লরি ন্যাশ

লরেন্স জন লরি ন্যাশ (ইংরেজি: Laurie Nash; জন্ম: ২ মে, ১৯১০ - মৃত্যু: ২৪ জুলাই, ১৯৮৬) ভিক্টোরিয়ার ফিটজরয় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার ও অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ছিলেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

লরি ন্যাশ
১৯৩২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লরি ন্যাশ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলরেন্স জন ন্যাশ
জন্ম(১৯১০-০৫-০২)২ মে ১৯১০
ফিটজরয়, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৪ জুলাই ১৯৮৬(1986-07-24) (বয়স ৭৬)
হাইডেলবার্গ, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৩)
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩ মার্চ ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৯-১৯৩২তাসমানিয়া
১৯৩৩-১৯৩৭ভিক্টোরিয়ান বুশর‌্যাঞ্জার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২২
রানের সংখ্যা ৩০ ৯৫৩
ব্যাটিং গড় ১৫.০০ ২৮.০২
১০০/৫০ –/– ১/৫
সর্বোচ্চ রান ১৭ ১১০
বল করেছে ৩১১ ৩৭৪১
উইকেট ১০ ৬৯
বোলিং গড় ১২.৬০ ২৮.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/১৮ ৭/৫০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/– ১৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ মার্চ ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন লরি ন্যাশ

প্রারম্ভিক জীবন

বিংশ শতাব্দীর শীর্ষস্থানীয় অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলারের সন্তান ছিলেন তিনি। আইরিশ ক্যাথলিক রবার্ট ও ম্যারি ন্যাশ দম্পতির তিন সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন লরি ন্যাশ।[1] রবার্ট জুনিয়র তার ভাই ও মেইজি ডাকনামে পরিচিত মেরি নাম্নী এক বোন ছিল।[2] তার পিতা রবার্ট ন্যাশ সফরকারী মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১৯২১ সালে ক্রিকেট খেলেছিলেন। শৈশবেই লরি ন্যাশের ক্রীড়া প্রতিভা ধরা পড়ে। ভিক্টোরিয়া থেকে তাসমানিয়ায় তার পরিবার স্থানান্তরিত হলে ফুটবল ও ক্রিকেট - উভয় ক্ষেত্রেই তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। এরফলে অস্ট্রেলিয়ায় শুরুরদিককার পেশাদার ক্লাব ক্রিকেটার ও পূর্ণাঙ্গ পেশাদার অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলার হয়েছিলেন।

১৯৩৩ সালের দক্ষিণ মেলবোর্ন প্রিমিয়ারশীপ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লীগে (ভিএফএল) তার অভিষেক হয়। ১৯৩৭ সালে দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৩৭ ও ১৯৪৫ সালে দলের শীর্ষস্থানীয় গোল কিকার ছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ন্যাশ নিজভূমিতে স্থানান্তরিত হবার প্রস্তাব বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন ও নিউগিনিতে ট্রুপার হিসেবে কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, অন্যান্য সৈনিকের সাথে নিজেকে কোন পার্থক্যে ফেলতে চাননি তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

তাসমানিয়ায় অবস্থানকালে ন্যাশ লঞ্চেস্টন স্পোর্ট স্টোরে কাজ করেন।[3] ৭ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে তমর ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে তাসমানিয়ান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিনি ৭/২৯ ও ১/১৬ পান।[4] তমরের পক্ষে আরও একটি খেলায় ৫/৪১ লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে নর্দার্ন তাসমানিয়া দলের পক্ষে সাউদার্ন তাসমানিয়ার বিপক্ষে বার্ষিক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। ঐ খেলায় তিনি ৭/৪০ পান ও উভয় ইনিংসে শীর্ষ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[4]

ঐ খেলাগুলোয় তার কৃতিত্বপূর্ণ ক্রীড়ানৈপুণ্যের প্রেক্ষিতে তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে লঞ্চেস্টনে অনুষ্ঠিত খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ২/৯৭ পান। ভবিষ্যতের টেস্ট খেলোয়াড় লিও ও’ব্রায়ান তার প্রথম উইকেট শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও ব্যাট হাতে ১ ও ৪৮ পান যা দ্বিতীয় ইনিংসে দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন।[5]

ডিসেম্বর, ১৯৩০ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলেন। তাসমানিয়ার সদস্যরূপে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১ ও ০ রান এবং ২/৮৭ লাভ করেন। তন্মধ্যে ৬৫ মিনিটে ১০০ রান[6] সংগ্রহকারী লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনের উইকেটও পান তিনি।[7] সাংবাদিকেরা মন্তব্য করেন যে, লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনের ইনিংস চলাকালে তাসমানীয় বোলারদের মধ্যে কেবলমাত্র তিনিই গভীরভাবে তাকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তার শক্তিমত্তা ও দূর্বলতা চিহ্নিত করতে সমর্থ হন ও ঐ ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে পরবর্তীতে সফলতা পান।[8]

২৬ জানুয়ারি, ১৯৩১ তারিখে লঞ্চেস্টনে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় থ্রোয়িংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হন।[9] পরবর্তীতে তিনি দাবী করেন যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও ফিল্ডারদের কার্যক্রমে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।[10]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনের বোলিং গড়
চার্লস ম্যারিয়ট (ইংল্যান্ড)
৮.৭২
ফ্রেডরিক মার্টিন (ইংল্যান্ড)
১০.০৭
জর্জ লোহম্যান (ইংল্যান্ড)
১০.৭৫
লরি ন্যাশ (অস্ট্রেলিয়া)
১২.৬০
জন ফেরিস (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১২.৭০
টম হোরান (অস্ট্রেলিয়া)
১৩.০০
হ্যারি ডিন (ইংল্যান্ড)
১৩.৯০
আলবার্ট ট্রট (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১৫.০০
মাইক প্রোক্টর (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১৫.০২
জ্যাক আইভারসন (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.২৩
টম কেন্ডল (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৩৫
অ্যালেক হারউড (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৪৫
বিলি বার্নস (ইংল্যান্ড)
১৫.৫৪
জন ট্রিম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৬.১৬
বিলি বেটস (ইংল্যান্ড)
১৬.৪২

তথ্য: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনে কমপক্ষে ১০ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুইটি টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে ২১ বছর ২৮৬ দিন বয়সে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ১৯০২ সালে চার্লস ইডি’র পর প্রথম তাসমানীয় এবং ১৯৮৩ সালে রজার ওলি তারপর শেষ তাসমানীয় হিসেবে অংশ নেন।[11] এই টেস্টে জ্যাক ফিঙ্গলটনের অভিষেকসহ স্পিন বোলার বার্ট আইরনমঙ্গারের অস্ট্রেলীয় দলে পুনরায় অন্তর্ভুক্তি ঘটেছিল।[12] উইকেটপ্রতি ১২.৮০ গড়ে ১০ উইকেট পান। এছাড়াও, ১৫.০০ গড়ে ৩০ রান সংগ্রহ করেছেন।

ন্যাশের অন্তর্ভুক্তিতে চোখ কপালে তুলে ‘দ্য আর্গাস’ মন্তব্য করে যে, ন্যাশের অন্তর্ভুক্তি সর্বাপেক্ষা আশ্চর্যজনক ঘটনার সৃষ্টি করেছে।[13] অস্ট্রেলিয়া দলে তিনিই একমাত্র ফাস্ট বোলাররূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[3] তবে, ন্যাশ খুব সহসাই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন। উদ্বোধনী স্পেলেই সর্বনাশ ডেকে আনেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম চার উইকেটের তিনটিই তিনি দখল করেন।[14] প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট পান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১/৪ পান। দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৩৬ ও ৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয়।[15] খেলাটি ছয় ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো শেষ হয়।[16]

খেলার পর দ্য টাইমস ন্যাশের উচ্ছসিত প্রশংসা করে। প্রতিবেদনে লিখে যে, ন্যাশ খাঁটো হলে শক্ত মজবুত গড়নের ব্যক্তি। অনেক বলই মাথা উঁচু বরাবরে যায় এবং লঞ্চিয়নে একটি স্পেলে চার রান দিয়েই তিন উইকেট তুলে নেবার সামর্থ্য দেখিয়েছেন। ফাস্ট বোলারের উপযোগী দম তার রয়েছে এবং জ্যাক গ্রিগরির শূন্যতা পূরণে তিনিই উপযুক্ত।[17]

ফুটবলে প্রভূতঃ সফলতা পেলেও ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা লাভের ক্ষেত্রে তাকে কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজনের শিকার হতে হয়। সতীর্থ কিথ মিলার এ প্রসঙ্গে লেখেন যে, নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তাকে উপেক্ষা করা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা প্রতিভার অবমূল্যায়নরূপে পরিচিত হয়ে আসছে।[18]

অবসর

অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে তার অনবদ্য ভূমিকার কথা স্বীকার করে তাকে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ মেলবোর্ন কোচের দায়িত্বে ছিলেন। অবসর নেয়ার পর সংবাদপত্রে কলামলেখক ছিলেন। এছাড়াও ফুটবলে টেলিভিশন শোয়ে বিচারকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন ও সমাজকর্মের সাথে জড়িত হন।

সম্মাননা

খেলোয়াড়ী জীবনে অনেকগুলো পুরস্কার পান। অবসর নেয়ার পরও ক্রীড়াক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার কারণে পুরস্কারপ্রাপ্তির ধারা অব্যাহত থাকে। ১৯৬০ সালে সাউথ মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাবের আজীবন সদস্য মনোনীত হন।[19] তার মৃত্যুর পর সিডনি সোয়ান্স বাহুতে কালো কাপড় পরিধান করে।[20] বেস্ট ও ফেয়ারেস্ট পুরস্কারের নাম পরিবর্তন করে লরি ন্যাশ পদক রাখে।[21] ২০০৩ সালে শতাব্দীর সেরা দলে তাকে সেন্টার-হাফ-ফরোয়ার্ডে রাখা হয়। ২০০৯ সালে তাদের হল অব ফেমের উদ্বোধনী সদস্য করা হয়।[22]

টেস্ট ব্যাটসম্যান মার্ভ হার্ভে একদা মন্তব্য করেছিলেন যে, তার সর্বাপেক্ষা অর্জন ছিল ন্যাশের বোলিং থেকে রান সংগহ করা যা ক্লাব ক্রিকেটে তার ন্যায় দ্রুতগতির বোলিং আর দেখেননি।[23]

ব্যক্তিগত জীবন

সেপ্টেম্বর, ১৯৩২ সালে লঞ্চেস্টনে ইরিন রোলসের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সিটি ও তাসমানিয়া দলের সঙ্গী টেড পিকেটের বোন ছিলেন ইরিন।[24] ১৯৩০-এর দশকে প্রবল রক্ষণশীলতার কারণে তাদের এ সম্পর্ক কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিয়ে প্রটেস্ট্যান্ট গীর্জায় অনুষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি, ১৯৪০ সালে নোলেন নামীয় এক সন্তানের জনক হন।[25] ওয়ালিশ মন্তব্য করেন যে, লরি আরও একটি সন্তানের পিতা হতে চাইলেও ইরিন এর বিরোধিতা করেছিলেন।[25]

১৯৫৮ সালে ভিএফএল গ্র্যান্ড ফাইনাল চলাকালীন ন্যাশের বাবা বব সিনিয়র ভূপতিত হন ও মারা যান। লরি ন্যাশ পরবর্তীকালে বলেন যে, তার বাবার এটি উপযুক্ত সময় ছিল।[26] ন্যাশের ভাই বব জুনিয়র ফুসফুসের সংক্রমণে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে মারা যান।[26] ১৯৭৫ সালে ইরিন ন্যাশ কিছুদিন দূর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে চলার পর মারা গেলে ন্যাশের হৃদয়-মন ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তী পাঁচ বছরের প্রত্যেক দিনই তিনি সমাধিস্থলে যেতেন।[27]

১৯৮০ সালে দুইবার বিধবা হওয়া ডোরিন হাচিসনের সাথে পরিচিত হন ও তাকে সাথে নিয়ে অন্যত্র চলে যান।[28] তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হলেও ডোরিন নিজেকে মিসেস ন্যাশ নামে পরিচয় দিতেন।[29] ১৯৮৫ সালে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় ডোরিনের আকস্মিক মৃত্যু হলে ন্যাশের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হতে থাকে ও ১৯৮৬ সালের শুরুতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।[30] ন্যাশের শুভান্যুধায়ীরা দেখতে আসলে তিনি তার অমরত্বের বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন।[31]

পরবর্তীতে আবারো স্ট্রোক হলে ভিক্টোরিয়ার হাইডেলবার্গের রিপ্যাট্রিয়াশন হাসপাতালে ২৪ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।[32] কন্যা নোলিন এবং অ্যান্থনি ও সিমন নামীয় দুই নাতি রেখে যান।[33] মেলবোর্নের ক্যাথলিক চার্চে তার শবানুষ্ঠান হয় ও ফকনার মেমোরিয়াল পার্কে স্ত্রী ইরিনের সমাধির পাশে সমাধিস্থ করা হয়।[20]

তথ্যসূত্র

  1. Wallish, p. 10.
  2. Wallish, p. 11.
  3. Dunstan, p. 156.
  4. Wallish, p. 26.
  5. "Scorecard, Tasmania v Victoria in 1929/30"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৮
  6. Findley, R. "Pickett's death marks a record innings", Sunday Tasmanian, 8 February 2009, p. 73.
  7. "Tasmania v West Indies in 1930/31"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  8. Page, p. 107.
  9. "Tasmania v Victoria in 1930/31"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৮
  10. Ric Findlay। "The Companion to Tasmanian History"। Centre for Tasmanian Historical Studies। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৮
  11. Smith, p. 187.
  12. "Changes in the Australian Team", The Times, 4 February 1932, p. 4.
  13. "Ironmonger Chosen. Nash and Fingleton Included", The Argus, 4 February 1932, p. 7.
  14. Perry (1995), p. 253.
  15. "Australia v South Africa Fifth Test"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০০৮
  16. Piesse (2003), p. 126.
  17. "CRICKET: Low Scoring at Melbourne", The Times, No.46056, (Saturday 13 February 1932), p.5, col.F.
  18. Miller, Keith in Foreword, Wallish, p. iv.
  19. Wallish, p. 361.
  20. "Greats said goodbye to the 'greatest' of all, Laurie Nash", Football Times, 7 August 1986, p. 22.
  21. Cordy, N, "Swans Badly Need Role Models", Sydney Morning Herald, 16 September 1992, p. 56.
  22. "Capper huffed but Lockett's chuffed", The Age, 10 August 2003, p. 73.
  23. Taylor, P., "Introducing Mervyn Harvey, of Fitzroy", The Argus, Weekend Supplement, (4 February 1950), p. 8.
  24. Wallish, p. 68.
  25. Wallish, p. 214.
  26. Wallish, p. 339.
  27. Wallish, pp. 321–322.
  28. Wallish, p. 326.
  29. "Laurie Nash, 'the greatest of them all', dies, still estranged from his old club", Hobart Mercury, 25 July 1986, p. 25.
  30. Wallish, p. 330.
  31. Wallish, p. 331.
  32. Hobbs, G. & Lovett, M. (1986) "South Legend Nash is Dead", The Herald (Melbourne), 24 July 1986, p. 22.
  33. Wallish, p. iii.

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জী

  • Atkinson, G. (1982) Everything you ever wanted to know about Australian rules football but couldn't be bothered asking, The Five Mile Press: Melbourne. আইএসবিএন ০ ৮৬৭৮৮ ০০৯ ০.
  • Atkinson, G. (1996). The Complete Book of AFL Finals. Melbourne: The Five Mile Press. আইএসবিএন ১-৮৭৫৯৭১-৪৭-৫.
  • Bradman, Don (১৯৮৮)। The Bradman Albums। London: MacDonald। আইএসবিএন 0-356-15411-4।
  • Bradman, Don (১৯৯৪)। Farewell to Cricket। Sydney: Editions Tom Thompson। আইএসবিএন 1-875892-01-X।
  • Clark, Manning (১৯৯০)। The quest for grace। Melbourne: Viking Press। আইএসবিএন 978-0-670-83034-3।
  • Collins, B. (2008). The Red Fox: The Biography of Norm Smith: Legendary Melbourne Coach. Melbourne: Slattery Media Group. আইএসবিএন ০-৯৮০৩৪৬৬-২-২.
  • Dunstan, Keith (১৯৮৮)। The Paddock That Grew: The Story of the Melbourne Cricket Club (Third Edition)। Sydney: Hutchinson Australia। আইএসবিএন 0-09-169170-2।
  • Fiddian, Marc (১৯৯৬)। Goals, Goals, Goals। Pakenham: South Eastern Independent Newspapers। আইএসবিএন 1-875475-11-7।
  • Fiddian, Marc (২০০৪)। Swan Lake Spectacular: how South Melbourne won the 1933 VFL Premiership। Melbourne: Hastings। আইএসবিএন 0-9757098-0-1।
  • Fingleton, Jack (১৯৮৪)। Cricket Crisis: Bodyline and Other Lines। London: Pavilion Books। আইএসবিএন 0-907516-68-8।
  • Flanagan, Martin (১৯৯৩)। Going Away। Melbourne: McPhee Gribble। আইএসবিএন 0-86914-292-5।
  • Frith, David (২০০২)। Bodyline Autopsy। Sydney: ABC Books। আইএসবিএন 0-7333-1172-5।
  • Hobbs, G. & Palmer, S. (1977). Football's 50 Greatest (In the Past 50 Years). Victoria: Bradford Usher & Associates, Pty. Ltd. আইএসবিএন ০-৯০৯১৮৬-০০-৬.
  • Holmesby, Russell & Main, Jim (2002). The Encyclopedia of AFL Footballers: every AFL/VFL player since 1897 (4th ed.). Melbourne, Victoria: Crown Content. আইএসবিএন ১-৭৪০৯৫-০০১-১.
  • Hutchinson, Garry (১৯৮৩)। The Great Australian Book of Football Stories। Melbourne: Currey O'Neil। আইএসবিএন 0-85902-153-X।
  • Hutchinson, G. & Ross, J. (managing editors) (1998). The Clubs. Melbourne: Viking. আইএসবিএন ০-৬৭০-৮৭৮৫৮-৮.
  • Illingworth, Shane (২০০৮)। Filthy Rat। Fremantle: Fontaine Press। আইএসবিএন 978-0-9804170-4-3।
  • Main, Jim (২০০৬)। When It Matters Most। Melbourne: Bas Publishing। আইএসবিএন 1-920910-68-9।
  • Main, Jim (২০০৯)। In the Blood। Melbourne: Bas Publishing। আইএসবিএন 978-1-921496-01-1।
  • Page, Roger (১৯৫৭)। A History of Tasmanian Cricket। Hobart: L.G. Shea।
  • Perry, Roland (১৯৯৫)। The Don: A Biography। Sydney: Ironbark। আইএসবিএন 0-330-36099-X।
  • Perry, Roland (২০১০)। The Changi Brownlow। Sydney: Hachette। আইএসবিএন 978-0-7336-2464-3।
  • Piesse, Ken (১৯৯৩)। The Complete Guide to Australian Football। Sydney: Ironbark। আইএসবিএন 0-7251-0703-0।
  • Piesse, Ken (২০০৩)। Cricket's Colosseum। South Yarra: Hardie Grant Books। আইএসবিএন 978-1-74066-064-8।
  • Pollard, Jack (১৯৮৮)। Australian Cricket: The Game and its Players। Sydney: Angus & Robertson Publishers। আইএসবিএন 0-207-15269-1।
  • Priestley, Susan (১৯৯৫)। South Melbourne: A History। Melbourne: Melbourne University Press। আইএসবিএন 0-522-84649-1।
  • Richardson, Victor (১৯৬৮)। The Vic Richardson Story। London: Angus & Robertson।
  • Rodgers, Stephen (১৯৯২)। Every Game Ever Played। Melbourne: Viking O'Neil। আইএসবিএন 0-670-90526-7।
  • Shaw, Ian (২০০৬)। The Bloodbath। Melbourne: Scribe। আইএসবিএন 1-920769-97-8।
  • Smith, Rick (১৯৮৫)। Prominent Tasmanian Cricketers। Launceston: Foot & Playsted। আইএসবিএন 0-9599873-5-5।
  • Tasmanian Sporting Hall of Fame (2008), Department of Sport and Recreation, Hobart.
  • Wallish, E. A. (১৯৯৮)। The Great Laurie Nash। Melbourne: Ryan Publishing। আইএসবিএন 0-9587059-6-8।
  • Whimpress, Bernard (২০০৪)। Chuckers: A history of throwing in Australian cricket। Adelaide: Elvis Press। আইএসবিএন 0-9756746-1-7।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.