ললিতা শিবকুমার

ললিতা শিবকুমার একজন কর্ণাটকী সংগীত শিক্ষক এবং সুরকার। সংগীতানুষ্ঠানে তিনি তাঁর শ্বাশুড়ি এবং বিশিষ্ট কর্ণাটকী কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত ডি. কে. পট্টমলের সঙ্গে কন্ঠে সঙ্গত করার জন্য খ্যাত ছিলেন।[1] ললিতা শিবকুমার ভারতীয় সংগীতের বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ডঃ নিত্যশ্রী মহাদেবনের মা ও গুরু হিসাবেও বিশেষভাবে পরিচিত।[2] তিনি ডি.কে.পি এর কর্ণাটকী সংগীত স্কুলের খুব সুপরিচিত খ্যাতিমান ও প্রবীণ গুরু (শিক্ষক)।

ললিতা শিবকুমার
শ্রীমতি ললিতা শিবকুমার
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম নামললিতা
জন্মতামিলনাড়ু, ভারত
উদ্ভবভারত
ধরনকর্ণাটকী
পেশাসংগীতজ্ঞ, শিক্ষক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী
কার্যকাল১৯৬৬ - বর্তমান

প্রথম জীবন

ললিতা শিবকুমারের বাবা পালঘাট মণি আইয়ার কর্ণাটকী সংগীতের বরিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিখ্যাত মৃদঙ্গবাদক ছিলেন এবং তিনি প্রথম মৃদঙ্গবাদক হিসেবে সংগীত কলানিধি এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। ১৮ বছর বয়সে ললিতা শিবকুমার ডি. কে. পট্টমলের পুত্র আই শিবকুমারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরদিন থেকেই তিনি ডি. কে. পট্টমলের কাছ থেকে কর্ণাটকী সংগীতের প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন।[1]

কর্মজীবন

এর অল্প সময়ের মধ্যেই একক সংগীতশিল্পী এবং ডি কে পি পট্টমলের সাথে যুগল সংগীতশিল্পী হিসাবে, তিনি ডি. কে. জয়রামণ, কে. ভি. নারায়ণস্বামী এবং এম. এস. শুভলক্ষ্মী সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্ণাটকী কণ্ঠশিল্পীর প্রশংসা লাভ করেন। তবে, একক শিল্পী হিসাবে তিনি বেশিদিন গান করেননি, তাঁর গুরুর সাথে তিনি দ্বৈত পরিবেশন করতেন।[1]

ললিতা শিবকুমার বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় বহু সংখ্যক কৃতি, তিল্লন এবং ভজন সংগীত রচনা করেছেন এবং সুর করেছেন।

বেশ কয়েকটি সংস্থা কর্ণাটকী সংগীত জগতে শ্রীমতি ললিতা শিবকুমারের প্রতিভা এবং অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ঠা জানুয়ারি, সংগীত-বিষয়ক উত্তরাধিকার অব্যাহত রয়েছে তার স্বীকৃতি দিয়ে, মাদ্রাজ সাউথ লায়ন্স চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও আরএএসএ - এ.আর.পি.আই.টি.এ - একাডেমি ফর রিসার্চ অ্যান্ড পারফরম্যান্স অফ ইন্ডিয়ান থিয়েটার আর্টস শ্রীমতি লালিতা ও আই. শিবকুমারকে একসাথে 'ইসাই রাশা মামাণি' উপাধি প্রদান করে।

শিক্ষক হিসাবে ললিতা শিবকুমারের জীবন চমকপ্রদ সাফল্যমন্ডিত। কর্ণাটকী সংগীতের ডি.কে.পি'র স্কুলটির নেতৃত্ব রয়েছেন ললিতা শিবকুমার। তুলনামূলকভাবে সারা বিশ্বের সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে এই স্কুলের শিক্ষার্থী বিস্তৃত রয়েছে বলে জানা যায়। এই স্কুলটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পরিবেশন শিল্পকলার শিল্পী হয়েছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও এখানকার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন যাঁরা তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় তাঁরা ভাল শিক্ষক হয়েছেন। তিনি এই ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসাবে বিবেচিত হন এবং বিশ্বব্যাপী অনেক শিক্ষার্থীর কাছে ডি.কে.পি এর সংগীত উত্তরাধিকার প্রেরণ করছেন। তাঁর শিক্ষার পদ্ধতিটি অনন্য এবং খাঁটি বলে অভিহিত করা হয়, যা এই শাস্ত্রীয় সংগীত এবং ভাষার বিভিন্ন নীতি অনুসরণ করে চলে এবং একই সাথে তাৎক্ষণিক উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিতও দেওয়া হয়। তিনি অনেক বিশিষ্ট চূড়ামণিদের দ্বারা সময়ে সময়ে বিকাশিত কর্ণাটকী সংগীতের নীতিগুলি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন, ভাষার উপর জোর দিয়েছেন। স্কুলটি তার শিক্ষার্থীদের পরে প্রদর্শনের সময় উচ্চারণ এবং উপস্থাপনা দক্ষতার জন্য সুপরিচিত।

ললিতা শিবকুমার সরাসরি এবং দূরে থেকেও, ভারত থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের উন্নত কর্ণাটকী সংগীতের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ড. নিত্যশ্রী মহাদেবন ছাড়াও ললিতা শিবকুমারের শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন লাবন্য সুন্দরারামন (তাঁর নাতনী),[1] ড. নিরঞ্জনা শ্রীনিবাসন,[3] পল্লবী প্রসন্ন,[4] নলিনী কৃষ্ণন, মহারাজপুরম শ্রীনিবাসন, ড. পেরিয়াসামি এবং আরও কয়েকজন।[5]

সংগীতে তাঁর জ্ঞানের সাক্ষ্য হিসাবে শ্রীমতি ললিতা শিবকুমার ভারতে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি কর্ণাটকী সংগীত প্রতিযোগিতা এবং ভক্তিমূলক সংগীত প্রতিযোগিতার সর্বাধিক পছন্দের বিচারক।

টীকা

  1. "The Hindu : Friday Review Chennai - Columns : Life time bond with music"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০
  2. The Hindu : Entertainment Bangalore - Music : Proud pedigree is not all ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-০২-০৪ তারিখে
  3. The Hindu : Arts / Music : Confident and comfortable
  4. "The Hindu : Friday Review Chennai / Music : Judicious selection of songs"। ২০১০-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩
  5. "The Hindu : Well articulated concert"। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.