রিচার্ড উইলিয়াম টিম
রিচার্ড উইলিয়াম টিম (২ মার্চ ১৯২৩–১১ সেপ্টেম্বর ২০২০) একজন আমেরিকান শিক্ষাবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী, মুক্তিযোদ্ধা, উন্নয়নকর্মী, মানবাধিকারকর্মী এবং পবিত্র ক্রুশ সংঘের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত নটর ডেম কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম এবং এই কলেজের ষষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে (১৯৭০–১৯৭১) দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টিম | |
---|---|
জন্ম | ২ মার্চ ১৯২৩ |
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৯৭) হলি ক্রস হাউস, নটর ডেম, ইন্ডিয়ানা[1] | (বয়স
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পেশা | ক্যাথলিক যাজক, শিক্ষক, প্রাণীবিজ্ঞানী, সমাজ সেবক ও মানবাধিকার কর্মী |
প্রতিষ্ঠান |
|
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার |
|
জন্ম
টিম ১৯২৩ সালের ২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মিশিগান সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জোসেফ ছিলেন রেলওয়ের গাড়ি প্রস্তুতকারী পুলম্যান কোম্পানির একজন পে-মাস্টার। আর মা জোসেফাইন ওটেন ছিলেন একজন গৃহিনী। তারা দুজনই ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।[2]
চার ভাই বোনের মধ্যে ভাই বব ছিলেন সবার বড় যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একটি সাবমেরিনে মৃত্যুবরণ করেন, এরপর টিম, ছোট দুই বোন মেরী জো স্কিয়েল এবং জেনেভিভ গান্টার।[3]
শিক্ষাজীবন
টিমের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় সেন্ট মেরি'স গ্রেড স্কুল নামক একটি মিশনারি স্কুলে। পরবর্তীতে তিনি হলি ক্রস সংঘের সিস্টারদের দ্বারা পরিচালিত সেন্ট মেরি'স হাই স্কুলে ভর্তি হন।[2]
স্কুল জীবন শেষে টিম নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৪৫ সালে সেখান থেকে দর্শন শাস্ত্রে বি.এ. পাশ করেন। তারপর, ১৯৫১ সালে ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অফ আমেরিকা থেকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে এম.এস পাশ করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে পরজীবীবিদ্যায় পিএইচডি লাভ করেন।[4]
কর্মজীবন
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করে রিচার্ড টিম ১৯৫২ সালের অক্টোবরে পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের সদস্য হিসেবে ঢাকায় আসেন এবং নটর ডেম কলেজে যোগ দেন। তিনিই কলেজটিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করেন এবং সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ৩টি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন যেগুলো দেশের প্রাচীনতম ক্লাব হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরজীবীবিদ্যার ফুলব্রাইট প্রভাষক এবং সেই সাথে তেজগাঁওয়ের গভার্নমেন্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফার্মে গবেষক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। তারপর ১৯৫৪ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ধান ও পাটের পরজীবীগুলো নিয়ে গবেষণা করেন। এরই মাঝে, ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের খাদ্য ও কৃষি কাউন্সিলের উদ্ভিদ-পরজীবী নেমাটোড সংক্রান্ত প্রকল্পে এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সিয়াটোর রিসার্চ ফেলো হিসেবে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালে সিয়াটো তার গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে। এছাড়াও তিনি বহিরাগত পরীক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরজীবীবিদ্যা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৮ সালে টিম যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। সেখান কর্মরত থাকাকালীন তিনি অ্যান্টার্কটিকায় যান এবং প্রায় আড়াই মাস সেখানকার নেমাটোডগুলো নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯৭০ সালে তিনি আবারো বাংলাদেশে আসেন।
১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাঙালিদের পক্ষে অবস্থান নেন। দুর্গতদের সহায়তার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
স্বাধীনতার পর তিনি মূলত এনজিও এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মনপুরা দ্বীপে সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার লক্ষ্যে গঠিত সাইক্লোন রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্টে তিনি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে কারিতাসে যোগ দিলেও পরবর্তীতে কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ভলুন্টারি এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ (বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ – ADAB) গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং এর কার্যকারি পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি কমিশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পান। ১৯৮৭ সালে তিনি কোঅর্ডিনেটিং কাউন্সিল ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ গঠন করেন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে সাউথ এশিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [4]
গবেষণা ও আবিষ্কার
একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে রিচার্ড উইলিয়াম টিম ‘’নেমাটোডের’’ উপর ব্যাপক গবেষণা করেছেন এবং ২৫০ এর অধিক নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন।[2]
তার বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের ব্যাপ্তি ছিল এন্টার্কটিকার পেঙ্গুইন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত। অধিকাংশ পর্যবেক্ষণ সুন্দরবন ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি আফ্রিকা, ইউরোপ, এন্টার্কটিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন।[3][5] তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন ১৯৭০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টার্কটিকা প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকার রস আইল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে নেমাটোডের নমুনা সংগ্রহ করেন। তাছাড়া ম্যাকমুর্দো স্টেশন ও স্কট বেজের কাছাকাছি অঞ্চলে ছয়টি ভিন্ন গভীরতায় খননকাজ চালিয়ে নেমাটোডের নমুনা সংগ্রহ করেন।[6]
রিচার্ড উইলিয়াম টিমের আবিষ্কৃত নতুন নেমাটোড প্রজাতির কয়েকটি :
- Timmia parva – মেরিন নেমাটোড।[7][8]
- ড. মেরী ফ্রাঙ্কলিনের সাথে মেরিন নেমাটোড Aphelenchoides-এর দুইটি প্রকরণ (ধরন) আবিষ্কার।[9]
- Imponema, Filiponema এবং Plutellonema – আর্থ নেমাটোডের তিনটি নতুন গণ আবিষ্কার করেন ড. আরমান্ড ম্যাজেন্টির সাথে।[10]
- কক্সবাজার থেকে প্রাপ্ত মেরিন নেমাটোডের গণ Megadontolaimus-এর দুইটি প্রকরণ (ধরন) আবিষ্কার।[11]
শিক্ষা বিস্তারে অবদান
রিচার্ড উইলিয়াম টিমের প্রথমবার বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্যই ছিল হলিক্রসের একজন শিক্ষাব্রতী সন্ন্যাসী হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা।[12][13] তিনি নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও এর বিজ্ঞানশিক্ষা কার্যক্রমের স্থপতি। তাছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানটির ষষ্ঠ অধ্যক্ষ, ডিরেক্টর অব স্টাডিজ ও তিনটি উল্লেখযোগ্য সহশিক্ষা সংগঠন নটর ডেম ডিবেটিং ক্লাব, নটর ডেম সায়েন্স ক্লাব ও নটর ডেম অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা।[14] তাছাড়া ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল (তৎকালীন ঢাকা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ) ও গভর্নমেন্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফার্ম এ ফুলব্রাইট শিক্ষাবৃত্তিতে প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া পাকিস্তান ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল কাউন্সিল এর প্রকল্পে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ও একই বিষয়ে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে সেতো রিসার্চ ফেলো ও নেমাটোলজির ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। এছাড়াও ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এর জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। তাছাড়া দ্য টেক্সটবুক অব কলেজ বায়োলজি লেখেন, যেটি লম্বা সময় ধরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাঠ্যবই ছিল।[3][15]
সামাজিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদান
রিচার্ড উইলিয়াম টিম ১৯৭০ সালে দ্য ক্রিশ্চিয়ান অর্গানাইজেশন ফর রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের - কোর এর প্রথম পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিলেন। সংস্থাটি ১৯৭৬ সালে কারিতাস বাংলাদেশ এ রূপান্তরিত হলে টিম এর পরিচালক নিযুক্ত হন। তাছাড়া ১৩০ টির বেশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার জোট দি অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ - অ্যাডাব এর প্রতিষ্ঠায় পথ দেখিয়েছেন।[3] রিচার্ড উইলিয়াম টিমকে বাংলাদেশের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার জনক (ফাদার অব এনজিও) বলা হয়।[12][16]
১৯৭৪ সালে জাস্টিস অ্যান্ড পিস কমিশন গঠিত হবার পর থেকে টানা ২৩ বছর তিনি এর কার্যনির্বাহী সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।[17] সংস্থাটিতে দায়িত্ব পালনকালীন তিনি ৫১ টি রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক কারখানার ১০০০ জন শ্রমিকের ওপর জরিপ পরিচালনা করেন। নটর ডেম কলেজ ও হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি মাঠপর্যায়ে কারখানাগুলোর নারী শ্রমিকরা সঠিক বেতন, শ্রমিক সংগঠন করবার স্বাধীনতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছেন কি না তা নিয়ে গবেষণা করিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর ফল প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল সফর করে তিনটি গবেষণা গ্রন্থ লেখেন, যেখানে বাংলাদেশের আদিবাসীরা কীভাবে তাদের ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তা ফুটিয়ে তোলেন।[3][15] তিনি সরকারের প্রতিটি জেলায় গোপন চিঠি দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে মোট ২০০০ দরিদ্র পরিবারকে নিয়ে আসার কথা প্রকাশ করেন। তাঁর দেয়া তথ্যানুযায়ী এদের প্রত্যেককে ৫ থেকে ১০ একর জমি দেয়ার কথা ছিল। আর তাদের ইচ্ছানুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেনাবহিনীর সাহায্য নিয়ে আদিবাসীদের কাছ থেকে জমি জোরপূর্বক নিয়ে নেয়া হতো এবং আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে জনপ্রতিনিধিরাও কিছু বলতেন না।[13] দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য দ্য সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস প্রতিষ্ঠা করেন। টানা তিন বছর এর প্রধান ছিলেন। পাটশিল্পে জড়িত মানুষদের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন কোর - দ্য জুট ওয়ার্কাস।[3] ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ ইংরেজি: (Coordinating Council for Human Rights in Bangladesh) গঠন করেন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এর তিনবারের সভাপতি ছিলেন।[15] তাছাড়া বিচারপতি কে এম সুবহানের সাথে একত্রে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষত ইয়াদানা গ্যাস প্রকল্পের পাইপলাইন সম্প্রসারণকাজে নিয়োজিত স্থানীয়দের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।[18]
টিম মানবাধিকার বিষয়ে স্পষ্টভাষী ছিলেন। ঢাকার আর্চবিশপ তাঁর অন্যতম সমালোচক ছিলেন। তিনি টিমের স্পষ্টভাষীতার কারণে পুরো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পক্ষপাতী ছিলেন না। তবে টিমের মতে জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপদ বিষয় হওয়ায় ক্যাথলিক গির্জা শুধুমাত্র সেটি নিয়েই কথা বলতো।যদিও তাঁর মতে পরবর্তীতে এপরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়।[13]
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী সময়ে অবদান
রিচার্ড উইলিয়াম টিম তার লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মতামত দেন এবং সংঘটিত গণহত্যার বিরোধিতা করেন। তিনি নাগরিকদের দুর্দশা এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিষয় জোরালোভাবে প্রচার করেন। তিনি ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে গোপনে ঢাকায় এসে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর নৃশংসতার খবর ওয়াশিংটনে ড. জন রুডিসহ বিভিন্ন লবিং গ্রুপের কাছে পাঠান। ড. রুডির কাছে তার প্রেরিত চিঠি বিশ্বে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে।[19] তাছাড়া ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ভোলার মনপুরা ও সংলগ্ন এলাকার যেসকল মানুষদের মাঝে ত্রাণ কার্য পরিচালনা করেছিলেন, তাদেরই পাকিস্তানি বাহিনীদের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করে যান।[19] এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি দরিদ্রদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।[20] মুক্তিযুদ্ধকালীন অধিকাংশ সময়ে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর সামরিক প্যান্ট পরে থাকায় ও কালো দাড়ি রাখায় তাঁকে পাঠান যোদ্ধা বলে অনেকে ভুল বুঝত এবং একই কারণে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর ওপর দুবার আক্রমণ চালায়। যদিও প্রত্যেকবারই মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতর তাঁর ছাত্র উপস্থিত থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।[13]
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর টিম জাতিসংঘ, ইউএসএইড, সিওআরআর (দ্য খ্রিস্টিয়ান অর্গানাইজেশন ফর রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন; পরবর্তীতে কারিতাস) এবং ক্যাথোলিক রিলিফ সার্ভিসেস-এর সাথে একযোগে সক্রিয়ভাবে নবজাত রাষ্ট্র পুনর্গঠনে অংশ নেন। এই কার্যক্রম মূলত গৃহহীন ও যুদ্ধে সর্বহারাদের সহায়তা করত। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রিচার্ড উইলিয়াম টিম মাদার তেরেসাকে সাথে নিয়ে ধর্ষিতা ও অভিভাবকহীন সদ্যোজাত শিশুসন্তানদের পুনর্বাসনের বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে যান। বঙ্গবন্ধু তাতে অনুমতি দিলে মাদার তেরেসার সংগঠনের সিস্টাররা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে কাজ শুরু করেন এবং এ কাজে টিম সক্রিয় সহযোগিতা করেন।[21]
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অবদান
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ নিহত হন। নটর ডেম কলেজ এর একটি শিক্ষার্থীদল, সিওআরআর (পরবর্তী নাম কারিতাস) এবং হেল্প (HELP -Heartland Emergency Life-Saving Project)-এর সাথে রিচার্ড উইলিয়াম টিম দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণকার্য পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ বেসরকারি পর্যয়ে গৃহীত অন্যতম বৃহৎ উদ্যোগ ছিল। ১৯৭১-১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন প্রকল্প - মনপুরা দ্বীপ এর পরিচালকের দায়িত্বপালন করেন।[3][22][23] ১৯৯৮ এর বন্যা সহ অন্যান্য দুর্যোগে টিম এর অংশগ্রহণ ও প্রভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে নটর ডেম কলেজ ও কারিতাস ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে ও বাইরে উভয় অঞ্চলেই ত্রাণকার্য পরিচালনা করে।[21]
প্রকাশনা
রিচার্ড উইলিয়াম টিম অসংখ্য গবেষণা পত্র ও গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তার কয়েকটি:
- "ফরটি ইয়ারস ইন বাংলাদেশ: মেমোয়ারস অফ ফাদার টিম" ১৯৯৫ সনে ক্যারিটাস কর্তৃক প্রকাশিত।[24]
- "দ্যা প্লান্ট-প্যারাসাইটিক নেমাটোডস অফ থাইল্যান্ড অ্যান্ড দ্যা ফিলিপাইনস" সিয়াটো কর্তৃক ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত।
- দ্যা জেনাস পেরোডিরা বেইলিস, ১৯৪৩ (নেমাটোডাঃ দ্রিলোনেমাটিডাই ), উইথ এ ডেসক্রিপশন অফ এ নিউ স্পেসিশ; আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ দ্যা হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ২৭ (১৯৬০)
- প্যারাসেইনুরা (নেমাটোডাঃ অ্যাফেলেনকইডিডাই), এ নিউ জেনাস ফ্রম ইস্ট পাকিস্তান
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; নেমাটোলজিকা (১৯৬০)
- এ নিউ স্পেসিশ অফ লেপ্টোসোমাটাম (নেমাটোডা) ফ্রম অ্যারাবিয়ান সি
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; জার্নাল অফ হেলমিনথিলজি (১৯৬০)
- দ্যা সিস্টেম্যাটিক পজিশন অফ আইসোলাইমিয়াম কব, ১৯২০ (নেমাটোডা), উইথ এ ডেসক্রিপশন অফ নিউ স্পেশিস
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; জার্নাল অফ দ্যা বোম্বে ন্যাচারাল হিস্টরি সোসাইটি ৫৮ পৃষ্ঠা ৩০০-৩০৩ (১৯৬১)
- প্রোডানটরহাবডাইটিস এন, জেন, (রাহাব-ডিটিডাই, প্রোডনটরহাবডাইটিনিয়াই এন, সাবএফ.) এ নিউ সয়েল নেমাটোড ফ্রম ইস্ট পাকিস্তান
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ২৮ পৃষ্ঠা ১১৫-১১৭ (১৯৬১)
- মেরিন নেমাটোডস অফ দ্যা ফ্যামিলি লিনহোমেইডাই ফ্রম দ্যা অ্যারাবিয়ান সি এট কারাচি
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; কানাডিয়ান জার্নাল অফ জুওলজি ৪০ পৃষ্ঠা ১৬৫-১৭৮ (১৯৬২)
- মেরিন নেমাটোডস অফ দ্যা সাবঅর্ডার মনহিসটেরিনা ফ্রম দ্যা অ্যারাবিয়ান সি এট কারাচি
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩০ পৃষ্ঠা ৩৪-৪৯ (১৯৬৩)
- নেমাটোডস অফ দ্যা সুপারফ্যামিলি ডরিলাইমোইডিয়া ফ্রম ইস্ট পাকিস্তান
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩১ পৃষ্ঠা ১৪৪-১৫৩ (১৯৬৪)
- দ্যা নেমাটোড জেনাস মনহিসটরিলা (কব, ১৯১৮), উইথ এ ডেসক্রিপশন অফ এ মেরিন স্পেশিস
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; ট্রাঞ্জেকশনস অফ আমেরিকান মাইক্রোস্কপিক্যাল সোসাইটি ৮৩ পৃষ্ঠা ২৩-২৮ (১৯৬৪)
- স্কুটেলোনেমা সিয়ামেনস এন, এসপি, (টাইলেনকিডাঃ হ্যাপলোলেমিনাই) ফ্রম থাইল্যান্ড
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; নেমাটোলিজিকা ১১ পৃষ্ঠা ৩৭০-৩৭২
- নেমাটোড প্যারাসাইটস অফ দ্যা সেলোমিক ক্যাভিটি অফ আর্থওয়ার্মস। ভি, প্লুটেলোনেমা, ইপোনেমা অ্যান্ড ফিলিপোনেমা, নিউ জেনেরা (দ্রিলোনেমাটিডাই)
আর, ডব্লিউ, টিম; এ, আর, ম্যাজেনটি কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩৩ পৃষ্ঠা ১৭৭-১৮৪ (১৯৬৬)
- নেমাটোড প্যারাসাইটস অফ দ্যা সেলোমিক ক্যাভিটি অফ আর্থওয়ার্মস। ভি,এল, ম্যাকরামফিডা অ্যান্ড সুকামফিডা, টু নিউ জেনেরা উইথ আনইউজুয়াল অ্যামফিডস
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩৩ পৃষ্ঠা ৬৭-৭১ (১৯৬৬)
- স্ফ্যারোথেরিসটাস (মনহিসটেরিডাই), এ নিউ মেরিন নেমাটোড জেনাস
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; ট্রাঞ্জেকশনস অফ দ্যা আমেরিকান মাইক্রোস্কোপিক্যাল সোসাইটি ৮৭ পৃষ্ঠা ১৫৭-১৬৪ (১৬৯৮)
- মেগোডনটলাইমাস নিউ জেনাস (নেমাটোডাঃ ক্রোমাডোরিডাই) উইথ এ ডেসক্রিপশন অফ টু নিউ স্পেসিশ
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩৬ পৃষ্ঠা ৩৬-৩৯ (১৯৬৯)-১৯৭০
- অ্যান্টার্কটিক সয়েল অ্যান্ড ফ্রেশওয়াটার নেমাটোডস ফ্রম দ্যা ম্যাকমারডো সাউন্ড রিজিওন
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩৮ পৃষ্ঠা ৪২-৫২ (১৯৭১)
- সিতেলিনেমা গ্রিসেই এস,পি, এন, (নেমাটোডাঃট্রাইকোস্ট্রনজিলিডাই) ফ্রম দ্যা ওয়েস্টার্ন গ্রে স্কুইরেল, সিউরাস গ্রিসেয়াস
আর, ডব্লিউ, টিম কর্তৃক রচিত; প্রসিডিংস অফ হেলমিনথিলজিক্যাল সোসাইটি অফ ওয়াশিংটন ৩৮ পৃষ্ঠা ২৫৭-২৬১ (১৯৭১) [25][26]
পুরস্কার ও সম্মাননা
১৯৭৮ সালে মিশনারি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ টিম ভ্যাটিকান সিটির প্রো একলেসিয়া এত পন্তিফিস পুরস্কার অর্জন করেন।[27][28] এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রোনানসিও (পরবর্তীতে কার্ডিনাল) এডওয়ার্ড ক্যাসিডি তাকে পদকটি পরিয়ে দেন। ১৯৮৭ সালে টিম ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন।[2] একই বছর তিনি সামাজিক ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য আবু সায়েদ চৌধুরী পুরস্কার লাভ করেন।[20] মুুুুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে রিচার্ড টিমকে মুুুুক্তিযুুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।[29][30]
মৃত্যু
রিচার্ড উইলিয়াম টিম ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৯৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাউথবেন্ডের হলি ক্রস হাউসে মৃত্যুবরণ করেন।[31][32] তিনি বাংলাদেশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে ও সমাধিস্থ হতে চেয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।[33]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Father Richard William Timm passes away"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- "Timm, Richard William"। The Ramon Magsaysay Award। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- "নটর ডেম কলেজের রিচার্ড উইলিয়াম টিম"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৬।
- "Richard W Timm"। nemaplex.ucdavis.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০।
- "গ্রাম-শহরের জন্য আলাদা প্রশ্ন থাকা প্রয়োজন"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০১৯-০৪-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩।
- Antarctic Journal of the United States (ইংরেজি ভাষায়)। National Science Foundation, [Division of Polar Programs]। ১৯৭০। পৃষ্ঠা ১৩৫।
- "WoRMS - World Register of Marine Species - Timmia parva (Timm, 1952)"। www.marinespecies.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৪।
- "Timmia parva (Timm, 1952)"। www.gbif.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৪।
- Franklin, Mary T.; Timm, R. W. (১৯৬৯-০১-০১)। "Two Marine Species of Aphelenchoides"। Nematologica (ইংরেজি ভাষায়)। 15 (3): 370–375। আইএসএসএন 0028-2596। ডিওআই:10.1163/187529269X00434।
- Timm, R W; Timm, R. W.; Maggenti, A. R. (১৯৬৬)। "Nematode parasites of the coelomic cavity of earthworms. V. Plutellonema, Iponema and Filiponema, new genera (Drilonematidae)"। Proceedings of the Helminthological Society of Washington। 33: 177–184। আইএসএসএন 0018-0130।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "Father Richard William Timm: Legendary missionary to Bangladesh dies at 97"। Catholic News in Asia | LiCAS.news | Licas News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭।
- University, Berkley Center for Religion, Peace and World Affairs at Georgetown। "A Discussion with Father Richard William Timm, Congregation of Holy Cross"। berkleycenter.georgetown.edu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- "চলে গেলেন নটর ডেম কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাদার টিম"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৬।
- "Father Timm: A True Bangladeshi"। www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৮।
- PeoplePill। "About Richard William Timm: Bangladeshi zoologist | Biography, Facts, Career, Wiki, Life"। PeoplePill (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭।
- "Friend of Bangladesh Father Richard William Timm passes away at 97"। Dhaka Tribune। ২০২০-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৫।
- States, United; Rights, United States Congress House Committee on International Relations Subcommittee on International Operations and Human (১৯৯৮)। Human Rights in Burma: Hearing Before the Subcommittee on International Operations and Human Rights of the Committee on International Relations, House of Representatives, One Hundred Fifth Congress, Second Session, September 28, 1998 (ইংরেজি ভাষায়)। U.S. Government Printing Office। আইএসবিএন 978-0-16-057912-7।
- "বাংলাদেশের বন্ধু ফাদার রিচার্ড টিম আর নেই"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।
- "Victory Day Special"। www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০।
- "বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ফাদার টিম আর নেই"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।
- "Bangladesh's firm friend Father Timm no more"। প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।
- "অকৃত্রিম বন্ধু ফাদার টিম আর নেই"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।
- Timm, Richard W. (১৯৯৫)। Forty Years in Bangladesh: Memoirs of Father Timm (ইংরেজি ভাষায়)। Caritas Bangladesh।
- "Title"। bionames.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০।
- "রিচার্ড ডব্লিউ টিমের গ্রন্থসমূহ"। www.worldcat.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২০।
- "Bangladesh. Dolor por la muerte del misionero americano Richard Timm"। ভ্যাটিকান নিউজ (স্পেনীয় ভাষায়)। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০২।
- "Bangladesh mourns legendary American missionary priest - UCA News"। ucanews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- "মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা যেসব বিদেশী সংগঠন ও নাগরিককে সম্মাননা দেয়া হয়েছে তাঁদের তালিকা" (পিডিএফ)। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- "মুক্তিযুদ্ধে অবদান: ৫২ বিদেশি নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা দিচ্ছে সরকার"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- "হলিক্রস ও নটরডেম কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাদার টিমের মৃত্যু"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- "Father Richard William Timm, a true friend of Bangladesh, dies"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- "Bangladesh will miss you, Father Timm: Dr Yunus"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৪।