রুশ–পারস্য যুদ্ধ (১৭২২–১৭২৩)
রুশ–পারস্য যুদ্ধ (১৭২২–১৭২৩) বা পিটার দ্য গ্রেটের পারস্য অভিযান[10] ছিল রাশিয়া ও পারস্যের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। যুদ্ধটি শুরু করার পিছনে রাশিয়ার জারের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল কাস্পিয়ান ও ককেশাস অঞ্চলে রুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা এবং পতনোম্মুখ সাফাভিদ সাম্রাজ্যের কাছ থেকে অঞ্চল ছিনিয়ে নেয়ার সম্ভাব্য অটোমান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া।
রুশ–পারস্য যুদ্ধ (১৭২২–১৭২৩) | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: রুশ–পারস্য যুদ্ধসমূহ | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
পারস্য অটোমান সাম্রাজ্য গাজীকুমুখ খানাত লেজগিস্তান | |||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
পিটার দ্য গ্রেট ফিয়োদোর আপ্রাক্সিন মিখাইল মাতিউশকিন আইভান মাতভিয়েভিচ দানিলো আপোস্তোল চতুর্থ ভাখতাং দাভিত বেক[3] ইসাইয়াহ হাসান জালালিয়ান[3] মির্জা চেরকাসস্কি[4] আসলান বেক[4] আয়ুকা খান[8] আদিল গিরাই[5] রুস্তম কাদি[6][7] |
দ্বিতীয় তাহমাসপ তৃতীয় আহমদ মাহমুদ ওতেমিশস্কি আহমেত খান আয়দেমির চোপালভ সুরখাই গারাই ইবন বে হাজী দাউদ মিউশকিউরস্কি | ||||||||
শক্তি | |||||||||
৬১,০৩৯ সৈন্য[9] ২২,০০০ সৈন্য ৪০,০০০ সৈন্য | ৭০,০০০ সৈন্য | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৩৬,৬৬৪ সৈন্য মৃত[9] | অজ্ঞাত |
১৭২৩ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের সন্ধি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধটির সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধের ফলে উত্তর ককেশাস, দক্ষিণ ককেশাস এবং উত্তর ইরানের বিস্তৃত অঞ্চল রাশিয়ার হস্তগত হয়।
পটভূমি
যুদ্ধের আগে রাশিয়া ও পারস্যের সীমান্ত ছিল তেরেক নদী বরাবর। নদীটির দক্ষিণে দাগেস্তানের খানাতগুলো ছিল পারস্যের শাহের করদরাজ্য। রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সাম্রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা এবং পারস্যের দুর্বলতাই ছিল এই যুদ্ধের মূল কারণ। ১৭২১ সালে বিদ্রোহী লেজগিনরা শামাখি শহর আক্রমণ করে সেখানে লুণ্ঠন চালায় এবং সেখানকার বহু অধিবাসীকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রুশ বণিকও ছিল[11][12]। পারস্যে রুশ রাষ্ট্রদূত আর্তেমি ভোলিনস্কি তদানীন্তন জার পিটার দ্য গ্রেটের কাছে রুশ বণিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করেন[13][12]। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় যে, ১৭২১ সালের ঘটনাটি ১৭১৭ সালে স্বাক্ষরিত রুশ–পারস্য বাণিজ্য চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, কারণ চুক্তি অনুযায়ী পারস্য সরকার পারস্যের অভ্যন্তরে অবস্থানরত রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল[13]। পারস্যের অরাজক অবস্থায় পারস্যের সাফাভি শাসক চুক্তিটির শর্তগুলো রক্ষা করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। এজন্য ভোলিনস্কি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাফাভি বাদশাহের একজন মিত্র হিসেবে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের অজুহাতে পিটারকে পারস্য আক্রমণ করার জন্য উৎসাহ দেন[13][12]। পিটার তার পরামর্শ গ্রহণ করেন, এবং শামাখিতে রুশ বণিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনাটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে পারস্য আক্রমণ করেন[14][15]।
প্রস্তুতি
১৭১৪ থেকে ১৭২০ সালের মধ্যে বেশ কয়েকজন রুশ নাবিক কাস্পিয়ান সাগরের মানচিত্র আঁকেন। ১৭২২ সালের ১৫ জুলাই পিটার বেশ কয়েকটি স্থানীয় ভাষায় আক্রমণটির পক্ষে ইশতেহার প্রকাশ করেন (ইশতেহারের প্রণেতা ছিলেন দিমিত্রি কান্তেমির)। পিটার পারস্য অভিযানের জন্য ২২,০০০ পদাতিক সৈন্য, ৯,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য এবং ৭০,০০০ কসাক, তাতার ও কালমিক সৈন্য সংগ্রহ করেন। যাতায়াতের জন্য তিনি ফিয়োদোর আপ্রাকসিনের অধীনে অস্ত্রাখানে কাস্পিয়ান নৌবহর গড়ে তোলেন। পদাতিক বাহিনী, কামান ও রসদপত্র সাগরপথে সুলাক নদীর মুখে পৌঁছে, আর অশ্বারোহী বাহিনী জারিৎসিন ও মোজদোক থেকে স্থলপথে পৌঁছে। যেসময় পিটার পারস্য আক্রমণের জন্য সৈন্য জড়ো করছিলেন, সেসময় পারস্যের সাফাভি রাষ্ট্র পতনের চূড়ান্ত প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল[16]।
অভিযান
প্রথম পর্যায়
রুশ নৌবহর ১৭২২ সালের ২৭ জুলাই সুলাক নদীর তীরে পৌঁছায়, এবং পিটার নিজে প্রথম অবতরণ করেন। সেখানে তিনি জানতে পারেন যে, তার অশ্বারোহী বাহিনীর কিছু অংশ এন্দেরেইতে চেচেনদের নিকট পরাজিত হয়েছে। এটিই ছিল রুশ ও চেচেনদের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ। পিটার চেচেনদের শাস্তি দেয়ার জন্য কালমিক সৈন্যদের প্রেরণ করেন। তিনি দক্ষিণদিকে অগ্রসর হন এবং বর্তমান মাখাচকালায় শিবির স্থাপন করেন। ১২ আগস্ট তিনি তার্কি শামখালাতের রাজধানী তার্কিতে প্রবেশ করেন, এবং সেখানকার শাসক তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন। পরের দিন পিটার দক্ষিণে দেরবেন্তের দিকে অগ্রসর হন, এবং রুশ নৌবহর উপকূল বরাবর তাকে অনুসরণ করে। তিনি পরবর্তী শক্তিশালী শাসক কারাখিতাগের উৎসমির নিকট দূত প্রেরণ করেন। উৎসমি দূতদের হত্যা করেন এবং পিটারের অগ্রযাত্রা রোধ করার জন্য প্রায় ১৬,০০০ সৈন্য সংগ্রহ করেন। পাহাড়ি সৈন্যরা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কিন্তু সুশৃঙ্খল রুশ পদাতিক বাহিনীর নিকট পরাজিত হয়। রুশরা উতেমিশ শহর জ্বালিয়ে দেয় এবং দূতদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সমস্ত বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। এই সংবাদ জানার পর ২৩ আগস্ট দেরবেন্তের খান পিটারের নিকট শহরটির চাবি সমর্পণ করেন। দেরবেন্ত শহরটি উপকূলীয় সমভূমির একটি সরু প্রান্তে অবস্থিত এবং এটিকে পারস্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হত। দেরবেন্তে অবস্থানকালে পিটার জানতে পারেন যে, রুশ নৌবহরটি ঝড়ের কবলে পড়েছিল এবং এর ফলে অধিকাংশ রসদপত্র হারিয়ে গেছে। বছরের সেই ভাগে পুনরায় রসদ সরবরাহের কোনো সম্ভাবনা ছিল না, এজন্য পিটার দেরবেন্তে একটি শক্তিশালী রুশ সৈন্যদল রেখে তেরেক নদী পর্যন্ত প্রত্যাবর্তন করেন, অস্ত্রাখানে গিয়ে জাহাজে চড়েন এবং ১৩ ডিসেম্বর বিজয়ীর বেশে মস্কোয় প্রবেশ করেন।
দ্বিতীয় পর্যায়
মধ্য জর্জিয়ার কার্তলি রাজ্যের রাজা ষষ্ঠ ভাখতাং পারস্যের একজন করদ রাজা ছিলেন এবং সাত বছরব্যাপী পারসিকদের নিকট বন্দি ছিলেন। পারস্যের দুর্বলতার সুযোগে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। ১৭২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি গঞ্জায় অগ্রসর হন। কিন্তু রুশরা তার সঙ্গে যোগদান না করায় নভেম্বরে তিনি তিবলিসিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পারসিকরা তার রাজ্যে একটি ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে।
অস্ত্রাখান ত্যাগের পূর্বে ৬ নভেম্বর পিটার কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত পারস্যের রেশত শহর দখল করার জন্য কর্নেল শিপোভের নেতৃত্বে ২ ব্যাটালিয়ন সৈন্য প্রেরণ করেন। স্থানীয় জনগণ আগ্রাসী আফগানদের বিরুদ্ধে রুশদের সহায়তা প্রার্থনা করে, কিন্তু দ্রুত মত পরিবর্তন করে ফেলে। পারসিকরা ১৫,০০০ সৈন্য সংগ্রহ করে, এবং শাহ দ্বিতীয় তাহমাসপ ১৭২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশদেরকে প্রত্যাবর্তনের আদেশ দেন। কিন্তু মার্চের শেষদিকে পারসিকরা রুশদের নিকট পরাজিত হয়, এবং রেশত শহর রুশদের হস্তগত হয়।
১৭২৩ সালের ২৫ জুলাই রুশ জেনারেল মাতিউশকিন পারস্যের বাকু শহর দখল করেন। এরপর শীঘ্রই তিনি পশ্চিমের শিরভান শহর এবং কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত আরো তিনটি পারসিক প্রদেশ দখল করেন। ১২ সেপ্টেম্বর রুশ ও পারসিকদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী রুশরা পারস্য থেকে আফগানদের বিতাড়িত করে শাহ তাহমাসপকে সিংহাসনে পুনরায় অধিষ্ঠিত করবে এবং বিনিময়ে রাশিয়া দেরবেন্ত, বাকু ও তিনটি দক্ষিণ উপকূলীয় প্রদেশ লাভ করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তী বছর প্রিন্স মেশচেরস্কি চুক্তিটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য পারস্যে যান, কিন্তু ব্যর্থ হন এবং অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
১৭২৩ সালের সেন্ট পিটার্সবার্গের সন্ধির মাধ্যমে যুদ্ধটির অবসান ঘটে, এবং পারস্য কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলে রুশ কর্তৃত্ব স্বীকার করে নেয়। ১৭২৪ সালের কন্সটান্টিনোপলের চুক্তি অনুসারে রাশিয়া তাদের দখলকৃত অঞ্চলের পশ্চিমে অটোমানদের কর্তৃত্ব স্বীকার করে নেয়, এবং এর মধ্য দিয়ে ট্রান্সককেশিয়া অঞ্চলটি শক্তিদ্বয়ের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়।
ফলাফল
যুদ্ধটি ভিন্ন দুইটি কারণে উভয়পক্ষের জন্যই ক্ষতিকারক ছিল। পারস্য রাশিয়ার নিকট বিশাল অঞ্চল হারায়, আর রাশিয়া হারায় প্রচুরসংখ্যক সৈন্য। অভিযানটিতে অংশগ্রহণকারী ৬১,০৩৯ জন রুশ সৈন্যের মধ্যে ৩৬,৬৬৩ জন সৈন্য অভিযান চলাকালে প্রাণ হারায় (অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ ছিল বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি)[9]। রুশরা দখলকৃত অঞ্চলগুলোর বহু ক্ষতি করে[9]। উদাহরণস্বরূপ, গিলানে রুশ দখলদারিত্বের সময় রেশমপোকা চাষ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়, কারণ রেশমপোকা চাষ করত এমন অনেকেই পালিয়ে গিয়েছিল[9]। শিল্পটির পুনর্জন্ম ঘটতে বহু বছর সময় লেগে যায়[9]।
পিটার ককেশাস ও উত্তর ইরানে দখলকৃত প্রদেশগুলো রাশিয়ার অধীনে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। কিন্তু তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন, এবং এজন্য দেরবেন্ত ও হোলি ক্রসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার আদেশ দেন[9]। তিনি গিলান ও মাজেন্দারানকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন[9]। ১৭২৪ সালের মে মাসে পিটার রেশতে রুশ বাহিনীর অধিনায়ক কর্নেল মাতিউশকিনের নিকট লেখেন যে, তার উচিত "আর্মেনীয় ও অন্যান্য খ্রিস্টানদের গিলান ও মাজেন্দারানে বসতি স্থাপনে উৎসাহিত করা, যেন মুসলিমরা সংখ্যায় যত দ্রুত সম্ভব হ্রাস পায়"[9]।
১৭৩২ সালে রুশ–তুর্কি যুদ্ধের প্রাক্কালে পিটারের উত্তরসূরি রুশ জারিনা অ্যানা আইভানোভনা রেশতের চুক্তি অনুযায়ী দখলকৃত বহু অঞ্চল পারস্যের নিকট ফিরিয়ে দেন। তার উদ্দেশ্য ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সাফাভিদের সঙ্গে একটি মৈত্রীজোট গঠন[17]। ১৭৩৫ সালে স্বাক্ষরিত গঞ্জার চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া দেরবেন্ত, বাকু ও তার্কিসহ পারস্যের নিকট হতে দখলকৃত অবশিষ্ট অঞ্চলসমূহ পারস্যকে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পারস্য আবার উত্তর ও দক্ষিণ ককেশাস এবং বর্তমান উত্তর ইরানে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। অবশ্য রুশ সৈন্যরা ১৭৩৪ সালের আগে পারস্যের প্রদেশগুলি থেকে প্রত্যাবর্তন করে নি[18]।
যুদ্ধটি জর্জীয় শাসকদের জন্যও বিধ্বংসী হিসেবে প্রমাণিত হয়, কারণ তারা পিটারের অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন। পূর্ব জর্জিয়ায় কার্তলির ষষ্ঠ ভাখতাং তার সিংহাসন হারান এবং ১৭২৪ সালে রুশ রাজদরবারের আশ্রয় গ্রহণ করেন। পশ্চিম জর্জিয়ায় ইমেরেতির রাজা পঞ্চম আলেকজান্ডার কঠোর শর্তাধীনে অটোমান সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন। অটোমানরা রুশদের হস্তক্ষেপে আতঙ্কিত হয়ে ককেশীয় উপকূলে তাদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে[19]।
আরো দেখুন
- রুশ–পারস্য যুদ্ধসমূহ
- রুশ–পারস্য যুদ্ধ (১৮০৪–১৮১৩)
- রুশ–পারস্য যুদ্ধ (১৮২৫–১৮২৮)
- রেশতের চুক্তি
- গঞ্জার চুক্তি
তথ্যসূত্র
- Treaty of St Petersburg (1723), Alexander Mikaberidze, Conflict and Conquest in the Islamic World: A Historical Encyclopedia, Vol. I, ed. Alexander Mikaberidze, (ABC-CLIO, 2011), 850.
- Персидский поход 1722-23
- "МЕЛИКСТВА ХАМСЫ"। ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৭।
- "722"। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৫।
- "Кумыкский мир"। ২৮ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৫।
- "lekia.ru"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৫।
- "Официальный сайт администрации Табасаранского района Населенные пункты"। ২০১২-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৮।
- Konstantin Nikolaevich Maksimov. Kalmykia in Russia's Past and Present National Policies and Administrative System Central European University Press, 2008 আইএসবিএন ৯৬৩৯৭৭৬১৭৩ p 86
- Fisher, William Bayne; Avery, P.; Hambly, G. R. G.; Melville, C. (১৯৯১)। The Cambridge History of Iran। 7। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0521200950।
- Elena Andreeva, Russia and Iran in the Great Game: Travelogues and Orientalism, (Routledge, 2007), 38.
- Axworthy 2010, পৃ. 42।
- Fisher এবং অন্যান্য 1991, পৃ. 316।
- Sicker 2001, পৃ. 48।
- Axworthy 2010, পৃ. 62।
- Matthee 2005, পৃ. 28।
- Atkin 1980, পৃ. 4।
- A Global Chronology of Conflict: From the Ancient World to the Modern Middle East, Vol. II, ed. Spencer C. Tucker, (ABC-CLIO, 2010), 729.
- Langaroudi, EIr; Langaroudi, R. Rezazadeh (২০০৯)। "GĪLĀN vi. History in the 18th century"। Encyclopaedia Iranica, Vol. X, Fasc. 6। পৃষ্ঠা 642–645।
- Allen, W.E.D. (1950). "Two Georgian Maps of the First Half of the Eighteenth Century". Imago Mundi, Vol. 10: 99.
আরো পড়ুন
- Atkin, Muriel (১৯৮০)। Russia and Iran, 1780-1828। U of Minnesota Press। আইএসবিএন 978-0816656974।
- Axworthy, Michael (২০১০)। The Sword of Persia: Nader Shah, from Tribal Warrior to Conquering Tyrant। I.B.Tauris। আইএসবিএন 978-0857721938।
- Fisher, William Bayne; Avery, P.; Hambly, G. R. G; Melville, C. (১৯৯১)। The Cambridge History of Iran। 7। Cambridge: Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0521200950।
- Matthee, Rudolph P. (২০০৫)। The Pursuit of Pleasure: Drugs and Stimulants in Iranian History, 1500-1900। Princeton University Press। আইএসবিএন 978-0691118550।
- Sicker, Martin (২০০১)। The Islamic World in Decline: From the Treaty of Karlowitz to the Disintegration of the Ottoman Empire। Greenwood Publishing Group। আইএসবিএন 978-0275968915।
- Great Soviet Encyclopedia (রুশ)
- The Armenian Rebellion of the 1720s and the Threat of Genocidal Reprisal
- Dunlop, John B. (১৯৯৮), Russia Confronts Chechnya: Roots of a Separatist Conflict, Cambridge: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0-521-63619-1 .