রেজিনাল্ড স্কারলেট
রেজিনাল্ড অসমন্ড স্কারলেট (ইংরেজি: Reginald Scarlett; জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ১৪ আগস্ট, ২০১৯) সেন্ট মেরির পোর্ট মারিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[1]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রেজিনাল্ড অসমন্ড স্কারলেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট মারিয়া, সেন্ট মেরি, জ্যামাইকা | ১৫ আগস্ট ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৪ আগস্ট ২০১৯ ৮৪) ইংল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১০৭) | ৬ জানুয়ারি ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ মার্চ ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫১/৫২ - ১৯৫৯/৬০ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতেঅফ ব্রেক বোলিং করতেন রেগ স্কারলেট নামে পরিচিত রেজিনাল্ড স্কারলেট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত রেজিনাল্ড স্কারলেটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত জ্যামাইকা দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমের শেষদিকে নিজস্ব প্রথম আটটি খেলায় ১৩.৬৩ গড়ে ১৫০ রান ও ৩৪.২৫ গড়ে ২০ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে জ্যামাইকার দুই খেলার প্রত্যকটিতেই অংশ নেন ও উভয় খেলার প্রথম ইনিংসে চারটি করে উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিজেকে আরও মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। বার্বাডোসের বিপক্ষে দুই খেলায় ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
বেশ কয়েক মৌসুম জাতীয় দলে খেলার পর্যায়ে উপনীত হয়েছিলেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৫/৬৯ ও ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে ৩/১০৭ লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রেজিনাল্ড স্কারলেট। ৬ জানুয়ারি, ১৯৬০ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৯ মার্চ, ১৯৬০ তারিখে জর্জটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। অভিষেক ঘটা ঐ টেস্টে তিনি ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেন। এরফলে, চরণ সিংকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল। তবে, এমসিসির বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ ও ৫৯ রান তুলে পুনরায় টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হন। এ ইনিংস দুটিই তার একমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল। কিন্তু, সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টেও পুনরায় নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
ইংল্যান্ড অবস্থান
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলা শেষে রেজ স্কারলেট প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদেয় জানান। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি অনেকগুলো বছর প্রশিক্ষণ কর্মের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ইংল্যান্ডে তিনি ১৫ বছর কোচের দায়িত্ব পালন করেন ও মাইনর লীগ ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে জ্যামাইকায় ফিরে আসেন ও বোর্ডের যুব উন্নয়ন বিষয়ে দেখাশোনা করতে থাকেন। পরবর্তীকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।[2] তবে, ১৯৭৯ সালে পুনরায় লন্ডনে ফিরে যান। সেখানে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেট সম্প্রসারণে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। হারিঙ্গে ক্রিকেট কলেজে যুক্ত ছিলেন। এখান থেকে বেশ কয়েকজন কাউন্টি খেলোয়াড়ের উদ্ভব ঘটে।
খেলার ধরন
মারমুখী মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন রেজিনাল্ড স্কারলেট। কার্যকরী অফ স্পিনার হিসেবেও তার সুনাম ছিল। ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্সের অভিমত, তিনি পর্বতসম ব্যক্তি হিসেবে অফস্পিন বোলিং করতেন।[3] ১৯৮৭ সালে ব্রিজেত লরেন্সের সাথে একত্রে ‘হান্ড্রেড গ্রেট ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান’ ক্রিকেটার শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। তৃষ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে সোঞ্জা ও ববি নাম্নী দুই কন্যা ছিল। নিজস্ব ৮৫তম জন্মদিনের পূর্বদিন ১৪ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে ইংল্যান্ডে রেজিনাল্ড স্কারলেটের দেহাবসান ঘটে।[4] কনিষ্ঠ ভ্রাতা রবার্ট স্কারলেট ১৯৬০-এর দশকে জ্যামাইকার পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[5]
তথ্যসূত্র
- "Reg Scarlett passes away in England"। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- Reg Scarlett
- C. Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 365.
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- Robert Scarlett at Cricket Archive
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রেজিনাল্ড স্কারলেট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রেজিনাল্ড স্কারলেট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)