সুদিশ (১৪ জুন ২০০৪)। "Damp fare at the Filmfare"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০
  5. "Ullam Ketkume` - A sleeper hit!"। সাইফি। ৭ জুন ২০০৫।
  6. "Actress Laila to make a comeback with 'Alice'"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০
  7. "Dance Jodi Dance Juniors judge Laila wishes hubby Mehdin on wedding anniversary with a cute post"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০
  8. "Laila set for comeback!"ইন্ডিয়া গ্লিট্‌জ। ১ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.