লামডিং
লামডিং ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলার পৌর বোর্ডসহ একটি শহর।
লামডিং | |
---|---|
রেলওয়ে টাউনশিপ | |
লামডিং লামডিং | |
স্থানাঙ্ক: ২৫.৭৫° উত্তর ৯৩.১৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | আসাম |
জেলা | হোজাই |
সরকার | |
• শাসক | লামডিং পৌরসভা বোর্ড |
উচ্চতা | ১২৫ মিটার (৪১০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩১,৩৪৭ |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | সিলেটি, অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৭৮২৪৪৭ |
টেলিফোন কোড | +৯১-৩৬৭৪ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | ইন-এএস |
যানবাহন নিবন্ধন | এএস |
ব্যুৎপত্তি
দুটি ডিমাসা শব্দ 'লামা' এবং 'ডিং' থেকে লামডিং নামটি এসেছে, যার অর্থ 'সোজা পথ'। আবার মনে করা হয়, লামডিং শব্দটি খাসি শব্দ 'লুম' এবং 'ডিং' থেকে এসেছে, যার অর্থ জলের অভাব বা ঘাটতি, সত্যিই এখানে গ্রীষ্মে জলের ঘাটতি দেখা যায়। এর সাথে সংলগ্ন আরও একটি রেলস্টেশন রয়েছে, যেটিও একই মূল শব্দ "লামা" (পথ) থেকে এসেছে, এটির নাম লামাসাখং (ছোট পথের উপত্যকা) যা লামডিং থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।
ইতিহাস
অনেক বছর ধরে লামডিং ধীরে ধীরে জনপদে পরিণত হয়েছে। এই রেলওয়ে জনপদে প্রতি বছর বর্ষাকালে সর্বদা স্বল্প বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, কিন্তু, গত কয়েক দশক ধরে এই প্রবণতায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ এই শহরকে রাডার স্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
পরিবহন
রেলপথ
লামডিং রেল বিভাগটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের বৃহত্তম বিভাগীয় সদর দপ্তর এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তমতম জংশন হিসাবে বিখ্যাত। এই শহরটি লামডিং এবং বদরপুরের মধ্যে আকর্ষণীয় লামডিং-বদরপুর পাহাড়ী পথের প্রবেশদ্বার। এই পথটি কয়েক বছর আগে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
লামডিং রেল স্টেশনটি হল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন এবং রেলওয়ে বিভাগ, কারণ এটি ত্রিপুরাকে আসামের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটিতে রেলের মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ উভয় লাইনই থাকত। ব্রডগেজ লাইনটি গুয়াহাটি-লামডিং-ডিব্রুগড় টাউনের মধ্যে রয়েছে এবং মিটারগেজ লাইনটি লামডিং – সাব্রুম বিভাগে ছিল। এখন ব্রডগেজ লাইনটি শিলচর/সাব্রুম থেকে লামডিং হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যাচ্ছে, যেটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। মিটারগেজ লাইনগুলি এখন সম্পূর্ণরূপে ব্রডগেজ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
ধর্ম
২০১১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুসারে, লামডিংয়ের জনসংখ্যা হল ৩১,৩৪৭ জন, এর মধ্যে এখানে হিন্দু ধর্ম পালনকারী মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ, প্রায় ৩০,৪৭৯ জন। ইসলাম, খ্রিস্ট ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, শিখধর্ম এবং জৈন ধর্ম পালনকারীর সংখ্যা লুমডিংয়ে নগণ্য।[1]
জলবায়ু
লামডিংয়ের পাহাড়গুলি সমুদ্র তল থেকে বেশ উঁচুতে অবস্থিত, কিন্তু এখানে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪০ °সে. পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে এবং শীতকালে তাপমাত্রা ৪-৫ °সে.র মতো হয়ে যেতে পারে, এবং দিনের বেলা মেঘাচ্ছন্ন এবং কুয়াশাপূর্ণ হয়ে থাকে। বর্ষা এখানে প্রত্যক্ষ করা যায়, গড়ে প্রায় ৬০-১২৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। তবে এর পাহাড় এবং উচ্চতার কারণে ভারী বর্ষার সময় এই অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয় না।
এখানকার জলবায়ু উদ্ভিদ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল এবং শাকসব্জির জন্য অনুকূল। নারকেল, আনারস, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা জাতীয় ফল এখানে জন্মায়। শসা, আলু, বাঁধাকপি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি এখানকার সাধারণ কৃষি শাকসবজি।