লাইওনেল নিউম্যান
লাইওনেল নিউম্যান (৪ জানুয়ারি ১৯১৬ - ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) একজন মার্কিন সঙ্গীত নির্দেশক, পিয়ানোবাদক এবং চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সুরকার ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে হ্যালো ডলি! চলচ্চিত্রের জন্য লেনি হেটনের সাথে যৌথভাবে সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সুর বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি অ্যালফ্রেড নিউম্যান ও এমিল নিউম্যানের ভাই, র্যান্ডি নিউম্যান, ডেভিড নিউম্যান, টমাস নিউম্যান ও মারিয়া নিউম্যানের চাচা এবং জোয়ি নিউম্যানের মাতামহ। তিনি ১১টি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হল দ্য কাউবয় অ্যান্ড দ্য লেডি, আই'ল গেট বাই, গোল্ডেন গার্ল, দেয়ার্স নো বিজনেস লাইক শো বিজনেস, দ্য বেস্ট থিংস ইন লাইফ আর ফ্রি, মার্ডি গ্রাস, সে ওয়ান ফর মি, লেট্স মেক লাভ, দ্য প্লেজার সিকার্স, ডক্টর ডুলিটল, ও এপ্রিল লাভ।
লাইওনেল নিউম্যান Lionel Newman | |
---|---|
জন্ম | নিউ হেভেন, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪ জানুয়ারি ১৯১৬
মৃত্যু | ফেব্রুয়ারি ৩, ১৯৮৯ ৭৩) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
পেশা | সুরকার, পিয়ানোবাদক, সঙ্গীত নির্দেশক |
বাদ্যযন্ত্র | পিয়ানো |
কার্যকাল | ১৯৩২-১৯৮৫ |
লেবেল | লিবার্টি |
প্রারম্ভিক জীবন
লাইওনেল নিউম্যান ১৯১৬ সালের ৪ঠা জানুয়ারি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হেভেনে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার পিতা মাইকেল নিউম্যান (জ. নেমরফ্স্কি) একজন ডিলার ছিলেন এবং তার মাতা লুবা (বিবাহপূর্ব কস্কফ) গৃহিণী ছিলেন। তারা দুজনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রুশ ইহুদি অভিবাসী ছিলেন।[2] তিনি তার পিতামাতার ১০ সন্তানের একজন এবং পুত্রদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার দুই ভাই অ্যালফ্রেড নিউম্যান ও এমিল নিউম্যান সুরকার। তিনি র্যান্ডি নিউম্যান, ডেভিড নিউম্যান, টমাস নিউম্যান ও মারিয়া নিউম্যানের চাচা।
তার যখন ১৬ বছর বয়স তখন তিনি হলিউডে চলে যান এবং সেখানে আর্ল ক্যারলের সঙ্গীতনাট্যে সঙ্গীত নির্দেশনার কাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি তার ভবিষ্যৎ স্ত্রী এবং আর্লের ভাইঝি বেভারলি ক্যারলের সাথে পরিচিত হন।[3] তিনি নিউ ইয়র্কে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে আসার পর তিনি জোসেফ আচ্রন ও মারিও কাস্তেলনুভো-তেদেস্কোর নিকট তার শিক্ষা চালিয়ে যান।
কর্মজীবন
নিউম্যান দ্য কাউবয় অ্যান্ড দ্য লেডি (১৯৩৯) চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের জন্য আর্থার কুয়েঞ্জারের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[4] তিনি গোল্ডেন গার্ল (১৯৫১) চলচ্চিত্রের "নেভার" গানের জন্য ইলিয়ট ড্যানিয়েলের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
তিনি অ্যালফ্রেড নিউম্যানের সাথে যৌথভাবে দেয়ার্স নো বিজনেস লাইক শো বিজনেস (১৯৫৪)-এর সঙ্গীত পরিচালনা ও সুরারোপ করেন এবং অ্যালফ্রেডের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[5]
তিনি ১৯৬৯ সালে হ্যালো ডলি! চলচ্চিত্রের জন্য তার একাদশ অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর বিভাগে অস্কার লাভ করেন।[3]
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু
নিউম্যান বেভারলি ক্যারলকে বিয়ে করেন। ক্যারল ২০১০ সালের ২১শে অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তাদের তিন কন্যা - ক্যারল, ডেবরা ও জেনিফার নিউম্যান। ক্যারল একজন প্রযোজক, যিনি এমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ও লেখক গ্যারি ফ্র্যাঙ্ককে বিয়ে করেন। তাদের কন্যা জেসিকা মার্লি ফ্র্যাঙ্ক টাম্বলারের প্রযোজক। ডেবরা শার্প অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেডের সহ-সভাপতি। তিনি শার্প অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেডের মালিক রবার্ট শার্পকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান - সারা নিউম্যান, জেনিফার নিউম্যান শার্প, ও জেরেমি শার্প। জেনিফার প্রাক্তন পেশাদার ব্যালে নৃত্যশিল্পী ও বর্তমানে কোর ফিউশনের শিক্ষক। তার পুত্র জোয়ি নিউম্যান চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সুরকার ও সঙ্গীত নির্দেশক।
নিউম্যান ১৯৮৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।[1]
তথ্যসূত্র
- "Lionel Newman Biography (1916-1989)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০।
- ম্যাকডোনাল্ড, লরেন্স ই. (২০১৩)। The Invisible Art of Film Music: A Comprehensive History। স্কেয়ারক্রো প্রেস।
- লার্কিন, কলিন, সম্পাদক (২০০২)। The Virgin Encyclopedia of Fifties Music (৩য় সংস্করণ)। ভার্জিন বুকস। পৃষ্ঠা ৩০৭–৩০৮। আইএসবিএন 1-85227-937-0।
- "The 11th Academy Awards | 1939"। অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০।
- "The 27th Academy Awards | 1955"। অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০।