রেবেকা (১৯৪০-এর চলচ্চিত্র)

রেবেকা
রেবেকা
	প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
মূল শিরোনাম	Rebecca
পরিচালক	অ্যালফ্রেড হিচকক
প্রযোজক	ডেভিড ও. সেলৎসনিক
চিত্রনাট্যকার	জোয়ান হ্যারিসন; ফিলিপ ম্যাকডোনাল্ড;
কাহিনিকার	রবার্ট ই. শেরউড; মাইকেল হোগান;
উৎস	ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই কর্তৃক ; রেবেকা
শ্রেষ্ঠাংশে	লরন্স অলিভিয়ে; জোন ফন্টেইন;
বর্ণনাকারী	জোন ফন্টেইন
সুরকার	ফ্রাঞ্জ ওয়াক্সম্যান
চিত্রগ্রাহক	জর্জ বার্নেস
সম্পাদক	ডব্লিও. ডন হায়েস
প্রযোজনা; কোম্পানি	সেলৎসনিক ইন্টারন্যাশনাল পিকচার্স
পরিবেশক	ইউনাইটেড আর্টিস্ট
মুক্তি	২১ মার্চ ১৯৪০ (মায়ামি প্রিমিয়ার); ১২ এপ্রিল ১৯৪০ (ইউএসএ);
দৈর্ঘ্য	১৩০ মিনিট
দেশ	মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা	ইংরেজি
নির্মাণব্যয়	মার্কিন $১২,৮৮,০০০[1]
আয়	মার্কিন $৬ মিলিয়ন[1]

রেবেকা (ইংরেজি: Rebecca) ১৯৪০ সালের আমেরিকান মনস্তাত্ত্বিক নাট্য-থ্রিলার চলচ্চিত্র। অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত প্রথম আমেরিকান প্রকল্প এবং ডেভিড ও. সেল্জনিকের সাথে চুক্তির অধীনে উৎপাদিত প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই-এর ১৯৩৮ সালের উপন্যাস অবলম্বনে ফিলিপ ম্যাকডোনাল্ড এবং মাইকেল হোগানের অভিযোজনের উপর ভিত্তি করে জোয়ান হ্যারিসন ও রবার্ট ই. শেরউডের একটি সংস্করণ ছিলো। ডেভিড ও. সেলৎসনিক প্রযোজিত[2] চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, লরন্স অলিভিয়ে, জোন ফন্টেইন, জর্জ স্যান্ডার্স এবং জুডিথ অ্যান্ডারসন।

সাদা-কালো এই চলচ্চিত্রে একটি গোথিক কাহিনীর বয়ান দেয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রে ম্যাক্সিম ডি উইন্টারের প্রথম স্ত্রী, রেবেকাকে কখনই দেখানো হয় না, যিনি গল্প শুরু করার আগেই মারা যান।

কাহিনীসংক্ষেপ

ম্যাক্সিম দ্যু উইন্টার একজন অভিজাত বিপত্নীক। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এক তরুণীকে। অনাথ এই তরুণীর (যার নাম চলচ্চিত্রে কখনোই উল্লেখ করা হয় নি) সাথে পরিচয়ের পরই ম্যাক্সিমের প্রেম হয় এবং তারা দ্রুত বিয়ে করে। বিয়ের পর ম্যাক্সিম তার স্ত্রীকে গ্রামের প্রসাদবাড়িতে ইংল্যান্ডের ম্যান্ডারলিতে নিয়ে আসেন। সেখানে সব গৃহকর্তী এই তরুণীকে সাদরে আমণ্ত্রণ জানায় তবে ম্যাক্সিমের আগের স্ত্রী রেবেকা'র গৃহকর্তী মিসেস ডেনভারস্ তাকে অপছন্দ করেন। ডেনভারস্ এখনো মৃত রেবেকার স্মৃতি মনে ধরে রেখেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাক্সিমের নতুন স্ত্রীর সাথে রেবেকা'র তুলনা করতে শুরু করেন। মিসেস দ্যু উইন্টার ক্রমশ উপলব্ধি করেন তিনি এ-বাড়ির গৃহকর্তী হলেও এই বাড়িকে ঘিরে রয়েছে মৃত রেবেকার আত্মা! শুরু হয় মৃত এক সত্তার বিরুদ্ধে জীবীত প্রাণের টিকে থাকার প্রচেষ্টা।

অভিনয়ে

লরন্স অলিভিয়ে — ম্যাক্সিম দ্যু উইন্টার, ম্যান্ডারলি-এর মালিক
জোন ফন্টেইন — দ্বিতীয় মিসেস দ্যু উইন্টার
জুডিথ অ্যান্ডারসন — মিসেস ডেনভারস্, ম্যান্ডারলির গৃহকর্তী
জর্জ স্যান্ডার্স — জ্যাক ফ্যাভেল, রেবেকা'র প্রথম চাচাত ভাই এবং প্রেমিক
রেগিনাল্ড ড্যানি — ফ্রাঙ্ক ক্রলে, ম্যাক্সিম'র ম্যান্ডারলির সম্পত্তি ব্যবস্থাপক এবং বন্ধু
গ্ল্যাডিস কুপার — বিট্রিসে লেসি, ম্যাক্সিম'র বোন
সি. অব্রে স্মিথ — কর্নেল জুলিয়ান
নাইজেল ব্রুস — মেজর গাইলস্ লেসি, বিট্রিসে'র ম্বামী
ফ্লোরেন্স বেটস — মিসেস ওডিথ ভ্যান হর্পার, দ্বিতীয় মিসেস দ্যু উইন্টারের কর্মচারী
এডওয়ার্ড ফিন্ডিং — ফ্রিথ, ম্যান্ডারলির পুরাতন বাটলার
মেলভিল কুপার — আশুমৃত বিচারের সময়ে
লিও জি. ক্যারল — ড. বাকের, রেবেকা'র ডাক্তার
লিওনার্ড ক্যারি — বেন, ম্যান্ডারলি সৈকতের নির্জনবাসী
লাম্সডেন হেয়ার — জনাব তাব্স, নৌকা নির্মাতা
ফরেস্টার হার্ভি — সরাইত্তয়ালা
ফিলিপ উইন্টার — রবার্ট, ম্যান্ডারলির একজন ভৃত্য

যথাবিহিত চলচ্চিত্রে হিচকক'র ক্যামিও উপস্থিতি রয়েছে, চলচ্চিত্রের শেষের দিকে জ্যাক ফ্যাভেল যখন ফোন করতে যায় তখন ফোন বুথের পাশ দিয়ে তাকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।

পুরস্কার ও সম্মাননা

রেবেকা দুটি একাডেমি পুরস্কার জিতেছে এবং আরো নয়টি বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল:[3] ১৯৩৬ সাল থেকে এটি একমাত্র চলচ্চিত্র (যখন প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার চালু হয়) যেটি, বেস্ট পিকচার জিতে সত্ত্বেও, অভিনয়, নির্দেশনা বা লেখার জন্য কোন একাডেমি পুরস্কার পায়নি।

পুরস্কার
পুরস্কার	বিভাগ	বিষয়	ফলাফল
একাডেমি পুরস্কার	শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র	সেলৎসনিক ইন্টারন্যশনাল পিকচার্স এবং ডেভিড ও. সেলৎসনিক	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, সালাকালো	জর্জ বার্নেস[4]	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ পরিচালক	অ্যালফ্রেড হিচকক	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ অভিযোজিত চিত্রনাট্য	রবার্ট ই. শেরউড এবং জোয়ান হ্যারিসন	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ অভিনেতা	লরন্স অলিভিয়ে	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী	জোন ফন্টেইন	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী	জুডিথ অ্যান্ডারসন	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনা	হাল সি. কার্ন	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত, মূল স্কোর	ফ্রাঞ্জ ওয়াক্সম্যান	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা, সাদাকালো	লিলে আর. হুইলার	মনোনীত
	শ্রেষ্ঠ স্পেশাল এফেক্ট	জ্যাক কসগ্রোভ এবং আর্থার জনস	মনোনীত

রেবেকা এএফআই কর্তৃক দু'বার তাদের এএফআই ১০০ বছরের... ধারাবাহিক-এ সম্মানিত হয়েছে।

এএফআই'র ১০০ বছর...১০০ থ্রিলস – #৮০
এএফআই'র ১০০ বছর...১০০ হিরো এবং ভিলেন – মিসেস ডেনভারস্, #৩১ ভিলেন

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

Box Office Information for Rebecca. The Numbers. Retrieved January 30, 2013.
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রেবেকা (ইংরেজি)
"The 13th Academy Awards (1941) Nominees and Winners"। Academy of Motion Picture Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৯, ২০১৩।
"Critic's Pick: Rebecca"। The New York Times। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৩, ২০০৮।

বহিঃসংযোগ

অলমুভিতে রেবেকা (ইংরেজি)
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রেবেকা (ইংরেজি)
আলোসিনেতে রেবেকা (ফরাসি)
এলোনেটে রেবেকা (ইংরেজি)
আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট ক্যাটালগে রেবেকা
টিসিএম চলচ্চিত্র ডেটাবেজে রেবেকা
ডেনিশ চলচ্চিত্র ডেটাবেজে রেবেকা (ইংরেজি)
পোর্ট.এইচইউতে রেবেকা (হাঙ্গেরি)
বক্স অফিস মোজোতে রেবেকা (ইংরেজি)
রটেন টম্যাটোসে রেবেকা (ইংরেজি)
লেটারবক্সডে রেবেকা (ইংরেজি)
সুইডিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ডাটাবেসে রেবেকা (ইংরেজি)
ক্রাইটেরিয়ন কালেকশনে রবিন উডের প্রবন্ধ Rebecca: The Two Mrs. de Winters

স্ট্রিমিং অডিও

রেবেকা — স্ক্রিন গিল্ড থিয়েটার: মে ৩১, ১৯৪৩
রেবেকা — লাক্স রেডিও থিয়েটার: নভেম্বর ৬, ১৯৫০

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.

[numbers-1] Box Office Information for Rebecca. The Numbers. Retrieved January 30, 2013.

[2] ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রেবেকা (ইংরেজি)

[Oscars1941-3] "The 13th Academy Awards (1941) Nominees and Winners"। Academy of Motion Picture Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৯, ২০১৩।

[NY_Times-4] "Critic's Pick: Rebecca"। The New York Times। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৩, ২০০৮।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার
১৯২৭/২৮–১৯৪০	উইংস (১৯২৭/২৮) দ্য ব্রডওয়ে মেলডি (১৯২৮/২৯) অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (১৯২৯/৩০) সিমারন (১৯৩০/৩১) গ্র্যান্ড হোটেল (১৯৩১/৩২) ক্যাভ্যালকেড (১৯৩২/৩৩) ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট (১৯৩৪) মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫) দ্য গ্রেট জিগফেল্ড (১৯৩৬) দ্য লাইফ অব এমিল জোলা (১৯৩৭) ইউ ক্যান্ট টেক ইট উইথ ইউ (১৯৩৮) গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) রেবেকা (১৯৪০)
১৯৪১–১৯৬০	হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি (১৯৪১) মিসেস মিনিভার (১৯৪২) কাসাব্লাঙ্কা (১৯৪৩) গোয়িং মাই ওয়ে (১৯৪৪) দ্য লস্ট উইকেন্ড (১৯৪৫) দ্য বেস্ট ইয়ার্স অব আওয়ার লাইভস্‌ (১৯৪৬) জেন্টলম্যান্‌স এগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) হ্যামলেট (১৯৪৮) অল দ্য কিংস মেন (১৯৪৯) অল অ্যাবাউট ইভ (১৯৫০) অ্যান অ্যামেরিকান ইন প্যারিস (১৯৫১) দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ (১৯৫২) ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩) অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট (১৯৫৪) মার্টি (১৯৫৫) অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ (১৯৫৬) দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (১৯৫৭) জিজি (১৯৫৮) বেন-হার (১৯৫৯) দি অ্যাপার্টমেন্ট (১৯৬০)
১৯৬১–১৯৮০	ওয়েস্ট সাইড স্টোরি (১৯৬১) লরেন্স অব অ্যারাবিয়া (১৯৬২) টম জোন্স (১৯৬৩) মাই ফেয়ার লেডি (১৯৬৪) দ্য সাউন্ড অব মিউজিক (১৯৬৫) আ ম্যান ফর অল সিজনস্‌ (১৯৬৬) ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট (১৯৬৭) অলিভার! (১৯৬৮) মিডনাইট কাউবয় (১৯৬৯) প্যাটন (১৯৭০) দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন (১৯৭১) দ্য গডফাদার (১৯৭২) দ্য স্টিং (১৯৭৩) দ্য গডফাদার পার্ট ২ (১৯৭৪) ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট (১৯৭৫) রকি (১৯৭৬) অ্যানি হল (১৯৭৭) দ্য ডিয়ার হান্টার (১৯৭৮) ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার (১৯৭৯) অর্ডিনারি পিপল (১৯৮০)
১৯৮১–২০০০	চ্যারিয়ট্‌স অব ফায়ার (১৯৮১) গান্ধী (১৯৮২) টার্মস অব এনডিয়ারমেন্ট (১৯৮৩) আমাডেয়ুস (১৯৮৪) আউট অব আফ্রিকা (১৯৮৫) প্লাটুন (১৯৮৬) দ্য লাস্ট এম্পেরার (১৯৮৭) রেইন ম্যান (১৯৮৮) ড্রাইভিং মিস ডেইজি (১৯৮৯) ড্যান্সেস উইথ উল্‌ভস্‌ (১৯৯০) দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস (১৯৯১) আনফরগিভেন (১৯৯২) শিন্ডলার্স লিস্ট (১৯৯৩) ফরেস্ট গাম্প (১৯৯৪) ব্রেভহার্ট (১৯৯৫) দি ইংলিশ পেশন্ট (১৯৯৬) টাইটানিক (১৯৯৭) শেকসপিয়ার ইন লাভ (১৯৯৮) অ্যামেরিকান বিউটি (১৯৯৯) গ্ল্যাডিয়েটর (২০০০)
২০০১–বর্তমান	আ বিউটিফুল মাইন্ড (২০০১) শিকাগো (২০০২) দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং (২০০৩) মিলিয়ন ডলার বেবি (২০০৪) ক্র্যাশ (২০০৫) দ্য ডিপার্টেড (২০০৬) নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (২০০৭) স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (২০০৮) দ্য হার্ট লকার (২০০৯) দ্য কিংস স্পিচ (২০১০) দি আর্টিস্ট (২০১১) আর্গো (২০১২) টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেইভ (২০১৩) বার্ডম্যান বা (দি আনেক্সপেক্টেড ভার্চু অব ইগনোরেন্স) (২০১৪) স্পটলাইট (২০১৫) মুনলাইট (২০১৬) দ্য শেপ অব ওয়াটার (২০১৭) গ্রিন বুক (২০১৮) প্যারাসাইট (২০১৯) নোম্যাডল্যান্ড (২০২০) কোডা (২০২১)