রীতা চৌধুরী
রীতা চৌধুরী (ইংরেজি: Rita Chowdhury; অসমীয়া: ৰীতা চৌধুৰী) অসমীয়া সাহিত্য জগতের একজন কবি ও ঔপন্যাসিক।[2][3] অরুণাচল প্রদেশের টিরাপ নামক স্থানে তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম বিরজানন্দ চৌধুরী। তিনি কটন মহাবিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে জ্যেষ্ঠ প্রবক্তা রুপে কর্মরত আছেন।
রীতা চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ২০ আগস্ট, ১৯৬০ নামপং, টিরাপ, অরুণাচল প্রদেশ |
পেশা | ঔপন্যাসিক, কবি, প্রবক্তা |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা | এম.এ., এল.এল.বি., পি.এইচ.ডি. |
সময়কাল | ১৯৮১ সন থেকে বর্তমান পর্যন্ত |
সাহিত্য আন্দোলন | আসাম আন্দোলন |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দেও লাংখুই মাকাম |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | অসম সাহিত্য সভা পুরস্কার, কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা পুরস্কার (২০০৬), সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (২০০৮)[1] |
দাম্পত্যসঙ্গী | চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী |
ওয়েবসাইট | |
ritachowdhury.in |
শিক্ষা
রীতা চৌধুরী উজনী হাফলং প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর মার্ঘেরিটা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৮০ সনে তার পরিবার গুয়াহাটিতে স্থানান্তরিত হয়।[4] তিনি অসমীয়া ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছেন। তদুপরি তিনি আইনের এল.এল.বি গ্রহণ করার সময় রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে পি.এইচ.ডি করেন। আসাম আন্দোলনের সময়ে তিনি অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের সহিত জড়িত ছিলেন। আন্দোলনের কার্য-কালাপের জন্য তার গুয়াহাটিতে দুইবার ও ডিব্রুগড়ে তিনবার কারাবাস হয়েছিল।[4]
সাহিত্যকৃতি
রীতা চৌধুরি প্রথম লেখা উপন্যাসটির নাম অবিরত যাত্রা[4] যা ১৯৮১ সনে রচিত হয়। এই উপন্যাসটি অসম সাহিত্য সভা আয়োজন করা পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান লাভ করে। আসাম আন্দোলনের সময় আত্মগোপন অবস্থায় থাকার সময় তিনি উপন্যাসটি রচনা করেন। ২০০১-০২ বর্ষে তিনি আধারশিলার সম্পাদক ছিলেন। ২০০৫ সনে দেও লাংখুই পর ২০১০ সনে রীতা চৌধুরীর প্রকাশিত উপন্যাস মাকাম বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬২ সনের ভারত-চীন যুদ্ধের সময়ে তিনসুকিয়া জেলার মাকুম নামক স্থানের বন্দীদের রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মাকাম নামক উপন্যাসে এই ১৫০০ জন চীনা-ভারতীয় লোকের দুখঃ-দুর্দশার কাহিনী বর্নিত করা হয়েছে।[5] ইতিমধ্যে এই উপন্যাসের আধারে চলচ্চিত্র নির্মানের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
উপন্যাস
- অবিরত যাত্রা(১৯৮১)
- তীর্থভূমি (১৯৮৮)
- মহা জীবনর আধারশিলা (১৯৯৩)
- নয়না, তরালী, সুজাতা (১৯৯৬)
- পপীয়া তরার সাধু (১৯৯৮)
- রাগ মালকোশ (১৯৯৯)
- জল পদ্ম (১৯৯৯)
- হৃদয় নিরুপায় (২০০৩)
- দেও লাংখুই (২০০৫)
- মাকাম (২০১০)
- এই সময় সেই সময়
- রাজীব ঈশ্বর
- জাহ্নবী
- মায়াবৃত্ত (২০১২)
কবিতা
- সুদূর নক্ষত্র (১৯৮৯)
- বনরীয়া বতাহর সুহুরি (১৯৯৬)
- অলপ পোহর অলপ আন্ধার (১৯৯৭)
- বগা মাটির তুলসী (১৯৯৯)
পুরস্কার
তথ্যসূত্র
- "সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়াসকলর তথ্য"। সাহিত্য অকাডেমি। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নৱেম্বর ১৬, ২০১২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Literary feats lauded"। The Assam Tribune। (Monday, December 29, 2008)। ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2009-10-22। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "Chowdhury, Narzary given Akademi award"। The Assam Tribune। (Wednesday, February 18, 2009)। ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2009-10-22। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "The heart yearns for days of yore"। The Telegraph। (Saturday, January 17, 2009)। সংগ্রহের তারিখ 2011-09-15। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "Silver screen aspires to immortalise Makam"। The Telegraph। (Saturday, December 4, 2010)। সংগ্রহের তারিখ 2011-09-15। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - Editor, Assam Times (২০০৮-১২-২৩)। "Sahitya Academy award to 2 Assamese litterateurs"। ২০১১-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০২।
- "Sahitya Adademi Awards for Choudhury, Narzary"। ২০০৮-১২-২৩। ২০১২-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-০৮।