রুনাকো মর্টন
রুনাকো শাকুর মর্টন (ইংরেজি: Runako Morton; জন্ম: ২২ জুলাই, ১৯৭৮ - মৃত্যু: ৪ মার্চ, ২০১২) নেভিসের জিঞ্জারল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০১০ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রুনাকো শাকুর মর্টন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জিঞ্জারল্যান্ড, নেভিস | ২২ জুলাই ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৪ মার্চ ২০১২ ৩৩) চাগুনাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬২) | ১৩ জুলাই ২০০৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ মে ২০০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১০) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩৭ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৮) | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬–২০১০ | লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০–২০১২ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস, নেভিস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন রুনাকো মর্টন। নেভিসীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রুনাকো মর্টনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সজীব কিন্তু প্রায়শঃই অনিশ্চিত চরিত্রের অধিকারী রুনাকো মর্টন জুলাই, ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাডেমি থেকে খারাপ আচরণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বহিষ্কৃত হন।[1] তিনি ক্ষমা প্রার্থনা চাননি। তাসত্ত্বেও, লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের পক্ষে বুস্টা কাপে সুন্দরভাবে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্ট ও ছাপ্পান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রুনাকো মর্টন। ১৩ জুলাই, ২০০৫ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ মে, ২০০৮ তারিখে নর্থ সাউন্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আট বছর খেলেন। তবে, কোন সময়েই দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হননি। ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে আঘাতে জর্জড়িত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে মারলন স্যামুয়েলসের স্থলাভিষিক্ত হন। এরফলে, নেভিসের ন্যায় ক্ষুদে দ্বীপপুঞ্জের স্বল্প কয়েকজন টেস্ট ক্রিকেটারের অন্যতম হন।
সেপ্টেম্বর, ২০০২ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু, তার দিদিমার মৃত্যুতে খেলা থেকে স্বীয় নাম প্রত্যাহার করে নেন। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে আবারও দলের বাইরে রাখা হয়।
বিতর্কিত ভূমিকা
জানুয়ারি, ২০০৪ সালে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।[2] তবে, কোনরূপ জরিমানা ছাড়াই মুক্তিলাভ করেন। মে, ২০০৫ সালে তৃতীয়বারের মতো সুযোগ লাভ করেন। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের দলে তাকে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, তাকে কোন খেলায় নেয়া হয়নি। এরপর, ঐ মাসের শেষদিকে নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান।
২০০৫-০৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। সেখানে তিনি তার নামের প্রতি সুবিচার করেন। বেশ রুখে দাঁড়িয়ে শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, তার প্রথম শতরানটি বিফলে যায় ও পরাজয়বরণ করে তার দল। এরপর, জিম্বাবুয়ে সফরে আরও একটি শতক করেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে সজোরে বলকে আঘাতের কারণে রুনাকো মর্টন খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
কিন্তু, এর পরপরই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অমর্যাদাকর ধীরগতিতে সর্বাধিক বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে আউটের ন্যায় রেকর্ড গড়েন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডিএলএফ কাপের চূড়ান্ত খেলায় তিনি ৩১ বল মোকাবেলা করেছিলেন।[3] এরফলে, ফিল সিমন্সের গড়া ২৩ বলের শূন্য রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন।
২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে শিবনারায়ণ চন্দরপলের উদ্ভট রান-আউটের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রাখেন। মিড-অন এলাকায় অবস্থানরত ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র কাছে রুনাকো মর্টন বলকে ড্রাইভ করে পাঠান ও দৌঁড়ুতে শুরু করেন। অপর প্রান্তে শিবনারায়ণ চন্দরপল উইকেট থেকে কয়েক কদম এগিয়ে এসে পুনরায় ফেরৎ যান। মর্টন আউট হয়েছেন ভেবে অধিনায়কের প্রতি অগ্নিশর্মা হয়ে হাটতে শুরু করেন। তবে, তৃতীয় আম্পায়ার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সিদ্ধান্ত দেয়া হয় যে, চন্দরপলের ব্যাটের পূর্বেই মর্টন তার ব্যাট মাটিতে ফেলেছিলেন। এরফলে তিনি নিরাপদ থাকেন ও চন্দরপলকে আউট ঘোষণা করা হয়।[4] কিন্তু, ভিডিও চিত্রে দেখা যায় যে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। মর্টন ভূমিতে ব্যাট প্রথমে রাখলেও তিনি তা থেকে রান-আউটের পূর্বেই চলে যান। ফলে, তিনিই আউট হয়েছিলেন।[5]
তারপর অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তার খেলায় ছন্দ হারিয়ে যায়। বিশ্বকাপের দলে তাকে রাখা হয়নি। আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ বছরের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রান পেলেও তার খেলার মানের আর উত্তরণ ঘটেনি।
২০০৮ সালে আবারও তাকে টেস্ট ক্রিকেট আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়। ২০১০ সালের শুরুরদিক পর্যন্ত একদিনের দলে খেলেন। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৫ রান তুলেন।
দেহাবসান
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো বনাম লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের মধ্যকার খেলার প্রথম দিন টনিটো উইলেটের সাথে মারিজুয়ানা সেবনের দায়ে গ্রেফতার হন[6]
৪ মার্চ, ২০১২ তারিখে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চাগুনাস এলাকায় রুনাকো মর্টনের জীবনাবসান ঘটে। এ পর্যায়ে তিনি স্যার সলোমন হোকয় হাইওয়েতে মোটরগাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারান এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চাগুনাসের চেজ গ্রামের বিদ্যুৎ খুঁটিতে ধাক্কার কবলে পড়েন।[7][8][9]
তথ্যসূত্র
- Morton Expelled From Academy, Cricinfo, Retrieved on 20 January 2008
- Morton arrested after stabbing incident, Cricinfo, Retrieved on 20 January 2008
- Morton makes the record books ... for the wrong reason, Cricinfo, Retrieved on 20 January 2008
- 3rd test, West Indies tour of New Zealand, 2005/06, Cricinfo
- ইউটিউবে ভিডিও
- http://cricket.zeenews.com/fullstory.aspx?nid=36775%5B%5D
- "NDTV - Windies batsman Runako Morton dies in a road accident"। ১৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২।
- BBC Sport - Runako Morton, former West Indies batsman, dies in car crash
- "Runako Morton killed in road accident"। ESPNcricinfo। ৫ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রুনাকো মর্টন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রুনাকো মর্টন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)